মনজুরুল ইসলাম
প্রশ্ন: বাজেটে ট্যাক্সের কোন ইস্যুটা আপনাদের বেশি প্রভাবিত করে, যা কমালে পর্যটনশিল্পকে আরও এগিয়ে নেওয়া সম্ভব?
শাখাওয়াত: কয়েকটা জিনিস আছে। একটা হলো অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স বা এআইটি। বিদেশ থেকে আমরা যে পণ্যগুলো আনি, সেগুলোর একটা জিনিসের দাম যদি ১ ডলার হয়, সেটা আমার গোডাউনে আসতে ৯ থেকে ১০ ডলার হয়ে যায়। ৬ ডলার হলো এআইটি, ১ ডলার পণ্যের দাম আর বাকিটা পথের ভাড়া। এটা বিক্রি করতে মার্ক আপ করতে হয়। অপারেশনাল কস্ট আছে। টাকাটা লোন করে নিয়ে আসি অন্য কোথাও থেকে। সব মিলিয়ে শেষে আমি যখন বিক্রি করতে যাই, তখন আর বিক্রি হয় না। তাই এআইটি কমাতে হবে। দুই নম্বর হচ্ছে, বিক্রি করতে গেলে ২০ শতাংশ সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি আছে। সার্ভিস চার্জ ১০ শতাংশ থেকে সাড়ে ১২ শতাংশ। ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স আছে ১৫ শতাংশ। এর পরে আবার ২০ শতাংশ এসডি আছে।
তার মানে একটা পণ্য বিক্রি করতে গেলে ৫০ শতাংশ শুধু ট্যাক্স আর সার্ভিস চার্জ আসে। তাহলে কীভাবে এই দেশে বিদেশি অতিথিরা আসবেন? কীভাবে ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট আসবে? আমরা ট্যুরিজমের কথা বলছি কিন্তু অ্যাকশনে সে রকম কাজ হচ্ছে না। এখন সরকারের উদ্যোগে ট্যুরিজম মন্ত্রণালয়, ট্যুরিজম বোর্ড কিছু ভালো কাজ করছে। আশা করি, এগুলো ভালো হবে।
প্রশ্ন: আমরা জানি, বাংলাদেশে আসা বিদেশিদের ৯৫ শতাংশ হচ্ছেন বিজনেস ট্রাভেলার। শুধু ২ থেকে ৫ শতাংশ পর্যটক। ঢাকায় যে হোটেলগুলো আছে, সেগুলোর বিদেশি অতিথির পারসেন্টেজ কত—জেনুইন ট্যুরিস্ট আর বিজনেস ট্যুরিস্টের মধ্যকার?
শাখাওয়াত: ট্যুরিস্ট বলতে জেনুইন ট্যুরিস্ট আমরা ১ শতাংশও পাই কি না, আমার সন্দেহ আছে। ৯৯ শতাংশ বিজনেস ট্রাভেলার আমাদের। আর আমার হোটেলে ৯৫ শতাংশ হলো ফরেন গেস্ট।
প্রশ্ন: ঢাকায় কাঁচামালের খরচ বেড়ে গেছে, যেমনটা আপনি বললেন। দেশের হোটেলগুলোতে একটা অভিযোগ পাওয়া যায়, থাইল্যান্ড, নেপাল, ভুটান প্রভৃতি দেশের রুম ভাড়া আমাদের তুলনায় কম। কিন্তু সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি। সেই তুলনায় বাংলাদেশের রুম ভাড়া অনেক বেশি আর সুযোগ-সুবিধাও কম। এটা কেন?
শাখাওয়াত: আমি শুধু চেইন হোটেলগুলোর কথা বলতে পারব। কারণ, চেইন হোটেলগুলো এমন, ওয়েস্টিন ঢাকা কিংবা ওয়েস্টিন নিউইয়র্ক অথবা জাপান, যেখানেই থাকেন, একই সেবা তারা আপনাকে দিতে বাধ্য। একই টাওয়েল দেবে, একই মানের বাথরুম। অর্থাৎ সব একই রকম দেবে। চেইন হোটেলগুলো যখন ঢাকায় সেবা দেবে তখন যদি সার্ভিস একই দিতে হয়, আপনাকে সব ইমপোর্ট করতে হবে। সেটা করলে খরচ তো আরও বেড়ে যাবে। এই খরচটা যদি আপনি হাতিয়া কিংবা ভোলাতে দিতে চান তাহলে আরও খরচ বাড়বে। এটাই সমস্যা। প্রথম থেকে খেয়াল করলে দেখা যাবে, এ দেশে ইন্টারেস্টের পরিমাণ হলো ৯ শতাংশের বেশি। বিদেশে ইন্টারেস্ট হলো ২ শতাংশ। বিদেশে বিজনেস করতে চাইলে এটা ডিক্লারেশন করার পর অথেন্টিসিটি দেখে, ক্রেডিট রেটিং দেখে গ্রেডিং দেবে। আর এই দেশে কাগজপত্র সব দিয়ে স্পিড মানি না দিলে টাকা পাওয়া যাবে না। টাকা পেলেও ডিজভার্সমেন্ট পাওয়া যাবে না। সেটা পেলেও সুন্দর করে ব্যবসা চালানো সম্ভব নয়। প্রথমত, জায়গা নেই। আর জায়গা থাকলে টাকা নেই। সবকিছু থাকলেও কাঁচামালের আবার দাম বেড়ে গেছে। এবারে কোথায় যাওয়া যাবে? আপনি যখন একজন ইনভেস্টর বা এন্ট্রাপ্রেনিউর, তখন মনে হচ্ছে, একটা যুদ্ধে নেমে গেছেন। আপনাকে কেউ সহযোগিতা করবে না, সবাই যুদ্ধ করছে।
এই যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যারা এমন বড় বড় হোটেল বানায়, তারা অনেক কষ্টের পথ পাড়ি দিয়ে আসে। এসে এত মানুষের কর্মসংস্থান...। দেখেন, আজকে আমেরিকা, কানাডাতে যদি আপনি ৩ থেকে ৫ জন মানুষের কর্মসংস্থান দিতে পারেন, তাহলে আপনি নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। কানাডাতে যদি আপনি মাত্র ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে আপনার হয়ে যায়। আর এই দেশের ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করলেও সিআইপি তো হলোই না, সেটাকে আরও কীভাবে মুশকিলের মধ্যে ফেলা যায়, সে রকম কিছু কাজ করে। আসলে মুশকিল হলো, ব্যক্তি নয়, সিস্টেমটাই এমন হয়ে গেছে। সরকার এই সিস্টেমকে চেঞ্জ করার জন্য কাজ করছে।
প্রশ্ন: কস্ট অব স্টাবলিশমেন্টের একটা ধারণা দিতে পারবেন? কক্সবাজার বা চট্টগ্রামে পাঁচ তারকা হোটেলের একটি রুমের ব্যয় এবং ভারতের একই মানের একটি রুমের স্টাবলিশমেন্ট কস্ট কেমন?
শাখাওয়াত: এর উত্তর দেওয়ার আগে আমি আরেকটা কথা বলি, একটা মার্সিডিজ গাড়ি আপনি যখন ভারতে কিনবেন, তখন সেটা ১৭ হাজার ডলারে কিনতে পারবেন। এখানে ৪৫০ শতাংশ ট্যাক্স দেওয়ার কারণে আপনাকে দিতে হবে সাড়ে ৪ কোটি টাকা। প্রতিটা আইটেম যখন আমরা আমদানি করছি, তখন আমাদের ট্যাক্স এত বেশি ধরা হচ্ছে যে দাম বেড়ে যাচ্ছে। ভারতে যদি প্রতি রুম তৈরিতে এক কোটি টাকা খরচ হয়, বাংলাদেশে সেটাতে খরচ পাঁচ কোটি টাকা। বাংলাদেশে আরেকটা সমস্যা হচ্ছে, এখানে যে ফিটিংস দেখেন, সেগুলো স্থানীয় ফিট করা নয়। বিদেশিরা এগুলো করেন। চীন কিংবা থাইল্যান্ডের মানুষ যখন এগুলো করেন, তখন তাঁদের সেভাবেই পেমেন্ট দিয়ে হয়। স্টাবলিশমেন্ট কস্ট এতে হাই হয়ে যায়। বিদেশি শেফকে যত বেতন দেওয়া হয়, আমাদের দেশের শেফ নিয়ে কেউ এত টাকা বেতন দেয় না। বিদেশি শেফ এনে কি আমি এত টাকা দিতে পারব? একজনই সব টাকা নিয়ে যায়। কোনো আমেরিকানকে হায়ার করলে তাঁদের হিসাব অনুযায়ী টাকা দিতে হয়। সে টাকা আমরা কোথা থেকে দেব? সেই কস্ট কাস্টমারের কাছ থেকে নিতে হয়। আর অ্যাভারেজ একটা পাঁচ তারকা হোটেল করতে গেলে ভারতে এক থেকে দেড় কোটি টাকা লাগবে, উইদাউট ল্যান্ড। শুধু সফট অ্যান্ড হার্ড ফার্নিশিং রুম। আমাদের দেশে সেটা লাগবে পাঁচ থেকে আট কোটি টাকা, পার রুম, ল্যান্ড বাদে।
প্রশ্ন: বাজেটে ট্যাক্সের কোন ইস্যুটা আপনাদের বেশি প্রভাবিত করে, যা কমালে পর্যটনশিল্পকে আরও এগিয়ে নেওয়া সম্ভব?
শাখাওয়াত: কয়েকটা জিনিস আছে। একটা হলো অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স বা এআইটি। বিদেশ থেকে আমরা যে পণ্যগুলো আনি, সেগুলোর একটা জিনিসের দাম যদি ১ ডলার হয়, সেটা আমার গোডাউনে আসতে ৯ থেকে ১০ ডলার হয়ে যায়। ৬ ডলার হলো এআইটি, ১ ডলার পণ্যের দাম আর বাকিটা পথের ভাড়া। এটা বিক্রি করতে মার্ক আপ করতে হয়। অপারেশনাল কস্ট আছে। টাকাটা লোন করে নিয়ে আসি অন্য কোথাও থেকে। সব মিলিয়ে শেষে আমি যখন বিক্রি করতে যাই, তখন আর বিক্রি হয় না। তাই এআইটি কমাতে হবে। দুই নম্বর হচ্ছে, বিক্রি করতে গেলে ২০ শতাংশ সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি আছে। সার্ভিস চার্জ ১০ শতাংশ থেকে সাড়ে ১২ শতাংশ। ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স আছে ১৫ শতাংশ। এর পরে আবার ২০ শতাংশ এসডি আছে।
তার মানে একটা পণ্য বিক্রি করতে গেলে ৫০ শতাংশ শুধু ট্যাক্স আর সার্ভিস চার্জ আসে। তাহলে কীভাবে এই দেশে বিদেশি অতিথিরা আসবেন? কীভাবে ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট আসবে? আমরা ট্যুরিজমের কথা বলছি কিন্তু অ্যাকশনে সে রকম কাজ হচ্ছে না। এখন সরকারের উদ্যোগে ট্যুরিজম মন্ত্রণালয়, ট্যুরিজম বোর্ড কিছু ভালো কাজ করছে। আশা করি, এগুলো ভালো হবে।
প্রশ্ন: আমরা জানি, বাংলাদেশে আসা বিদেশিদের ৯৫ শতাংশ হচ্ছেন বিজনেস ট্রাভেলার। শুধু ২ থেকে ৫ শতাংশ পর্যটক। ঢাকায় যে হোটেলগুলো আছে, সেগুলোর বিদেশি অতিথির পারসেন্টেজ কত—জেনুইন ট্যুরিস্ট আর বিজনেস ট্যুরিস্টের মধ্যকার?
শাখাওয়াত: ট্যুরিস্ট বলতে জেনুইন ট্যুরিস্ট আমরা ১ শতাংশও পাই কি না, আমার সন্দেহ আছে। ৯৯ শতাংশ বিজনেস ট্রাভেলার আমাদের। আর আমার হোটেলে ৯৫ শতাংশ হলো ফরেন গেস্ট।
প্রশ্ন: ঢাকায় কাঁচামালের খরচ বেড়ে গেছে, যেমনটা আপনি বললেন। দেশের হোটেলগুলোতে একটা অভিযোগ পাওয়া যায়, থাইল্যান্ড, নেপাল, ভুটান প্রভৃতি দেশের রুম ভাড়া আমাদের তুলনায় কম। কিন্তু সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি। সেই তুলনায় বাংলাদেশের রুম ভাড়া অনেক বেশি আর সুযোগ-সুবিধাও কম। এটা কেন?
শাখাওয়াত: আমি শুধু চেইন হোটেলগুলোর কথা বলতে পারব। কারণ, চেইন হোটেলগুলো এমন, ওয়েস্টিন ঢাকা কিংবা ওয়েস্টিন নিউইয়র্ক অথবা জাপান, যেখানেই থাকেন, একই সেবা তারা আপনাকে দিতে বাধ্য। একই টাওয়েল দেবে, একই মানের বাথরুম। অর্থাৎ সব একই রকম দেবে। চেইন হোটেলগুলো যখন ঢাকায় সেবা দেবে তখন যদি সার্ভিস একই দিতে হয়, আপনাকে সব ইমপোর্ট করতে হবে। সেটা করলে খরচ তো আরও বেড়ে যাবে। এই খরচটা যদি আপনি হাতিয়া কিংবা ভোলাতে দিতে চান তাহলে আরও খরচ বাড়বে। এটাই সমস্যা। প্রথম থেকে খেয়াল করলে দেখা যাবে, এ দেশে ইন্টারেস্টের পরিমাণ হলো ৯ শতাংশের বেশি। বিদেশে ইন্টারেস্ট হলো ২ শতাংশ। বিদেশে বিজনেস করতে চাইলে এটা ডিক্লারেশন করার পর অথেন্টিসিটি দেখে, ক্রেডিট রেটিং দেখে গ্রেডিং দেবে। আর এই দেশে কাগজপত্র সব দিয়ে স্পিড মানি না দিলে টাকা পাওয়া যাবে না। টাকা পেলেও ডিজভার্সমেন্ট পাওয়া যাবে না। সেটা পেলেও সুন্দর করে ব্যবসা চালানো সম্ভব নয়। প্রথমত, জায়গা নেই। আর জায়গা থাকলে টাকা নেই। সবকিছু থাকলেও কাঁচামালের আবার দাম বেড়ে গেছে। এবারে কোথায় যাওয়া যাবে? আপনি যখন একজন ইনভেস্টর বা এন্ট্রাপ্রেনিউর, তখন মনে হচ্ছে, একটা যুদ্ধে নেমে গেছেন। আপনাকে কেউ সহযোগিতা করবে না, সবাই যুদ্ধ করছে।
এই যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যারা এমন বড় বড় হোটেল বানায়, তারা অনেক কষ্টের পথ পাড়ি দিয়ে আসে। এসে এত মানুষের কর্মসংস্থান...। দেখেন, আজকে আমেরিকা, কানাডাতে যদি আপনি ৩ থেকে ৫ জন মানুষের কর্মসংস্থান দিতে পারেন, তাহলে আপনি নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। কানাডাতে যদি আপনি মাত্র ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে আপনার হয়ে যায়। আর এই দেশের ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করলেও সিআইপি তো হলোই না, সেটাকে আরও কীভাবে মুশকিলের মধ্যে ফেলা যায়, সে রকম কিছু কাজ করে। আসলে মুশকিল হলো, ব্যক্তি নয়, সিস্টেমটাই এমন হয়ে গেছে। সরকার এই সিস্টেমকে চেঞ্জ করার জন্য কাজ করছে।
প্রশ্ন: কস্ট অব স্টাবলিশমেন্টের একটা ধারণা দিতে পারবেন? কক্সবাজার বা চট্টগ্রামে পাঁচ তারকা হোটেলের একটি রুমের ব্যয় এবং ভারতের একই মানের একটি রুমের স্টাবলিশমেন্ট কস্ট কেমন?
শাখাওয়াত: এর উত্তর দেওয়ার আগে আমি আরেকটা কথা বলি, একটা মার্সিডিজ গাড়ি আপনি যখন ভারতে কিনবেন, তখন সেটা ১৭ হাজার ডলারে কিনতে পারবেন। এখানে ৪৫০ শতাংশ ট্যাক্স দেওয়ার কারণে আপনাকে দিতে হবে সাড়ে ৪ কোটি টাকা। প্রতিটা আইটেম যখন আমরা আমদানি করছি, তখন আমাদের ট্যাক্স এত বেশি ধরা হচ্ছে যে দাম বেড়ে যাচ্ছে। ভারতে যদি প্রতি রুম তৈরিতে এক কোটি টাকা খরচ হয়, বাংলাদেশে সেটাতে খরচ পাঁচ কোটি টাকা। বাংলাদেশে আরেকটা সমস্যা হচ্ছে, এখানে যে ফিটিংস দেখেন, সেগুলো স্থানীয় ফিট করা নয়। বিদেশিরা এগুলো করেন। চীন কিংবা থাইল্যান্ডের মানুষ যখন এগুলো করেন, তখন তাঁদের সেভাবেই পেমেন্ট দিয়ে হয়। স্টাবলিশমেন্ট কস্ট এতে হাই হয়ে যায়। বিদেশি শেফকে যত বেতন দেওয়া হয়, আমাদের দেশের শেফ নিয়ে কেউ এত টাকা বেতন দেয় না। বিদেশি শেফ এনে কি আমি এত টাকা দিতে পারব? একজনই সব টাকা নিয়ে যায়। কোনো আমেরিকানকে হায়ার করলে তাঁদের হিসাব অনুযায়ী টাকা দিতে হয়। সে টাকা আমরা কোথা থেকে দেব? সেই কস্ট কাস্টমারের কাছ থেকে নিতে হয়। আর অ্যাভারেজ একটা পাঁচ তারকা হোটেল করতে গেলে ভারতে এক থেকে দেড় কোটি টাকা লাগবে, উইদাউট ল্যান্ড। শুধু সফট অ্যান্ড হার্ড ফার্নিশিং রুম। আমাদের দেশে সেটা লাগবে পাঁচ থেকে আট কোটি টাকা, পার রুম, ল্যান্ড বাদে।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে