মনজুরুল ইসলাম
পর্যটনের জন্য আমাদের কি লক্ষ্যমাত্রা আছে?
প্রথম কথা হলো, লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করবে কে? করা তো উচিত ছিল ট্যুরিজম মন্ত্রণালয় বা ট্যুরিজম বোর্ডের। বোর্ড বা মন্ত্রণালয়ের এখন পর্যন্ত আমি কোনো অ্যাকটিভিটিস বা ইনিশিয়েটিভ দেখি না, যার মধ্য দিয়ে বলা যেতে পারে তারা এটিকে এনকারেজ করছে। আমি কোনো রোড শো দেখি না, কোনো প্রমোশন দেখি না। যারা কাজ করছে, তারা নিজেদের মতো করেই কাজগুলো করছে। সিচুয়েশন আরও খারাপ হবে। কারণ ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ইলেকশন। আমরা আশঙ্কা করছি, জানুয়ারিতে ইলেকশন হলে নভেম্বর থেকে নন-অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ হয়ে যাবে। আগের ইলেকশন থেকে এটা আমাদের অভিজ্ঞতা। অ্যাম্বাসিগুলো কল্পনাতীতভাবে নন-প্রফেশনাল আচরণ করছে এখন থেকে। অথচ দেখেন, প্রজ্ঞাপনটা হচ্ছে যদি আপনার তিনটা জিনিস থাকে- একটা রিটার্ন টিকিট, একটা ভিসা রিকগনিশন আর একটা হোটেল বুকিং কনফার্মেশন। ঢাকা এয়ারপোর্টে আপনি ৫১ ডলার দিয়ে অ্যারাইভাল ভিসা পাবেন। ঢাকায় যে অ্যারাইভাল ভিসাগুলো পাওয়া যায়, হাইকমিশন বা অ্যাম্বাসিগুলো তা বলে না। আরেকটা বড় সম্ভাবনা বা সুযোগ ছিল। মিডিয়ার সঙ্গে অ্যাটলিস্ট ক্রস বর্ডার ট্যুরিজম নিয়ে কাজ করতে পারা। অন্যান্য দেশে যা-ই হোক, যারা আসতে চায়, তাদের জন্য ভিসা বা অ্যারাইভাল ভিসা চালু করতে পারতাম! মিতালি এক্সপ্রেস চালু হয়েছে ঢাকা থেকে এনজিপি। কী লাভ হয়েছে? তারা আসে, তারা আসতে চায়। শুধু ভিসার কারণে আসতে পারে না। যেমন ১৩ জন নেপালি সব কাগজপত্র দেওয়ার পরেও ঢাকা এয়ারপোর্টে তাঁদের সাড়ে তিন ঘণ্টা লেগেছে। ১৩ জন মাত্র। তাঁদেরই যদি এতক্ষণ লাগে, তাঁরা কেন আসবেন? তাঁরা খুবই বিরক্ত। প্রথম কথা হচ্ছে, আমাদের কোনো টার্গেট নেই, লক্ষ্যমাত্রা নেই।
লক্ষ্যমাত্রা ছাড়া কি কোনোভাবে এগোনো সম্ভব?
প্রশ্নই আসে না। ধরেন, আপনি একটা মার্কেটিং প্ল্যান করতে চান, কিসের ওপর মার্কেটিং প্ল্যান করবেন? আপনার একটা ডেটাবেইস লাগবে না? সেটা না থাকলে পরের বছরে বা তিন বছরের ট্যুরিজম প্ল্যান আপনি কীভাবে তৈরি করবেন? আমাদের এখানে কোনো ট্যুরিজম প্ল্যান নেই। এর জন্য যখন খুশি, তখন যা কিছু করা যায়।
ভারত, নেপাল, ভুটান, মালয়েশিয়া—এসব দেশ যখন দেখছে তাদের দেশে বাংলাদেশিরা যাচ্ছে। যদি এক বছরে ২০ হাজার পর্যটক যায়, পরের বছরগুলোতে তারা সেটাকে ৫০ হাজার বা ১ লাখে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু আমরা বিক্ষিপ্ত। একবার চায়নার দিকে দৌড়াচ্ছি, একবার জাপানের দিকে তো একবার ইউকের দিকে দৌড়াচ্ছি, একবার ভারতের দিকে। কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো একটা মার্কেটকে কি আমরা নার্সিং করছি?
একদম তাই, আপনাকে টার্গেট মার্কেট ঠিক করতে হবে। আপনি দুই অথবা তিন বছরে যদি ৫ থেকে ১০টি দেশকে টার্গেট করতে চান, কিসের ভিত্তিতে টার্গেট করবেন? একটা পরিসংখ্যান লাগবে তো। যেসব দেশ টার্গেট করতে চান, তাদের ট্যুরিজম সম্পর্কে যদি না জানেন, আপনি কীভাবে মার্কেট প্ল্যান করবেন? আপনি ট্যুরিজম বোর্ডে গিয়ে বলেন, আপনাদের মার্কেটিং প্ল্যানটা একটু বলেন তো। পাবেন না। এটা হচ্ছে উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ—ওই রকম।
এটা কি বলা যায় যে বিদেশি পর্যটক আনার ক্ষেত্রে কোনো পরিকল্পনা নেই?
হুম, পরিকল্পনার চেয়েও বড় কথা, মাস্টারপ্ল্যান করলেই কি আসলে সব কাজ হয়ে যায়? আপনি যেসব প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন; এর মাস্টারপ্ল্যানে বলা আছে, কক্সবাজারে এই প্রজেক্টটা নিলে এই লাভ হবে। আপনি কি ওই প্রজেক্টটা নিয়েছেন বা ওই প্রজেক্টটা নেওয়ার জন্য ৫০ লাখ বা ১০০ কোটি টাকা কষ্ট করে ইনভেস্ট করতে হয়, সেটা কি আপনি করছেন? করে তো সেটাকে একটা প্রডাক্ট হিসেবে দাঁড় করাতে হবে। আপনি তো সে কাজটাই করেন না।
নীতিগত সহায়তা আমাদের এই ট্রেডের লোকজন পান কি না?
আমি পাই না। এটাই তো দরকার। এখন টুরিস্ট আনার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, নীতিগত সহায়তা। উদাহরণ দিই, ইন্টারন্যাশনাল ক্রুজ নিয়ে কাজ করতে আমাকে ১৭টি ডিপার্টমেন্টে যেতে হয়েছে অনুমতির জন্য। আমি একজন এন্ট্রাপ্রেনিউর, ১৭টা জায়গায় গিয়ে কি কাজ করা সম্ভব? আমি পারছি। কারণ আমি অনেক দিনের পুরোনো লোক। নতুনরা কাজটা কেন করবে? প্রথমেই তারা শেষ হয়ে যাবে। তাহলে আপনারা ওয়ান স্টেপ করেন। প্রপোজাল হয়েছে কিন্তু কাজ হয়নি।
কোন পয়েন্টে শিগগিরই নীতিগত সহায়তা দরকার?
ভিসা। ই-ভিসা যদি না-ও করতে পারেন, অ্যারাইভাল ভিসা। অ্যারাইভাল ভিসা হলে একটা কথা আছে। অ্যারাইভাল ভিসা আপনি ঢাকা এয়ারপোর্টে করলেন। কিন্তু আমার চারদিকে কতগুলো বর্ডার। সেই বর্ডার দিয়ে যদি আমি ক্রস বর্ডার ট্যুরিজম নিয়ে কথা বলি, ভাবতে হবে। যে লোকটা শিলিগুড়ি বা দার্জিলিংয়ে এলেন, ইচ্ছা করলে আমি কি তাঁকে পঞ্চগড়ে নিয়ে আসতে পারি না? আমার টি-গার্ডেন আছে, আরও অন্যান্য জিনিস আছে। আনতে পারি তো? তিনি ফুলবাড়ী বর্ডার দিয়ে আসবেন। এ ক্ষেত্রে অ্যারাইভাল ভিসা শুধু এয়ারপোর্টে অ্যাপ্লিকেবল হলে চলবে না। আমি বলেছি যে ভিসা পলিসি চেঞ্জ করতে হবে। ভিসা পলিসিতে বিমান, সড়ক, জল—সব পথ থাকতে হবে। মোংলা বা চিটাগাং পোর্টে আসবে। মোটকথা, এন্ট্রি সব পয়েন্টেই দিতে হবে। এটা এখন আমার কাছে এক নম্বর মনে হয়। দুই নম্বর হচ্ছে, পলিসি। কিছু কিছু জায়গায় পলিসি সহজ হতে হবে। ইনভেস্টর ফ্রেন্ডলি কিংবা প্রাইভেট সেক্টর ফ্রেন্ডলি হতে হবে।
নতুন টার্মিনাল হওয়ায় ট্যুরিজমে কোনো প্রভাব ফেলছে কি না?
আমি জানি না। তবে নতুন টার্মিনাল হওয়ায় একটা সুবিধা হবে, এখানে হয়তো অনেকেই ইন্টারেস্টেড হবে। এই পটেনশিয়ালটিকে কাজে লাগাতে হবে। ট্যুরিজমবান্ধব করতে হবে। আমাদের এয়ারপোর্টগুলো ট্যুরিজম ফ্রেন্ডলি না। নামার পর গাড়ি পাওয়া যায় না, অন্যান্য জিনিস পাওয়া যায় না। এটাকে সিস্টেমের ভেতরে আনতে হবে, যেহেতু এয়ারপোর্ট হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে প্লেন ভরে বিদেশে যাচ্ছে, কিন্তু বিদেশ থেকে যদি না আনতে পারি, হিউজ ট্যুরিজম গ্যাপ থাকবে। বাংলাদেশের ট্যুরিজমটা আসলে লেজার বা হলিডে মেকার ট্যুরিজম নয়। এটা বিজনেস ট্যুরিজম। এখানে হয় বিজনেস ট্যুরিজম। তার অফিস বা কোম্পানি বেয়ার করছে। একজন ইনডিভিজ্যুয়াল ট্রাভেলার, যে ফ্যামিলি নিয়ে বেড়াতে যায়, তার একজনের জন্য ২ হাজার টাকা বাড়লে ৫ জনের জন্য ১০ হাজার টাকা বেড়ে গেল। আলটিমেটলি বেড়ে গেল। এগুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
পর্যটনের জন্য আমাদের কি লক্ষ্যমাত্রা আছে?
প্রথম কথা হলো, লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করবে কে? করা তো উচিত ছিল ট্যুরিজম মন্ত্রণালয় বা ট্যুরিজম বোর্ডের। বোর্ড বা মন্ত্রণালয়ের এখন পর্যন্ত আমি কোনো অ্যাকটিভিটিস বা ইনিশিয়েটিভ দেখি না, যার মধ্য দিয়ে বলা যেতে পারে তারা এটিকে এনকারেজ করছে। আমি কোনো রোড শো দেখি না, কোনো প্রমোশন দেখি না। যারা কাজ করছে, তারা নিজেদের মতো করেই কাজগুলো করছে। সিচুয়েশন আরও খারাপ হবে। কারণ ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ইলেকশন। আমরা আশঙ্কা করছি, জানুয়ারিতে ইলেকশন হলে নভেম্বর থেকে নন-অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ হয়ে যাবে। আগের ইলেকশন থেকে এটা আমাদের অভিজ্ঞতা। অ্যাম্বাসিগুলো কল্পনাতীতভাবে নন-প্রফেশনাল আচরণ করছে এখন থেকে। অথচ দেখেন, প্রজ্ঞাপনটা হচ্ছে যদি আপনার তিনটা জিনিস থাকে- একটা রিটার্ন টিকিট, একটা ভিসা রিকগনিশন আর একটা হোটেল বুকিং কনফার্মেশন। ঢাকা এয়ারপোর্টে আপনি ৫১ ডলার দিয়ে অ্যারাইভাল ভিসা পাবেন। ঢাকায় যে অ্যারাইভাল ভিসাগুলো পাওয়া যায়, হাইকমিশন বা অ্যাম্বাসিগুলো তা বলে না। আরেকটা বড় সম্ভাবনা বা সুযোগ ছিল। মিডিয়ার সঙ্গে অ্যাটলিস্ট ক্রস বর্ডার ট্যুরিজম নিয়ে কাজ করতে পারা। অন্যান্য দেশে যা-ই হোক, যারা আসতে চায়, তাদের জন্য ভিসা বা অ্যারাইভাল ভিসা চালু করতে পারতাম! মিতালি এক্সপ্রেস চালু হয়েছে ঢাকা থেকে এনজিপি। কী লাভ হয়েছে? তারা আসে, তারা আসতে চায়। শুধু ভিসার কারণে আসতে পারে না। যেমন ১৩ জন নেপালি সব কাগজপত্র দেওয়ার পরেও ঢাকা এয়ারপোর্টে তাঁদের সাড়ে তিন ঘণ্টা লেগেছে। ১৩ জন মাত্র। তাঁদেরই যদি এতক্ষণ লাগে, তাঁরা কেন আসবেন? তাঁরা খুবই বিরক্ত। প্রথম কথা হচ্ছে, আমাদের কোনো টার্গেট নেই, লক্ষ্যমাত্রা নেই।
লক্ষ্যমাত্রা ছাড়া কি কোনোভাবে এগোনো সম্ভব?
প্রশ্নই আসে না। ধরেন, আপনি একটা মার্কেটিং প্ল্যান করতে চান, কিসের ওপর মার্কেটিং প্ল্যান করবেন? আপনার একটা ডেটাবেইস লাগবে না? সেটা না থাকলে পরের বছরে বা তিন বছরের ট্যুরিজম প্ল্যান আপনি কীভাবে তৈরি করবেন? আমাদের এখানে কোনো ট্যুরিজম প্ল্যান নেই। এর জন্য যখন খুশি, তখন যা কিছু করা যায়।
ভারত, নেপাল, ভুটান, মালয়েশিয়া—এসব দেশ যখন দেখছে তাদের দেশে বাংলাদেশিরা যাচ্ছে। যদি এক বছরে ২০ হাজার পর্যটক যায়, পরের বছরগুলোতে তারা সেটাকে ৫০ হাজার বা ১ লাখে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু আমরা বিক্ষিপ্ত। একবার চায়নার দিকে দৌড়াচ্ছি, একবার জাপানের দিকে তো একবার ইউকের দিকে দৌড়াচ্ছি, একবার ভারতের দিকে। কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো একটা মার্কেটকে কি আমরা নার্সিং করছি?
একদম তাই, আপনাকে টার্গেট মার্কেট ঠিক করতে হবে। আপনি দুই অথবা তিন বছরে যদি ৫ থেকে ১০টি দেশকে টার্গেট করতে চান, কিসের ভিত্তিতে টার্গেট করবেন? একটা পরিসংখ্যান লাগবে তো। যেসব দেশ টার্গেট করতে চান, তাদের ট্যুরিজম সম্পর্কে যদি না জানেন, আপনি কীভাবে মার্কেট প্ল্যান করবেন? আপনি ট্যুরিজম বোর্ডে গিয়ে বলেন, আপনাদের মার্কেটিং প্ল্যানটা একটু বলেন তো। পাবেন না। এটা হচ্ছে উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ—ওই রকম।
এটা কি বলা যায় যে বিদেশি পর্যটক আনার ক্ষেত্রে কোনো পরিকল্পনা নেই?
হুম, পরিকল্পনার চেয়েও বড় কথা, মাস্টারপ্ল্যান করলেই কি আসলে সব কাজ হয়ে যায়? আপনি যেসব প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন; এর মাস্টারপ্ল্যানে বলা আছে, কক্সবাজারে এই প্রজেক্টটা নিলে এই লাভ হবে। আপনি কি ওই প্রজেক্টটা নিয়েছেন বা ওই প্রজেক্টটা নেওয়ার জন্য ৫০ লাখ বা ১০০ কোটি টাকা কষ্ট করে ইনভেস্ট করতে হয়, সেটা কি আপনি করছেন? করে তো সেটাকে একটা প্রডাক্ট হিসেবে দাঁড় করাতে হবে। আপনি তো সে কাজটাই করেন না।
নীতিগত সহায়তা আমাদের এই ট্রেডের লোকজন পান কি না?
আমি পাই না। এটাই তো দরকার। এখন টুরিস্ট আনার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, নীতিগত সহায়তা। উদাহরণ দিই, ইন্টারন্যাশনাল ক্রুজ নিয়ে কাজ করতে আমাকে ১৭টি ডিপার্টমেন্টে যেতে হয়েছে অনুমতির জন্য। আমি একজন এন্ট্রাপ্রেনিউর, ১৭টা জায়গায় গিয়ে কি কাজ করা সম্ভব? আমি পারছি। কারণ আমি অনেক দিনের পুরোনো লোক। নতুনরা কাজটা কেন করবে? প্রথমেই তারা শেষ হয়ে যাবে। তাহলে আপনারা ওয়ান স্টেপ করেন। প্রপোজাল হয়েছে কিন্তু কাজ হয়নি।
কোন পয়েন্টে শিগগিরই নীতিগত সহায়তা দরকার?
ভিসা। ই-ভিসা যদি না-ও করতে পারেন, অ্যারাইভাল ভিসা। অ্যারাইভাল ভিসা হলে একটা কথা আছে। অ্যারাইভাল ভিসা আপনি ঢাকা এয়ারপোর্টে করলেন। কিন্তু আমার চারদিকে কতগুলো বর্ডার। সেই বর্ডার দিয়ে যদি আমি ক্রস বর্ডার ট্যুরিজম নিয়ে কথা বলি, ভাবতে হবে। যে লোকটা শিলিগুড়ি বা দার্জিলিংয়ে এলেন, ইচ্ছা করলে আমি কি তাঁকে পঞ্চগড়ে নিয়ে আসতে পারি না? আমার টি-গার্ডেন আছে, আরও অন্যান্য জিনিস আছে। আনতে পারি তো? তিনি ফুলবাড়ী বর্ডার দিয়ে আসবেন। এ ক্ষেত্রে অ্যারাইভাল ভিসা শুধু এয়ারপোর্টে অ্যাপ্লিকেবল হলে চলবে না। আমি বলেছি যে ভিসা পলিসি চেঞ্জ করতে হবে। ভিসা পলিসিতে বিমান, সড়ক, জল—সব পথ থাকতে হবে। মোংলা বা চিটাগাং পোর্টে আসবে। মোটকথা, এন্ট্রি সব পয়েন্টেই দিতে হবে। এটা এখন আমার কাছে এক নম্বর মনে হয়। দুই নম্বর হচ্ছে, পলিসি। কিছু কিছু জায়গায় পলিসি সহজ হতে হবে। ইনভেস্টর ফ্রেন্ডলি কিংবা প্রাইভেট সেক্টর ফ্রেন্ডলি হতে হবে।
নতুন টার্মিনাল হওয়ায় ট্যুরিজমে কোনো প্রভাব ফেলছে কি না?
আমি জানি না। তবে নতুন টার্মিনাল হওয়ায় একটা সুবিধা হবে, এখানে হয়তো অনেকেই ইন্টারেস্টেড হবে। এই পটেনশিয়ালটিকে কাজে লাগাতে হবে। ট্যুরিজমবান্ধব করতে হবে। আমাদের এয়ারপোর্টগুলো ট্যুরিজম ফ্রেন্ডলি না। নামার পর গাড়ি পাওয়া যায় না, অন্যান্য জিনিস পাওয়া যায় না। এটাকে সিস্টেমের ভেতরে আনতে হবে, যেহেতু এয়ারপোর্ট হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে প্লেন ভরে বিদেশে যাচ্ছে, কিন্তু বিদেশ থেকে যদি না আনতে পারি, হিউজ ট্যুরিজম গ্যাপ থাকবে। বাংলাদেশের ট্যুরিজমটা আসলে লেজার বা হলিডে মেকার ট্যুরিজম নয়। এটা বিজনেস ট্যুরিজম। এখানে হয় বিজনেস ট্যুরিজম। তার অফিস বা কোম্পানি বেয়ার করছে। একজন ইনডিভিজ্যুয়াল ট্রাভেলার, যে ফ্যামিলি নিয়ে বেড়াতে যায়, তার একজনের জন্য ২ হাজার টাকা বাড়লে ৫ জনের জন্য ১০ হাজার টাকা বেড়ে গেল। আলটিমেটলি বেড়ে গেল। এগুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
২ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
২ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
২ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
২ দিন আগে