সজল জাহিদ
বেশি তো দেরি নেই, মাঝখানে একটা মাত্র সপ্তাহ বলা চলে। এরপরই শুরু হবে দুর্গাপূজার উৎসব। এরই মধ্যে সূর্যের রং কিছুটা হলেও বদলে গেছে। বদলে গেছে মেঘ আর হাওয়া। শরৎ শেষই প্রায়। তাই বাতাসে এখন হেমন্তের ঘ্রাণ। মন বলছে, পালাই পালাই। তার ওপর পূজার আমেজ। সব মিলিয়ে কয়েক দিনের একটা ভ্রমণ পরিকল্পনা করার খাসা সময় এটাই।
আর প্রকৃতির দিক দিয়ে বিবেচনা করলেও এই সময়টা বছরের অন্য সময়ের চেয়ে সুন্দর। শরতের শ্বেত শুভ্র মেঘ ভাসতে থাকে ঝকঝকে নীল আকাশে, অরণ্য তার রং-রূপে আনে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকার মতো পরিবর্তন, সমুদ্র থাকে তুলনামূলক শান্ত আর স্বচ্ছ, পাহাড় হয়ে ওঠে অপূর্ব নীল আর ধূসরের অবাক বিস্ময় এবং চা-বাগানগুলো ভিজতে শুরু করে কোমল শিশিরে, যেদিকে অপলক তাকিয়ে থেকে পেরিয়ে যায় অনন্ত সময়। এই সময়ে যদি পাওয়া যায় উৎসবের আমেজ আর বাড়তি ছুটি, তবে ঘরে বসে থেকে সময় নষ্ট করার কোনো মানে হয় না।
তবে যে বিষয়টি মনে রাখতে হবে, এলোমেলো পরিকল্পনা করে তেমন কার্যকর ভ্রমণ করা যায় না। বেছে নিন যেকোনো একটি বিষয়, সেটা হতে পারে পাহাড়, সমুদ্র কিংবা অরণ্য।
সমুদ্রের উচ্ছ্বাসে
সমুদ্রপ্রিয়দের জন্য এ সময়টা জুতসই। যাঁরা প্রথমবার যেতে চান, তাঁদের জন্যও সময়টা আদর্শ। কারণ, এ সময় সমুদ্র মোটামুটি শান্ত থাকে। ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সেখান থেকে সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের একটা পরিকল্পনা করতেই পারেন এ সময়। এই রুটগুলো একই দিকে। একটু ঘুরে যেতে পারেন কুয়াকাটা। এ পথ একেবারেই উল্টো।
এখন সেন্ট মার্টিন যাওয়া খুব সহজ। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলে যেতে পারেন যেকোনো জায়গায়। অনলাইনেই পেয়ে যাবেন তাদের বৃত্তান্ত।
হ্রদ পাহাড়ের দেশে
একই সঙ্গে পাহাড়, অরণ্য আর জলরাশি উপভোগের গন্তব্য হতে পারে রাঙামাটি। এখানে বিখ্যাত কাপ্তাই হ্রদ আছে। আছে পাহাড় আর বন। আছে বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক আবহ। এই সবকিছু ভ্রমণে এনে দিতে পারে বাড়তি আনন্দ। রাঙামাটি যাওয়া এবং থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা এখন অনেক ভালো।
সবুজের সমুদ্র তেঁতুলিয়া বা শ্রীমঙ্গল
হ্যাঁ, অপশন এখানে দুটি—সমতলের চা-বাগান দেখতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া যাওয়া যায় অথবা চায়ের রাজধানী খ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল। তেঁতুলিয়া গেলে চা-বাগানের সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা পাওয়া যেতে পারে। সেই সঙ্গে উত্তরবঙ্গের প্রাচীন সব মন্দিরে পূজা দেখার সুযোগ তো আছেই। আর শ্রীমঙ্গল গেলে অপশন কিছু বেশি পাবেন। সেখানে সিলেটের সব দর্শনীয় জায়গা দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে সময় বেশি থাকলে। এক সপ্তাহের পরিকল্পনা করলে সিলেটসহ শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে পারেন।
নদীপথে
ভ্রমণ শুধু পাহাড়, বন বা সমুদ্রেই হবে কেন, শরতের এই সময়টা হলো লঞ্চ ভ্রমণের আদর্শ সময়। নিস্তরঙ্গ নদীর পানি, দুই তীরে কাশবন, নৌকার ছইয়ের ওপর কিংবা লঞ্চের ডেকে বসে সারা দিন ভেসে চলা—সব মিলিয়ে নদীপথে ভ্রমণ নতুন অভিজ্ঞতা দিতে পারে আপনাকে। যেকোনো নদীতেই আপনি এমন একটা ভ্রমণ করতে পারেন। কিন্তু নৌভ্রমণের জন্য বিখ্যাত রুটগুলো ঢাকা থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত।
জলে ভেসে হাওরে
বর্ষা বা বসন্ত নয়, হাওর ভ্রমণের আদর্শ সময় শরৎকাল। মাথার ওপর কোনো বাধা ছাড়াই দেখা যাবে ঝকঝকে নীল আকাশে তুলার মতো সাদা মেঘের ভেলা, টলটলে জলে দাঁড়িয়ে থাকা করচগাছ, দীর্ঘ শ্বাস বাড়িয়ে দেওয়া দূর পাহাড়ের সারি। হাওর ভ্রমণের সহজ উপায় ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে যোগাযোগ করা। প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজ আছে। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। তাদের বিভিন্ন প্যাকেজ নিয়ে জলে ভেসে থাকতে পারেন কয়েকটা দিন।
ট্রেকিং করতে পাহাড়ে
পাহাড় আবিষ্কারের অসাধারণ সময় এটি। বর্ষার মতো এখন আর বিপজ্জনক নয় ট্রেইলগুলো। ঝরনার রূপ হয়তো বর্ষার মতো নেই।
কিন্তু সতেজ আছে এখনো।
গরম খুব একটা নেই বলে ট্রেকিং করা যায় দারুণভাবে। এই পূজার ছুটিতে দল বেঁধে ট্রেকিংয়ে নেমে যেতেই পারেন ভ্রমণের একেবারে ভিন্ন অভিজ্ঞতা নিতে।
মনে রাখতে হবে
যেকোনো ভ্রমণে যাওয়ার আগে যে অঞ্চলে যাবেন, সেই অঞ্চলগুলোতে কী কী দেখার আছে, থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা কী হতে পারে, সেগুলো এখন গুগলে খুঁজলেই পাওয়া যায়। তাই একটু সময় করে খুঁজে নিন। সঙ্গে শিশু বা বয়স্ক কেউ থাকলে অবশ্যই থাকার জায়গা আগে থেকে ঠিক করে যান।
যানবাহনের টিকিট, বিশেষ করে ট্রেন কিংবা প্লেনের টিকিট আগে থেকেই কেটে রাখুন। স্থানীয় মানুষ ও তাদের সংস্কৃতি বিষয়ে সহনশীলতা প্রকাশ করুন।
বেশি তো দেরি নেই, মাঝখানে একটা মাত্র সপ্তাহ বলা চলে। এরপরই শুরু হবে দুর্গাপূজার উৎসব। এরই মধ্যে সূর্যের রং কিছুটা হলেও বদলে গেছে। বদলে গেছে মেঘ আর হাওয়া। শরৎ শেষই প্রায়। তাই বাতাসে এখন হেমন্তের ঘ্রাণ। মন বলছে, পালাই পালাই। তার ওপর পূজার আমেজ। সব মিলিয়ে কয়েক দিনের একটা ভ্রমণ পরিকল্পনা করার খাসা সময় এটাই।
আর প্রকৃতির দিক দিয়ে বিবেচনা করলেও এই সময়টা বছরের অন্য সময়ের চেয়ে সুন্দর। শরতের শ্বেত শুভ্র মেঘ ভাসতে থাকে ঝকঝকে নীল আকাশে, অরণ্য তার রং-রূপে আনে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকার মতো পরিবর্তন, সমুদ্র থাকে তুলনামূলক শান্ত আর স্বচ্ছ, পাহাড় হয়ে ওঠে অপূর্ব নীল আর ধূসরের অবাক বিস্ময় এবং চা-বাগানগুলো ভিজতে শুরু করে কোমল শিশিরে, যেদিকে অপলক তাকিয়ে থেকে পেরিয়ে যায় অনন্ত সময়। এই সময়ে যদি পাওয়া যায় উৎসবের আমেজ আর বাড়তি ছুটি, তবে ঘরে বসে থেকে সময় নষ্ট করার কোনো মানে হয় না।
তবে যে বিষয়টি মনে রাখতে হবে, এলোমেলো পরিকল্পনা করে তেমন কার্যকর ভ্রমণ করা যায় না। বেছে নিন যেকোনো একটি বিষয়, সেটা হতে পারে পাহাড়, সমুদ্র কিংবা অরণ্য।
সমুদ্রের উচ্ছ্বাসে
সমুদ্রপ্রিয়দের জন্য এ সময়টা জুতসই। যাঁরা প্রথমবার যেতে চান, তাঁদের জন্যও সময়টা আদর্শ। কারণ, এ সময় সমুদ্র মোটামুটি শান্ত থাকে। ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সেখান থেকে সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের একটা পরিকল্পনা করতেই পারেন এ সময়। এই রুটগুলো একই দিকে। একটু ঘুরে যেতে পারেন কুয়াকাটা। এ পথ একেবারেই উল্টো।
এখন সেন্ট মার্টিন যাওয়া খুব সহজ। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলে যেতে পারেন যেকোনো জায়গায়। অনলাইনেই পেয়ে যাবেন তাদের বৃত্তান্ত।
হ্রদ পাহাড়ের দেশে
একই সঙ্গে পাহাড়, অরণ্য আর জলরাশি উপভোগের গন্তব্য হতে পারে রাঙামাটি। এখানে বিখ্যাত কাপ্তাই হ্রদ আছে। আছে পাহাড় আর বন। আছে বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক আবহ। এই সবকিছু ভ্রমণে এনে দিতে পারে বাড়তি আনন্দ। রাঙামাটি যাওয়া এবং থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা এখন অনেক ভালো।
সবুজের সমুদ্র তেঁতুলিয়া বা শ্রীমঙ্গল
হ্যাঁ, অপশন এখানে দুটি—সমতলের চা-বাগান দেখতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া যাওয়া যায় অথবা চায়ের রাজধানী খ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল। তেঁতুলিয়া গেলে চা-বাগানের সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা পাওয়া যেতে পারে। সেই সঙ্গে উত্তরবঙ্গের প্রাচীন সব মন্দিরে পূজা দেখার সুযোগ তো আছেই। আর শ্রীমঙ্গল গেলে অপশন কিছু বেশি পাবেন। সেখানে সিলেটের সব দর্শনীয় জায়গা দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে সময় বেশি থাকলে। এক সপ্তাহের পরিকল্পনা করলে সিলেটসহ শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে পারেন।
নদীপথে
ভ্রমণ শুধু পাহাড়, বন বা সমুদ্রেই হবে কেন, শরতের এই সময়টা হলো লঞ্চ ভ্রমণের আদর্শ সময়। নিস্তরঙ্গ নদীর পানি, দুই তীরে কাশবন, নৌকার ছইয়ের ওপর কিংবা লঞ্চের ডেকে বসে সারা দিন ভেসে চলা—সব মিলিয়ে নদীপথে ভ্রমণ নতুন অভিজ্ঞতা দিতে পারে আপনাকে। যেকোনো নদীতেই আপনি এমন একটা ভ্রমণ করতে পারেন। কিন্তু নৌভ্রমণের জন্য বিখ্যাত রুটগুলো ঢাকা থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত।
জলে ভেসে হাওরে
বর্ষা বা বসন্ত নয়, হাওর ভ্রমণের আদর্শ সময় শরৎকাল। মাথার ওপর কোনো বাধা ছাড়াই দেখা যাবে ঝকঝকে নীল আকাশে তুলার মতো সাদা মেঘের ভেলা, টলটলে জলে দাঁড়িয়ে থাকা করচগাছ, দীর্ঘ শ্বাস বাড়িয়ে দেওয়া দূর পাহাড়ের সারি। হাওর ভ্রমণের সহজ উপায় ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে যোগাযোগ করা। প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজ আছে। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। তাদের বিভিন্ন প্যাকেজ নিয়ে জলে ভেসে থাকতে পারেন কয়েকটা দিন।
ট্রেকিং করতে পাহাড়ে
পাহাড় আবিষ্কারের অসাধারণ সময় এটি। বর্ষার মতো এখন আর বিপজ্জনক নয় ট্রেইলগুলো। ঝরনার রূপ হয়তো বর্ষার মতো নেই।
কিন্তু সতেজ আছে এখনো।
গরম খুব একটা নেই বলে ট্রেকিং করা যায় দারুণভাবে। এই পূজার ছুটিতে দল বেঁধে ট্রেকিংয়ে নেমে যেতেই পারেন ভ্রমণের একেবারে ভিন্ন অভিজ্ঞতা নিতে।
মনে রাখতে হবে
যেকোনো ভ্রমণে যাওয়ার আগে যে অঞ্চলে যাবেন, সেই অঞ্চলগুলোতে কী কী দেখার আছে, থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা কী হতে পারে, সেগুলো এখন গুগলে খুঁজলেই পাওয়া যায়। তাই একটু সময় করে খুঁজে নিন। সঙ্গে শিশু বা বয়স্ক কেউ থাকলে অবশ্যই থাকার জায়গা আগে থেকে ঠিক করে যান।
যানবাহনের টিকিট, বিশেষ করে ট্রেন কিংবা প্লেনের টিকিট আগে থেকেই কেটে রাখুন। স্থানীয় মানুষ ও তাদের সংস্কৃতি বিষয়ে সহনশীলতা প্রকাশ করুন।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
২ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
২ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
২ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
২ দিন আগে