মইনুল হাসান, ফ্রান্স
দক্ষিণ ফ্রান্সের তুলুজ থেকে ২১০ কিলোমিটার বা ১৩০ মাইল দূরে অ্যাভেরোঁতে মানুষের হাতে গড়া এক বিস্ময়কর স্থাপনা আছে। তার নাম মিঁও দ্য ভিয়াডুক—বিশ্বের উঁচু সেতুগুলোর অন্যতম, প্রায় আকাশছোঁয়া। উচ্চতায় ৩৪৩ মিটার বা ১ হাজার ১২৫ ফুট। আইফেল টাওয়ারকে ছাড়িয়ে ১৩ মিটার বেশি উঁচু এটি। লম্বায় ২ হাজার ৪৬০ মিটার বা ৮ হাজার ৭১ ফুট। প্রস্থ ৩২ মিটার বা ১০৫ ফুট—গড়পড়তায় ১৭ জন ইউরোপীয় দুহাত ছড়িয়ে স্বচ্ছন্দে পাশাপাশি দাঁড়াতে পারে। ১৮টি স্টিলের ডেকের মোট ওজন ৩৬ হাজার টন, অর্থাৎ ৫ হাজার ১০০টি আফ্রিকান পূর্ণবয়স্ক হাতির ওজনের সমান!
দক্ষিণ ফ্রান্সের তার্ন নদী আর বিস্তীর্ণ উপত্যকা নিচে রেখে, অনেকটা মেঘের রাজ্যে আধুনিক প্রযুক্তির উপহার এমন স্থাপনা নির্মাণে ব্রিটিশ এবং ফরাসি প্রযুক্তিবিদদের বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। ২০০১ সালের ডিসেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং শেষ হয় ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে। তিন বছরের রেকর্ড সময়ে নির্মাণকাজ শেষ হলেও, শুধু প্রস্তুতির জন্য সময় লেগেছিল ১৪ বছর। আর এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ৪০ কোটি ইউরো। নির্মাণকারীরা ১২০ বছর পর্যন্ত সেতুটির স্থায়িত্বের নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
সেতুটি নির্মিত হওয়ার আগে, গাড়িতে প্যারিস থেকে লিওঁ হয়ে স্পেনে যেতে হতো। এতে প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হতো; বিশেষ করে গরমের ছুটিতে তা মাত্রা ছাড়াত। এই সেতু ভ্রমণকারীদের অসহনীয় এবং সময়ক্ষেপণকারী যানজটের কষ্ট লাঘব করেছে। উপরন্তু ৭৪ কিলোমিটার বা ৪৬ মাইল পথ কমিয়ে দিয়েছে। এখন সময়ের সঙ্গে অর্থও সাশ্রয় হচ্ছে। প্রায় আড়াই কিলোমিটার লম্বা সেতুতে টোল দিতে হবে ৯ দশমিক ৫০ ইউরো।
শতাব্দীর বিশাল কর্মযজ্ঞ দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরতে, সেতুর অদূরে স্থাপন করা হয়েছে সুন্দর ছোট্ট একটি জাদুঘর, যেটি বিনা প্রবেশমূল্যে সবার জন্য উন্মুক্ত। কৌতূহলী পর্যটকদের ফরাসি, স্প্যানিশ ও ইংরেজি— তিনটি ভাষায় বর্ণনা করা হয় সেতুটির
চমকপ্রদ সব তথ্য এবং নির্মাণ ইতিহাস। জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে নির্মাণকালের বহু ছবি। বুটিকে পাওয়া যাবে চমৎকার সব স্মারক। খাবারের জন্য আছে রেস্তোরাঁ।
স্থানীয় ব্যক্তিরা শর্ত দিয়েছিল, পাহাড়, নদীঘেরা উপত্যকার ঢালে, মহিমাময় নৈসর্গিকতায় দৃষ্টিকটু কোনো স্থাপনা করা চলবে না। সেতুটির নির্মাণশৈলী দৃষ্টিনন্দন হতে হবে। ফরাসি প্রকৌশলী মিশেল ভিরলোজেক্সের কনসেপ্টের ওপর ভিত্তি করে সে শর্ত একান্ত নিষ্ঠায় পূরণ করেছিলেন ইংরেজ নকশাবিদ, স্থপতি লর্ড নর্মান ফস্টার।
ফ্রান্সের এদিকটায় বেড়াতে এলে, গাড়িতে বসেই মেঘের রাজ্যে ভ্রমণের স্বাদ উপভোগের এমন সুবর্ণ সুযোগ হারানো উচিত হবে না কারও।
দক্ষিণ ফ্রান্সের তুলুজ থেকে ২১০ কিলোমিটার বা ১৩০ মাইল দূরে অ্যাভেরোঁতে মানুষের হাতে গড়া এক বিস্ময়কর স্থাপনা আছে। তার নাম মিঁও দ্য ভিয়াডুক—বিশ্বের উঁচু সেতুগুলোর অন্যতম, প্রায় আকাশছোঁয়া। উচ্চতায় ৩৪৩ মিটার বা ১ হাজার ১২৫ ফুট। আইফেল টাওয়ারকে ছাড়িয়ে ১৩ মিটার বেশি উঁচু এটি। লম্বায় ২ হাজার ৪৬০ মিটার বা ৮ হাজার ৭১ ফুট। প্রস্থ ৩২ মিটার বা ১০৫ ফুট—গড়পড়তায় ১৭ জন ইউরোপীয় দুহাত ছড়িয়ে স্বচ্ছন্দে পাশাপাশি দাঁড়াতে পারে। ১৮টি স্টিলের ডেকের মোট ওজন ৩৬ হাজার টন, অর্থাৎ ৫ হাজার ১০০টি আফ্রিকান পূর্ণবয়স্ক হাতির ওজনের সমান!
দক্ষিণ ফ্রান্সের তার্ন নদী আর বিস্তীর্ণ উপত্যকা নিচে রেখে, অনেকটা মেঘের রাজ্যে আধুনিক প্রযুক্তির উপহার এমন স্থাপনা নির্মাণে ব্রিটিশ এবং ফরাসি প্রযুক্তিবিদদের বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। ২০০১ সালের ডিসেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং শেষ হয় ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে। তিন বছরের রেকর্ড সময়ে নির্মাণকাজ শেষ হলেও, শুধু প্রস্তুতির জন্য সময় লেগেছিল ১৪ বছর। আর এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ৪০ কোটি ইউরো। নির্মাণকারীরা ১২০ বছর পর্যন্ত সেতুটির স্থায়িত্বের নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
সেতুটি নির্মিত হওয়ার আগে, গাড়িতে প্যারিস থেকে লিওঁ হয়ে স্পেনে যেতে হতো। এতে প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হতো; বিশেষ করে গরমের ছুটিতে তা মাত্রা ছাড়াত। এই সেতু ভ্রমণকারীদের অসহনীয় এবং সময়ক্ষেপণকারী যানজটের কষ্ট লাঘব করেছে। উপরন্তু ৭৪ কিলোমিটার বা ৪৬ মাইল পথ কমিয়ে দিয়েছে। এখন সময়ের সঙ্গে অর্থও সাশ্রয় হচ্ছে। প্রায় আড়াই কিলোমিটার লম্বা সেতুতে টোল দিতে হবে ৯ দশমিক ৫০ ইউরো।
শতাব্দীর বিশাল কর্মযজ্ঞ দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরতে, সেতুর অদূরে স্থাপন করা হয়েছে সুন্দর ছোট্ট একটি জাদুঘর, যেটি বিনা প্রবেশমূল্যে সবার জন্য উন্মুক্ত। কৌতূহলী পর্যটকদের ফরাসি, স্প্যানিশ ও ইংরেজি— তিনটি ভাষায় বর্ণনা করা হয় সেতুটির
চমকপ্রদ সব তথ্য এবং নির্মাণ ইতিহাস। জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে নির্মাণকালের বহু ছবি। বুটিকে পাওয়া যাবে চমৎকার সব স্মারক। খাবারের জন্য আছে রেস্তোরাঁ।
স্থানীয় ব্যক্তিরা শর্ত দিয়েছিল, পাহাড়, নদীঘেরা উপত্যকার ঢালে, মহিমাময় নৈসর্গিকতায় দৃষ্টিকটু কোনো স্থাপনা করা চলবে না। সেতুটির নির্মাণশৈলী দৃষ্টিনন্দন হতে হবে। ফরাসি প্রকৌশলী মিশেল ভিরলোজেক্সের কনসেপ্টের ওপর ভিত্তি করে সে শর্ত একান্ত নিষ্ঠায় পূরণ করেছিলেন ইংরেজ নকশাবিদ, স্থপতি লর্ড নর্মান ফস্টার।
ফ্রান্সের এদিকটায় বেড়াতে এলে, গাড়িতে বসেই মেঘের রাজ্যে ভ্রমণের স্বাদ উপভোগের এমন সুবর্ণ সুযোগ হারানো উচিত হবে না কারও।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
২ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
২ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
২ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
২ দিন আগে