মো. রুবাইয়াদ ইসলাম
ক্যাম্পাসের প্রধান গেট দিয়ে ঢুকতেই দেখা গেল সাজ সাজ রব। ছোট ছোট দল বেঁধে অনেকেই ছবি তুলতে ব্যস্ত। একদল মেতে উঠেছে গল্প আর আড্ডায়, কেউবা খুনসুটিতে। শিক্ষার্থীদের এই উচ্ছ্বাসে ক্যাম্পাস একেবারে মুখরিত!
আলাদাভাবে একদল শিক্ষার্থীকে খুঁজে পাওয়া গেল। তাঁরা কোনো একটি দেশের পতাকা নিয়ে ছবি তুলছেন। কাছাকাছি যেতেই দেখা গেল, সেটি নেপালের জাতীয় পতাকা। প্রথমে শিক্ষার্থীদের হাতে ভিনদেশি পতাকা দেখে কিছুটা অবাক হলেও মনে পড়ল, এই ক্যাম্পাসে তো বিদেশি শিক্ষার্থীরাও পড়ালেখা করেন!
গুটিগুটি পায়ে তাঁদের কাছে পৌঁছালাম। নবীন বিদেশি শিক্ষার্থীরা তাঁদের জাতীয় পতাকা নিয়ে ছবি তুলছিলেন। একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে গল্প করছিলেন তাঁরা। দলটিতে ছিলেন সদ্য ভর্তি হওয়া নেপালি শিক্ষার্থী কৃত্তিকা অধিকারী, সৃষ্টি অধিকারী, বিন্দু বসনেত, অভিষেক শর্মা, উমেশ যাদব, রবি যাদব ও রবি মুখিয়া। তাঁদের ছবি তোলার দায়িত্ব পালন করছিলেন আরেক নেপালি শিক্ষার্থী বিজয় চৌধুরী।
শুধু নেপালি শিক্ষার্থীরাই নন, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতে প্রতিবছর সুদূর নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, ইথিওপিয়ার মতো দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা আসেন। আসেন ভুটানসহ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকেও। তাঁরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ প্রোগ্রামের আওতায় বিভিন্ন অনুষদে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আসা বেশির ভাগ বিদেশি শিক্ষার্থী পড়েন মূলত কৃষি অনুষদ, ডিভিএম অনুষদ ও ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের বিভিন্ন বিভাগে।
বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা
বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ২০১৪ সালে ভর্তি হয়েছিলেন ২২ জন, ২০১৫ সালে ৪২, ২০১৬ সালে ৫৯, ২০১৭ সালে ৬১, ২০১৮ সালে ৬১, ২০১৯ সালে ২৫ এবং ২০২০ সালে মাত্র ৪ জন শিক্ষার্থী। করোনা মহামারির কারণে মাঝখানে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।
শেখেন বাংলা ভাষা
বিশ্ববিদ্যালয়ের নেপাল, ভুটান ও ভারতের অনেক শিক্ষার্থীর মুখে বাংলা ভাষা শুনে বোঝার উপায় নেই, তাঁরা বিদেশি শিক্ষার্থী! অনেকে বাংলা শিখেছেন ভালোভাবে। আফ্রিকান শিক্ষার্থীরা বাংলা বুঝতে পারলেও বলতে পারেন কম। তবে তাঁদের মধ্যে বাংলা ভাষায় কথা বলার জোর চেষ্টা আছে।
খাবারদাবার
আফ্রিকার দেশগুলোর শিক্ষার্থীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাঁদের নিজেদের দেশের খাবার রান্না করে খেতে ভালোবাসেন। তবে নেপাল, ভুটান ও ভারতের শিক্ষার্থীরা অনেকটাই বাংলাদেশি খাবারে অভ্যস্ত। সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের সামনের ফলের দোকানগুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিড় দেখা যায়।
ধর্মীয় চর্চা
নাইজেরিয়া, সোমালিয়া ও ইথিওপিয়া থেকে আসা বেশির ভাগ শিক্ষার্থী মুসলিম। আর নেপাল, ভুটান ও ভারত থেকে আসা বেশির ভাগ শিক্ষার্থী সনাতন ধর্মাবলম্বী। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নিজস্ব ধর্মচর্চার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন সুবিধা আছে, তেমনি ক্যাম্পাসের হিন্দু ও মুসলিম বাঙালি শিক্ষার্থীরাও তাঁদের সহায়তা করেন।
নিজস্ব কমিউনিটি গ্রুপ
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীরা দেশভিত্তিক বিভিন্ন কমিউনিটি গ্রুপের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে আছেন। তাঁরা এই কমিউনিটি গ্রুপের মাধ্যমে নিজেদের পাশাপাশি তাঁদের দেশের শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ প্রোগ্রামে সহযোগিতা করে থাকেন।
সেশনজট নিয়ে দুশ্চিন্তা
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা কমপক্ষে দেড় বছরের সেশনজট নিয়ে পড়ালেখা করছেন। করোনা মহামারির পর এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার কথা থাকলেও তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। তাই সেশনজট নিয়ে দেশীয় শিক্ষার্থীদের মতো বিদেশি শিক্ষার্থীরাও চিন্তিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে দাবি
বিদেশি শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগ বাংলাদেশের রান্না করা খাবার খেতে পারেন না। নিয়মিত রান্না করে খাওয়াও সুবিধাজনক নয়। এসব বিবেচনায় একটি আলাদা ইন্টারন্যাশনাল ডাইনিং হলের দাবি জানিয়েছেন বিদেশি অনেক শিক্ষার্থী।
আবাসিক হলের সিট ভাড়া বাবদ প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা নেওয়া হয়। বিদেশি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রশাসনের কাছে সিট ভাড়া ৫০০ টাকা করার দাবি জানিয়েছেন। আবার আফ্রিকান শিক্ষার্থীদের ভিসা ফি ৩ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। এটি নিয়ে ঘোরতর আপত্তি আছে আফ্রিকান শিক্ষার্থীদের। তাঁরা ভিসা খরচ আগের মতোই ৩ হাজার টাকা চান।
আগ্রহ হারাচ্ছেন নবীন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট, শিক্ষক রাজনীতি, আবাসনসংকট, অনুন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, সার্কুলার প্রকাশে দেরি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতাসহ বিভিন্ন কারণে আগ্রহ হারাচ্ছেন বিদেশি নবীন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে এসব তথ্য জানার পর ভর্তি না হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ভৌগোলিক কারণে নেপালি শিক্ষার্থীরা আগ্রহী হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুযোগ-সুবিধা না বাড়ায় তাঁদের সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে।
সুবিধা বাড়াতে চায় প্রশাসন
বিদেশি শিক্ষার্থীদের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিন শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীরা আমাদের অতিথির মতো।
আমরা তাঁদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। বিদেশি শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে যে সমস্যাগুলো বিদ্যমান, সেসব সমস্যা চিহ্নিত করে দ্রুততম সময়ে তা সমাধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ক্যাম্পাসের প্রধান গেট দিয়ে ঢুকতেই দেখা গেল সাজ সাজ রব। ছোট ছোট দল বেঁধে অনেকেই ছবি তুলতে ব্যস্ত। একদল মেতে উঠেছে গল্প আর আড্ডায়, কেউবা খুনসুটিতে। শিক্ষার্থীদের এই উচ্ছ্বাসে ক্যাম্পাস একেবারে মুখরিত!
আলাদাভাবে একদল শিক্ষার্থীকে খুঁজে পাওয়া গেল। তাঁরা কোনো একটি দেশের পতাকা নিয়ে ছবি তুলছেন। কাছাকাছি যেতেই দেখা গেল, সেটি নেপালের জাতীয় পতাকা। প্রথমে শিক্ষার্থীদের হাতে ভিনদেশি পতাকা দেখে কিছুটা অবাক হলেও মনে পড়ল, এই ক্যাম্পাসে তো বিদেশি শিক্ষার্থীরাও পড়ালেখা করেন!
গুটিগুটি পায়ে তাঁদের কাছে পৌঁছালাম। নবীন বিদেশি শিক্ষার্থীরা তাঁদের জাতীয় পতাকা নিয়ে ছবি তুলছিলেন। একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে গল্প করছিলেন তাঁরা। দলটিতে ছিলেন সদ্য ভর্তি হওয়া নেপালি শিক্ষার্থী কৃত্তিকা অধিকারী, সৃষ্টি অধিকারী, বিন্দু বসনেত, অভিষেক শর্মা, উমেশ যাদব, রবি যাদব ও রবি মুখিয়া। তাঁদের ছবি তোলার দায়িত্ব পালন করছিলেন আরেক নেপালি শিক্ষার্থী বিজয় চৌধুরী।
শুধু নেপালি শিক্ষার্থীরাই নন, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতে প্রতিবছর সুদূর নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, ইথিওপিয়ার মতো দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা আসেন। আসেন ভুটানসহ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকেও। তাঁরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ প্রোগ্রামের আওতায় বিভিন্ন অনুষদে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আসা বেশির ভাগ বিদেশি শিক্ষার্থী পড়েন মূলত কৃষি অনুষদ, ডিভিএম অনুষদ ও ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের বিভিন্ন বিভাগে।
বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা
বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ২০১৪ সালে ভর্তি হয়েছিলেন ২২ জন, ২০১৫ সালে ৪২, ২০১৬ সালে ৫৯, ২০১৭ সালে ৬১, ২০১৮ সালে ৬১, ২০১৯ সালে ২৫ এবং ২০২০ সালে মাত্র ৪ জন শিক্ষার্থী। করোনা মহামারির কারণে মাঝখানে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।
শেখেন বাংলা ভাষা
বিশ্ববিদ্যালয়ের নেপাল, ভুটান ও ভারতের অনেক শিক্ষার্থীর মুখে বাংলা ভাষা শুনে বোঝার উপায় নেই, তাঁরা বিদেশি শিক্ষার্থী! অনেকে বাংলা শিখেছেন ভালোভাবে। আফ্রিকান শিক্ষার্থীরা বাংলা বুঝতে পারলেও বলতে পারেন কম। তবে তাঁদের মধ্যে বাংলা ভাষায় কথা বলার জোর চেষ্টা আছে।
খাবারদাবার
আফ্রিকার দেশগুলোর শিক্ষার্থীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাঁদের নিজেদের দেশের খাবার রান্না করে খেতে ভালোবাসেন। তবে নেপাল, ভুটান ও ভারতের শিক্ষার্থীরা অনেকটাই বাংলাদেশি খাবারে অভ্যস্ত। সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের সামনের ফলের দোকানগুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিড় দেখা যায়।
ধর্মীয় চর্চা
নাইজেরিয়া, সোমালিয়া ও ইথিওপিয়া থেকে আসা বেশির ভাগ শিক্ষার্থী মুসলিম। আর নেপাল, ভুটান ও ভারত থেকে আসা বেশির ভাগ শিক্ষার্থী সনাতন ধর্মাবলম্বী। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নিজস্ব ধর্মচর্চার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন সুবিধা আছে, তেমনি ক্যাম্পাসের হিন্দু ও মুসলিম বাঙালি শিক্ষার্থীরাও তাঁদের সহায়তা করেন।
নিজস্ব কমিউনিটি গ্রুপ
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীরা দেশভিত্তিক বিভিন্ন কমিউনিটি গ্রুপের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে আছেন। তাঁরা এই কমিউনিটি গ্রুপের মাধ্যমে নিজেদের পাশাপাশি তাঁদের দেশের শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ প্রোগ্রামে সহযোগিতা করে থাকেন।
সেশনজট নিয়ে দুশ্চিন্তা
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা কমপক্ষে দেড় বছরের সেশনজট নিয়ে পড়ালেখা করছেন। করোনা মহামারির পর এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার কথা থাকলেও তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। তাই সেশনজট নিয়ে দেশীয় শিক্ষার্থীদের মতো বিদেশি শিক্ষার্থীরাও চিন্তিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে দাবি
বিদেশি শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগ বাংলাদেশের রান্না করা খাবার খেতে পারেন না। নিয়মিত রান্না করে খাওয়াও সুবিধাজনক নয়। এসব বিবেচনায় একটি আলাদা ইন্টারন্যাশনাল ডাইনিং হলের দাবি জানিয়েছেন বিদেশি অনেক শিক্ষার্থী।
আবাসিক হলের সিট ভাড়া বাবদ প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা নেওয়া হয়। বিদেশি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রশাসনের কাছে সিট ভাড়া ৫০০ টাকা করার দাবি জানিয়েছেন। আবার আফ্রিকান শিক্ষার্থীদের ভিসা ফি ৩ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। এটি নিয়ে ঘোরতর আপত্তি আছে আফ্রিকান শিক্ষার্থীদের। তাঁরা ভিসা খরচ আগের মতোই ৩ হাজার টাকা চান।
আগ্রহ হারাচ্ছেন নবীন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট, শিক্ষক রাজনীতি, আবাসনসংকট, অনুন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, সার্কুলার প্রকাশে দেরি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতাসহ বিভিন্ন কারণে আগ্রহ হারাচ্ছেন বিদেশি নবীন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে এসব তথ্য জানার পর ভর্তি না হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ভৌগোলিক কারণে নেপালি শিক্ষার্থীরা আগ্রহী হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুযোগ-সুবিধা না বাড়ায় তাঁদের সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে।
সুবিধা বাড়াতে চায় প্রশাসন
বিদেশি শিক্ষার্থীদের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিন শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীরা আমাদের অতিথির মতো।
আমরা তাঁদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। বিদেশি শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে যে সমস্যাগুলো বিদ্যমান, সেসব সমস্যা চিহ্নিত করে দ্রুততম সময়ে তা সমাধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে