রিপন চন্দ্র রায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
পিচঢালা পরিষ্কার রাস্তা। এর বাঁ দিকে তিন ফুট চওড়া একটি ফুটপাত। আরেক দিকে গোলাপ বাগান। দুই ধারে আকাশ ফুঁড়ে উঠেছে গগন শিরীষ। গাছগুলো যেন পরম আদরে মুড়িয়ে রেখেছে রাস্তাটিকে। গাছের ডালপালা ছুঁয়ে রাস্তার বুকে আছড়ে পড়ছে সূর্যের আলো। আলো-ছায়ার এই খেলায় যেন প্রতিমা হয়ে জেগে উঠেছে রাস্তাটি। পূর্ব থেকে পশ্চিমে নাক বরাবর প্রসারিত এ রাস্তাটির নাম প্যারিস রোড।
প্যারিস রোড রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক। বিশ্ববিদ্যালয়টির কাজলা গেট থেকে শেরে বাংলা আবাসিক হল পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার প্রলম্বিত এ রাস্তা। দৈর্ঘ্যে খুব বেশি না হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের শত স্মৃতির সাক্ষী এই প্যারিস রোড। ভালোবাসা-বন্ধুত্ব, জীবন-মৃত্যু, হাসি-কান্না, একাকিত্ব-নিঃসঙ্গতায় যুগের পর যুগ ধরে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার সাক্ষী রাস্তাটি।
বিকেলের মিষ্টি রোদ, সঙ্গে হালকা হিমেল হাওয়া, গাছে পাখি ডাকছে আর প্যারিস রোড ধরে হেঁটে চলেছেন তরুণ-তরুণীরা; কখনো একা, কখনো দল বেঁধে, কখনো রিকশায় তো কখনো সাইকেলে। রাস্তাটিতে এ দৃশ্য দেখা যায় প্রতিদিন। এভাবে প্রতিদিন এই ছোট্ট রাস্তাটির বুকে রচিত হয় সুখ-দুঃখ, পাওয়া না-পাওয়ার শত গল্প। রচিত হয় প্রেম ও বন্ধুত্বের নতুন উপাখ্যান। আবার সমাপ্তি ঘটে কত গভীর সম্পর্কের!
কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্যারিস রোডে চলে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা। শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন ক্যাম্পাস উপভোগ করতে শত শত শিক্ষার্থী ভিড় করেন রাস্তাটিতে। আর বিকেল হলেই এর আশপাশে বসে আড্ডার আসর। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই নন, প্রিয়জনকে নিয়ে সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে রাস্তাটিতে ভিড় করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক এবং ক্যাম্পাসের বাইরের মানুষজনও। মধ্য রাতে এ রোডের বুকে শিক্ষার্থীদের গলা ছেড়ে গাওয়া বৈতালিক গান শীতের জমাট কুয়াশার মতো মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে শ্রোতাদের। গগন শিরীষগুলোও যেন মাথা নামিয়ে শুনতে থাকে সে সুর।
বর্ষা এলেই যেন পুনরুজ্জীবিত হয় প্যারিস রোড। আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখলেই শিক্ষার্থীরা ভিড় করেন রাস্তাটিতে। কখন বৃষ্টি নামবে এই প্রতীক্ষায় প্রহর গুনতে থাকেন তাঁরা। বৃষ্টি নামলেই নেচে-গেয়ে, হই-হুল্লোড়, ছোটাছুটি করে নিজেদের ভিজিয়ে তবেই ক্ষান্ত।
মূলত দুই ধারের গগন শিরীষগাছের কারণেই রাস্তাটি বেশ আকর্ষণীয়। ১৯৬৬ সালের আগে রাস্তাটি থাকলেও ছিল না গাছগুলো। তাই তখন তার নামও প্যারিস রোড ছিল না। ১৯৬৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য তখনকার উপাচার্য এম শামসুল হক ফিলিপাইন থেকে কিছু গাছ নিয়ে আসেন। তিনি এ গাছগুলো রোপণের দায়িত্ব দেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী মোহাম্মাদ ইউনুসকে। তাঁর হাত ধরেই গগন শিরীষগাছগুলোর বেড়ে ওঠা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
গাছগুলো বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশ আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে রাস্তাটি। ১৯৮০-র দশকে ‘রোড টু সোয়াদ’ কিংবা ‘রোড টু প্যারিস’ নামের চলচ্চিত্রগুলোতে যে রাস্তা দেখানো হয়, সেসব রাস্তার সঙ্গে এই রাস্তাটির মিল থাকায় এর নাম হয় প্যারিস রোড।
পিচঢালা পরিষ্কার রাস্তা। এর বাঁ দিকে তিন ফুট চওড়া একটি ফুটপাত। আরেক দিকে গোলাপ বাগান। দুই ধারে আকাশ ফুঁড়ে উঠেছে গগন শিরীষ। গাছগুলো যেন পরম আদরে মুড়িয়ে রেখেছে রাস্তাটিকে। গাছের ডালপালা ছুঁয়ে রাস্তার বুকে আছড়ে পড়ছে সূর্যের আলো। আলো-ছায়ার এই খেলায় যেন প্রতিমা হয়ে জেগে উঠেছে রাস্তাটি। পূর্ব থেকে পশ্চিমে নাক বরাবর প্রসারিত এ রাস্তাটির নাম প্যারিস রোড।
প্যারিস রোড রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক। বিশ্ববিদ্যালয়টির কাজলা গেট থেকে শেরে বাংলা আবাসিক হল পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার প্রলম্বিত এ রাস্তা। দৈর্ঘ্যে খুব বেশি না হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের শত স্মৃতির সাক্ষী এই প্যারিস রোড। ভালোবাসা-বন্ধুত্ব, জীবন-মৃত্যু, হাসি-কান্না, একাকিত্ব-নিঃসঙ্গতায় যুগের পর যুগ ধরে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার সাক্ষী রাস্তাটি।
বিকেলের মিষ্টি রোদ, সঙ্গে হালকা হিমেল হাওয়া, গাছে পাখি ডাকছে আর প্যারিস রোড ধরে হেঁটে চলেছেন তরুণ-তরুণীরা; কখনো একা, কখনো দল বেঁধে, কখনো রিকশায় তো কখনো সাইকেলে। রাস্তাটিতে এ দৃশ্য দেখা যায় প্রতিদিন। এভাবে প্রতিদিন এই ছোট্ট রাস্তাটির বুকে রচিত হয় সুখ-দুঃখ, পাওয়া না-পাওয়ার শত গল্প। রচিত হয় প্রেম ও বন্ধুত্বের নতুন উপাখ্যান। আবার সমাপ্তি ঘটে কত গভীর সম্পর্কের!
কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্যারিস রোডে চলে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা। শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন ক্যাম্পাস উপভোগ করতে শত শত শিক্ষার্থী ভিড় করেন রাস্তাটিতে। আর বিকেল হলেই এর আশপাশে বসে আড্ডার আসর। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই নন, প্রিয়জনকে নিয়ে সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে রাস্তাটিতে ভিড় করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক এবং ক্যাম্পাসের বাইরের মানুষজনও। মধ্য রাতে এ রোডের বুকে শিক্ষার্থীদের গলা ছেড়ে গাওয়া বৈতালিক গান শীতের জমাট কুয়াশার মতো মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে শ্রোতাদের। গগন শিরীষগুলোও যেন মাথা নামিয়ে শুনতে থাকে সে সুর।
বর্ষা এলেই যেন পুনরুজ্জীবিত হয় প্যারিস রোড। আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখলেই শিক্ষার্থীরা ভিড় করেন রাস্তাটিতে। কখন বৃষ্টি নামবে এই প্রতীক্ষায় প্রহর গুনতে থাকেন তাঁরা। বৃষ্টি নামলেই নেচে-গেয়ে, হই-হুল্লোড়, ছোটাছুটি করে নিজেদের ভিজিয়ে তবেই ক্ষান্ত।
মূলত দুই ধারের গগন শিরীষগাছের কারণেই রাস্তাটি বেশ আকর্ষণীয়। ১৯৬৬ সালের আগে রাস্তাটি থাকলেও ছিল না গাছগুলো। তাই তখন তার নামও প্যারিস রোড ছিল না। ১৯৬৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য তখনকার উপাচার্য এম শামসুল হক ফিলিপাইন থেকে কিছু গাছ নিয়ে আসেন। তিনি এ গাছগুলো রোপণের দায়িত্ব দেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী মোহাম্মাদ ইউনুসকে। তাঁর হাত ধরেই গগন শিরীষগাছগুলোর বেড়ে ওঠা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
গাছগুলো বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশ আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে রাস্তাটি। ১৯৮০-র দশকে ‘রোড টু সোয়াদ’ কিংবা ‘রোড টু প্যারিস’ নামের চলচ্চিত্রগুলোতে যে রাস্তা দেখানো হয়, সেসব রাস্তার সঙ্গে এই রাস্তাটির মিল থাকায় এর নাম হয় প্যারিস রোড।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
২ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
২ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
২ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
২ দিন আগে