হাবিবুর রনি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
পুরস্কার বিভিন্নভাবে অনুপ্রেরণা জোগায়। শিক্ষাজীবনে পাওয়া পুরস্কার জীবন ও ক্যারিয়ার নিয়ে নতুন করে ভাবতে শেখায় শিক্ষার্থীদের। সানজিদা ইতুও তার ব্যতিক্রম নন।
চাঁদপুরের শাহরাস্তির মেয়ে সানজিদা ইতুর বেড়ে ওঠার অনেকটা সময় কাটে কুমিল্লা শহরে। দুই বোনের মধ্যে তিনি ছোট। বাবা শেখ মনির হোসেন পেশায় সরকারি চাকরিজীবী। মা ফেরদৌসী ইয়াসমিন স্বপ্নাও চাকরিজীবী। ইতু কুমিল্লার নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ২০১৭ সালে ভর্তি হন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদে। এরপর প্রতিটি সেমিস্টার পরীক্ষায় নিজের মেধার স্বাক্ষর রাখেন ইতু।
স্নাতক জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে ইতু বলেন, ‘অমসৃণ এই চার বছরের পথে যে কাজগুলো আমাকে ভালো ফল অর্জনে সাহায্য করেছে, সেগুলো হলো—মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করা, ক্লাসের অতিরিক্ত তথ্যসহ ক্লাস খাতা গুছিয়ে রাখা এবং প্রতিদিন কমপক্ষে ১ ঘণ্টা ক্লাস নোটে চোখ বোলানো। পরীক্ষায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরের দিকে আমার বাড়তি নজর থাকত, যাতে করে শিক্ষক উত্তরপত্র মূল্যায়নের সময় অন্যদের থেকে আমার খাতা আলাদা করতে পারেন।’
কৃষি অনুষদ থেকে ইতু সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে ৩ দশমিক ৯৫ পেয়ে প্রথম শ্রেণিতে তৃতীয় স্থান অধিকার করে স্নাতক শেষ করেন। বর্তমানে তিনি কৃষি রসায়ন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পর্বে পড়াশোনা করছেন। স্নাতকোত্তরের প্রথম সেমিস্টারেও পেয়েছেন সর্বোচ্চ সিজিপিএ ৪। স্নাতক পর্যায়ে তাঁর এই অসাধারণ সাফল্যের জন্য সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পেয়েছেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপ। এ ছাড়া সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অষ্টম সমাবর্তনে পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক।
অর্জনটা একেবারে কম নয় ইতুর। সেই অর্জনের পেছনে যে পরিশ্রম আছে, সেটা না বললেও চলে। এসব অর্জন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে স্বাভাবিকভাবে উচ্ছ্বাস ধরে রাখতে পারেননি তিনি। কী বলবেন, সেই ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। খানিক ধাতস্থ হয়ে নেন। তারপর বলতে থাকেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে এনএসটি ফেলোশিপ পেয়েছি। এটা ভীষণ আনন্দের বিষয়। এই অনুভূতি ভাষায় ব্যক্ত করার মতো নয়।
স্নাতকের ফলের ভিত্তিতে স্বর্ণপদক পাওয়ার আনন্দও বাঁধভাঙা। দীর্ঘ চার বছর ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে পরিশ্রম আর অধ্যবসায়কে সঙ্গী করেই এই পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। পরিশ্রম করতে হয়েছে অন্যদের চেয়ে খানিকটা বেশি।’
তবে কিছুটা কৌশলী পরিশ্রম তাঁকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখলেও পড়াশোনার সঙ্গে লেগে থাকাই মুখ্য বিষয় ছিল বলে মনে করেন ইতু।
এর পেছনের কারণ হিসেবে আছে নিয়মিত ক্লাস করা এবং সেসব ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করা। শুধু মুখস্থ করলেই সব হয় না বলে মনে করেন ইতু।
ভালো ফল, সঙ্গে পুরস্কার। ক্যারিয়ার গড়তে চান কিসে? এ প্রশ্নে কিছুটা ভাবনায় পড়ে যান সানজিদা ইতু। তবে ভবিষ্যতে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চান, সে বিষয়টা নিশ্চিত। সেই সঙ্গে উচ্চতর ডিগ্রি ও কৃষি গবেষণা করতে চান তিনি। ইতু মনে করেন, গবেষণা না হলে শিক্ষকতায় ভালো করা সম্ভব নয়। নতুন জ্ঞানের সঙ্গে পরিচয় না থাকলে শিক্ষার্থীদের পড়ানো কঠিন।
পুরস্কার বিভিন্নভাবে অনুপ্রেরণা জোগায়। শিক্ষাজীবনে পাওয়া পুরস্কার জীবন ও ক্যারিয়ার নিয়ে নতুন করে ভাবতে শেখায় শিক্ষার্থীদের। সানজিদা ইতুও তার ব্যতিক্রম নন।
চাঁদপুরের শাহরাস্তির মেয়ে সানজিদা ইতুর বেড়ে ওঠার অনেকটা সময় কাটে কুমিল্লা শহরে। দুই বোনের মধ্যে তিনি ছোট। বাবা শেখ মনির হোসেন পেশায় সরকারি চাকরিজীবী। মা ফেরদৌসী ইয়াসমিন স্বপ্নাও চাকরিজীবী। ইতু কুমিল্লার নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ২০১৭ সালে ভর্তি হন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদে। এরপর প্রতিটি সেমিস্টার পরীক্ষায় নিজের মেধার স্বাক্ষর রাখেন ইতু।
স্নাতক জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে ইতু বলেন, ‘অমসৃণ এই চার বছরের পথে যে কাজগুলো আমাকে ভালো ফল অর্জনে সাহায্য করেছে, সেগুলো হলো—মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করা, ক্লাসের অতিরিক্ত তথ্যসহ ক্লাস খাতা গুছিয়ে রাখা এবং প্রতিদিন কমপক্ষে ১ ঘণ্টা ক্লাস নোটে চোখ বোলানো। পরীক্ষায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরের দিকে আমার বাড়তি নজর থাকত, যাতে করে শিক্ষক উত্তরপত্র মূল্যায়নের সময় অন্যদের থেকে আমার খাতা আলাদা করতে পারেন।’
কৃষি অনুষদ থেকে ইতু সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে ৩ দশমিক ৯৫ পেয়ে প্রথম শ্রেণিতে তৃতীয় স্থান অধিকার করে স্নাতক শেষ করেন। বর্তমানে তিনি কৃষি রসায়ন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পর্বে পড়াশোনা করছেন। স্নাতকোত্তরের প্রথম সেমিস্টারেও পেয়েছেন সর্বোচ্চ সিজিপিএ ৪। স্নাতক পর্যায়ে তাঁর এই অসাধারণ সাফল্যের জন্য সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পেয়েছেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপ। এ ছাড়া সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অষ্টম সমাবর্তনে পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক।
অর্জনটা একেবারে কম নয় ইতুর। সেই অর্জনের পেছনে যে পরিশ্রম আছে, সেটা না বললেও চলে। এসব অর্জন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে স্বাভাবিকভাবে উচ্ছ্বাস ধরে রাখতে পারেননি তিনি। কী বলবেন, সেই ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। খানিক ধাতস্থ হয়ে নেন। তারপর বলতে থাকেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে এনএসটি ফেলোশিপ পেয়েছি। এটা ভীষণ আনন্দের বিষয়। এই অনুভূতি ভাষায় ব্যক্ত করার মতো নয়।
স্নাতকের ফলের ভিত্তিতে স্বর্ণপদক পাওয়ার আনন্দও বাঁধভাঙা। দীর্ঘ চার বছর ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে পরিশ্রম আর অধ্যবসায়কে সঙ্গী করেই এই পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। পরিশ্রম করতে হয়েছে অন্যদের চেয়ে খানিকটা বেশি।’
তবে কিছুটা কৌশলী পরিশ্রম তাঁকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখলেও পড়াশোনার সঙ্গে লেগে থাকাই মুখ্য বিষয় ছিল বলে মনে করেন ইতু।
এর পেছনের কারণ হিসেবে আছে নিয়মিত ক্লাস করা এবং সেসব ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করা। শুধু মুখস্থ করলেই সব হয় না বলে মনে করেন ইতু।
ভালো ফল, সঙ্গে পুরস্কার। ক্যারিয়ার গড়তে চান কিসে? এ প্রশ্নে কিছুটা ভাবনায় পড়ে যান সানজিদা ইতু। তবে ভবিষ্যতে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চান, সে বিষয়টা নিশ্চিত। সেই সঙ্গে উচ্চতর ডিগ্রি ও কৃষি গবেষণা করতে চান তিনি। ইতু মনে করেন, গবেষণা না হলে শিক্ষকতায় ভালো করা সম্ভব নয়। নতুন জ্ঞানের সঙ্গে পরিচয় না থাকলে শিক্ষার্থীদের পড়ানো কঠিন।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে