মোহাম্মদ আরাফাত হোসেন
হিজলবনে আঁকাবাঁকা পথে এগিয়ে যাওয়া অগভীর জলধারা ঠিক যেন জলরঙে আঁকা ছবি। এখানে বোটের ছাদে বসে রাতের আকাশ দেখা কিংবা বৃষ্টিতে ভেজা অথবা শেষ বিকেলের গোধূলি উপভোগ করা যায় অনায়াসে। বলছি টাঙ্গুয়ার হাওরের কথা। ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে বিস্তৃত এই হাওর সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলায়।
বছরের অন্যান্য সময় পানি কম থাকলেও বর্ষা আর শরতে কানায় কানায় পূর্ণ থাকে টাঙ্গুয়াসহ এর আশপাশের হাওরগুলো। এর পাশেই আছে ভারতের মেঘালয় রাজ্য। হাওরে আছে প্রায় ১৪০ প্রজাতির মিঠাপানির মাছ। শীতে এখানে বিদেশি পাখি আসে প্রায় ২০০ প্রজাতির। এসব কারণে অনেক বছর ধরে এই এলাকা ভ্রমণপিয়াসিদের পছন্দের জায়গা। আর নবীন উদ্যোক্তারা হাওরকে করে তুলেছেন উপভোগ্য এবং নিরাপদ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে সীমিতভাবে হাউসবোটে ভ্রমণের আয়োজন আছে এখানে। আছে রাত যাপনসহ খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা। ঘুরতে গেলে খাওয়া যায় হাওরের তাজা মাছ।
আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন বিভিন্ন হাউসবোট আছে টাঙ্গুয়ায়। প্রতিটি বোটে আছে অতিথিদের থাকার পৃথক কেবিন, উন্নত মানের ওয়াশরুম, খাওয়া এবং আড্ডা দেওয়ার লবি। এ ছাড়া বোটের ছাদে থাকছে বসার ব্যবস্থা। প্রতিটি বোটেই নিরাপত্তা গিয়ার হিসেবে আছে পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট। সাঁতার না জানলেও লাইফ জ্যাকেট পরে সাবলীলভাবে হাওরের নীল জলরাশির বুকে ভেসে থাকা যায়। বোটগুলো যেসব এলাকায় রাতে অবস্থান করে, সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকেন। কোনো ধরনের শব্দ বা পরিবেশদূষণ যাতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে নিয়মিতভাবে ম্যাজিস্ট্রেট টহল দেন।
ভ্রমণ পরিকল্পনা
বাসে ভ্রমণের পরিকল্পনা, রাত ১১টায় ঢাকা থেকে নন-এসি ও এসি বাসে সুনামগঞ্জের উদ্দেশে যাত্রা। পরদিন সকালে সুনামগঞ্জ পৌঁছে হাউসবোট ভ্রমণ শুরু। তাহিরপুর থেকে নৌকায় উঠতে চাইলে মল্লিকপুর ব্রিজ থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা লেগুনা নিয়ে তাহিরপুর যেতে হবে। লাক্সারি হাউসবোটে থাকবে দুই দিন থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা। প্রথম দিন ঘুরতে পারবেন ওয়াচ টাওয়ার ও নীলাদ্রি লেক। রাতে বোট থাকবে নীলাদ্রি লেকের পাশে টেকেরঘাটে।
দ্বিতীয় দিন সকালে ঘুরে দেখা যাবে জাদুকাটা নদী, বারিক্কাটিলা আর শিমুলবাগান। সেখানে পানিতে দাপাদাপি করে দুপুরের খাবার খেয়ে সন্ধ্যায় ফিরে আসতে পারবেন সুনামগঞ্জ। তারপর রাতের বাস ধরে ভোরের মধ্যে পৌঁছে যাবেন ঢাকায়।
কীভাবে যাবেন
ঢাকার ফকিরাপুল, সায়েদাবাদ এবং মহাখালী থেকে সুনামগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায় বেশ কিছু এসি ও নন-এসি বাস। বাসে ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জে পৌঁছাতে প্রায় ৬ ঘণ্টা লাগে। রাত ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বাস পাওয়া যায়। এসি ও নন-এসিভেদে টিকিট ৬০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা।
রেলপথ
ঢাকা থেকে সরাসরি সুনামগঞ্জের সঙ্গে রেলযোগাযোগ নেই। রেলপথে ঢাকা থেকে সিলেট পৌঁছে সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা বাসে করে সুনামগঞ্জে যেতে হবে। সিলেট থেকে সুনামগঞ্জ যেতে সময় লাগবে প্রায় ৭ ঘণ্টা। উপবন এক্সপ্রেসে সিলেট যাওয়া যায়। এটি প্রতি সপ্তাহে বুধবার বন্ধ থাকে।
টিকিটের দাম: শোভন ২৬৫, শোভন চেয়ার ৩২০, ফার্স্ট সিট ৪২৫, ফার্স্ট বার্থ ৬৯০ এবং এসি বার্থ ১ হাজার ১৪৯ টাকা।
এ ছাড়া আকাশ পথে সিলেট গিয়ে সেখান থেকে বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা ভাড়ার কারে সুনামগঞ্জ যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে সিলেট ফ্লাইটের টিকিটের দাম ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা।
হাউসবোট ভাড়া করবেন যেভাবে
বেশির ভাগ হাউসবোট বিভিন্ন ধরনের থাকে। আর সংখ্যায় বেশি হলে পুরো হাউসবোট ভাড়া নেওয়া যায়। এগুলো সুনামগঞ্জ সদর আর তাহিরপুর থেকে ছাড়ে। বেশির ভাগ হাউসবোট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজ আছে। সেখান থেকে আগাম বুকিং করা যায়। ভ্রমণে যাওয়ার দুই বা তিন সপ্তাহ আগে বুক করে ফেলুন পছন্দের হাউসবোট।
প্যাকেজ
কাপল প্যাকেজ প্রতিজন ৭ হাজার ৫০০ থেকে শুরু করে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। বাজেট ফ্রেন্ডলি প্যাকেজ ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। দামটা নির্ভর করবে নৌকার ধরন, সার্ভিস, খাবার এবং নৌকাটি কোথা থেকে ছাড়বে, তার ওপর।
হিজলবনে আঁকাবাঁকা পথে এগিয়ে যাওয়া অগভীর জলধারা ঠিক যেন জলরঙে আঁকা ছবি। এখানে বোটের ছাদে বসে রাতের আকাশ দেখা কিংবা বৃষ্টিতে ভেজা অথবা শেষ বিকেলের গোধূলি উপভোগ করা যায় অনায়াসে। বলছি টাঙ্গুয়ার হাওরের কথা। ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে বিস্তৃত এই হাওর সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলায়।
বছরের অন্যান্য সময় পানি কম থাকলেও বর্ষা আর শরতে কানায় কানায় পূর্ণ থাকে টাঙ্গুয়াসহ এর আশপাশের হাওরগুলো। এর পাশেই আছে ভারতের মেঘালয় রাজ্য। হাওরে আছে প্রায় ১৪০ প্রজাতির মিঠাপানির মাছ। শীতে এখানে বিদেশি পাখি আসে প্রায় ২০০ প্রজাতির। এসব কারণে অনেক বছর ধরে এই এলাকা ভ্রমণপিয়াসিদের পছন্দের জায়গা। আর নবীন উদ্যোক্তারা হাওরকে করে তুলেছেন উপভোগ্য এবং নিরাপদ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে সীমিতভাবে হাউসবোটে ভ্রমণের আয়োজন আছে এখানে। আছে রাত যাপনসহ খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা। ঘুরতে গেলে খাওয়া যায় হাওরের তাজা মাছ।
আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন বিভিন্ন হাউসবোট আছে টাঙ্গুয়ায়। প্রতিটি বোটে আছে অতিথিদের থাকার পৃথক কেবিন, উন্নত মানের ওয়াশরুম, খাওয়া এবং আড্ডা দেওয়ার লবি। এ ছাড়া বোটের ছাদে থাকছে বসার ব্যবস্থা। প্রতিটি বোটেই নিরাপত্তা গিয়ার হিসেবে আছে পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট। সাঁতার না জানলেও লাইফ জ্যাকেট পরে সাবলীলভাবে হাওরের নীল জলরাশির বুকে ভেসে থাকা যায়। বোটগুলো যেসব এলাকায় রাতে অবস্থান করে, সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকেন। কোনো ধরনের শব্দ বা পরিবেশদূষণ যাতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে নিয়মিতভাবে ম্যাজিস্ট্রেট টহল দেন।
ভ্রমণ পরিকল্পনা
বাসে ভ্রমণের পরিকল্পনা, রাত ১১টায় ঢাকা থেকে নন-এসি ও এসি বাসে সুনামগঞ্জের উদ্দেশে যাত্রা। পরদিন সকালে সুনামগঞ্জ পৌঁছে হাউসবোট ভ্রমণ শুরু। তাহিরপুর থেকে নৌকায় উঠতে চাইলে মল্লিকপুর ব্রিজ থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা লেগুনা নিয়ে তাহিরপুর যেতে হবে। লাক্সারি হাউসবোটে থাকবে দুই দিন থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা। প্রথম দিন ঘুরতে পারবেন ওয়াচ টাওয়ার ও নীলাদ্রি লেক। রাতে বোট থাকবে নীলাদ্রি লেকের পাশে টেকেরঘাটে।
দ্বিতীয় দিন সকালে ঘুরে দেখা যাবে জাদুকাটা নদী, বারিক্কাটিলা আর শিমুলবাগান। সেখানে পানিতে দাপাদাপি করে দুপুরের খাবার খেয়ে সন্ধ্যায় ফিরে আসতে পারবেন সুনামগঞ্জ। তারপর রাতের বাস ধরে ভোরের মধ্যে পৌঁছে যাবেন ঢাকায়।
কীভাবে যাবেন
ঢাকার ফকিরাপুল, সায়েদাবাদ এবং মহাখালী থেকে সুনামগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায় বেশ কিছু এসি ও নন-এসি বাস। বাসে ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জে পৌঁছাতে প্রায় ৬ ঘণ্টা লাগে। রাত ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বাস পাওয়া যায়। এসি ও নন-এসিভেদে টিকিট ৬০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা।
রেলপথ
ঢাকা থেকে সরাসরি সুনামগঞ্জের সঙ্গে রেলযোগাযোগ নেই। রেলপথে ঢাকা থেকে সিলেট পৌঁছে সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা বাসে করে সুনামগঞ্জে যেতে হবে। সিলেট থেকে সুনামগঞ্জ যেতে সময় লাগবে প্রায় ৭ ঘণ্টা। উপবন এক্সপ্রেসে সিলেট যাওয়া যায়। এটি প্রতি সপ্তাহে বুধবার বন্ধ থাকে।
টিকিটের দাম: শোভন ২৬৫, শোভন চেয়ার ৩২০, ফার্স্ট সিট ৪২৫, ফার্স্ট বার্থ ৬৯০ এবং এসি বার্থ ১ হাজার ১৪৯ টাকা।
এ ছাড়া আকাশ পথে সিলেট গিয়ে সেখান থেকে বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা ভাড়ার কারে সুনামগঞ্জ যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে সিলেট ফ্লাইটের টিকিটের দাম ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা।
হাউসবোট ভাড়া করবেন যেভাবে
বেশির ভাগ হাউসবোট বিভিন্ন ধরনের থাকে। আর সংখ্যায় বেশি হলে পুরো হাউসবোট ভাড়া নেওয়া যায়। এগুলো সুনামগঞ্জ সদর আর তাহিরপুর থেকে ছাড়ে। বেশির ভাগ হাউসবোট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজ আছে। সেখান থেকে আগাম বুকিং করা যায়। ভ্রমণে যাওয়ার দুই বা তিন সপ্তাহ আগে বুক করে ফেলুন পছন্দের হাউসবোট।
প্যাকেজ
কাপল প্যাকেজ প্রতিজন ৭ হাজার ৫০০ থেকে শুরু করে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। বাজেট ফ্রেন্ডলি প্যাকেজ ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। দামটা নির্ভর করবে নৌকার ধরন, সার্ভিস, খাবার এবং নৌকাটি কোথা থেকে ছাড়বে, তার ওপর।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে