সানজিদা কাওছার ঋতু, ঢাকা
আপনি কি কখনো সন্তানকে খেলার মাঠে অন্য শিশুদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে বলেন? সন্তান অন্য শিশুদের চুমু খেতে চাইলে বা জড়িয়ে ধরতে চাইলে কি আপনি হস্তক্ষেপ করেন? আপনার কি মনে হয়, সন্তানকে অবাধে শারীরিকভাবে অন্য শিশুদের স্পর্শ করতে দিলে তারা ভবিষ্যতে অন্যদের সামাজিক দূরত্বকে সম্মান করবে না?
#metoo আন্দোলনের পর সম্মতির বিষয়টি নিয়ে জনসচেতনতা তৈরি হয়। বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল এমনকি প্রি-স্কুলের শিক্ষাক্রমে সম্মতি শিক্ষার বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। এতে শিশু-কিশোরেরা ব্যক্তিগত সীমারেখা তৈরি ও অপরের সীমারেখাকে সম্মান করা শিখবে বলে বিশ্বাস করা হয়।
তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরেও বাবা-মায়েরা ছোটকাল থেকেই সন্তানকে সম্মতির বিষয়টি শেখাতে আগ্রহী। তাঁরা চান, সন্তানেরা যেন ছোটবেলা থেকেই অন্যদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় রেখে চলা, হুট করেই অন্যদের খুব বেশি কাছে না যাওয়া বা কাউকে জড়িয়ে ধরার আগে যেন অনুমতি নেওয়ার মতো বিষয়গুলো শেখে।
তবে যতটা সহজ শোনায়, এটা শেখানো তত সহজ নয়। শিশুরা স্পর্শের মাধ্যমেই তাদের চারপাশকে বুঝতে শেখে, চিনতে শেখে। মানব বিবর্তনের ইতিহাসের শুরু থেকেই শিশুরা সারাক্ষণ তাদের মা বা অন্য লালন-পালনকারীর শারীরিক সংস্পর্শে থাকে। শিশুরা তাদের মায়ের সঙ্গেই ঘুমায় আর বাকিটা সময় কারও না কারও কোলেপিঠে থাকে।
শিশুদের প্রথম ভাষাই হলো ‘স্পর্শ’। শিশুরা স্পর্শের মাধ্যমে অন্যকে বুঝতে শেখে, নিজের চাহিদা প্রকাশ করে এবং অন্যের মানসিক অবস্থা অনুধাবন করতে শেখে। হাঁটাচলা শেখার পরও শিশুরা যোগাযোগের জন্য স্পর্শকে বেশি গুরুত্ব দেয়। বড়দের হস্তক্ষেপ ছাড়াই শিশুরা যখন খেলাধুলা করে তখন ‘স্পর্শ’ এর অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়ায়।
শিশুরা যখন জন্ম থেকেই ইতিবাচক স্পর্শ পেতে থাকে, তখন তারা নিজের মানসিক অবস্থার সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্তি অনুভব করে। স্পর্শের মাধ্যমে তারা ভাবনাকে বাস্তবতার সঙ্গে মেলাতে পারে; মন ও দেহের মাধ্যমে অনুভব ও অনুধাবন করে।
এভাবে ভাবতে শেখার কারণে শিশুরা কোনো কিছু মনযোগ দিয়ে লক্ষ্য করতে শেখে এবং প্রকাশ করতে শেখে। কেউ তাদের ব্যক্তিগত সীমারেখা অতিক্রম করায় অস্বস্তি বোধ করলে তারা তা প্রকাশ করে। কোনো শিশু খেলার মধ্য দিয়েই অন্য কোনো শিশুকে তাদের অনিচ্ছায় জড়িয়ে ধরতে চাইলে বোধশক্তির মাধ্যমে ওই শিশুর প্রতিরোধকে বুঝতে শেখে।
তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আজকালকার মানুষ অনেক বেশি অনিচ্ছাকৃত স্পর্শের শিকার হয়। কেউ ওই স্পর্শের বিরুদ্ধে অস্বস্তি প্রকাশ করলেও অনেকেই সে প্রতিরোধকে উপেক্ষা করে। এর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। এর একটি কারণ হতে পারে: আধুনিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক স্পর্শের অভাব। আজকাল অনেক শিশুই বাবা-মায়ের থেকে আলাদা ঘরে ঘুমায় আর শিশুরা সারাক্ষণ স্ট্রলারে থাকে। অনেক শিশুই দিনভর কোনো স্নেহপূর্ণ শারীরিক স্পর্শ পায় না। এই স্পর্শের অভাব শিশুদের অন্যের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে শিখতে এবং গভীর শারীরবৃত্তীয় স্তরে নিজের মানসিক অবস্থার সঙ্গে অভ্যস্ত হতে বাধা দেয়।
আরও একটি কারণ হলো: আগের প্রজন্মের শিশুরা ব্যক্তিগত সীমারেখা প্রকাশ করতে ও অন্যের ব্যক্তিগত সীমারেখাকে শ্রদ্ধা করতে শেখেনি। তাই এখনকার বাবা-মায়েরা সন্তানকে সম্মতি সম্পর্কে শেখাচ্ছে।
শিশুদের ওপর প্রাপ্তবয়স্কদের সম্মতির ধারণা চাপিয়ে দিলে বা তাদের অন্য শিশুদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় রাখতে বললেই তারা অন্যের ব্যক্তিগত সীমারেখাকে সম্মান করতে বা নিজের সীমারেখা বুঝতে শিখবে না।
যে শিশুরা অন্যদের স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকে, তারা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সংস্পর্শের অনুভূতি শিখতে পারে না। এর মানে হলো, তারা স্বস্তি বা অস্বস্তি প্রকাশের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়। বড় হয়ে শিশুদের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অস্বস্তিকর স্পর্শ প্রত্যাখ্যান করতে হলে তাদের ছোটবেলাতেই এ ধরনের স্পর্শ সম্পর্কে বুঝতে শিখতে হবে এবং তা সম্পর্কে নিজের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে শিখতে হবে।
ছোটকালে অন্যদের সঙ্গে শিশুদের যোগাযোগ সাধারণত ‘নিষ্পাপ’ থাকে। এতে তারা প্রয়োজনে বাবা-মায়ের সহযোগিতায় নিজের পছন্দ বুঝতে শেখে এবং তা স্পষ্ট করে প্রকাশ করতে শেখে।
একইভাবে যখন শিশুদের খেলার সঙ্গী বা সমবয়সীদের স্পর্শ করতে দেওয়া হয় না, তখন তারা প্রয়োজনীয় সামাজিক আচার-ব্যবহার শিখতে পারে না। তারা অন্য শিশুদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পায় না। এর পরিবর্তে তারা শুধু শেখে, ‘বড়রা অন্যদের গায়ে হাত দিতে নিষেধ করেছে’। কিন্তু কেন নিষেধ করেছে বা অন্য শিশুরা এ স্পর্শে কেমন বোধ করে তা তারা শেখে না।
অভিজ্ঞতালব্ধ শিখনের অভাবে অন্যের ব্যক্তিগত সীমারেখা চিনতে ও নিজের ব্যক্তিগত সীমারেখা রক্ষা করতে গিয়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে। বড় হওয়ার পর তারা অন্যের ব্যক্তিগত সীমাকে সম্মান করতেও সমস্যার সম্মুখীন হয়।
শিশুরা প্রাকৃতিকভাবেই কীভাবে সম্মতির বিষয়টি শিখতে পারে?
শিশুদের একে অপরকে স্পর্শ করতে নিষেধ না করে বরং তাদের বোঝাতে হবে অন্য শিশু এতে কেমন বোধ করে। যেমন—কোনো শিশু যদি অন্য শিশুর জড়িয়ে ধরা পছন্দ না করে, তবে তাকে বলা যেতে পারে, ‘তুমি চাও না সে জড়িয়ে ধরুক? তাকে বলো।’ বা শিশুর অনুভূতি বুঝিয়ে বলা যেতে পারে। যেমন, ‘মনে হচ্ছে সে তোমার জড়িয়ে ধরাটা পছন্দ করছে।’
শিশু যখন চুমু নিতে চায় না তখন তা মেনে নেওয়া উচিত। এভাবে তার অন্যান্য অস্বস্তিতে সাড়া দেওয়া উচিত। তাকে নেতিবাচকভাবে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন—মারধর করা। কারণ, নেতিবাচক স্পর্শের কারণে তাদের নিজস্ব বোধশক্তি কমে যায়। শিশুদের যতটা সম্ভব স্নেহপূর্ণভাবে স্পর্শ করতে হবে। তাদের আদরের সঙ্গে কোলে নেওয়া, একই বিছানায় ঘুমানো, তাদের সঙ্গে খেলাধুলা করা—এসবই তাদের মধ্যে সম্মতির শেখার বোধ তৈরি করবে।
তথ্যসূত্র: সাইকোলজি টুডে
আপনি কি কখনো সন্তানকে খেলার মাঠে অন্য শিশুদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে বলেন? সন্তান অন্য শিশুদের চুমু খেতে চাইলে বা জড়িয়ে ধরতে চাইলে কি আপনি হস্তক্ষেপ করেন? আপনার কি মনে হয়, সন্তানকে অবাধে শারীরিকভাবে অন্য শিশুদের স্পর্শ করতে দিলে তারা ভবিষ্যতে অন্যদের সামাজিক দূরত্বকে সম্মান করবে না?
#metoo আন্দোলনের পর সম্মতির বিষয়টি নিয়ে জনসচেতনতা তৈরি হয়। বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল এমনকি প্রি-স্কুলের শিক্ষাক্রমে সম্মতি শিক্ষার বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। এতে শিশু-কিশোরেরা ব্যক্তিগত সীমারেখা তৈরি ও অপরের সীমারেখাকে সম্মান করা শিখবে বলে বিশ্বাস করা হয়।
তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরেও বাবা-মায়েরা ছোটকাল থেকেই সন্তানকে সম্মতির বিষয়টি শেখাতে আগ্রহী। তাঁরা চান, সন্তানেরা যেন ছোটবেলা থেকেই অন্যদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় রেখে চলা, হুট করেই অন্যদের খুব বেশি কাছে না যাওয়া বা কাউকে জড়িয়ে ধরার আগে যেন অনুমতি নেওয়ার মতো বিষয়গুলো শেখে।
তবে যতটা সহজ শোনায়, এটা শেখানো তত সহজ নয়। শিশুরা স্পর্শের মাধ্যমেই তাদের চারপাশকে বুঝতে শেখে, চিনতে শেখে। মানব বিবর্তনের ইতিহাসের শুরু থেকেই শিশুরা সারাক্ষণ তাদের মা বা অন্য লালন-পালনকারীর শারীরিক সংস্পর্শে থাকে। শিশুরা তাদের মায়ের সঙ্গেই ঘুমায় আর বাকিটা সময় কারও না কারও কোলেপিঠে থাকে।
শিশুদের প্রথম ভাষাই হলো ‘স্পর্শ’। শিশুরা স্পর্শের মাধ্যমে অন্যকে বুঝতে শেখে, নিজের চাহিদা প্রকাশ করে এবং অন্যের মানসিক অবস্থা অনুধাবন করতে শেখে। হাঁটাচলা শেখার পরও শিশুরা যোগাযোগের জন্য স্পর্শকে বেশি গুরুত্ব দেয়। বড়দের হস্তক্ষেপ ছাড়াই শিশুরা যখন খেলাধুলা করে তখন ‘স্পর্শ’ এর অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়ায়।
শিশুরা যখন জন্ম থেকেই ইতিবাচক স্পর্শ পেতে থাকে, তখন তারা নিজের মানসিক অবস্থার সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্তি অনুভব করে। স্পর্শের মাধ্যমে তারা ভাবনাকে বাস্তবতার সঙ্গে মেলাতে পারে; মন ও দেহের মাধ্যমে অনুভব ও অনুধাবন করে।
এভাবে ভাবতে শেখার কারণে শিশুরা কোনো কিছু মনযোগ দিয়ে লক্ষ্য করতে শেখে এবং প্রকাশ করতে শেখে। কেউ তাদের ব্যক্তিগত সীমারেখা অতিক্রম করায় অস্বস্তি বোধ করলে তারা তা প্রকাশ করে। কোনো শিশু খেলার মধ্য দিয়েই অন্য কোনো শিশুকে তাদের অনিচ্ছায় জড়িয়ে ধরতে চাইলে বোধশক্তির মাধ্যমে ওই শিশুর প্রতিরোধকে বুঝতে শেখে।
তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আজকালকার মানুষ অনেক বেশি অনিচ্ছাকৃত স্পর্শের শিকার হয়। কেউ ওই স্পর্শের বিরুদ্ধে অস্বস্তি প্রকাশ করলেও অনেকেই সে প্রতিরোধকে উপেক্ষা করে। এর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। এর একটি কারণ হতে পারে: আধুনিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক স্পর্শের অভাব। আজকাল অনেক শিশুই বাবা-মায়ের থেকে আলাদা ঘরে ঘুমায় আর শিশুরা সারাক্ষণ স্ট্রলারে থাকে। অনেক শিশুই দিনভর কোনো স্নেহপূর্ণ শারীরিক স্পর্শ পায় না। এই স্পর্শের অভাব শিশুদের অন্যের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে শিখতে এবং গভীর শারীরবৃত্তীয় স্তরে নিজের মানসিক অবস্থার সঙ্গে অভ্যস্ত হতে বাধা দেয়।
আরও একটি কারণ হলো: আগের প্রজন্মের শিশুরা ব্যক্তিগত সীমারেখা প্রকাশ করতে ও অন্যের ব্যক্তিগত সীমারেখাকে শ্রদ্ধা করতে শেখেনি। তাই এখনকার বাবা-মায়েরা সন্তানকে সম্মতি সম্পর্কে শেখাচ্ছে।
শিশুদের ওপর প্রাপ্তবয়স্কদের সম্মতির ধারণা চাপিয়ে দিলে বা তাদের অন্য শিশুদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় রাখতে বললেই তারা অন্যের ব্যক্তিগত সীমারেখাকে সম্মান করতে বা নিজের সীমারেখা বুঝতে শিখবে না।
যে শিশুরা অন্যদের স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকে, তারা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সংস্পর্শের অনুভূতি শিখতে পারে না। এর মানে হলো, তারা স্বস্তি বা অস্বস্তি প্রকাশের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়। বড় হয়ে শিশুদের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অস্বস্তিকর স্পর্শ প্রত্যাখ্যান করতে হলে তাদের ছোটবেলাতেই এ ধরনের স্পর্শ সম্পর্কে বুঝতে শিখতে হবে এবং তা সম্পর্কে নিজের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে শিখতে হবে।
ছোটকালে অন্যদের সঙ্গে শিশুদের যোগাযোগ সাধারণত ‘নিষ্পাপ’ থাকে। এতে তারা প্রয়োজনে বাবা-মায়ের সহযোগিতায় নিজের পছন্দ বুঝতে শেখে এবং তা স্পষ্ট করে প্রকাশ করতে শেখে।
একইভাবে যখন শিশুদের খেলার সঙ্গী বা সমবয়সীদের স্পর্শ করতে দেওয়া হয় না, তখন তারা প্রয়োজনীয় সামাজিক আচার-ব্যবহার শিখতে পারে না। তারা অন্য শিশুদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পায় না। এর পরিবর্তে তারা শুধু শেখে, ‘বড়রা অন্যদের গায়ে হাত দিতে নিষেধ করেছে’। কিন্তু কেন নিষেধ করেছে বা অন্য শিশুরা এ স্পর্শে কেমন বোধ করে তা তারা শেখে না।
অভিজ্ঞতালব্ধ শিখনের অভাবে অন্যের ব্যক্তিগত সীমারেখা চিনতে ও নিজের ব্যক্তিগত সীমারেখা রক্ষা করতে গিয়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে। বড় হওয়ার পর তারা অন্যের ব্যক্তিগত সীমাকে সম্মান করতেও সমস্যার সম্মুখীন হয়।
শিশুরা প্রাকৃতিকভাবেই কীভাবে সম্মতির বিষয়টি শিখতে পারে?
শিশুদের একে অপরকে স্পর্শ করতে নিষেধ না করে বরং তাদের বোঝাতে হবে অন্য শিশু এতে কেমন বোধ করে। যেমন—কোনো শিশু যদি অন্য শিশুর জড়িয়ে ধরা পছন্দ না করে, তবে তাকে বলা যেতে পারে, ‘তুমি চাও না সে জড়িয়ে ধরুক? তাকে বলো।’ বা শিশুর অনুভূতি বুঝিয়ে বলা যেতে পারে। যেমন, ‘মনে হচ্ছে সে তোমার জড়িয়ে ধরাটা পছন্দ করছে।’
শিশু যখন চুমু নিতে চায় না তখন তা মেনে নেওয়া উচিত। এভাবে তার অন্যান্য অস্বস্তিতে সাড়া দেওয়া উচিত। তাকে নেতিবাচকভাবে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন—মারধর করা। কারণ, নেতিবাচক স্পর্শের কারণে তাদের নিজস্ব বোধশক্তি কমে যায়। শিশুদের যতটা সম্ভব স্নেহপূর্ণভাবে স্পর্শ করতে হবে। তাদের আদরের সঙ্গে কোলে নেওয়া, একই বিছানায় ঘুমানো, তাদের সঙ্গে খেলাধুলা করা—এসবই তাদের মধ্যে সম্মতির শেখার বোধ তৈরি করবে।
তথ্যসূত্র: সাইকোলজি টুডে
খাবার মজাদার করতে আমরা সাধারণভাবে তেল-মসলার খুব বাড়াবাড়ি করে ফেলি। সেখান থেকে বাদ যায় না পেঁয়াজ কিংবা রসুন। পেঁয়াজকে কায়দা করে সরিয়ে রাখলেও খাবার মজাদার হতে পারে। তেমনই কিছু রেসিপি...
১৫ ঘণ্টা আগেবাংলা অঞ্চলে মিষ্টিজাতীয় প্রাচীন খাবারগুলোর মধ্যে সন্দেশের নাম আছে একেবারে প্রথম দিকে। সব মিষ্টির কিছু না কিছু বদল হলেও, এর বদল হয়েছে খুবই কম। যশোরের নলেন গুড়ের সন্দেশ, মানিকগঞ্জ বা নাগরপুরের প্যারা সন্দেশ, পাবনার মাছের পেটি সন্দেশ ইত্যাদি কে না খেতে পছন্দ করে!
১৬ ঘণ্টা আগেজীবনানন্দ দাশের কবিতায় ঘুরেফিরে এসেছে দারুচিনি দ্বীপের কথা, তার রহস্যময় শ্যামলিমার কথা, সেই সবুজের গহিনে দিকহারা নাবিকের আশ্রয়-আকাঙ্ক্ষার কথা। এই দারুচিনি দ্বীপ কি আসলে কোনো সমুদ্রঘেরা ভূখণ্ড, নাকি বনলতা সেন নিজেই, তা নিয়ে কবিরা বিতর্ক করুক। আমরা বরং এই দ্বীপের তত্ত্বতালাশ করি।
১৬ ঘণ্টা আগে‘প্রসেসেস’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভাতের মাড় ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি হজমযোগ্য স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে কাজ করে। এমনকি এটি ওজন কমাতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে