জীবনধারা ডেস্ক
বৈশাখের দাবদাহ শুরু হয়ে গেছে। প্রচণ্ড গরমে তুলনামূলক ঘাম বেশি হচ্ছে। গরমকালে ত্বকে ঘামাচিসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় ত্বকের সাধারণ একটি সমস্যা হলো ব্রণ। ত্বকের এ ধরনের সমস্যার সমাধান কিন্তু পানির মতোই সহজ! একটু ঘুরিয়ে বললে, গরমে ত্বকে যত ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, সেগুলোর অধিকাংশ দূর করা সম্ভব পানির ঝাপটায়। এ সময় পানির নানান মিশ্রণ ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বক পরিষ্কার করা থেকে ময়েশ্চারাইজেশন—সবকিছুই করা সম্ভব শুধু পানি দিয়ে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান ত্বক প্রাণবন্ত রাখতে সহায়তা করে।
ত্বক সজীব রাখতে
পানি আমাদের ত্বকের কোলাজেন ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে না। বাইরে থেকে ফিরে সঙ্গে সঙ্গে হাত-মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এ ছাড়া দিনে কয়েকবার পানির ঝাপটা দিলে মুখে ময়লা জমতে পারে না। তাই তিন থেকে চার ঘণ্টা পর পর মুখে পানির ঝাপটা দেওয়া উচিত। রাতে ঘুমানোর আগে ও সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ পর্যাপ্ত পানির ঝাপটা দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করলে ত্বকে লেগে থাকা অম্লীয় বা ক্ষারীয় পদার্থগুলো পরিষ্কার হয়ে ত্বকের সুষম পিএইচ ভারসাম্য বজায় থাকে। পানি নিষ্প্রাণ ত্বকে সজীবতা ফিরিয়ে আনে ও চেহারার উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
আইস থেরাপি
সপ্তাহে তিন দিন আইস থেরাপি নিলে ত্বক মসৃণ থাকে। একটি বাটিতে পানি নিয়ে তাতে বেশ কিছু বরফের টুকরো ছেড়ে মুখ ডুবিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। এভাবে কয়েকবার করুন। এতে ত্বকের বড় হয়ে যাওয়া রোমকূপ ছোট হবে ও ত্বক কোমলতা ফিরে পাবে। ব্রণের সমস্যা থাকলেও তা ধীরে ধীরে কমবে। অনেক সময় কাজের চাপ বা কম ঘুমানোর কারণে চোখের আশপাশে ফোলা ভাব দেখা দিতে পারে। এক টুকরা বরফ একটি পরিষ্কার কাপড় বা রুমালে পেঁচিয়ে চোখের চারপাশে আলতো করে বৃত্তাকারে ম্যাসাজ করলে রক্তসঞ্চালন বাড়ে। এতে চোখের ফোলা ভাব কমবে। প্রতিদিনের ব্যবহারে চোখের নিচের কালো দাগও দূর হবে।
গরম পানির ভাপ
পানিতে পরিষ্কার নিমপাতা দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। এবার মুখে সেই পানির ভাপ নিন। বাইরে থেকে ফিরে সপ্তাহে দুদিন এভাবে ভাপ নিলে ত্বকের রোমকূপ জীবাণুমুক্ত থাকবে। তাতে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা কমবে।
ত্বকের সুরক্ষায় ডাবের পানি
ডাবের পানির মধ্যকার অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান ত্বকের বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ের জন্য উপকারী। একই সঙ্গে ডাবের পানি ত্বক মসৃণ ও দাগ দূর করে। তাই রূপচর্চায় ডাবের পানি ব্যবহার করা যেতে পারে এ সময়। যাঁদের ত্বক শুষ্ক তাঁরা রোজ ত্বকে ডাবের পানি ব্যবহার করতে পারেন। ডাবের পানিতে রয়েছে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ও ভিটামিন বি১২। প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি ফ্রি রেডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীর সুরক্ষিত রাখে।
পানি পানের বিকল্প নেই
শরীর ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে পানির জুড়ি নেই। বিভিন্ন ধরনের পানীয় শরীর পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। গরমে প্রচুর ঘাম হয় বলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। তাই নিয়ম মেনে পানি পান করতে হবে। একবারে অনেক পানি পান করা যাবে না। একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির দিনে সাত থেকে আট গ্লাস পানি পান করা উচিত। তার পরও ব্যক্তিভেদে, শারীরিক পরিশ্রম, শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে পানি পানের এই পরিমাপ ভিন্ন হয়। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে দিনে কতটুকু পানি পান করতে হবে। পানি ছাড়া বিভিন্ন ফলের জুস বা শরবত খেলেও পানিশূন্যতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। স্বাস্থ্যকর পানীয় ত্বকের জন্য ভালো।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ডার্মস্টোর
বৈশাখের দাবদাহ শুরু হয়ে গেছে। প্রচণ্ড গরমে তুলনামূলক ঘাম বেশি হচ্ছে। গরমকালে ত্বকে ঘামাচিসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় ত্বকের সাধারণ একটি সমস্যা হলো ব্রণ। ত্বকের এ ধরনের সমস্যার সমাধান কিন্তু পানির মতোই সহজ! একটু ঘুরিয়ে বললে, গরমে ত্বকে যত ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, সেগুলোর অধিকাংশ দূর করা সম্ভব পানির ঝাপটায়। এ সময় পানির নানান মিশ্রণ ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বক পরিষ্কার করা থেকে ময়েশ্চারাইজেশন—সবকিছুই করা সম্ভব শুধু পানি দিয়ে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান ত্বক প্রাণবন্ত রাখতে সহায়তা করে।
ত্বক সজীব রাখতে
পানি আমাদের ত্বকের কোলাজেন ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে না। বাইরে থেকে ফিরে সঙ্গে সঙ্গে হাত-মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এ ছাড়া দিনে কয়েকবার পানির ঝাপটা দিলে মুখে ময়লা জমতে পারে না। তাই তিন থেকে চার ঘণ্টা পর পর মুখে পানির ঝাপটা দেওয়া উচিত। রাতে ঘুমানোর আগে ও সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ পর্যাপ্ত পানির ঝাপটা দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করলে ত্বকে লেগে থাকা অম্লীয় বা ক্ষারীয় পদার্থগুলো পরিষ্কার হয়ে ত্বকের সুষম পিএইচ ভারসাম্য বজায় থাকে। পানি নিষ্প্রাণ ত্বকে সজীবতা ফিরিয়ে আনে ও চেহারার উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
আইস থেরাপি
সপ্তাহে তিন দিন আইস থেরাপি নিলে ত্বক মসৃণ থাকে। একটি বাটিতে পানি নিয়ে তাতে বেশ কিছু বরফের টুকরো ছেড়ে মুখ ডুবিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। এভাবে কয়েকবার করুন। এতে ত্বকের বড় হয়ে যাওয়া রোমকূপ ছোট হবে ও ত্বক কোমলতা ফিরে পাবে। ব্রণের সমস্যা থাকলেও তা ধীরে ধীরে কমবে। অনেক সময় কাজের চাপ বা কম ঘুমানোর কারণে চোখের আশপাশে ফোলা ভাব দেখা দিতে পারে। এক টুকরা বরফ একটি পরিষ্কার কাপড় বা রুমালে পেঁচিয়ে চোখের চারপাশে আলতো করে বৃত্তাকারে ম্যাসাজ করলে রক্তসঞ্চালন বাড়ে। এতে চোখের ফোলা ভাব কমবে। প্রতিদিনের ব্যবহারে চোখের নিচের কালো দাগও দূর হবে।
গরম পানির ভাপ
পানিতে পরিষ্কার নিমপাতা দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। এবার মুখে সেই পানির ভাপ নিন। বাইরে থেকে ফিরে সপ্তাহে দুদিন এভাবে ভাপ নিলে ত্বকের রোমকূপ জীবাণুমুক্ত থাকবে। তাতে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা কমবে।
ত্বকের সুরক্ষায় ডাবের পানি
ডাবের পানির মধ্যকার অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান ত্বকের বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ের জন্য উপকারী। একই সঙ্গে ডাবের পানি ত্বক মসৃণ ও দাগ দূর করে। তাই রূপচর্চায় ডাবের পানি ব্যবহার করা যেতে পারে এ সময়। যাঁদের ত্বক শুষ্ক তাঁরা রোজ ত্বকে ডাবের পানি ব্যবহার করতে পারেন। ডাবের পানিতে রয়েছে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ও ভিটামিন বি১২। প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি ফ্রি রেডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীর সুরক্ষিত রাখে।
পানি পানের বিকল্প নেই
শরীর ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে পানির জুড়ি নেই। বিভিন্ন ধরনের পানীয় শরীর পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। গরমে প্রচুর ঘাম হয় বলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। তাই নিয়ম মেনে পানি পান করতে হবে। একবারে অনেক পানি পান করা যাবে না। একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির দিনে সাত থেকে আট গ্লাস পানি পান করা উচিত। তার পরও ব্যক্তিভেদে, শারীরিক পরিশ্রম, শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে পানি পানের এই পরিমাপ ভিন্ন হয়। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে দিনে কতটুকু পানি পান করতে হবে। পানি ছাড়া বিভিন্ন ফলের জুস বা শরবত খেলেও পানিশূন্যতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। স্বাস্থ্যকর পানীয় ত্বকের জন্য ভালো।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ডার্মস্টোর
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে