মুহাম্মদ জাভেদ হাকিম
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ। নামটার সঙ্গে সবার পরিচয় আছে নিশ্চয়। গিয়েছিলাম কয়েক দিন আগে। ফেরিঘাটের পাশে রাজনপুর গ্রামে হজরত শাহ্ মালুম (রহ.)-এর মাজার আছে। পাশেই আছে গাল্লিবিল। সহজ করে বললে, জায়গাটা খুবই নৈসর্গিক।
মাজার শরিফ আর বিলের মাঝে বয়ে গেছে সমান্তরাল রেললাইন। গাল্লিবিলে মাছ ধরার দৃশ্য দেখা আর হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন ছুটে চলার ঝিকঝিক শব্দ শোনা যাবে। ছোট একটা কাজ ছিল বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত। সেটা শেষ করে চলে যাই কুশিয়ারা নদীর তীরঘেঁষা গ্রাম মল্লিকপুরে। সেখানেই দুপুরের খাওয়ার ব্যবস্থা। খেতে খেতেই জানা গেল, মুক্তিযোদ্ধাদের এই গ্রামে বিরাট অবদান আছে। দৃষ্টিনন্দন কুশিয়ারা নদীর ওপর ঐতিহাসিক কুশিয়ারা রেলসেতু। স্বাধীনতাযুদ্ধে এই রেলসেতু থেকে গেরিলা মুক্তিযোদ্ধারা প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। এই সেতুর দক্ষিণ প্রান্ত থেকে পার্শ্ববর্তী ইলাশপুর রেলসেতুতে হানাদার বাহিনীর ট্রেন বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছিলেন গেরিলারা।
বিকেল হয়ে আসছে। পরের গন্তব্য ঘিলাছড়া জিরো পয়েন্ট। এখান থেকে শুরু দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ হাওর হাকালুকি। পর্যটকদের জন্য ঘাটে বাঁধা নানা প্রকারের নৌযান। শতবর্ষী বটবৃক্ষের ছায়ায় বিশাল হাওরের বিশুদ্ধ বাতাসের ঝাপটা লাগে গায়ে। থইথই পানির ছলাৎ ছলাৎ শব্দে মন বাধা মানে না। ট্রলারে করে ভেসে পড়লাম জলের বুকে। পড়ন্ত বিকেলে হাওরের বুকে ভেসে চলা ট্রলারে ভাটিয়ালি গান শুনতে ভালো লাগল। গান শুনতে শুনতে চলে এসেছি ওয়াচ টাওয়ারে। সুউচ্চ টাওয়ার থেকে চারপাশের নজরকাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর লাল আভা ছড়ানো সূর্যাস্ত দেখা যায়।
বাংলাদেশের বৃহত্তম এবং নয়নাভিরাম হাওর হাকালুকি। ঠিক সন্ধ্যার মুখে একে একে আমরা সবাই ট্রলার থেকে ঝাঁপ দিলাম পানির বুকে। বেশ খানিকটা সময় ধরে চলল ডুবসাঁতার খেলা। ভর সন্ধ্যায় মাঝিদের ডাকে ফিরতেই হলো ট্রলারে।
প্রয়োজনীয় তথ্য
বছরের বারো মাসই হাকালুকি হাওর ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলাজুড়ে এই হাওরের বিস্তৃতি। ফেঞ্চুগঞ্জের ঘিলাছড়া ৩ নম্বর ইউনিয়ন থেকে হাকালুকি হাওর শুরু। বর্ষায় পানি থইথই করে। দেখা যায় নানা জাতের দেশি মাছ। শীতকালে পরিযায়ী পাখির কলতান আর বিভিন্ন সবজি ভ্রমণপিয়াসি বিনোদনের পাশাপাশি রসনা তৃপ্তিও মেটাবে বেশ।
যোগাযোগ
ঢাকা থেকে বাস ও ট্রেনে ফেঞ্চুগঞ্জ যাওয়া যাবে। অথবা সিলেট শহর থেকে লেগুনা বা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ফেঞ্চুগঞ্জ। ঘোরাঘুরির জন্য সবচেয়ে ভালো হবে নিজস্ব গাড়ি বা গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে গেলে। হাওরে নৌভ্রমণের জন্য ঘিলাছড়া জিরো পয়েন্ট খেয়াঘাটে নানা ধরনের নৌযান রয়েছে। প্রতি ঘণ্টার ভাড়া দরদাম করে নিতে হবে।
খরচ
দুই রাত এক দিনের জন্য জনপ্রতি ২ হাজার টাকা খরচ হবে এ যাত্রায়।
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ। নামটার সঙ্গে সবার পরিচয় আছে নিশ্চয়। গিয়েছিলাম কয়েক দিন আগে। ফেরিঘাটের পাশে রাজনপুর গ্রামে হজরত শাহ্ মালুম (রহ.)-এর মাজার আছে। পাশেই আছে গাল্লিবিল। সহজ করে বললে, জায়গাটা খুবই নৈসর্গিক।
মাজার শরিফ আর বিলের মাঝে বয়ে গেছে সমান্তরাল রেললাইন। গাল্লিবিলে মাছ ধরার দৃশ্য দেখা আর হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন ছুটে চলার ঝিকঝিক শব্দ শোনা যাবে। ছোট একটা কাজ ছিল বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত। সেটা শেষ করে চলে যাই কুশিয়ারা নদীর তীরঘেঁষা গ্রাম মল্লিকপুরে। সেখানেই দুপুরের খাওয়ার ব্যবস্থা। খেতে খেতেই জানা গেল, মুক্তিযোদ্ধাদের এই গ্রামে বিরাট অবদান আছে। দৃষ্টিনন্দন কুশিয়ারা নদীর ওপর ঐতিহাসিক কুশিয়ারা রেলসেতু। স্বাধীনতাযুদ্ধে এই রেলসেতু থেকে গেরিলা মুক্তিযোদ্ধারা প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। এই সেতুর দক্ষিণ প্রান্ত থেকে পার্শ্ববর্তী ইলাশপুর রেলসেতুতে হানাদার বাহিনীর ট্রেন বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছিলেন গেরিলারা।
বিকেল হয়ে আসছে। পরের গন্তব্য ঘিলাছড়া জিরো পয়েন্ট। এখান থেকে শুরু দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ হাওর হাকালুকি। পর্যটকদের জন্য ঘাটে বাঁধা নানা প্রকারের নৌযান। শতবর্ষী বটবৃক্ষের ছায়ায় বিশাল হাওরের বিশুদ্ধ বাতাসের ঝাপটা লাগে গায়ে। থইথই পানির ছলাৎ ছলাৎ শব্দে মন বাধা মানে না। ট্রলারে করে ভেসে পড়লাম জলের বুকে। পড়ন্ত বিকেলে হাওরের বুকে ভেসে চলা ট্রলারে ভাটিয়ালি গান শুনতে ভালো লাগল। গান শুনতে শুনতে চলে এসেছি ওয়াচ টাওয়ারে। সুউচ্চ টাওয়ার থেকে চারপাশের নজরকাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর লাল আভা ছড়ানো সূর্যাস্ত দেখা যায়।
বাংলাদেশের বৃহত্তম এবং নয়নাভিরাম হাওর হাকালুকি। ঠিক সন্ধ্যার মুখে একে একে আমরা সবাই ট্রলার থেকে ঝাঁপ দিলাম পানির বুকে। বেশ খানিকটা সময় ধরে চলল ডুবসাঁতার খেলা। ভর সন্ধ্যায় মাঝিদের ডাকে ফিরতেই হলো ট্রলারে।
প্রয়োজনীয় তথ্য
বছরের বারো মাসই হাকালুকি হাওর ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলাজুড়ে এই হাওরের বিস্তৃতি। ফেঞ্চুগঞ্জের ঘিলাছড়া ৩ নম্বর ইউনিয়ন থেকে হাকালুকি হাওর শুরু। বর্ষায় পানি থইথই করে। দেখা যায় নানা জাতের দেশি মাছ। শীতকালে পরিযায়ী পাখির কলতান আর বিভিন্ন সবজি ভ্রমণপিয়াসি বিনোদনের পাশাপাশি রসনা তৃপ্তিও মেটাবে বেশ।
যোগাযোগ
ঢাকা থেকে বাস ও ট্রেনে ফেঞ্চুগঞ্জ যাওয়া যাবে। অথবা সিলেট শহর থেকে লেগুনা বা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ফেঞ্চুগঞ্জ। ঘোরাঘুরির জন্য সবচেয়ে ভালো হবে নিজস্ব গাড়ি বা গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে গেলে। হাওরে নৌভ্রমণের জন্য ঘিলাছড়া জিরো পয়েন্ট খেয়াঘাটে নানা ধরনের নৌযান রয়েছে। প্রতি ঘণ্টার ভাড়া দরদাম করে নিতে হবে।
খরচ
দুই রাত এক দিনের জন্য জনপ্রতি ২ হাজার টাকা খরচ হবে এ যাত্রায়।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে