ডয়চে ভেলে
বসনিয়ার ‘ড্রাগনস হার্ট ক্লাব’ ক্যাফেতে ডাউন সিন্ড্রোম থাকা মানুষেরা কাজ করেন। শুরুতে ক্রেতা না পেলেও সামাজিক মাধ্যমে সফল ক্যাম্পেইনের পর সেটি এখন অনেক ক্রেতা পাচ্ছে৷
সাশা সুনিয়াকের কাছে তার চাকরিই সব ৷ তিনি ‘ক্লাব স্মায়েভো সারসা’ বা ‘ড্রাগনস হার্ট ক্লাব’ ক্যাফেতে কাজ করেন ৷ সাশার হৃদয়টা একজন যোদ্ধার মতো: কখনও হাল ছাড়েন না, এমনকি কঠিন সময়েও ৷
‘আমার খুব ভালো লাগে, আনন্দ হয় ৷ এখানে কাজ করতে ভালোবাসি, আমার সবসময় ভালো লাগে! কোনো বিশ্রাম না নিয়ে আমি ২৪ ঘণ্টাই কাজ করতে পারবো, ’’ বলেছিলেন সাশা সুনিয়াক৷
তার সহকর্মী বরিস কুসুমোভিচ কথা বলতে পারেন না, কিন্তু তাতে সমস্যা নেই ৷ তিনি এমনকি, ক্যাফেতে একটি বিছানা রাখতে চেয়েছিলেন, যেন রাতটা সেখানেই কাটাতে পারেন৷
তারা দুইজন ভাগ্যবান ৷ বসনিয়ায় এমন ক্যাফে একটিই আছে৷
স্মায়েভো সারসা এসোসিয়েশনের ওমর ইসোভিচ জানান, ‘‘তাদের চেহারার দিকে তাকালে, তাদের পরিবারের দিকে তাকালে আপনি বুঝবেন যে, এই ক্যাফে তাদের জন্য যেন দ্বিতীয় বাড়ি হয়ে উঠেছে ৷ তাদের মা-বাবারা বলছেন, তাদের সন্তানেরা আগে কখনও এতটা আনন্দে ছিলেন না৷ ’’
তবে প্রকল্পটা শুরুতে ব্যর্থ হতে চলেছিল ৷ কারণ, প্রথম কয়েক মাস অতিথি তেমন পাওয়া যাচ্ছিল না৷ পাশের ক্যাফেতে অনেকে গেলেও ড্রাগনস হার্টে কেউ যেতেন না৷
তবে এডিমা এফেনডিচ-জিনিচ ব্যতিক্রম ছিলেন ৷ তিনি সাশাকে ছোটবেলা থেকেই চিনতেন ৷ তাই প্রায় প্রতিদিনই সাশার ক্যাফেতে যেতেন ৷ কয়েক সপ্তাহ আগের এক শনিবারে তিনিই একমাত্র অতিথি ছিলেন ৷ ওমর তার ছবি তুলেছিলেন৷
এডিমা এফেনডিচ-জিনিচ বলেন, ‘‘আমি জানতাম না, ওমর ছবি তুলেছিলেন ৷ একদিন উনি আমাকে বলছিলেন যে, উনি ক্লাবটা এ মাসের শেষে বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেবেন ৷ আমি বলেছিলাম, এমন করতে হবে না৷ তিনি বলেছিলেন, এভাবে চালানো সম্ভব নয়৷ ’’
ওমর ইসোভিচ বলেন, ‘‘বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর সব বদলে যায়! প্রথমে স্থানীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, তারপর জাতীয় গণমাধ্যমে ৷ হঠাৎ করেই সকাল, সন্ধ্যা সবসময় আমরা ক্রেতা পাওয়া শুরু করি ৷ প্রথম দুই, তিন সপ্তাহে টেবিল পাওয়া সহজ ছিল না৷ ’’
ওটা অবিশ্বাস্য ছিল ৷ এরপর থেকে খুব ভালো চলছে ৷ ক্রেতারাও প্রশংসা করছেন ৷ এক ক্রেতা বলেন, ‘‘আমি আপনাকে বলছি, এটা অন্যতম সেরা ক্যাফে! খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ৷ আর সার্ভিসও উঁচুমানের৷ ’’ আরেকজন জানান, ‘‘প্রথমে খুব অবাক হয়েছিলাম ৷ আশা করিনি, কিন্তু তাতে কী! আমার মনে হয়, তারা আমাকে ও অন্য অতিথিদের অন্যান্য জায়গার চেয়ে একটু বেশি সম্মান ও বন্ধুত্বের সঙ্গে সেবা দিয়েছেন৷ ’’
এখন অন্য এলাকায়ও এমন ক্যাফে খোলা হচ্ছে ৷
বসনিয়ার ‘ড্রাগনস হার্ট ক্লাব’ ক্যাফেতে ডাউন সিন্ড্রোম থাকা মানুষেরা কাজ করেন। শুরুতে ক্রেতা না পেলেও সামাজিক মাধ্যমে সফল ক্যাম্পেইনের পর সেটি এখন অনেক ক্রেতা পাচ্ছে৷
সাশা সুনিয়াকের কাছে তার চাকরিই সব ৷ তিনি ‘ক্লাব স্মায়েভো সারসা’ বা ‘ড্রাগনস হার্ট ক্লাব’ ক্যাফেতে কাজ করেন ৷ সাশার হৃদয়টা একজন যোদ্ধার মতো: কখনও হাল ছাড়েন না, এমনকি কঠিন সময়েও ৷
‘আমার খুব ভালো লাগে, আনন্দ হয় ৷ এখানে কাজ করতে ভালোবাসি, আমার সবসময় ভালো লাগে! কোনো বিশ্রাম না নিয়ে আমি ২৪ ঘণ্টাই কাজ করতে পারবো, ’’ বলেছিলেন সাশা সুনিয়াক৷
তার সহকর্মী বরিস কুসুমোভিচ কথা বলতে পারেন না, কিন্তু তাতে সমস্যা নেই ৷ তিনি এমনকি, ক্যাফেতে একটি বিছানা রাখতে চেয়েছিলেন, যেন রাতটা সেখানেই কাটাতে পারেন৷
তারা দুইজন ভাগ্যবান ৷ বসনিয়ায় এমন ক্যাফে একটিই আছে৷
স্মায়েভো সারসা এসোসিয়েশনের ওমর ইসোভিচ জানান, ‘‘তাদের চেহারার দিকে তাকালে, তাদের পরিবারের দিকে তাকালে আপনি বুঝবেন যে, এই ক্যাফে তাদের জন্য যেন দ্বিতীয় বাড়ি হয়ে উঠেছে ৷ তাদের মা-বাবারা বলছেন, তাদের সন্তানেরা আগে কখনও এতটা আনন্দে ছিলেন না৷ ’’
তবে প্রকল্পটা শুরুতে ব্যর্থ হতে চলেছিল ৷ কারণ, প্রথম কয়েক মাস অতিথি তেমন পাওয়া যাচ্ছিল না৷ পাশের ক্যাফেতে অনেকে গেলেও ড্রাগনস হার্টে কেউ যেতেন না৷
তবে এডিমা এফেনডিচ-জিনিচ ব্যতিক্রম ছিলেন ৷ তিনি সাশাকে ছোটবেলা থেকেই চিনতেন ৷ তাই প্রায় প্রতিদিনই সাশার ক্যাফেতে যেতেন ৷ কয়েক সপ্তাহ আগের এক শনিবারে তিনিই একমাত্র অতিথি ছিলেন ৷ ওমর তার ছবি তুলেছিলেন৷
এডিমা এফেনডিচ-জিনিচ বলেন, ‘‘আমি জানতাম না, ওমর ছবি তুলেছিলেন ৷ একদিন উনি আমাকে বলছিলেন যে, উনি ক্লাবটা এ মাসের শেষে বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেবেন ৷ আমি বলেছিলাম, এমন করতে হবে না৷ তিনি বলেছিলেন, এভাবে চালানো সম্ভব নয়৷ ’’
ওমর ইসোভিচ বলেন, ‘‘বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর সব বদলে যায়! প্রথমে স্থানীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, তারপর জাতীয় গণমাধ্যমে ৷ হঠাৎ করেই সকাল, সন্ধ্যা সবসময় আমরা ক্রেতা পাওয়া শুরু করি ৷ প্রথম দুই, তিন সপ্তাহে টেবিল পাওয়া সহজ ছিল না৷ ’’
ওটা অবিশ্বাস্য ছিল ৷ এরপর থেকে খুব ভালো চলছে ৷ ক্রেতারাও প্রশংসা করছেন ৷ এক ক্রেতা বলেন, ‘‘আমি আপনাকে বলছি, এটা অন্যতম সেরা ক্যাফে! খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ৷ আর সার্ভিসও উঁচুমানের৷ ’’ আরেকজন জানান, ‘‘প্রথমে খুব অবাক হয়েছিলাম ৷ আশা করিনি, কিন্তু তাতে কী! আমার মনে হয়, তারা আমাকে ও অন্য অতিথিদের অন্যান্য জায়গার চেয়ে একটু বেশি সম্মান ও বন্ধুত্বের সঙ্গে সেবা দিয়েছেন৷ ’’
এখন অন্য এলাকায়ও এমন ক্যাফে খোলা হচ্ছে ৷
খাবার মজাদার করতে আমরা সাধারণভাবে তেল-মসলার খুব বাড়াবাড়ি করে ফেলি। সেখান থেকে বাদ যায় না পেঁয়াজ কিংবা রসুন। পেঁয়াজকে কায়দা করে সরিয়ে রাখলেও খাবার মজাদার হতে পারে। তেমনই কিছু রেসিপি...
১৯ ঘণ্টা আগেবাংলা অঞ্চলে মিষ্টিজাতীয় প্রাচীন খাবারগুলোর মধ্যে সন্দেশের নাম আছে একেবারে প্রথম দিকে। সব মিষ্টির কিছু না কিছু বদল হলেও, এর বদল হয়েছে খুবই কম। যশোরের নলেন গুড়ের সন্দেশ, মানিকগঞ্জ বা নাগরপুরের প্যারা সন্দেশ, পাবনার মাছের পেটি সন্দেশ ইত্যাদি কে না খেতে পছন্দ করে!
১৯ ঘণ্টা আগেজীবনানন্দ দাশের কবিতায় ঘুরেফিরে এসেছে দারুচিনি দ্বীপের কথা, তার রহস্যময় শ্যামলিমার কথা, সেই সবুজের গহিনে দিকহারা নাবিকের আশ্রয়-আকাঙ্ক্ষার কথা। এই দারুচিনি দ্বীপ কি আসলে কোনো সমুদ্রঘেরা ভূখণ্ড, নাকি বনলতা সেন নিজেই, তা নিয়ে কবিরা বিতর্ক করুক। আমরা বরং এই দ্বীপের তত্ত্বতালাশ করি।
২০ ঘণ্টা আগে‘প্রসেসেস’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভাতের মাড় ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি হজমযোগ্য স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে কাজ করে। এমনকি এটি ওজন কমাতে পারে।
২০ ঘণ্টা আগে