মুহাম্মদ জাভেদ হাকিম
বাইক চলছে। উয়ারশী পার হয়ে মির্জাপুরের মহাসড়কে। যেতে যেতে পথের ধারে মন টানার মতো কোনো দৃশ্য দেখলেই থেমে যাই। ছবি তুলে স্মৃতি করে রেখেছি। বিকেলে পৌঁছাই গোপালপুর উপজেলার ঝিনাই নদের তীরঘেঁষা দক্ষিণ পাথালিয়া জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে। মসজিদটি ২০১ গম্বুজবিশিষ্ট। এর মধ্যে একটি গম্বুজ ৮১ ফুট উঁচু। সুমধুর সুরে আসরের আজান হলো। আমরা নামাজ আদায় করে নিই। নামাজ শেষে চোখ আটকাল দেয়ালে খচিত দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যে। তাকালাম এবার ছাদের দিকে। এরপর সরু সিঁড়ি বেয়ে চলে যাই ছাদের ওপর। সারি সারি নয়নাভিরাম সোনালি গম্বুজ।
মিনার থেকে যত দূর চোখ যায় শুধু সবুজের সমারোহ। সুউচ্চ মিনারটির নাম রাখা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের স্মরণে। মসজিদটির নাম দক্ষিণ পাথালিয়া জামে মসজিদ কমপ্লেক্স। ২০১৩ সালের ১৩ জানুয়ারি মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। সম্ভবত পুরো বিশ্বে এটিই একমাত্র ২০১ গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ এবং মিনারের উচ্চতার দিক থেকেও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। ব্যক্তিমালিকানাধীন মসজিদটি মোট ৯টি মিনারে সজ্জিত। প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন মসজিদটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ১৪৪ ফুট। মূল মিনারের উচ্চতা ৪৫১ ফুট। পাশাপাশি অন্যান্য মিনারের উচ্চতা যথাক্রমে ১০১ ও ৮১ ফুট। ১৫ বিঘা জমির ওপর মসজিদ কমপ্লেক্সটি নির্মাণের পর থেকে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে অখ্যাত দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামটি এখন ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। মসজিদ কমপ্লেক্সটি ঝিনাই নদের একেবারে তীরে। ১৩৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ নদে একসময় নাকি প্রচুর শামুক-ঝিনুক ছিল। সে জন্যই নাম হয়েছিল ঝিনাই। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করা গেল না।
এবার চমচম খেতে যাওয়ার পালা। আবার বাইক ছুটল। ঘাটাইল এসে জানা গেল, পোড়াবাড়ির চমচম যেখানে তৈরি হয়, তা এখনো বহুদূর। এখন গেলে পাওয়া না-ও যেতে পারে। তার ওপর ফিরতে হবে ঢাকা। ফলে চমচম খাওয়ার বাসনা বাদ দিয়ে ভরা পূর্ণিমায় রাস্তার ধারে পার্ক করা রিকশা ভ্যানে শুয়ে কিছুক্ষণ চাঁদের রূপে মজে যাই।
ফিরতি পথে সাগরদিঘি গ্রামের শাল, গজারির বন ঘেরা সরু পিচ ঢালা পথে গিয়ে উঠি। আশপাশে জনমানবের চিহ্ন নেই। রাত প্রায় ১০টা। তাতেই মনে হয় কত গভীর রাত। পূর্ণিমার চাঁদ আমাদের সঙ্গী। বৈদ্যুতিক আলো ছাড়া বনজঙ্গলে জোছনার ভরা যৌবন উপভোগ করার মোক্ষম সময়। গাছগুলো দেখে মনে হলো বনটা অনেক পুরোনো। কোনো দিঘির দেখা না পেলেও নামটার সঙ্গে জায়গাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মিলেমিশে একাকার। এমন পথে বাইক চালানোর আনন্দ অন্য রকম। চলতে চলতে ভরাডুবা পৌঁছে ছোট্ট টি ব্রেক দিয়ে সোজা গাজীপুর মহাসড়ক ধরে ঢাকার পথে।
যাবেন কীভাবে
ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে সারা দিন টাঙ্গাইলের পথে বাস চলাচল করে। মসজিদ কমপ্লেক্সটির অবস্থান গোপালপুর উপজেলার দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামে।
সতর্কতা
মোটরবাইক চালানোর সময় অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখবেন এবং বডি সেফটি গিয়ার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
বাইক চলছে। উয়ারশী পার হয়ে মির্জাপুরের মহাসড়কে। যেতে যেতে পথের ধারে মন টানার মতো কোনো দৃশ্য দেখলেই থেমে যাই। ছবি তুলে স্মৃতি করে রেখেছি। বিকেলে পৌঁছাই গোপালপুর উপজেলার ঝিনাই নদের তীরঘেঁষা দক্ষিণ পাথালিয়া জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে। মসজিদটি ২০১ গম্বুজবিশিষ্ট। এর মধ্যে একটি গম্বুজ ৮১ ফুট উঁচু। সুমধুর সুরে আসরের আজান হলো। আমরা নামাজ আদায় করে নিই। নামাজ শেষে চোখ আটকাল দেয়ালে খচিত দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যে। তাকালাম এবার ছাদের দিকে। এরপর সরু সিঁড়ি বেয়ে চলে যাই ছাদের ওপর। সারি সারি নয়নাভিরাম সোনালি গম্বুজ।
মিনার থেকে যত দূর চোখ যায় শুধু সবুজের সমারোহ। সুউচ্চ মিনারটির নাম রাখা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের স্মরণে। মসজিদটির নাম দক্ষিণ পাথালিয়া জামে মসজিদ কমপ্লেক্স। ২০১৩ সালের ১৩ জানুয়ারি মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। সম্ভবত পুরো বিশ্বে এটিই একমাত্র ২০১ গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ এবং মিনারের উচ্চতার দিক থেকেও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। ব্যক্তিমালিকানাধীন মসজিদটি মোট ৯টি মিনারে সজ্জিত। প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন মসজিদটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ১৪৪ ফুট। মূল মিনারের উচ্চতা ৪৫১ ফুট। পাশাপাশি অন্যান্য মিনারের উচ্চতা যথাক্রমে ১০১ ও ৮১ ফুট। ১৫ বিঘা জমির ওপর মসজিদ কমপ্লেক্সটি নির্মাণের পর থেকে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে অখ্যাত দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামটি এখন ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। মসজিদ কমপ্লেক্সটি ঝিনাই নদের একেবারে তীরে। ১৩৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ নদে একসময় নাকি প্রচুর শামুক-ঝিনুক ছিল। সে জন্যই নাম হয়েছিল ঝিনাই। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করা গেল না।
এবার চমচম খেতে যাওয়ার পালা। আবার বাইক ছুটল। ঘাটাইল এসে জানা গেল, পোড়াবাড়ির চমচম যেখানে তৈরি হয়, তা এখনো বহুদূর। এখন গেলে পাওয়া না-ও যেতে পারে। তার ওপর ফিরতে হবে ঢাকা। ফলে চমচম খাওয়ার বাসনা বাদ দিয়ে ভরা পূর্ণিমায় রাস্তার ধারে পার্ক করা রিকশা ভ্যানে শুয়ে কিছুক্ষণ চাঁদের রূপে মজে যাই।
ফিরতি পথে সাগরদিঘি গ্রামের শাল, গজারির বন ঘেরা সরু পিচ ঢালা পথে গিয়ে উঠি। আশপাশে জনমানবের চিহ্ন নেই। রাত প্রায় ১০টা। তাতেই মনে হয় কত গভীর রাত। পূর্ণিমার চাঁদ আমাদের সঙ্গী। বৈদ্যুতিক আলো ছাড়া বনজঙ্গলে জোছনার ভরা যৌবন উপভোগ করার মোক্ষম সময়। গাছগুলো দেখে মনে হলো বনটা অনেক পুরোনো। কোনো দিঘির দেখা না পেলেও নামটার সঙ্গে জায়গাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মিলেমিশে একাকার। এমন পথে বাইক চালানোর আনন্দ অন্য রকম। চলতে চলতে ভরাডুবা পৌঁছে ছোট্ট টি ব্রেক দিয়ে সোজা গাজীপুর মহাসড়ক ধরে ঢাকার পথে।
যাবেন কীভাবে
ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে সারা দিন টাঙ্গাইলের পথে বাস চলাচল করে। মসজিদ কমপ্লেক্সটির অবস্থান গোপালপুর উপজেলার দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামে।
সতর্কতা
মোটরবাইক চালানোর সময় অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখবেন এবং বডি সেফটি গিয়ার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে