সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বারের মোড় থেকে কেন্দ্রীয় মন্দিরসংলগ্ন সড়ক ধরে একটু এগিয়ে গেলে মৎস্য জাদুঘর। তার পাশেই এই শাহজালাল পশু পুষ্টি মাঠ গবেষণাগার। ৩ দশমিক ৭৫ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই গবেষণাগার। এর ২ দশমিক ৬০ একর আবাদি জমিতে বিভিন্ন জাতের ঘাস চাষ হয় বছরজুড়ে। অবশিষ্ট ১ দশমিক ১৫ একরে রয়েছে গবাদিপশু পালন ঘর, পোলট্রি শেড, খরগোশ শেড, ফিড মিল, খাদ্য প্রস্তুতি ঘর, ফডার জার্মপ্লাজম সেন্টার, ফরেজ হার্ব সেন্টার ও সাইলো পিট।
দুধ, ডিম ও মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদ। প্রাণিসম্পদ উৎপাদনের যাবতীয় খরচের প্রায় ৭০ শতাংশ ব্যয় হয় পশুখাদ্যে। যেকোনো গবাদিপশু যখন সর্বোচ্চ উৎপাদন করতে পারে, সেসব পশুর খাদ্যনিরাপত্তা থাকে সুনিশ্চিত। বাংলাদেশে পশুখাদ্য নিয়ে গবেষণার কথায় গুরুত্বপূর্ণ নাম পশুপালন অনুষদের পশু পুষ্টি বিভাগের অন্তর্গত শাহজালাল পশু পুষ্টি মাঠ গবেষণাগার। ১৯৬১ সালে যাত্রা শুরু করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের পশুপুষ্টি ও পশুখাদ্য নিয়ে পুঁথিগত পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন ও পশুপুষ্টি নিয়ে বৃহত্তর গবেষণার জন্যই এটি তৈরি করা হয়েছিল। অতীতে বাংলাদেশে গরুর প্রধান খাদ্য হিসেবে শুধু খড় ব্যবহার করা হতো। ২০০০ সালের দিকে পশুখাদ্য হিসেবে বাংলাদেশে চাষ করা ঘাসের জনপ্রিয়তা বাড়ে। সে সময় শাহজালাল পশু পুষ্টি গবেষণাগারে পরীক্ষামূলকভাবে ৩২ জাতের ঘাস উৎপাদন করা হয় এবং উৎপাদিত ঘাস পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়।
এই গবেষণাগারে আরও রয়েছে ক্যানুলেটেড গরু। গরুর পাকস্থলীর অন্তর্গত রুমেনের রস সংগ্রহ করে বিভিন্ন খাবারের মান যাচাই করার এই অনন্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় শাহজালাল পশু পুষ্টি গবেষণাগারে। এর ফডার জার্মপ্লাজম সেন্টারে প্রায় ১০ প্রজাতির উদ্ভিদ জিন সংরক্ষিত রয়েছে। কোনো প্রকার অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করে, প্রাকৃতিক খাদ্য সংযোজনের মাধ্যমে পশুপুষ্টি নিশ্চিতকরণের বিভিন্ন সাফল্য অর্জন করেছে শাহজালাল পশু পুষ্টি গবেষণাগার।
দেশের জনসাধারণের মাঝে ঘাসের ঔষধি গুণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এ গবেষণাগার মুখ্য ভূমিকা রেখে চলেছে। পশু উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভেষজ উদ্ভিদের ব্যবহারের মতো অন্যান্য গবেষণা হয় এখানে। এ ছাড়া মাছ ও চিংড়ির বর্জ্যকে প্রক্রিয়াজাত করার মাধ্যমে মুরগির খাদ্যে পরিণত করার একটি গবেষণাও বর্তমানে চলমান রয়েছে।
শাহজালাল পশু পুষ্টি মাঠ গবেষণাগারে অধিকাংশ গবেষণাই খাদ্য সংযোজন, কম ব্যয়ে রেশন প্রণয়ন, খড়ের পুষ্টিগুণ বাড়ানোর জন্য খড় প্রক্রিয়াজাত করা, ইউরিয়া এবং ইউরিয়া গুড় দ্বারা খাদ্য উৎপাদন প্রভৃতি বিষয়ে গবেষণা করা হয়। বর্তমানে শাহজালাল পশু পুষ্টি মাঠ গবেষণাগারের অফিস ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন সহকারী অধ্যাপক জামিয়া ইসমিতা।
শাহজালাল পশু পুষ্টি মাঠ গবেষণাগারে কেঁচোর সাহায্যে রান্নাঘরের বর্জ্যকে প্রক্রিয়াজাতের মধ্য দিয়ে উৎপাদন করা হয় মিশ্র সার ভার্মি কম্পোস্ট। শস্য উৎপাদনে রাসায়নিক সারের বদলে ভার্মি কম্পোস্ট প্রয়োগে মুখ্য অবদান রয়েছে শাহজালাল পশু পুষ্টি মাঠ গবেষণাগারের।
বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের আমিষের চাহিদা পূরণে পশু উৎপাদন এবং পশুপুষ্টি নিয়ে গবেষণা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। আর এই গবেষণায় বাংলাদেশকে বরাবরই সফলতা এনে দিয়েছে পশুপালন অনুষদের পশু পুষ্টি মাঠ গবেষণাগার।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বারের মোড় থেকে কেন্দ্রীয় মন্দিরসংলগ্ন সড়ক ধরে একটু এগিয়ে গেলে মৎস্য জাদুঘর। তার পাশেই এই শাহজালাল পশু পুষ্টি মাঠ গবেষণাগার। ৩ দশমিক ৭৫ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই গবেষণাগার। এর ২ দশমিক ৬০ একর আবাদি জমিতে বিভিন্ন জাতের ঘাস চাষ হয় বছরজুড়ে। অবশিষ্ট ১ দশমিক ১৫ একরে রয়েছে গবাদিপশু পালন ঘর, পোলট্রি শেড, খরগোশ শেড, ফিড মিল, খাদ্য প্রস্তুতি ঘর, ফডার জার্মপ্লাজম সেন্টার, ফরেজ হার্ব সেন্টার ও সাইলো পিট।
দুধ, ডিম ও মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদ। প্রাণিসম্পদ উৎপাদনের যাবতীয় খরচের প্রায় ৭০ শতাংশ ব্যয় হয় পশুখাদ্যে। যেকোনো গবাদিপশু যখন সর্বোচ্চ উৎপাদন করতে পারে, সেসব পশুর খাদ্যনিরাপত্তা থাকে সুনিশ্চিত। বাংলাদেশে পশুখাদ্য নিয়ে গবেষণার কথায় গুরুত্বপূর্ণ নাম পশুপালন অনুষদের পশু পুষ্টি বিভাগের অন্তর্গত শাহজালাল পশু পুষ্টি মাঠ গবেষণাগার। ১৯৬১ সালে যাত্রা শুরু করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের পশুপুষ্টি ও পশুখাদ্য নিয়ে পুঁথিগত পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন ও পশুপুষ্টি নিয়ে বৃহত্তর গবেষণার জন্যই এটি তৈরি করা হয়েছিল। অতীতে বাংলাদেশে গরুর প্রধান খাদ্য হিসেবে শুধু খড় ব্যবহার করা হতো। ২০০০ সালের দিকে পশুখাদ্য হিসেবে বাংলাদেশে চাষ করা ঘাসের জনপ্রিয়তা বাড়ে। সে সময় শাহজালাল পশু পুষ্টি গবেষণাগারে পরীক্ষামূলকভাবে ৩২ জাতের ঘাস উৎপাদন করা হয় এবং উৎপাদিত ঘাস পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়।
এই গবেষণাগারে আরও রয়েছে ক্যানুলেটেড গরু। গরুর পাকস্থলীর অন্তর্গত রুমেনের রস সংগ্রহ করে বিভিন্ন খাবারের মান যাচাই করার এই অনন্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় শাহজালাল পশু পুষ্টি গবেষণাগারে। এর ফডার জার্মপ্লাজম সেন্টারে প্রায় ১০ প্রজাতির উদ্ভিদ জিন সংরক্ষিত রয়েছে। কোনো প্রকার অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করে, প্রাকৃতিক খাদ্য সংযোজনের মাধ্যমে পশুপুষ্টি নিশ্চিতকরণের বিভিন্ন সাফল্য অর্জন করেছে শাহজালাল পশু পুষ্টি গবেষণাগার।
দেশের জনসাধারণের মাঝে ঘাসের ঔষধি গুণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এ গবেষণাগার মুখ্য ভূমিকা রেখে চলেছে। পশু উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভেষজ উদ্ভিদের ব্যবহারের মতো অন্যান্য গবেষণা হয় এখানে। এ ছাড়া মাছ ও চিংড়ির বর্জ্যকে প্রক্রিয়াজাত করার মাধ্যমে মুরগির খাদ্যে পরিণত করার একটি গবেষণাও বর্তমানে চলমান রয়েছে।
শাহজালাল পশু পুষ্টি মাঠ গবেষণাগারে অধিকাংশ গবেষণাই খাদ্য সংযোজন, কম ব্যয়ে রেশন প্রণয়ন, খড়ের পুষ্টিগুণ বাড়ানোর জন্য খড় প্রক্রিয়াজাত করা, ইউরিয়া এবং ইউরিয়া গুড় দ্বারা খাদ্য উৎপাদন প্রভৃতি বিষয়ে গবেষণা করা হয়। বর্তমানে শাহজালাল পশু পুষ্টি মাঠ গবেষণাগারের অফিস ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন সহকারী অধ্যাপক জামিয়া ইসমিতা।
শাহজালাল পশু পুষ্টি মাঠ গবেষণাগারে কেঁচোর সাহায্যে রান্নাঘরের বর্জ্যকে প্রক্রিয়াজাতের মধ্য দিয়ে উৎপাদন করা হয় মিশ্র সার ভার্মি কম্পোস্ট। শস্য উৎপাদনে রাসায়নিক সারের বদলে ভার্মি কম্পোস্ট প্রয়োগে মুখ্য অবদান রয়েছে শাহজালাল পশু পুষ্টি মাঠ গবেষণাগারের।
বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের আমিষের চাহিদা পূরণে পশু উৎপাদন এবং পশুপুষ্টি নিয়ে গবেষণা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। আর এই গবেষণায় বাংলাদেশকে বরাবরই সফলতা এনে দিয়েছে পশুপালন অনুষদের পশু পুষ্টি মাঠ গবেষণাগার।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে