মাহিদুল ইসলাম, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার)
পরিপাটি সাজানো ঘর। ঘরের ওপরে গাছ। বাগানের ভেতর বাড়ি নাকি বাড়ির জন্য সাজানো বাগান, তা বোঝা মুশকিল। এই সব বাড়ির সেই সব ঘরে চাইলেই থাকতে পারবেন যে-কেউ। ধর্ম কিংবা বর্ণের কোনো বালাই নেই। এখানে যাঁরাই আসেন, তাঁরাই অতিথি।
বলছি কমলগঞ্জের আদমপুর ইউনিয়নের ভানুবিল মাঝেরগাঁও গ্রামের কথা। এটি মণিপুরি সম্প্রদায়ের গ্রাম। কিন্তু পর্যটকপ্রিয় জায়গা হিসেবে বিখ্যাত কমলগঞ্জের এ গ্রামটি এখন কমিউনিটিভিত্তিক পর্যটনের আদর্শ উদাহরণ আমাদের দেশে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পর্যটনকে অনেকটাই সমৃদ্ধ করেছে মাঝেরগাঁও গ্রাম। প্রায় পাঁচ বছর আগে ক্ষুদ্র পরিসরে এই উদ্যোগের যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে এর বিস্তার কয়েকটি গ্রামজুড়ে।
মেইতৈই মণিপুরি সম্প্রদায়ের নিরঞ্জন সিনহা মণিপুরি নারীদের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে নিজ বাড়িতে ২০১৮ সালে এই উদ্যোগের সূচনা করেন। ধীরে ধীরে গত পাঁচ বছরে কয়েকটি গ্রাম মিলে প্রায় ৮০টি বাড়িতে গড়ে উঠেছে এ পর্যটন উদ্যোগ। প্রথম দিকে পর্যটক খুব একটা না এলেও দুই বছর ধরে প্রচুর দেশি-বিদেশি পর্যটক নিয়মিত আসছেন মাঝেরগাঁওসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে। ঘরোয়া পরিবেশে থেকে মণিপুরি খাবার, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জীবনযাত্রা দেখার সুযোগ আছে এখানে। তা ছাড়া এখানে থেকে ঘুরে বেড়ানো যাবে কমলগঞ্জসহ মৌলভীবাজারের বিভিন্ন পর্যটন গন্তব্যে। পর্যটকদের সুবিধার জন্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন ট্যুর অপারেটরের সঙ্গে কাজ করছে মণিপুরি সম্প্রদায়ের এ পর্যটন উদ্যোগ।
এখানে দুটি ডাবল বেডের রুমের জন্য প্রতি রাত ভাড়া দিতে হবে ২ হাজার টাকা। থাকা যাবে একসঙ্গে চারজন। তিনবেলা খাবার ও সকাল-বিকেলের নাশতার জন্য জনপ্রতি ১ হাজার টাকা ব্যয় হবে। এখানে পরিবেশন করা হয় মণিপুরি খাবার। চাইলে কেনা যাবে মণিপুরি সম্প্রদায়ের তৈরি করা শাড়ি, গামছা, চাদরসহ বিভিন্ন হস্তশিল্পজাত দ্রব্য। এ ছাড়া উপভোগ করা যাবে মণিপুরি সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুরো এলাকার নিরাপত্তায় রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
মাঙাল ময়ুম নামের এখানকার একটি কটেজের স্বত্বাধিকারী পরিমোহন সিং। তিনি জানিয়েছেন, যেকোনো সময় পর্যটকদের বরণ করতে প্রস্তুত তাঁরা। তাঁর বাড়ির একটি কক্ষ পর্যটকদের জন্য রাখা আছে। সেখানে মাত্র ২ হাজার টাকায় চারজন পর্যটকের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। পর্যটকদের দেখাশোনা করেন বাড়ির নারীরা।
মণিপুরি কমিউনিটি বেজড ট্যিরিজমের নেত্রী সুনিতি দেবী। পর্যটকদের পেয়ে তাঁরা যে বেশ খুশি সেটা অকপটে জানালেন তিনি। বললেন, ‘পর্যটকেরা আমাদের এখানে এলে পরিবারের সদস্যদের মতো হয়ে যান।’
পরিপাটি সাজানো ঘর। ঘরের ওপরে গাছ। বাগানের ভেতর বাড়ি নাকি বাড়ির জন্য সাজানো বাগান, তা বোঝা মুশকিল। এই সব বাড়ির সেই সব ঘরে চাইলেই থাকতে পারবেন যে-কেউ। ধর্ম কিংবা বর্ণের কোনো বালাই নেই। এখানে যাঁরাই আসেন, তাঁরাই অতিথি।
বলছি কমলগঞ্জের আদমপুর ইউনিয়নের ভানুবিল মাঝেরগাঁও গ্রামের কথা। এটি মণিপুরি সম্প্রদায়ের গ্রাম। কিন্তু পর্যটকপ্রিয় জায়গা হিসেবে বিখ্যাত কমলগঞ্জের এ গ্রামটি এখন কমিউনিটিভিত্তিক পর্যটনের আদর্শ উদাহরণ আমাদের দেশে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পর্যটনকে অনেকটাই সমৃদ্ধ করেছে মাঝেরগাঁও গ্রাম। প্রায় পাঁচ বছর আগে ক্ষুদ্র পরিসরে এই উদ্যোগের যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে এর বিস্তার কয়েকটি গ্রামজুড়ে।
মেইতৈই মণিপুরি সম্প্রদায়ের নিরঞ্জন সিনহা মণিপুরি নারীদের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে নিজ বাড়িতে ২০১৮ সালে এই উদ্যোগের সূচনা করেন। ধীরে ধীরে গত পাঁচ বছরে কয়েকটি গ্রাম মিলে প্রায় ৮০টি বাড়িতে গড়ে উঠেছে এ পর্যটন উদ্যোগ। প্রথম দিকে পর্যটক খুব একটা না এলেও দুই বছর ধরে প্রচুর দেশি-বিদেশি পর্যটক নিয়মিত আসছেন মাঝেরগাঁওসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে। ঘরোয়া পরিবেশে থেকে মণিপুরি খাবার, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জীবনযাত্রা দেখার সুযোগ আছে এখানে। তা ছাড়া এখানে থেকে ঘুরে বেড়ানো যাবে কমলগঞ্জসহ মৌলভীবাজারের বিভিন্ন পর্যটন গন্তব্যে। পর্যটকদের সুবিধার জন্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন ট্যুর অপারেটরের সঙ্গে কাজ করছে মণিপুরি সম্প্রদায়ের এ পর্যটন উদ্যোগ।
এখানে দুটি ডাবল বেডের রুমের জন্য প্রতি রাত ভাড়া দিতে হবে ২ হাজার টাকা। থাকা যাবে একসঙ্গে চারজন। তিনবেলা খাবার ও সকাল-বিকেলের নাশতার জন্য জনপ্রতি ১ হাজার টাকা ব্যয় হবে। এখানে পরিবেশন করা হয় মণিপুরি খাবার। চাইলে কেনা যাবে মণিপুরি সম্প্রদায়ের তৈরি করা শাড়ি, গামছা, চাদরসহ বিভিন্ন হস্তশিল্পজাত দ্রব্য। এ ছাড়া উপভোগ করা যাবে মণিপুরি সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুরো এলাকার নিরাপত্তায় রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
মাঙাল ময়ুম নামের এখানকার একটি কটেজের স্বত্বাধিকারী পরিমোহন সিং। তিনি জানিয়েছেন, যেকোনো সময় পর্যটকদের বরণ করতে প্রস্তুত তাঁরা। তাঁর বাড়ির একটি কক্ষ পর্যটকদের জন্য রাখা আছে। সেখানে মাত্র ২ হাজার টাকায় চারজন পর্যটকের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। পর্যটকদের দেখাশোনা করেন বাড়ির নারীরা।
মণিপুরি কমিউনিটি বেজড ট্যিরিজমের নেত্রী সুনিতি দেবী। পর্যটকদের পেয়ে তাঁরা যে বেশ খুশি সেটা অকপটে জানালেন তিনি। বললেন, ‘পর্যটকেরা আমাদের এখানে এলে পরিবারের সদস্যদের মতো হয়ে যান।’
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
২ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
২ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
২ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
২ দিন আগে