মোস্তাফিজ মিঠু, ঢাকা
মধ্যরাতে দারুণ আড্ডা দিচ্ছেন দুই বান্ধবী। সেখানেই গল্পচ্ছলে হিসাব কষে দেখলেন, আশির কোঠায় পা দিতে যাচ্ছেন দুজনই। এই দুই বান্ধবীর একজনের নাম স্যান্ডি হ্যাজেলিপ, পেশায় চিকিৎসক। অন্যজন এলি হ্যাম্বি, পেশায় তথ্য চিত্রগ্রাহক। ২০০১ সালে জাম্বিয়ায় এক মেডিকেল ক্যাম্পে পরিচয় হয় দুজনের। তত দিনে নিয়মিত ভ্রমণ শুরু করেছেন স্যান্ডি। ১৯৯৭ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর একাকিত্ব কাটাতে ভ্রমণের নেশা চাপে।
সেই আড্ডায় স্যান্ডির মাথায় চট করে বিশ্বভ্রমণের ভূত চেপে বসে। কিন্তু বয়সও তো একটা ব্যাপার। তাই খানিকটা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে প্রস্তাব করলেন এলিকে। এককথায় রাজি হলেন তিনি। পরিকল্পনা হলো, ৮০তম জন্মদিন উদ্যাপন করবেন ৮০ দিনে বিশ্ব ভ্রমণ করে। কিন্তু করোনার কারণে নির্ধারিত সময়ে ভ্রমণ শুরু করতে পারলেন না তাঁরা। ২০২২ সালে ৮১ বছর বয়সে বিশ্বভ্রমণে বের হলেন তাঁরা।
জাম্বিয়ার মেডিকেল ক্যাম্পে পরিচয় হলেও দুজনই যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস রাজ্যের বাসিন্দা। তাই পরবর্তী সময়ে বন্ধুত্ব গাঢ় হয়ে ওঠে স্যান্ডি ও এলির মধ্যে। ২০০৫ সালে এলিও তাঁর স্বামীকে হারান। এরপর দুজনের বন্ধুত্ব আরও মজবুত হয়। একসঙ্গে ভ্রমণ শুরু করেন।
৮০ দিনে ৭ মহাদেশের ১৮টি দেশ ভ্রমণ করেন স্যান্ডি ও এলি। ২ মাস ২০ দিনের এই ভ্রমণে নানা চড়াই-উতরাই পাড়ি দিতে হয়েছে তাঁদের। কখনো অত্যন্ত ঠান্ডা পানি আর বরফখণ্ড, আবার কখনো মরুভূমির গরম, কখনো-বা সাগরের অথই জলরাশি অতিক্রম করতে হয়েছে তাঁদের।
এলি হ্যাম্বি এক সাক্ষাৎকারে সিএনএনকে জানান, অ্যান্টার্কটিকায় যেতে সাগর পাড়ি দেওয়ার সময় প্রায় দুই দিন ধরে শুধু পানির মধ্যে ভাসছিলেন তাঁরা। সে সময় কী করবেন, সেটা ভেবে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন দুই বন্ধু। ‘কিন্তু আমরা যখন অ্যান্টার্কটিকায় পা রেখেছি, তখনই সব কষ্ট ভুলে গিয়েছি। চোখের সামনে পেঙ্গুইনের দল, হিমশৈল, হিমবাহ—এসব কখনো ভোলার নয়।’ এভাবে সিএনএনের কাছে নিজের অনুভূতি তুলে ধরেছিলেন এলি।
পুরো ভ্রমণে অনেক দেশের ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি উপভোগ করেছেন স্যান্ডি ও এলি। মিসরে উটে চড়েছেন, বালিতে হাতির সঙ্গে দেখা করেছেন, নেপালে নেচেছেন, ফিনল্যান্ডে নর্দান লাইটস দেখেছেন। শুধু তা-ই নয়, দুই বন্ধু ভারতে এসে রিকশায় চেপে দিল্লির রাস্তায় ঘুরেছেন।
দুই বন্ধু তাঁদের পুরো ভ্রমণ ক্যামেরাবন্দী করে রেখেছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধীরে ধীরে সেগুলো পোস্ট করেছেন। এই ভ্রমণকে অবসরযাপন বলতে চান না স্যান্ডি ও এলি। এটি তাঁদের কাছে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। সেই অভিজ্ঞতা নিতে তাঁরা পরবর্তী বিশ্বভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন পৃথিবীর ভিন্ন কোনো প্রান্তে, ভিন্ন কোনো দেশে।
মধ্যরাতে দারুণ আড্ডা দিচ্ছেন দুই বান্ধবী। সেখানেই গল্পচ্ছলে হিসাব কষে দেখলেন, আশির কোঠায় পা দিতে যাচ্ছেন দুজনই। এই দুই বান্ধবীর একজনের নাম স্যান্ডি হ্যাজেলিপ, পেশায় চিকিৎসক। অন্যজন এলি হ্যাম্বি, পেশায় তথ্য চিত্রগ্রাহক। ২০০১ সালে জাম্বিয়ায় এক মেডিকেল ক্যাম্পে পরিচয় হয় দুজনের। তত দিনে নিয়মিত ভ্রমণ শুরু করেছেন স্যান্ডি। ১৯৯৭ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর একাকিত্ব কাটাতে ভ্রমণের নেশা চাপে।
সেই আড্ডায় স্যান্ডির মাথায় চট করে বিশ্বভ্রমণের ভূত চেপে বসে। কিন্তু বয়সও তো একটা ব্যাপার। তাই খানিকটা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে প্রস্তাব করলেন এলিকে। এককথায় রাজি হলেন তিনি। পরিকল্পনা হলো, ৮০তম জন্মদিন উদ্যাপন করবেন ৮০ দিনে বিশ্ব ভ্রমণ করে। কিন্তু করোনার কারণে নির্ধারিত সময়ে ভ্রমণ শুরু করতে পারলেন না তাঁরা। ২০২২ সালে ৮১ বছর বয়সে বিশ্বভ্রমণে বের হলেন তাঁরা।
জাম্বিয়ার মেডিকেল ক্যাম্পে পরিচয় হলেও দুজনই যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস রাজ্যের বাসিন্দা। তাই পরবর্তী সময়ে বন্ধুত্ব গাঢ় হয়ে ওঠে স্যান্ডি ও এলির মধ্যে। ২০০৫ সালে এলিও তাঁর স্বামীকে হারান। এরপর দুজনের বন্ধুত্ব আরও মজবুত হয়। একসঙ্গে ভ্রমণ শুরু করেন।
৮০ দিনে ৭ মহাদেশের ১৮টি দেশ ভ্রমণ করেন স্যান্ডি ও এলি। ২ মাস ২০ দিনের এই ভ্রমণে নানা চড়াই-উতরাই পাড়ি দিতে হয়েছে তাঁদের। কখনো অত্যন্ত ঠান্ডা পানি আর বরফখণ্ড, আবার কখনো মরুভূমির গরম, কখনো-বা সাগরের অথই জলরাশি অতিক্রম করতে হয়েছে তাঁদের।
এলি হ্যাম্বি এক সাক্ষাৎকারে সিএনএনকে জানান, অ্যান্টার্কটিকায় যেতে সাগর পাড়ি দেওয়ার সময় প্রায় দুই দিন ধরে শুধু পানির মধ্যে ভাসছিলেন তাঁরা। সে সময় কী করবেন, সেটা ভেবে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন দুই বন্ধু। ‘কিন্তু আমরা যখন অ্যান্টার্কটিকায় পা রেখেছি, তখনই সব কষ্ট ভুলে গিয়েছি। চোখের সামনে পেঙ্গুইনের দল, হিমশৈল, হিমবাহ—এসব কখনো ভোলার নয়।’ এভাবে সিএনএনের কাছে নিজের অনুভূতি তুলে ধরেছিলেন এলি।
পুরো ভ্রমণে অনেক দেশের ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি উপভোগ করেছেন স্যান্ডি ও এলি। মিসরে উটে চড়েছেন, বালিতে হাতির সঙ্গে দেখা করেছেন, নেপালে নেচেছেন, ফিনল্যান্ডে নর্দান লাইটস দেখেছেন। শুধু তা-ই নয়, দুই বন্ধু ভারতে এসে রিকশায় চেপে দিল্লির রাস্তায় ঘুরেছেন।
দুই বন্ধু তাঁদের পুরো ভ্রমণ ক্যামেরাবন্দী করে রেখেছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধীরে ধীরে সেগুলো পোস্ট করেছেন। এই ভ্রমণকে অবসরযাপন বলতে চান না স্যান্ডি ও এলি। এটি তাঁদের কাছে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। সেই অভিজ্ঞতা নিতে তাঁরা পরবর্তী বিশ্বভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন পৃথিবীর ভিন্ন কোনো প্রান্তে, ভিন্ন কোনো দেশে।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে