অনলাইন ডেস্ক
অনেকের কাছেই গোধূলি বেলায় স্নিগ্ধতার পরশ পাওয়ার শ্রেষ্ঠ জায়গা সমুদ্র সৈকত। কারও কাছে সৈকত মানেই রোদ চশমা পরে সূর্যস্নান করা, সঙ্গে কোমল পানীয়। কেউবা পছন্দ করেন বন্ধুদের নিয়ে সৈকতে ফুটবল খেলতে। যে যেটাই করুক না কেন, সমুদ্র সৈকত দীর্ঘ হলে সেই উল্লাস-উদ্যাপনে যোগ হয় আলাদা মাত্রা।
দেশের অনেকেরই ধারণা বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত। উইকিপিডিয়া বাংলাতে এখনো সেই তথ্যই দেওয়া রয়েছে। তবে সেই ধারণা কতটুকু সত্য? সম্প্রতি শিক্ষাবিষয়ক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘র্যাঙ্কিং রয়্যালস’ পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের একটি তালিকা করেছে। সেই তালিকা থেকেই জেনে নিন কক্সবাজারের প্রকৃত অবস্থান কোথায়:
১. প্রাইয়া দো ক্যাসিনো সৈকত, ব্রাজিল
গিনেস বুক অব রেকর্ডস অনুসারে প্রাইয়া দো ক্যাসিনো সমুদ্র সৈকত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। ব্রাজিলের রিও গ্র্যান্ডে থেকে উরুগুয়ের সীমান্ত পর্যন্ত ১৫৭ মাইল বিস্তৃত এই সৈকতটি বিশ্বের দীর্ঘতম নিরবচ্ছিন্ন সৈকত হিসাবে পরিচিত। সবুজ জল তরঙ্গের সঙ্গে সাদা বালির মিশ্রণ এই সৈকতের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ।
এই দীর্ঘ সৈকতে কিছু বিচ্ছিন্ন দ্বীপ রয়েছে, ব্রাজিলের বড় বড় শহরের কোলাহল থেকে একটু স্বস্তির জন্য অসংখ্য মানুষ ছুটে আসেন এখানে। প্রাইয়া দো ক্যাসিনোতে গরমের সময় যেতে চাইলে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে যেতে হবে, এ সময় আবহাওয়া সবচেয়ে উষ্ণ এবং রৌদ্রোজ্জ্বল থাকে এই সৈকতে।
দক্ষিণে ব্রাজিলের প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর রিও গ্র্যান্ডে মাত্র ১৫ মাইল দূরে প্রাইয়া দো ক্যাসিনো অবস্থিত। ১৫২ মাইল দীর্ঘ এই সৈকতে প্রতি বছর প্রায় দেড় লাখ লোক বিনোদন জন্য আসে।
২. পাদ্রে আইল্যান্ড ন্যাশনাল সিশোর, যুক্তরাষ্ট্র
পাদ্রে দ্বীপ সমুদ্র সৈকত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। সৈকতটি টেক্সাসের উপকূলের ছোট্ট পাদ্রে দ্বীপে অবস্থিত। এটি কর্পাস ক্রিস্টির সমুদ্র সৈকত জেলা থেকে ব্রাজোস সান্তিয়াগো পাস পর্যন্ত প্রায় মেক্সিকান সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত।
এই সমুদ্র সৈকত ১৮২ কিলোমিটার বা ১১৩ মাইল দৈর্ঘ্যের। চমৎকার বালুকাময় সৈকত থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে এই সৈকতের। সেই সঙ্গে বায়ু, জল, চমৎকার স্থানীয় রেস্তোরাঁ এবং বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে।
৩. নাইনটি মাইল সমুদ্র সৈকত, অস্ট্রেলিয়া
নাইনটি বা নব্বই মাইল সমুদ্র সৈকত অস্ট্রেলিয়ার পোর্ট অ্যালবার্টের ছোট খাঁড়ি এবং লেকস এন্ট্রান্সের মাঝে ৯০ মাইল পর্যন্ত প্রসারিত। এটি গিপসল্যান্ড হ্রদকে ব্যাস স্ট্রেইট থেকে পৃথক করেছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে আদিম এবং দূষণমুক্ত সৈকত। এখানে মাছ ধরা, সাঁতার কাটা, ট্রেকিং, সূর্যস্নানসহ তিমি এবং ডলফিন দেখা জন্য উপযুক্ত।
৪. কক্সবাজার, বাংলাদেশ
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের মধ্যে বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের অবস্থান চতুর্থ। সৈকতটি এশিয়ার এবং ভারত মহাসাগরের মধ্যে দীর্ঘতম। তবে বিশ্বের দীর্ঘতম ‘প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত’ হলো কক্সবাজার।
সৈকতটিকে বাংলাদেশের শহর কক্সবাজারের নামে ডাকা হয়। উত্তরে থেকে দক্ষিণের কোলাতলী পর্যন্ত ৭৫ মাইল বিস্তৃত এই সমুদ্র সৈকত। এই সৈকত দক্ষিণে হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানের ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত গেছে, তবে রেজু খাল দ্বারা মাঝখানে বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
উচ্চ জোয়ারের সময় এ সৈকত ৬৬০ ফুট এবং ভাটার সময় ১ হাজার ৩০০ ফুট চওড়া হয়। তবে বঙ্গোপসাগরের এই সৈকতটি বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলনামূলকভাবে অচেনা। এটি বাংলাদেশিদের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্থান।
৫. গ্র্যান্ড স্ট্র্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
লিটল রিভার থেকে উইনিয়াহ বে পর্যন্ত দক্ষিণ ক্যারোলিনা উপকূল বরাবর ৯৭ কিলোমিটার (৬০ মাইল) পর্যন্ত বিস্তৃত এ সৈকত। এটি সুন্দর সোনালি বালু ও মার্টল বিচের সমধিক পরিচিত। মার্টল বিচ এই এলাকার একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
যা হোক, গ্র্যান্ড স্ট্র্যান্ড অসংখ্য গলফ কোর্স, বিনোদন, বিনোদন পার্ক এবং রিসোর্টের জন্য এটি বিখ্যাত। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত পর্যটন স্পটগুলোর মধ্যে একটি।
৬. নাইনটি মাইল সৈকত, নিউজিল্যান্ড
কেপ মারিয়া ভ্যান ডাইমেনের পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণে আহিপাড়া থেকে স্কট পয়েন্ট পর্যন্ত এই সমুদ্র সৈকতের অবস্থান। নামে নব্বই-মাইল হলেও বাস্তবে এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৮৮ কিলোমিটার।
এই সৈকতকে একটি হাইওয়ে হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। তবে এখানে ৪-ডব্লিউডি যানবাহন নির্দিষ্ট সময় চালানো নিরাপদ। নিরাপত্তাসহ কিছু কারণে ভাড়ার গাড়ি এই সৈকতে চালাতে দেওয়া হয় না।
৭. প্লেয়া নোভিলেরো, মেক্সিকো
বিশ্বের সপ্তম-দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত হলো প্লেয়া নোভিলিরো (নোভিলিরো বিচ)। সমুদ্র সৈকতটি ৮২ কিলোমিটারের (৫১ মাইল) বেশি বিস্তৃত। একই সঙ্গে, উত্তর আমেরিকার পশ্চিম উপকূলের দীর্ঘতম সৈকত। তীকাপান মোহনা থেকে সৈকতটি নায়ারিতের আগুয়া ব্রাভা লেগুন পর্যন্ত গেছে। এটি মেক্সিকান রাজ্য সিনালোয়া এবং নায়ারিতের মধ্যে সীমানা নির্ধারণকারীও বটে।
এই সৈকতের কিছু এলাকায় ৩২৮ ফুট বা প্রায় ১০০ মিটার পর্যন্ত পর্যটকদের প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে যেতে দেয়। মেক্সিকোর প্লেয়া নোভিলেরো শুধু বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতগুলোর একটি নয়, এখানে আপনি ৫০০ মিটারেরও বেশি সোজাসুজি হাঁটতে পারবেন।
৮. ইবেনো সৈকত, নাইজেরিয়া
ইবেনো সমুদ্র সৈকত ৩৪ কিলোমিটার এবং ২১ মাইল প্রসারিত। এটি বর্তমানে আফ্রিকার দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে পরিণত হয়েছে। সৈকতটি দক্ষিণ-পূর্বে নাইজেরিয়ার রাজ্য আকওয়া ইবোমে অবস্থিত। এটি পশ্চিমে কোয়া ইবোর বসতি থেকে আকওয়া ইবোমের পূর্ব কোণ পর্যন্ত বিস্তৃত।
৯. ভার্জিনিয়া বিচ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া সমুদ্র সৈকত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের ফলাফল অনুসারে, অসংখ্য পর্যটক আকর্ষণের কারণে এটি বিশ্বের দীর্ঘতম আনন্দ সৈকত। এখানে রিসোর্ট শহর আবির্ভূত হওয়ার কারণে।
১০. লং বিচ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ক্যালিফোর্নিয়ার ২৮ মাইল দীর্ঘ লং বিচ বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতগুলোর একটি। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন উপদ্বীপ সমুদ্র সৈকত হিসাবেও জনপ্রিয়। এর প্রাণবন্ততা, পরিচ্ছন্নতা, তিমি দেখার জন্য পরিচিত। এই সৈকতকে অনেকেই গোপন রত্ন হিসাবে বর্ণনা করে থাকেন।
অনেকের কাছেই গোধূলি বেলায় স্নিগ্ধতার পরশ পাওয়ার শ্রেষ্ঠ জায়গা সমুদ্র সৈকত। কারও কাছে সৈকত মানেই রোদ চশমা পরে সূর্যস্নান করা, সঙ্গে কোমল পানীয়। কেউবা পছন্দ করেন বন্ধুদের নিয়ে সৈকতে ফুটবল খেলতে। যে যেটাই করুক না কেন, সমুদ্র সৈকত দীর্ঘ হলে সেই উল্লাস-উদ্যাপনে যোগ হয় আলাদা মাত্রা।
দেশের অনেকেরই ধারণা বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত। উইকিপিডিয়া বাংলাতে এখনো সেই তথ্যই দেওয়া রয়েছে। তবে সেই ধারণা কতটুকু সত্য? সম্প্রতি শিক্ষাবিষয়ক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘র্যাঙ্কিং রয়্যালস’ পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের একটি তালিকা করেছে। সেই তালিকা থেকেই জেনে নিন কক্সবাজারের প্রকৃত অবস্থান কোথায়:
১. প্রাইয়া দো ক্যাসিনো সৈকত, ব্রাজিল
গিনেস বুক অব রেকর্ডস অনুসারে প্রাইয়া দো ক্যাসিনো সমুদ্র সৈকত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। ব্রাজিলের রিও গ্র্যান্ডে থেকে উরুগুয়ের সীমান্ত পর্যন্ত ১৫৭ মাইল বিস্তৃত এই সৈকতটি বিশ্বের দীর্ঘতম নিরবচ্ছিন্ন সৈকত হিসাবে পরিচিত। সবুজ জল তরঙ্গের সঙ্গে সাদা বালির মিশ্রণ এই সৈকতের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ।
এই দীর্ঘ সৈকতে কিছু বিচ্ছিন্ন দ্বীপ রয়েছে, ব্রাজিলের বড় বড় শহরের কোলাহল থেকে একটু স্বস্তির জন্য অসংখ্য মানুষ ছুটে আসেন এখানে। প্রাইয়া দো ক্যাসিনোতে গরমের সময় যেতে চাইলে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে যেতে হবে, এ সময় আবহাওয়া সবচেয়ে উষ্ণ এবং রৌদ্রোজ্জ্বল থাকে এই সৈকতে।
দক্ষিণে ব্রাজিলের প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর রিও গ্র্যান্ডে মাত্র ১৫ মাইল দূরে প্রাইয়া দো ক্যাসিনো অবস্থিত। ১৫২ মাইল দীর্ঘ এই সৈকতে প্রতি বছর প্রায় দেড় লাখ লোক বিনোদন জন্য আসে।
২. পাদ্রে আইল্যান্ড ন্যাশনাল সিশোর, যুক্তরাষ্ট্র
পাদ্রে দ্বীপ সমুদ্র সৈকত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। সৈকতটি টেক্সাসের উপকূলের ছোট্ট পাদ্রে দ্বীপে অবস্থিত। এটি কর্পাস ক্রিস্টির সমুদ্র সৈকত জেলা থেকে ব্রাজোস সান্তিয়াগো পাস পর্যন্ত প্রায় মেক্সিকান সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত।
এই সমুদ্র সৈকত ১৮২ কিলোমিটার বা ১১৩ মাইল দৈর্ঘ্যের। চমৎকার বালুকাময় সৈকত থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে এই সৈকতের। সেই সঙ্গে বায়ু, জল, চমৎকার স্থানীয় রেস্তোরাঁ এবং বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে।
৩. নাইনটি মাইল সমুদ্র সৈকত, অস্ট্রেলিয়া
নাইনটি বা নব্বই মাইল সমুদ্র সৈকত অস্ট্রেলিয়ার পোর্ট অ্যালবার্টের ছোট খাঁড়ি এবং লেকস এন্ট্রান্সের মাঝে ৯০ মাইল পর্যন্ত প্রসারিত। এটি গিপসল্যান্ড হ্রদকে ব্যাস স্ট্রেইট থেকে পৃথক করেছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে আদিম এবং দূষণমুক্ত সৈকত। এখানে মাছ ধরা, সাঁতার কাটা, ট্রেকিং, সূর্যস্নানসহ তিমি এবং ডলফিন দেখা জন্য উপযুক্ত।
৪. কক্সবাজার, বাংলাদেশ
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের মধ্যে বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের অবস্থান চতুর্থ। সৈকতটি এশিয়ার এবং ভারত মহাসাগরের মধ্যে দীর্ঘতম। তবে বিশ্বের দীর্ঘতম ‘প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত’ হলো কক্সবাজার।
সৈকতটিকে বাংলাদেশের শহর কক্সবাজারের নামে ডাকা হয়। উত্তরে থেকে দক্ষিণের কোলাতলী পর্যন্ত ৭৫ মাইল বিস্তৃত এই সমুদ্র সৈকত। এই সৈকত দক্ষিণে হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানের ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত গেছে, তবে রেজু খাল দ্বারা মাঝখানে বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
উচ্চ জোয়ারের সময় এ সৈকত ৬৬০ ফুট এবং ভাটার সময় ১ হাজার ৩০০ ফুট চওড়া হয়। তবে বঙ্গোপসাগরের এই সৈকতটি বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলনামূলকভাবে অচেনা। এটি বাংলাদেশিদের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্থান।
৫. গ্র্যান্ড স্ট্র্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
লিটল রিভার থেকে উইনিয়াহ বে পর্যন্ত দক্ষিণ ক্যারোলিনা উপকূল বরাবর ৯৭ কিলোমিটার (৬০ মাইল) পর্যন্ত বিস্তৃত এ সৈকত। এটি সুন্দর সোনালি বালু ও মার্টল বিচের সমধিক পরিচিত। মার্টল বিচ এই এলাকার একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
যা হোক, গ্র্যান্ড স্ট্র্যান্ড অসংখ্য গলফ কোর্স, বিনোদন, বিনোদন পার্ক এবং রিসোর্টের জন্য এটি বিখ্যাত। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত পর্যটন স্পটগুলোর মধ্যে একটি।
৬. নাইনটি মাইল সৈকত, নিউজিল্যান্ড
কেপ মারিয়া ভ্যান ডাইমেনের পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণে আহিপাড়া থেকে স্কট পয়েন্ট পর্যন্ত এই সমুদ্র সৈকতের অবস্থান। নামে নব্বই-মাইল হলেও বাস্তবে এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৮৮ কিলোমিটার।
এই সৈকতকে একটি হাইওয়ে হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। তবে এখানে ৪-ডব্লিউডি যানবাহন নির্দিষ্ট সময় চালানো নিরাপদ। নিরাপত্তাসহ কিছু কারণে ভাড়ার গাড়ি এই সৈকতে চালাতে দেওয়া হয় না।
৭. প্লেয়া নোভিলেরো, মেক্সিকো
বিশ্বের সপ্তম-দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত হলো প্লেয়া নোভিলিরো (নোভিলিরো বিচ)। সমুদ্র সৈকতটি ৮২ কিলোমিটারের (৫১ মাইল) বেশি বিস্তৃত। একই সঙ্গে, উত্তর আমেরিকার পশ্চিম উপকূলের দীর্ঘতম সৈকত। তীকাপান মোহনা থেকে সৈকতটি নায়ারিতের আগুয়া ব্রাভা লেগুন পর্যন্ত গেছে। এটি মেক্সিকান রাজ্য সিনালোয়া এবং নায়ারিতের মধ্যে সীমানা নির্ধারণকারীও বটে।
এই সৈকতের কিছু এলাকায় ৩২৮ ফুট বা প্রায় ১০০ মিটার পর্যন্ত পর্যটকদের প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে যেতে দেয়। মেক্সিকোর প্লেয়া নোভিলেরো শুধু বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতগুলোর একটি নয়, এখানে আপনি ৫০০ মিটারেরও বেশি সোজাসুজি হাঁটতে পারবেন।
৮. ইবেনো সৈকত, নাইজেরিয়া
ইবেনো সমুদ্র সৈকত ৩৪ কিলোমিটার এবং ২১ মাইল প্রসারিত। এটি বর্তমানে আফ্রিকার দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে পরিণত হয়েছে। সৈকতটি দক্ষিণ-পূর্বে নাইজেরিয়ার রাজ্য আকওয়া ইবোমে অবস্থিত। এটি পশ্চিমে কোয়া ইবোর বসতি থেকে আকওয়া ইবোমের পূর্ব কোণ পর্যন্ত বিস্তৃত।
৯. ভার্জিনিয়া বিচ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া সমুদ্র সৈকত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের ফলাফল অনুসারে, অসংখ্য পর্যটক আকর্ষণের কারণে এটি বিশ্বের দীর্ঘতম আনন্দ সৈকত। এখানে রিসোর্ট শহর আবির্ভূত হওয়ার কারণে।
১০. লং বিচ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ক্যালিফোর্নিয়ার ২৮ মাইল দীর্ঘ লং বিচ বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতগুলোর একটি। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন উপদ্বীপ সমুদ্র সৈকত হিসাবেও জনপ্রিয়। এর প্রাণবন্ততা, পরিচ্ছন্নতা, তিমি দেখার জন্য পরিচিত। এই সৈকতকে অনেকেই গোপন রত্ন হিসাবে বর্ণনা করে থাকেন।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে