যশোর প্রতিনিধি
যশোর কালেক্টরেট ভবন
প্রায় ২০০ বছরের ইতিহাস ধরে আছে ৩৬০ দরজাবিশিষ্ট যশোর কালেক্টরেট ভবন। লাল রঙের এ ভবন ছিল ব্রিটিশ বাংলার গর্ব। নানা ফুলের গাছ, পুকুর, পানির ফোয়ারা ও ভাস্কর্যে সুসজ্জিত এর চত্বর। এখন এটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। এখানে গড়ে উঠেছে একটি পার্ক। যশোরে আপনার অবস্থানের ওপর নির্ভর করে এখানে হেঁটে বা রিকশায় যাওয়া যাবে।
চাঁচড়া শিবমন্দির
যশোর মণিহার সিনেমা হল থেকে চাঁচড়া শিবমন্দিরে রিকশায় যেতে সময় লাগবে ১৫ মিনিট। যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে চাঁচড়া ইউনিয়নে এ মন্দির অবস্থিত। মন্দিরটি আনুমানিক ৩২৭ বছরের পুরোনো। ১৬৯৬ সালে এটি রাজা মনোহর রায় নির্মাণ করেছিলেন।
গদখালী ফুলের বাজার
গদখালীকে ফুলের রাজধানী বলা হয়। ধারণা করা হয়, দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ ফুলের চাহিদা মেটায় গদখালী। যশোর জেলার ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলার প্রায় ৯০টি গ্রামে আনুমানিক ৪ হাজার বিঘা জমিতে ফুলের চাষ করা হয়। বেনাপোল রোড দিয়ে গেলে রাস্তার দুপাশে দেখা মিলবে দিগন্তবিস্তৃত ফুলের খেত। এখানে বেশি উৎপন্ন হয় রজনীগন্ধা, গোলাপ, গাঁদা ও গ্লাডিওলাস। সারা বছর ফুল চাষ হলেও এখানে যাওয়ার উপযুক্ত সময় শীতকাল। যশোর শহর থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরে গদখালী বাজার যেতে বাসভাড়া পড়বে ৩০ টাকা।
মধুপল্লি
যশোর সদর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে মধুপল্লি। মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি, জাদুঘর, লাইব্রেরি, সাগরদাঁড়ি পর্যটনকেন্দ্র—এসব মিলিয়ে মধুপল্লি। মধুসূদন দত্তের বাড়িসংলগ্ন বিখ্যাত কপোতাক্ষ নদ। বাড়িটি এখন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সম্পদ। মধুসূদন দত্তের জন্মবার্ষিকীতে এখানে মধুমেলা হয়। এটি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। প্রতি সপ্তাহে রোববার এবং অন্যান্য সরকারি ছুটির দিন বন্ধ থাকে। প্রবেশমূল্য ১০ টাকা। তবে বিদেশিদের জন্য ১০০ টাকা। যশোর সদর থেকে বাসযোগে কেশবপুরে নেমে রিকশায় যেতে হবে সাগরদাঁড়ি গ্রামে। ভাড়া ৫০ টাকা। আর অটোরিকশা ভাড়া জনপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা।
ভরত ভায়না দেউল
কেশবপুর উপজেলার ভদ্রা নদীর তীরে ভরত ভায়না গ্রামে এ দেউল। খ্রিষ্টীয় দ্বিতীয় শতকে নির্মিত গুপ্তযুগের নিদর্শন বলে মনে করা হয় একে। ১৯৮৪ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত খননকাজ হয় এখানে। প্রায় ৯৪টি কক্ষ, একটি মঞ্চ এবং কয়েকটি মন্দিরের দেখা মিলেছে ভরত ভায়নায়। পাওয়া গেছে পোড়ামাটির ফলকে নারীর মুখমণ্ডল এবং নকশা করা টেরাকোটা।
বেনাপোল স্থলবন্দর
বাংলাদেশ-ভারত স্থল বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র এটি। বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের অংশটির নাম পেট্রাপোল। লোকজন এখানে সাধারণত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত প্যারেড দেখতে যায়। এতে বিজিবি ও বিএসএফ অংশ নেয়। যশোর সদর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে শার্শা উপজেলায় বেনাপোল স্থলবন্দর অবস্থিত। বাসে যেতে ভাড়া লাগে ৮০ টাকা।
ঢাকা থেকে যশোর যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সড়ক, রেল এবং আকাশপথে যশোর যাওয়া যায়। ঢাকার গাবতলী, কল্যাণপুর, কলাবাগান, মালিবাগ, সায়েদাবাদসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে বাস চলাচল করে যশোর পর্যন্ত। ট্রেনে যেতে চাইলে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে চাপতে হবে। বাংলাদেশ বিমান, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস ও নভোএয়ার নিয়মিত ঢাকা-যশোর রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে।
যেখানে থাকবেন
যশোরে থাকার জন্য বেশ কিছু হোটেল ও রেস্টহাউস আছে।
যা খাবেন
খেজুরের গুড়ের প্যাড়া সন্দেশ ও ভেজা পিঠা খেতে ভুলবেন না। এ ছাড়া হাতে সময় থাকলে খেতে পারেন জামতলার মিষ্টি, ধর্মতলার চা এবং চুকনগরের বিখ্যাত চুই ঝালে রান্না মাংস।
যশোর কালেক্টরেট ভবন
প্রায় ২০০ বছরের ইতিহাস ধরে আছে ৩৬০ দরজাবিশিষ্ট যশোর কালেক্টরেট ভবন। লাল রঙের এ ভবন ছিল ব্রিটিশ বাংলার গর্ব। নানা ফুলের গাছ, পুকুর, পানির ফোয়ারা ও ভাস্কর্যে সুসজ্জিত এর চত্বর। এখন এটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। এখানে গড়ে উঠেছে একটি পার্ক। যশোরে আপনার অবস্থানের ওপর নির্ভর করে এখানে হেঁটে বা রিকশায় যাওয়া যাবে।
চাঁচড়া শিবমন্দির
যশোর মণিহার সিনেমা হল থেকে চাঁচড়া শিবমন্দিরে রিকশায় যেতে সময় লাগবে ১৫ মিনিট। যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে চাঁচড়া ইউনিয়নে এ মন্দির অবস্থিত। মন্দিরটি আনুমানিক ৩২৭ বছরের পুরোনো। ১৬৯৬ সালে এটি রাজা মনোহর রায় নির্মাণ করেছিলেন।
গদখালী ফুলের বাজার
গদখালীকে ফুলের রাজধানী বলা হয়। ধারণা করা হয়, দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ ফুলের চাহিদা মেটায় গদখালী। যশোর জেলার ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলার প্রায় ৯০টি গ্রামে আনুমানিক ৪ হাজার বিঘা জমিতে ফুলের চাষ করা হয়। বেনাপোল রোড দিয়ে গেলে রাস্তার দুপাশে দেখা মিলবে দিগন্তবিস্তৃত ফুলের খেত। এখানে বেশি উৎপন্ন হয় রজনীগন্ধা, গোলাপ, গাঁদা ও গ্লাডিওলাস। সারা বছর ফুল চাষ হলেও এখানে যাওয়ার উপযুক্ত সময় শীতকাল। যশোর শহর থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরে গদখালী বাজার যেতে বাসভাড়া পড়বে ৩০ টাকা।
মধুপল্লি
যশোর সদর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে মধুপল্লি। মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি, জাদুঘর, লাইব্রেরি, সাগরদাঁড়ি পর্যটনকেন্দ্র—এসব মিলিয়ে মধুপল্লি। মধুসূদন দত্তের বাড়িসংলগ্ন বিখ্যাত কপোতাক্ষ নদ। বাড়িটি এখন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সম্পদ। মধুসূদন দত্তের জন্মবার্ষিকীতে এখানে মধুমেলা হয়। এটি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। প্রতি সপ্তাহে রোববার এবং অন্যান্য সরকারি ছুটির দিন বন্ধ থাকে। প্রবেশমূল্য ১০ টাকা। তবে বিদেশিদের জন্য ১০০ টাকা। যশোর সদর থেকে বাসযোগে কেশবপুরে নেমে রিকশায় যেতে হবে সাগরদাঁড়ি গ্রামে। ভাড়া ৫০ টাকা। আর অটোরিকশা ভাড়া জনপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা।
ভরত ভায়না দেউল
কেশবপুর উপজেলার ভদ্রা নদীর তীরে ভরত ভায়না গ্রামে এ দেউল। খ্রিষ্টীয় দ্বিতীয় শতকে নির্মিত গুপ্তযুগের নিদর্শন বলে মনে করা হয় একে। ১৯৮৪ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত খননকাজ হয় এখানে। প্রায় ৯৪টি কক্ষ, একটি মঞ্চ এবং কয়েকটি মন্দিরের দেখা মিলেছে ভরত ভায়নায়। পাওয়া গেছে পোড়ামাটির ফলকে নারীর মুখমণ্ডল এবং নকশা করা টেরাকোটা।
বেনাপোল স্থলবন্দর
বাংলাদেশ-ভারত স্থল বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র এটি। বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের অংশটির নাম পেট্রাপোল। লোকজন এখানে সাধারণত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত প্যারেড দেখতে যায়। এতে বিজিবি ও বিএসএফ অংশ নেয়। যশোর সদর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে শার্শা উপজেলায় বেনাপোল স্থলবন্দর অবস্থিত। বাসে যেতে ভাড়া লাগে ৮০ টাকা।
ঢাকা থেকে যশোর যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সড়ক, রেল এবং আকাশপথে যশোর যাওয়া যায়। ঢাকার গাবতলী, কল্যাণপুর, কলাবাগান, মালিবাগ, সায়েদাবাদসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে বাস চলাচল করে যশোর পর্যন্ত। ট্রেনে যেতে চাইলে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে চাপতে হবে। বাংলাদেশ বিমান, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস ও নভোএয়ার নিয়মিত ঢাকা-যশোর রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে।
যেখানে থাকবেন
যশোরে থাকার জন্য বেশ কিছু হোটেল ও রেস্টহাউস আছে।
যা খাবেন
খেজুরের গুড়ের প্যাড়া সন্দেশ ও ভেজা পিঠা খেতে ভুলবেন না। এ ছাড়া হাতে সময় থাকলে খেতে পারেন জামতলার মিষ্টি, ধর্মতলার চা এবং চুকনগরের বিখ্যাত চুই ঝালে রান্না মাংস।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে