জুবায়ের ইবনে কামাল
আমি তুরস্কে পড়তে এসেছিলাম সরকারি বৃত্তি নিয়ে। তুরস্ক সরকারের অর্থায়নে প্রতিবছর ‘তুরকিয়ে বুর্সলারি’ বা তুর্কি স্কলারশিপ দেওয়া হয়। অনলাইনে আবেদনের পর প্রাথমিক বাছাইপর্ব উতরে তুরস্কের দূতাবাসে একটা পরীক্ষায় বসতে হয়েছিল। সেখান থেকেই আমি সুযোগ পাই বৃত্তি নিয়ে এখানে পড়তে আসার।
তুরস্কে এসে ইস্তাম্বুল ইউনিভার্সিটির আওতায় বছরখানেক এখানকার ভাষা শিখি। সত্যি বলতে, ঐতিহাসিকভাবে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি চমৎকার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৪৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত, অর্থাৎ প্রায় ৫৭০ বছরের পুরোনো এই বিশ্ববিদ্যালয় তুরস্কের সবচেয়ে পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে যোগাযোগ অনুষদের আওতায় তিনটি বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করা যায়। একটি হলো সাংবাদিকতা। আর অন্য দুটি যথাক্রমে জনসংযোগ এবং রেডিও, টেলিভিশন ও সিনেমা। আমি উচ্চশিক্ষার জন্য সাংবাদিকতা বিভাগকেই বেছে নিয়েছিলাম। তবে আমাদের এখানে অনুষদের আওতায় যতগুলো বিভাগ আছে, সবখানেই কমবেশি ক্লাস করতে হয়; অর্থাৎ সাংবাদিকতার পাশাপাশি রেডিও-টিভি কিংবা জনসংযোগ বিষয়টি নিয়েও আমাদের পড়ানো হয়েছে।
তুরস্কে পড়াশোনা শুরুর প্রথম চ্যালেঞ্জটা ছিল ভাষা। আগেই বলেছি, ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় ভাষা শিখেছিলাম প্রায় দশ মাসের বেশি সময়। এখানে ধাপে ধাপে তুরস্কের ভাষা শিখিয়ে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল। এই সার্টিফিকেট ছাড়া ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া যেত না। তাই বলা যায়, এটা ছিল চ্যালেঞ্জ। তবে আমি খুব আগ্রহ নিয়ে তুরস্কের সাহিত্য-সিনেমা উপভোগ করতাম। তাই এই চ্যালেঞ্জটাকে ‘সুইট চ্যালেঞ্জ’ বলা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক বেশি আন্তরিকতা পেয়েছি। বিদেশি শিক্ষার্থী হিসেবে আমার সঙ্গে শিক্ষক থেকে শুরু করে সবাই বেশ আন্তরিক। যোগাযোগ ও গণমাধ্যম বিষয়টা আমি নিজে উপভোগ করি বিধায় উচ্চশিক্ষার সঙ্গে আমিও মানিয়ে নিতে পেরেছি সহজেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তুরস্কে চলে যাওয়ার পর করোনা মহামারি শুরু হয়। তাই স্বাভাবিক পাঠদানের পদ্ধতি পাল্টে যায়। করোনার পরপর আবার সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে এলেও কিছুদিন আগে তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে ‘হাইব্রিড’ পদ্ধতিতে আমাদের পাঠদান শুরু হয়েছে; অর্থাৎ অনলাইন ও সশরীরে দুইভাবেই ক্লাস চলছে এখন।
আমি সাংবাদিকতা ও যোগাযোগ বিষয়ে পড়ে আনন্দ পাই। আর হ্যাঁ, অনেকেই হয়তো জানেন না ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিভাগেই পড়াশোনা করেছিলেন নোবেলজয়ী সাহিত্যিক ওরহান পামুক। এটাও আমাদের গর্বের বিষয়!
অনুলিখন: জুবায়ের ইবনে কামাল
আমি তুরস্কে পড়তে এসেছিলাম সরকারি বৃত্তি নিয়ে। তুরস্ক সরকারের অর্থায়নে প্রতিবছর ‘তুরকিয়ে বুর্সলারি’ বা তুর্কি স্কলারশিপ দেওয়া হয়। অনলাইনে আবেদনের পর প্রাথমিক বাছাইপর্ব উতরে তুরস্কের দূতাবাসে একটা পরীক্ষায় বসতে হয়েছিল। সেখান থেকেই আমি সুযোগ পাই বৃত্তি নিয়ে এখানে পড়তে আসার।
তুরস্কে এসে ইস্তাম্বুল ইউনিভার্সিটির আওতায় বছরখানেক এখানকার ভাষা শিখি। সত্যি বলতে, ঐতিহাসিকভাবে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি চমৎকার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৪৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত, অর্থাৎ প্রায় ৫৭০ বছরের পুরোনো এই বিশ্ববিদ্যালয় তুরস্কের সবচেয়ে পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে যোগাযোগ অনুষদের আওতায় তিনটি বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করা যায়। একটি হলো সাংবাদিকতা। আর অন্য দুটি যথাক্রমে জনসংযোগ এবং রেডিও, টেলিভিশন ও সিনেমা। আমি উচ্চশিক্ষার জন্য সাংবাদিকতা বিভাগকেই বেছে নিয়েছিলাম। তবে আমাদের এখানে অনুষদের আওতায় যতগুলো বিভাগ আছে, সবখানেই কমবেশি ক্লাস করতে হয়; অর্থাৎ সাংবাদিকতার পাশাপাশি রেডিও-টিভি কিংবা জনসংযোগ বিষয়টি নিয়েও আমাদের পড়ানো হয়েছে।
তুরস্কে পড়াশোনা শুরুর প্রথম চ্যালেঞ্জটা ছিল ভাষা। আগেই বলেছি, ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় ভাষা শিখেছিলাম প্রায় দশ মাসের বেশি সময়। এখানে ধাপে ধাপে তুরস্কের ভাষা শিখিয়ে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল। এই সার্টিফিকেট ছাড়া ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া যেত না। তাই বলা যায়, এটা ছিল চ্যালেঞ্জ। তবে আমি খুব আগ্রহ নিয়ে তুরস্কের সাহিত্য-সিনেমা উপভোগ করতাম। তাই এই চ্যালেঞ্জটাকে ‘সুইট চ্যালেঞ্জ’ বলা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক বেশি আন্তরিকতা পেয়েছি। বিদেশি শিক্ষার্থী হিসেবে আমার সঙ্গে শিক্ষক থেকে শুরু করে সবাই বেশ আন্তরিক। যোগাযোগ ও গণমাধ্যম বিষয়টা আমি নিজে উপভোগ করি বিধায় উচ্চশিক্ষার সঙ্গে আমিও মানিয়ে নিতে পেরেছি সহজেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তুরস্কে চলে যাওয়ার পর করোনা মহামারি শুরু হয়। তাই স্বাভাবিক পাঠদানের পদ্ধতি পাল্টে যায়। করোনার পরপর আবার সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে এলেও কিছুদিন আগে তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে ‘হাইব্রিড’ পদ্ধতিতে আমাদের পাঠদান শুরু হয়েছে; অর্থাৎ অনলাইন ও সশরীরে দুইভাবেই ক্লাস চলছে এখন।
আমি সাংবাদিকতা ও যোগাযোগ বিষয়ে পড়ে আনন্দ পাই। আর হ্যাঁ, অনেকেই হয়তো জানেন না ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিভাগেই পড়াশোনা করেছিলেন নোবেলজয়ী সাহিত্যিক ওরহান পামুক। এটাও আমাদের গর্বের বিষয়!
অনুলিখন: জুবায়ের ইবনে কামাল
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে