অনলাইন ডেস্ক
কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়, তার হিসাব মেলাতে গিয়ে ছুটির দিনটাই বরবাদ হয়ে যায় অনেকের। সে জন্য কোথায় কী আছে জেনে আগেই পরিকল্পনা করে ঘুরে আসতে সুবিধা হয়। আজ তাই ঢাকার ১০ জাদুঘরের খোঁজ-খবর দেওয়া হলো।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের অবস্থান ঢাকার শাহবাগে। ১৯১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত জাদুঘরটিতে বিভিন্ন বিভাগ ও গ্যালারির মাধ্যমে নানা ধরনের নিদর্শন দেখানো হয় মানুষকে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, নৃতত্ত্ব, চারুকলা, ইতিহাস, প্রকৃতি, আধুনিক ও বিশ্বসভ্যতাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে গ্যালারিগুলোর মাধ্যমে। সাপ্তাহিক বন্ধ বৃহস্পতিবার বাদে যেতে পারবেন বাকি ছয় দিন।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর
ঢাকার ধানমন্ডির পুরোনো ৩২ নম্বর সড়কে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর বা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর অবস্থিত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাড়িটিতে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন দুর্লভ ছবি এবং শেষ দিনগুলোর অনেক স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে। ১৯৯৭ সালে বাড়িটি জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়। বৃহস্পতি থেকে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এটি খোলা থাকে। বুধবার এটি বন্ধ থাকে।
স্বাধীনতা জাদুঘর
স্বাধীনতা জাদুঘরে স্বাভাবিকভাবেই স্থান পেয়েছে দেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাস। অবস্থান ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। জাদুঘরটিতে বিভিন্ন ঐতিহাসিক আলোকচিত্র, যুদ্ধের ঘটনা সংবলিত সংবাদপত্রের প্রতিবেদনও প্রদর্শিত হয়। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিভিন্ন বিদেশি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিলিপি এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিদেশে প্রচারণা সৃষ্টির জন্য তৈরি করা পোস্টার জাদুঘরটিতে পাবেন। স্বাধীনতা জাদুঘরে প্রবেশের আগে টেরাকোটা ম্যুরালে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্লাজা চত্বরে বসানো হয়েছে ১৫০ ফুট উচ্চতার স্বাধীনতা স্তম্ভ।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত এই জাদুঘর আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত নানা উপকরণ স্থান পেয়েছে। বিভিন্ন গ্যালারির মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত সামগ্রী, অস্ত্র, দলিল, চিঠিপত্র, মুক্তিযুদ্ধের নানা স্মারকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রথম তলায় রয়েছে শিখা অম্লান। এর পাশেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য। সাপ্তাহিক বন্ধ রোববার বাদে বাকি ছয় দিন ঘুরে আসতে পারবেন এখান থেকে।
আহসান মঞ্জিল জাদুঘর
আহসান মঞ্জিল ঢাকা শহরের দক্ষিণে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি ঢাকার নবাবদের প্রাসাদ ছিল। ১৮৭২ সালে নওয়াব আবদুল গনি তাঁর ছেলে খাজা আহসানউল্লাহর নামে ‘আহসান মঞ্জিল’ নামকরণ করেন। ১৯৯২ সালে পুনঃসংস্কারের মাধ্যমে জাদুঘরে (আহসান মঞ্জিল জাদুঘর) রূপান্তর করে উন্মুক্ত করা হয় দর্শকদের জন্য। সাপ্তাহিক বন্ধ বৃহস্পতিবার। ছাদের ওপরের গম্বুজ ও বিশাল সিঁড়ি এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এখানে পাবেন নবাব আমলে ব্যবহৃত আলমারি, আয়না, সিন্দুক, কাচ ও চীনামাটির থালাবাসন, তলোয়ার, বর্শা তেলচিত্র ইত্যাদি। সাপ্তাহিক বন্ধের দিন বৃহস্পতিবার।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘর
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘর ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত। ১৯৮৭ সালে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘরের গোড়াপত্তন হয়। ২০১৪ সালে বেগম রোকেয়া সরণিসংলগ্ন তেজগাঁও বিমানবন্দরের রানওয়ের পশ্চিম পাশে সুবিন্যস্ত ও বিস্তৃতভাবে স্থাপন করা হয় এবং জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। খোলা জায়গায় বিভিন্ন সময়ে ব্যবহার করা হেলিকপ্টার ও বিমান দিয়ে জাদুঘরটি সাজানো হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম যাত্রীবাহী বিমান বলাকা। রাশিয়ার তৈরি বিমানটি বাংলাদেশে আসে ১৯৫৮ সালে। আছে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার একটি বোমারু বিমানসহ আরও বেশ কয়েকটি উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টার। প্রতি রোববার বন্ধ থাকে জাদুঘরটি।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর
১৯৬৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ঢাকা পাবলিক লাইব্রেরি ভবনে কাজ শুরু করে। পরে আগারগাঁওয়ে পাঁচ একর জমি বরাদ্দ পাওয়ার পর ১৯৮১ সালে এর নিজস্ব ভবন তৈরি হয়। টেলিস্কোপের সাহায্যে গ্রহ, নক্ষত্র, চন্দ্রগ্রহণ, সূর্যগ্রহণ ও সৌরজগৎ দেখার নিয়মিত কর্মসূচি রয়েছে। সাতটি গ্যালারিতে নানা ধরনের নিদর্শন আছে। এই জাদুঘর বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞান মেলা, বিজ্ঞান প্রতিযোগিতা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসামগ্রী প্রদর্শনের আয়োজন করে। বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকে।
বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ঢাকায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে অবস্থিত। এখানে মুক্তিযুদ্ধের সময় পুলিশ সদস্যদের ব্যবহার করা রাইফেল, বন্দুক, মর্টারশেল, হাতব্যাগ, টুপি, চশমা, মানিব্যাগ, ইউনিফর্ম, ডায়েরি, রেডিও, শার্ট, প্যান্ট, র্যাংক ব্যাজসহ টিউনিক সেট, এমএম রাইফেল, মর্টার, মর্টার শেল, সার্চলাইট, রিভলবার, এলএমজি, মেশিনগানসহ বিভিন্ন স্মারক আছে। বুধবার সাপ্তাহিক বন্ধ।
টাকা জাদুঘর
টাকা জাদুঘর বা মুদ্রা জাদুঘর ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত। প্রাচীন বাংলা থেকে শুরু করে আধুনিক কাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের ধাতব মুদ্রা ও কাগজের নোট সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা আছে এখানে। জাদুঘরে স্থান পেয়েছে মুদ্রা সংরক্ষণের প্রাচীন কাঠের বাক্স ও লোহার সিন্দুক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রাও এখানে পাবেন। ছাপাঙ্কিত রৌপ্য ও সুলতানি আমলের স্বর্ণমুদ্রা টাকা জাদুঘরের বড় আকর্ষণ। সাপ্তাহিক বন্ধের দিন বৃহস্পতিবার।
বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর
ঢাকার বিজয় সরণিতে অবস্থিত এই জাদুঘর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর বিভিন্ন অর্জন ও গৌরবময় ইতিহাসের সাক্ষী। ১০ একর জমির ওপর নির্মিত জাদুঘরটিতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর জন্য আলাদা গ্যালারি আছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহার করা ব্যাজ, পোশাক, অস্ত্র, গোলাবারুদ, কামান, অ্যান্টি এয়ারক্রাফট গান এবং যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করা বিভিন্ন যানবাহন প্রদর্শিত হয়েছে এখানে। জাদুঘরে আছে থ্রিডি সিনেমা হল, লাইব্রেরি, আর্কাইভ, ভাস্কর্য, ঝরনা। সাপ্তাহিক বন্ধ বুধবার।
সূত্র: বাংলাপিডিয়া, সরকারি বিভিন্ন ওয়েবসাইট, উইকিপিডিয়া
কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়, তার হিসাব মেলাতে গিয়ে ছুটির দিনটাই বরবাদ হয়ে যায় অনেকের। সে জন্য কোথায় কী আছে জেনে আগেই পরিকল্পনা করে ঘুরে আসতে সুবিধা হয়। আজ তাই ঢাকার ১০ জাদুঘরের খোঁজ-খবর দেওয়া হলো।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের অবস্থান ঢাকার শাহবাগে। ১৯১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত জাদুঘরটিতে বিভিন্ন বিভাগ ও গ্যালারির মাধ্যমে নানা ধরনের নিদর্শন দেখানো হয় মানুষকে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, নৃতত্ত্ব, চারুকলা, ইতিহাস, প্রকৃতি, আধুনিক ও বিশ্বসভ্যতাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে গ্যালারিগুলোর মাধ্যমে। সাপ্তাহিক বন্ধ বৃহস্পতিবার বাদে যেতে পারবেন বাকি ছয় দিন।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর
ঢাকার ধানমন্ডির পুরোনো ৩২ নম্বর সড়কে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর বা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর অবস্থিত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাড়িটিতে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন দুর্লভ ছবি এবং শেষ দিনগুলোর অনেক স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে। ১৯৯৭ সালে বাড়িটি জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়। বৃহস্পতি থেকে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এটি খোলা থাকে। বুধবার এটি বন্ধ থাকে।
স্বাধীনতা জাদুঘর
স্বাধীনতা জাদুঘরে স্বাভাবিকভাবেই স্থান পেয়েছে দেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাস। অবস্থান ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। জাদুঘরটিতে বিভিন্ন ঐতিহাসিক আলোকচিত্র, যুদ্ধের ঘটনা সংবলিত সংবাদপত্রের প্রতিবেদনও প্রদর্শিত হয়। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিভিন্ন বিদেশি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিলিপি এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিদেশে প্রচারণা সৃষ্টির জন্য তৈরি করা পোস্টার জাদুঘরটিতে পাবেন। স্বাধীনতা জাদুঘরে প্রবেশের আগে টেরাকোটা ম্যুরালে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্লাজা চত্বরে বসানো হয়েছে ১৫০ ফুট উচ্চতার স্বাধীনতা স্তম্ভ।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত এই জাদুঘর আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত নানা উপকরণ স্থান পেয়েছে। বিভিন্ন গ্যালারির মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত সামগ্রী, অস্ত্র, দলিল, চিঠিপত্র, মুক্তিযুদ্ধের নানা স্মারকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রথম তলায় রয়েছে শিখা অম্লান। এর পাশেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য। সাপ্তাহিক বন্ধ রোববার বাদে বাকি ছয় দিন ঘুরে আসতে পারবেন এখান থেকে।
আহসান মঞ্জিল জাদুঘর
আহসান মঞ্জিল ঢাকা শহরের দক্ষিণে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি ঢাকার নবাবদের প্রাসাদ ছিল। ১৮৭২ সালে নওয়াব আবদুল গনি তাঁর ছেলে খাজা আহসানউল্লাহর নামে ‘আহসান মঞ্জিল’ নামকরণ করেন। ১৯৯২ সালে পুনঃসংস্কারের মাধ্যমে জাদুঘরে (আহসান মঞ্জিল জাদুঘর) রূপান্তর করে উন্মুক্ত করা হয় দর্শকদের জন্য। সাপ্তাহিক বন্ধ বৃহস্পতিবার। ছাদের ওপরের গম্বুজ ও বিশাল সিঁড়ি এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এখানে পাবেন নবাব আমলে ব্যবহৃত আলমারি, আয়না, সিন্দুক, কাচ ও চীনামাটির থালাবাসন, তলোয়ার, বর্শা তেলচিত্র ইত্যাদি। সাপ্তাহিক বন্ধের দিন বৃহস্পতিবার।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘর
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘর ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত। ১৯৮৭ সালে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘরের গোড়াপত্তন হয়। ২০১৪ সালে বেগম রোকেয়া সরণিসংলগ্ন তেজগাঁও বিমানবন্দরের রানওয়ের পশ্চিম পাশে সুবিন্যস্ত ও বিস্তৃতভাবে স্থাপন করা হয় এবং জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। খোলা জায়গায় বিভিন্ন সময়ে ব্যবহার করা হেলিকপ্টার ও বিমান দিয়ে জাদুঘরটি সাজানো হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম যাত্রীবাহী বিমান বলাকা। রাশিয়ার তৈরি বিমানটি বাংলাদেশে আসে ১৯৫৮ সালে। আছে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার একটি বোমারু বিমানসহ আরও বেশ কয়েকটি উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টার। প্রতি রোববার বন্ধ থাকে জাদুঘরটি।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর
১৯৬৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ঢাকা পাবলিক লাইব্রেরি ভবনে কাজ শুরু করে। পরে আগারগাঁওয়ে পাঁচ একর জমি বরাদ্দ পাওয়ার পর ১৯৮১ সালে এর নিজস্ব ভবন তৈরি হয়। টেলিস্কোপের সাহায্যে গ্রহ, নক্ষত্র, চন্দ্রগ্রহণ, সূর্যগ্রহণ ও সৌরজগৎ দেখার নিয়মিত কর্মসূচি রয়েছে। সাতটি গ্যালারিতে নানা ধরনের নিদর্শন আছে। এই জাদুঘর বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞান মেলা, বিজ্ঞান প্রতিযোগিতা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসামগ্রী প্রদর্শনের আয়োজন করে। বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকে।
বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ঢাকায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে অবস্থিত। এখানে মুক্তিযুদ্ধের সময় পুলিশ সদস্যদের ব্যবহার করা রাইফেল, বন্দুক, মর্টারশেল, হাতব্যাগ, টুপি, চশমা, মানিব্যাগ, ইউনিফর্ম, ডায়েরি, রেডিও, শার্ট, প্যান্ট, র্যাংক ব্যাজসহ টিউনিক সেট, এমএম রাইফেল, মর্টার, মর্টার শেল, সার্চলাইট, রিভলবার, এলএমজি, মেশিনগানসহ বিভিন্ন স্মারক আছে। বুধবার সাপ্তাহিক বন্ধ।
টাকা জাদুঘর
টাকা জাদুঘর বা মুদ্রা জাদুঘর ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত। প্রাচীন বাংলা থেকে শুরু করে আধুনিক কাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের ধাতব মুদ্রা ও কাগজের নোট সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা আছে এখানে। জাদুঘরে স্থান পেয়েছে মুদ্রা সংরক্ষণের প্রাচীন কাঠের বাক্স ও লোহার সিন্দুক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রাও এখানে পাবেন। ছাপাঙ্কিত রৌপ্য ও সুলতানি আমলের স্বর্ণমুদ্রা টাকা জাদুঘরের বড় আকর্ষণ। সাপ্তাহিক বন্ধের দিন বৃহস্পতিবার।
বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর
ঢাকার বিজয় সরণিতে অবস্থিত এই জাদুঘর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর বিভিন্ন অর্জন ও গৌরবময় ইতিহাসের সাক্ষী। ১০ একর জমির ওপর নির্মিত জাদুঘরটিতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর জন্য আলাদা গ্যালারি আছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহার করা ব্যাজ, পোশাক, অস্ত্র, গোলাবারুদ, কামান, অ্যান্টি এয়ারক্রাফট গান এবং যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করা বিভিন্ন যানবাহন প্রদর্শিত হয়েছে এখানে। জাদুঘরে আছে থ্রিডি সিনেমা হল, লাইব্রেরি, আর্কাইভ, ভাস্কর্য, ঝরনা। সাপ্তাহিক বন্ধ বুধবার।
সূত্র: বাংলাপিডিয়া, সরকারি বিভিন্ন ওয়েবসাইট, উইকিপিডিয়া
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে