নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
যখন আপনি সুখনিদ্রায় তলিয়ে যান তখনই তারা গুটি গুটি পায়ে বেরিয়ে আসে, বিচরণ করে বিছানাময়। নিভৃতে রক্ত শুষে নেয় আপনার ত্বক থেকে। ঘুম থেকে উঠে হাতে, পায়ে, মুখে বা শরীরের বিভিন্ন অংশে লালচে দানা চোখে পড়ে আপনার। প্রথম প্রথম মশার কামড় ভেবেই হয়ত ভুল করেন। কিন্তু একসময় ঠিকই টের পান ছারপোকাদের আস্তানা আপনার আরাম গদিতেই।
ছারপোকা নামটা শুনলেই আমরা আঁতকে উঠি। এই অনাকাঙ্ক্ষিত শয্যাসঙ্গীকে যেমন আমরা এড়িয়ে চলি তেমনি শব্দটি শুনলেও যেন গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। কারণ নাছোড়বান্দা এই পোকা অতিথি হয়ে জামাকাপড় বা বাক্সপেটরার মাধ্যমে ঘরে এলেও সহজে বিদায় নেওয়ার পাত্র নয়। বরং খুব দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে স্থায়ী ঠিকানা গড়ে নেয় আপনার বাড়িতেই।
কী করে বুঝবেন ছারপোকা বাড়িতে আছে?
বাড়িতে মশা নেই, অথচ ত্বকে লালচে দানাদার র্যাশ হয়েছে। র্যাশের মাঝখানের অংশ একটু বেশিই গাঢ়; তাহলে আন্দাজ করতে হবে বাড়িতে বা আপনার বিছানায় বাসা বাঁধার প্রস্তুতি নিচ্ছে ছারপোকারা। বিছানায়, বালিশের কভারে, বেতের মোড়া বা সোফার আশপাশে রক্তের দাগ থাকলে আগেই সতর্ক হোন। বিছানার চাদরে ছোট ছোট কালো দাগ থাকতে পারে। বলপয়েন্টের ফোঁটার মতো এই দাগগুলো আসলে ছারপোকার বর্জ্য। এছাড়াও কখনো পেয়ে যেতে পারেন সাক্ষাৎ ছারপোকার দর্শন। তবে দু-একটা থাকতেই সতর্ক হতে হবে।
ছারপোকা তাড়াতে প্রথমেই যা করবেন
ডিপ ক্লিন: বহুদিন ঘর ডিপ ক্লিন বা ভালোভাবে পরিষ্কার করা হচ্ছে না? তাহলে আর দেরি করবেন না, এখনই পরিচ্ছন্নতার কাজে লেগে পড়ুন। ছারপোকা তাড়াতে প্রতি সপ্তাহে একবার পুরো বাসা ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। তোশক, ম্যাট্রেস, সোফা ইত্যাদি দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করলে ও স্যাঁতসেঁতে হয়ে গেলে এসব স্থানে ছারপোকা বাসা বাঁধে। খাটের নিচে কাগজের বাক্স ও অন্যান্য জিনিসপত্র না রাখাই ভালো। তোশক, বালিশ, কার্পেট, কুশন, কম্বল, লেপ সপ্তাহে দই-দিনদিন রোদে দিন। এতে করে ছারপোকা বাসা বাঁধতে পারবে না। বিছানার চাদর ও অন্যান্য কাপড় গরম পানি দিয়ে ধুতে হবে। ঘরের মেঝে নিয়মিত ভিনেগার মেশানো গরম পানি দিয়ে মুছতে হবে।
ঘরে রোদ ঢুকতে দিন: দিনের বেলা জানালা ও বারান্দার দরজা খুলে রাখুন। ঘরে যাতে রোদ প্রবেশ করে সে ব্যবস্থা করতে হবে। ঘরে নিয়মিত রোদ প্রবেশ করালে ঘরের আবহাওয়া স্বাস্থ্যকর থাকে। এতে করে ধীরে ধীরে ছারপোকা দূর হবে।
হেয়ার ড্রায়ারের ব্যবহার: রাতে ঘুমানোর আগে প্রতিদিন বিছানা ঝেড়ে ঘুমানো উচিত। টানা এক সপ্তাহ ঘুমানোর আগে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে বিছানার চারপাশে গরম হাওয়া দিন। গরমে ছারপোকা থাকতে পারে না।
তোশক, জাজিম ও ম্যাট্রেস ব্রাশ করুন: কোট করার ব্রাশ দিয়ে বিছানার চারপাশ ব্রাশ করুন। দু-এক দিন পর পরই এভাবে ব্রাশ করুন। কাজে দেবে।
বেকিং সোডা: বেকিং সোডা আর্দ্রতা শুষে নেয়। ছারপোকার চলাচল যেসব স্থানে সেসব স্থানে বেকিং সোডা ছড়িয়ে দিন। বেকিং সোডা ছারপোকার শরীর থেকেও আর্দ্রতা শুষে নেয়। বেডিং সোডা ব্যবহারের তিন দিন পর সে স্থানটি পরিষ্কার করে আবার বেকিং সোডা ছড়িয়ে দিন। এভাবে এক মাস করুন।
ছারপোকা তাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়
টি ট্রি ওয়েল: একটু খরচ হবে বটে, তবে টি ট্রি ওয়েলে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। ফলে এটি ব্যবহারে ছারপোকাও মরবে, পাশাপাশি ঘরও থাকবে জীবাণুমুক্ত। এক গ্লাস পানিতে ২০ ফোঁটা টি ট্রি ওয়েল মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে নিন। এরপর ছারপোকার আস্তানায় স্প্রে করুন। টি ট্রি ওয়েলের গন্ধ ছারপোকারা সহ্য় করতে পারে না।
ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল ওয়েল: টি ট্রি ওয়েলের মতো একই তরিকায় ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল ওয়েল ব্যবহার করতে পারেন। ছারপোকা কামড়ালে ত্বকে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল ওয়েল সমৃদ্ধ সাবান ব্যবহার করতে পারেন।
লেমন গ্রাস: লেমন গ্রাসের গন্ধ ছারপোকারা পছন্দ করে না। এই পাতার মধ্যকার অ্যাসিড ছারপোকা ও ছারপোকার ডিম মারতে কার্যকর।
পুদিনা পাতা: কাবার্ড, সোফা ও মেট্রেসের ওপর পুদিনাপাতা রেখে দিন। ছারপোকা পুদিনার গন্ধ পেলে ছারপোকা আপনার কাছ থেকে দূরেই থাকবে। একইভাবে লবঙ্গও ব্যবহার করতে পারেন।
সূত্র: স্লিপ অ্যাডভাইজর
যখন আপনি সুখনিদ্রায় তলিয়ে যান তখনই তারা গুটি গুটি পায়ে বেরিয়ে আসে, বিচরণ করে বিছানাময়। নিভৃতে রক্ত শুষে নেয় আপনার ত্বক থেকে। ঘুম থেকে উঠে হাতে, পায়ে, মুখে বা শরীরের বিভিন্ন অংশে লালচে দানা চোখে পড়ে আপনার। প্রথম প্রথম মশার কামড় ভেবেই হয়ত ভুল করেন। কিন্তু একসময় ঠিকই টের পান ছারপোকাদের আস্তানা আপনার আরাম গদিতেই।
ছারপোকা নামটা শুনলেই আমরা আঁতকে উঠি। এই অনাকাঙ্ক্ষিত শয্যাসঙ্গীকে যেমন আমরা এড়িয়ে চলি তেমনি শব্দটি শুনলেও যেন গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। কারণ নাছোড়বান্দা এই পোকা অতিথি হয়ে জামাকাপড় বা বাক্সপেটরার মাধ্যমে ঘরে এলেও সহজে বিদায় নেওয়ার পাত্র নয়। বরং খুব দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে স্থায়ী ঠিকানা গড়ে নেয় আপনার বাড়িতেই।
কী করে বুঝবেন ছারপোকা বাড়িতে আছে?
বাড়িতে মশা নেই, অথচ ত্বকে লালচে দানাদার র্যাশ হয়েছে। র্যাশের মাঝখানের অংশ একটু বেশিই গাঢ়; তাহলে আন্দাজ করতে হবে বাড়িতে বা আপনার বিছানায় বাসা বাঁধার প্রস্তুতি নিচ্ছে ছারপোকারা। বিছানায়, বালিশের কভারে, বেতের মোড়া বা সোফার আশপাশে রক্তের দাগ থাকলে আগেই সতর্ক হোন। বিছানার চাদরে ছোট ছোট কালো দাগ থাকতে পারে। বলপয়েন্টের ফোঁটার মতো এই দাগগুলো আসলে ছারপোকার বর্জ্য। এছাড়াও কখনো পেয়ে যেতে পারেন সাক্ষাৎ ছারপোকার দর্শন। তবে দু-একটা থাকতেই সতর্ক হতে হবে।
ছারপোকা তাড়াতে প্রথমেই যা করবেন
ডিপ ক্লিন: বহুদিন ঘর ডিপ ক্লিন বা ভালোভাবে পরিষ্কার করা হচ্ছে না? তাহলে আর দেরি করবেন না, এখনই পরিচ্ছন্নতার কাজে লেগে পড়ুন। ছারপোকা তাড়াতে প্রতি সপ্তাহে একবার পুরো বাসা ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। তোশক, ম্যাট্রেস, সোফা ইত্যাদি দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করলে ও স্যাঁতসেঁতে হয়ে গেলে এসব স্থানে ছারপোকা বাসা বাঁধে। খাটের নিচে কাগজের বাক্স ও অন্যান্য জিনিসপত্র না রাখাই ভালো। তোশক, বালিশ, কার্পেট, কুশন, কম্বল, লেপ সপ্তাহে দই-দিনদিন রোদে দিন। এতে করে ছারপোকা বাসা বাঁধতে পারবে না। বিছানার চাদর ও অন্যান্য কাপড় গরম পানি দিয়ে ধুতে হবে। ঘরের মেঝে নিয়মিত ভিনেগার মেশানো গরম পানি দিয়ে মুছতে হবে।
ঘরে রোদ ঢুকতে দিন: দিনের বেলা জানালা ও বারান্দার দরজা খুলে রাখুন। ঘরে যাতে রোদ প্রবেশ করে সে ব্যবস্থা করতে হবে। ঘরে নিয়মিত রোদ প্রবেশ করালে ঘরের আবহাওয়া স্বাস্থ্যকর থাকে। এতে করে ধীরে ধীরে ছারপোকা দূর হবে।
হেয়ার ড্রায়ারের ব্যবহার: রাতে ঘুমানোর আগে প্রতিদিন বিছানা ঝেড়ে ঘুমানো উচিত। টানা এক সপ্তাহ ঘুমানোর আগে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে বিছানার চারপাশে গরম হাওয়া দিন। গরমে ছারপোকা থাকতে পারে না।
তোশক, জাজিম ও ম্যাট্রেস ব্রাশ করুন: কোট করার ব্রাশ দিয়ে বিছানার চারপাশ ব্রাশ করুন। দু-এক দিন পর পরই এভাবে ব্রাশ করুন। কাজে দেবে।
বেকিং সোডা: বেকিং সোডা আর্দ্রতা শুষে নেয়। ছারপোকার চলাচল যেসব স্থানে সেসব স্থানে বেকিং সোডা ছড়িয়ে দিন। বেকিং সোডা ছারপোকার শরীর থেকেও আর্দ্রতা শুষে নেয়। বেডিং সোডা ব্যবহারের তিন দিন পর সে স্থানটি পরিষ্কার করে আবার বেকিং সোডা ছড়িয়ে দিন। এভাবে এক মাস করুন।
ছারপোকা তাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়
টি ট্রি ওয়েল: একটু খরচ হবে বটে, তবে টি ট্রি ওয়েলে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। ফলে এটি ব্যবহারে ছারপোকাও মরবে, পাশাপাশি ঘরও থাকবে জীবাণুমুক্ত। এক গ্লাস পানিতে ২০ ফোঁটা টি ট্রি ওয়েল মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে নিন। এরপর ছারপোকার আস্তানায় স্প্রে করুন। টি ট্রি ওয়েলের গন্ধ ছারপোকারা সহ্য় করতে পারে না।
ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল ওয়েল: টি ট্রি ওয়েলের মতো একই তরিকায় ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল ওয়েল ব্যবহার করতে পারেন। ছারপোকা কামড়ালে ত্বকে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল ওয়েল সমৃদ্ধ সাবান ব্যবহার করতে পারেন।
লেমন গ্রাস: লেমন গ্রাসের গন্ধ ছারপোকারা পছন্দ করে না। এই পাতার মধ্যকার অ্যাসিড ছারপোকা ও ছারপোকার ডিম মারতে কার্যকর।
পুদিনা পাতা: কাবার্ড, সোফা ও মেট্রেসের ওপর পুদিনাপাতা রেখে দিন। ছারপোকা পুদিনার গন্ধ পেলে ছারপোকা আপনার কাছ থেকে দূরেই থাকবে। একইভাবে লবঙ্গও ব্যবহার করতে পারেন।
সূত্র: স্লিপ অ্যাডভাইজর
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে