রজত কান্তি রায়, ঢাকা
শান্ত নামের আড়ালে যে ভীষণ ‘অশান্ত’ একটি মানুষ লুকিয়ে আছে, প্রথম দেখায় তা বোঝা যাবে না। কিন্তু যখন আলাপ শুরু করবেন, ধীরে ধীরে যখন তাঁর সঙ্গে সখ্য গড়ে উঠবে, বুঝবেন তিনি এক দারুণ রোমাঞ্চপ্রিয় মানুষ। নইলে কি আর কেউ হেঁটে সান্দাকফু চলে যায়!
হেঁটে ভ্রমণ কেন? প্রশ্ন শুনেই হেসে উঠলেন শান্ত। জানালেন, তিনি হাঁটতে ভালোবাসেন। মানুষ, তাদের জীবনযাপন পদ্ধতি, সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস–এগুলো খুব গভীরভাবে জানা যায় হেঁটে ভ্রমণ করলে। সে জন্যই তিনি হাঁটেন।
যদি শোনেন, সাইফুল ইসলাম শান্ত নামের এই তরুণটি ঢাকা থেকে হেঁটে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের শেষ বিন্দু সান্দাকফু পৌঁছেছিলেন, তাহলে তাঁকে ‘হাঁটা বাবা’ না বলে পারবেন না। হেঁটে ভ্রমণ শুরু করার প্রায় ৪ বছর পর তিনি এই বিশাল পথ পাড়ি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
ঢাকা টু সান্দাকফু
৭ অক্টোবর ২০২২। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের জাতীয় সংসদ ভবন থেকে হাঁটতে শুরু করেন শান্ত। গন্তব্য পশ্চিমবঙ্গের উত্তর প্রান্তের শেষ বিন্দু ৩ হাজার ৬৬৫ মিটার বা ১১ হাজার ৯৩০ ফুট উচ্চতার সান্দাকফু। এ আয়োজনের নাম তিনি দিয়েছিলেন ‘বাংলাদেশ টু ইন্ডিয়া ওয়াকিং চ্যালেঞ্জ ২০২২।’ দেড় হাজার কিলোমিটারের বেশি এ যাত্রাপথে তিনি হেঁটেছিলেন বাংলাদেশের ৭টি আর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ১৩টি জেলা। ঢাকা, মাওয়া, মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর, ফরিদপুর হয়ে গোপালগঞ্জ। সেখান থেকে নড়াইল হয়ে যশোরের বেনাপোল। তারপর বর্ডার পার হয়ে পেট্রাপোল। সেখান থেকে ট্রেনে কলকাতা। সেখানে সমস্ত প্রশাসনিক আনুষ্ঠানিকতা সেরে আবার ফিরে আসেন পেট্রাপোল। পেট্রাপোল থেকে হাঁটা শুরু করেন। ক্রমান্বয়ে তিনি উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি হয়ে পূর্ব বর্ধমান চলে যান। সেখান থেকে নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা, দক্ষিণ ও উত্তর দিনাজপুর হয়ে জলপাইগুড়ি। সেখান থেকে দার্জিলিং হয়ে আরও ৩০ কিলোমিটার দূরের সান্দাকফু।
২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের ৯ তারিখ বিকেল ৪টায় যখন তিনি সান্দাকফু পৌঁছান, তত দিনে পেরিয়ে গেছে ৬৪টি দিন! এ সময় তিনি বিশ্রাম নিয়েছিলেন মোট ১৫ দিন। আর বাকি ৪৯ দিন শুধু হেঁটেছেন! সান্দাকফুর ডিসেম্বরের শীতে প্রায় জমে যাচ্ছিলেন। হাঁটার সময় শরীর ঘামলেও থামলেই জেঁকে ধরছিল শীত! সে এক অন্য রকম অভিজ্ঞতা। এই পুরো যাত্রাপথ মনিটরিং করেন হাইকার্স সোসাইটি অব বাংলাদেশ।
শুধু এই দেড় হাজার কিলোমিটারই নয়, ২০২২ সালে শান্ত অফিশিয়ালি বিভিন্ন গন্তব্যে হাঁটেন প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটার পথ।
হাঁটাহাঁটি শুরু
কুমিল্লার দেবিদ্বারের মানুষ শান্ত। ২০১৩ সালে দেবিদ্বার সুজাত আলী সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে চলে আসেন ঢাকা। ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগে ভর্তি হন ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে। স্নাতক পর্যায়ে পড়তে এসে তিনি পুরো ঢাকা হেঁটে হেঁটে ঘুরে দেখতে শুরু করেন। এরপর ২০১৮ সালের ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর বান্দরবান জিরো পয়েন্ট থেকে আলীকদম পর্যন্ত ২ দিনে ১০০ কিলোমিটার পথ হেঁটে অতিক্রম করেন শান্ত। পাহাড়ি সে পথে সফলভাবে হাঁটা শেষ করা তাঁকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। এরপর দূরপাল্লার হাঁটাহাঁটির জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে থাকেন।
করোনাকাল ও ২ হাজার টাকা
করোনাকালের ঘরবন্দী সময়ে সাহস করে পকেটে ২ হাজার টাকা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন পথে। উদ্দেশ্য ছিল, কাছাকাছি ‘একটু হেঁটে আসা।’ তিনি হাঁটতে হাঁটতে চলে যান সিলেট! তারপর কুমিল্লা থেকে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ৪০ দিনে হেঁটে পৌঁছান বাংলাবান্ধা। সময়টা ২০২০ সালের ১২ আগস্ট থেকে ২০ সেপ্টেম্বর। শেষ পর্যন্ত এ ভ্রমণের জন্য তাঁকে ধার করতে হয়েছিল ১০ হাজার টাকা।
এক দিনে ১০০ কিমির রেকর্ড
উপলক্ষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ। ২০২০ সালের ২০ নভেম্বরের ঘটনা। টানা ২২ ঘণ্টা ২১ মিনিট হেঁটে ঢাকা থেকে কুমিল্লার দেবিদ্বার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেন শান্ত। এটি ছিল তাঁর এক দিনে হাঁটার সর্বোচ্চ রেকর্ড।
৭৫ দিনে পুরো দেশ
জুল ভার্নের নায়ক ফিলিয়াস ফগ ১৮৭২ সালে যদি ৮০ দিনে বিশ্বভ্রমণ করতে পারেন, শান্ত কেন পারবেন না? তবে পুরো বিশ্ব নয়। তিনি ৭৫ দিনে হেঁটে হেঁটে পুরো দেশ ঘোরা শেষ করেছিলেন। ৬৪ জেলার সে যাত্রাপথ ছিল ৩ হাজার কিলোমিটার। ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ২০২২ সালের ১৪ জানুয়ারি ভ্রমণ শুরু করেন এবং ২৯ মার্চ কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সে যাত্রা শেষ করেন।
শুধুই কি হাঁটা
বিষয়টি সে রকম নয়। শান্ত হাঁটতে হাঁটতে চলে যান কোনো অপরিচিত জনপদে। সেখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বা কোনো জমায়েতে শোনান বৈশ্বিক উষ্ণতার কথা। জানান, প্রচুর গাছ না লাগালে গরম দিন দিন বাড়তে থাকবে। প্রকৃতি নষ্ট হয়ে মানুষসহ পুরো জীববৈচিত্র্য হুমকির মধ্যে পড়বে। আরও জানান, অকাল পঙ্গুত্ব রোধে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটার গুরুত্ব। তা ছাড়া তিনি সমবেত মানুষকে জানান, নিজের রক্ত দিয়ে অন্য একটি মানুষের জীবন বাঁচানো যায়। তাঁদের শোনান, পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিকের ব্যবহারে সচেতন হতে হবে আমাদের। নইলে বিপদ।
ম্যারাথন
শুধু হাঁটাহাঁটি করলেও চলত। শান্ত দৌড়ানও বটে। এ পর্যন্ত বেশ কিছু ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ ও ভারতের এ ম্যারাথনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, টাটা-স্টিল কলকাতা ম্যারাথন ২০২২, দার্জিলিং হিল ম্যারাথন ২০২২, ঢাকা হাফ ম্যারাথন ২০১৮, সোয়ান হাফ ম্যারাথন ২০২২ ইত্যাদি।
শান্ত নামের আড়ালে যে ভীষণ ‘অশান্ত’ একটি মানুষ লুকিয়ে আছে, প্রথম দেখায় তা বোঝা যাবে না। কিন্তু যখন আলাপ শুরু করবেন, ধীরে ধীরে যখন তাঁর সঙ্গে সখ্য গড়ে উঠবে, বুঝবেন তিনি এক দারুণ রোমাঞ্চপ্রিয় মানুষ। নইলে কি আর কেউ হেঁটে সান্দাকফু চলে যায়!
হেঁটে ভ্রমণ কেন? প্রশ্ন শুনেই হেসে উঠলেন শান্ত। জানালেন, তিনি হাঁটতে ভালোবাসেন। মানুষ, তাদের জীবনযাপন পদ্ধতি, সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস–এগুলো খুব গভীরভাবে জানা যায় হেঁটে ভ্রমণ করলে। সে জন্যই তিনি হাঁটেন।
যদি শোনেন, সাইফুল ইসলাম শান্ত নামের এই তরুণটি ঢাকা থেকে হেঁটে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের শেষ বিন্দু সান্দাকফু পৌঁছেছিলেন, তাহলে তাঁকে ‘হাঁটা বাবা’ না বলে পারবেন না। হেঁটে ভ্রমণ শুরু করার প্রায় ৪ বছর পর তিনি এই বিশাল পথ পাড়ি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
ঢাকা টু সান্দাকফু
৭ অক্টোবর ২০২২। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের জাতীয় সংসদ ভবন থেকে হাঁটতে শুরু করেন শান্ত। গন্তব্য পশ্চিমবঙ্গের উত্তর প্রান্তের শেষ বিন্দু ৩ হাজার ৬৬৫ মিটার বা ১১ হাজার ৯৩০ ফুট উচ্চতার সান্দাকফু। এ আয়োজনের নাম তিনি দিয়েছিলেন ‘বাংলাদেশ টু ইন্ডিয়া ওয়াকিং চ্যালেঞ্জ ২০২২।’ দেড় হাজার কিলোমিটারের বেশি এ যাত্রাপথে তিনি হেঁটেছিলেন বাংলাদেশের ৭টি আর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ১৩টি জেলা। ঢাকা, মাওয়া, মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর, ফরিদপুর হয়ে গোপালগঞ্জ। সেখান থেকে নড়াইল হয়ে যশোরের বেনাপোল। তারপর বর্ডার পার হয়ে পেট্রাপোল। সেখান থেকে ট্রেনে কলকাতা। সেখানে সমস্ত প্রশাসনিক আনুষ্ঠানিকতা সেরে আবার ফিরে আসেন পেট্রাপোল। পেট্রাপোল থেকে হাঁটা শুরু করেন। ক্রমান্বয়ে তিনি উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি হয়ে পূর্ব বর্ধমান চলে যান। সেখান থেকে নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা, দক্ষিণ ও উত্তর দিনাজপুর হয়ে জলপাইগুড়ি। সেখান থেকে দার্জিলিং হয়ে আরও ৩০ কিলোমিটার দূরের সান্দাকফু।
২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের ৯ তারিখ বিকেল ৪টায় যখন তিনি সান্দাকফু পৌঁছান, তত দিনে পেরিয়ে গেছে ৬৪টি দিন! এ সময় তিনি বিশ্রাম নিয়েছিলেন মোট ১৫ দিন। আর বাকি ৪৯ দিন শুধু হেঁটেছেন! সান্দাকফুর ডিসেম্বরের শীতে প্রায় জমে যাচ্ছিলেন। হাঁটার সময় শরীর ঘামলেও থামলেই জেঁকে ধরছিল শীত! সে এক অন্য রকম অভিজ্ঞতা। এই পুরো যাত্রাপথ মনিটরিং করেন হাইকার্স সোসাইটি অব বাংলাদেশ।
শুধু এই দেড় হাজার কিলোমিটারই নয়, ২০২২ সালে শান্ত অফিশিয়ালি বিভিন্ন গন্তব্যে হাঁটেন প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটার পথ।
হাঁটাহাঁটি শুরু
কুমিল্লার দেবিদ্বারের মানুষ শান্ত। ২০১৩ সালে দেবিদ্বার সুজাত আলী সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে চলে আসেন ঢাকা। ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগে ভর্তি হন ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে। স্নাতক পর্যায়ে পড়তে এসে তিনি পুরো ঢাকা হেঁটে হেঁটে ঘুরে দেখতে শুরু করেন। এরপর ২০১৮ সালের ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর বান্দরবান জিরো পয়েন্ট থেকে আলীকদম পর্যন্ত ২ দিনে ১০০ কিলোমিটার পথ হেঁটে অতিক্রম করেন শান্ত। পাহাড়ি সে পথে সফলভাবে হাঁটা শেষ করা তাঁকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। এরপর দূরপাল্লার হাঁটাহাঁটির জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে থাকেন।
করোনাকাল ও ২ হাজার টাকা
করোনাকালের ঘরবন্দী সময়ে সাহস করে পকেটে ২ হাজার টাকা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন পথে। উদ্দেশ্য ছিল, কাছাকাছি ‘একটু হেঁটে আসা।’ তিনি হাঁটতে হাঁটতে চলে যান সিলেট! তারপর কুমিল্লা থেকে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ৪০ দিনে হেঁটে পৌঁছান বাংলাবান্ধা। সময়টা ২০২০ সালের ১২ আগস্ট থেকে ২০ সেপ্টেম্বর। শেষ পর্যন্ত এ ভ্রমণের জন্য তাঁকে ধার করতে হয়েছিল ১০ হাজার টাকা।
এক দিনে ১০০ কিমির রেকর্ড
উপলক্ষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ। ২০২০ সালের ২০ নভেম্বরের ঘটনা। টানা ২২ ঘণ্টা ২১ মিনিট হেঁটে ঢাকা থেকে কুমিল্লার দেবিদ্বার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেন শান্ত। এটি ছিল তাঁর এক দিনে হাঁটার সর্বোচ্চ রেকর্ড।
৭৫ দিনে পুরো দেশ
জুল ভার্নের নায়ক ফিলিয়াস ফগ ১৮৭২ সালে যদি ৮০ দিনে বিশ্বভ্রমণ করতে পারেন, শান্ত কেন পারবেন না? তবে পুরো বিশ্ব নয়। তিনি ৭৫ দিনে হেঁটে হেঁটে পুরো দেশ ঘোরা শেষ করেছিলেন। ৬৪ জেলার সে যাত্রাপথ ছিল ৩ হাজার কিলোমিটার। ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ২০২২ সালের ১৪ জানুয়ারি ভ্রমণ শুরু করেন এবং ২৯ মার্চ কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সে যাত্রা শেষ করেন।
শুধুই কি হাঁটা
বিষয়টি সে রকম নয়। শান্ত হাঁটতে হাঁটতে চলে যান কোনো অপরিচিত জনপদে। সেখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বা কোনো জমায়েতে শোনান বৈশ্বিক উষ্ণতার কথা। জানান, প্রচুর গাছ না লাগালে গরম দিন দিন বাড়তে থাকবে। প্রকৃতি নষ্ট হয়ে মানুষসহ পুরো জীববৈচিত্র্য হুমকির মধ্যে পড়বে। আরও জানান, অকাল পঙ্গুত্ব রোধে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটার গুরুত্ব। তা ছাড়া তিনি সমবেত মানুষকে জানান, নিজের রক্ত দিয়ে অন্য একটি মানুষের জীবন বাঁচানো যায়। তাঁদের শোনান, পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিকের ব্যবহারে সচেতন হতে হবে আমাদের। নইলে বিপদ।
ম্যারাথন
শুধু হাঁটাহাঁটি করলেও চলত। শান্ত দৌড়ানও বটে। এ পর্যন্ত বেশ কিছু ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ ও ভারতের এ ম্যারাথনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, টাটা-স্টিল কলকাতা ম্যারাথন ২০২২, দার্জিলিং হিল ম্যারাথন ২০২২, ঢাকা হাফ ম্যারাথন ২০১৮, সোয়ান হাফ ম্যারাথন ২০২২ ইত্যাদি।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে