রিক্তা রিচি, ঢাকা
দুধে আলতা গায়ের বরণ রূপ যে কাঞ্চা সোনা
আঁচল দিয়া ঢাইকা রাইখো চোখ যেন পড়ে না...।
দুধে আলতা গায়ের রং পেতে ঠিক কী করতে হবে, তার সঠিক উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। ইতিহাসের পাতা ওল্টালে দেখা যায়, মিসরের রানি ক্লিওপেট্রা স্নান করতেন দুধ দিয়ে। জানা যায়, তিনি স্নানে গাধার দুধ, আমন্ড তেল ও মধু ব্যবহার করতেন। লাস্যময়ী এ নারী তাঁর ত্বক ও সৌন্দর্যের ব্যাপারে ছিলেন বেশ যত্নশীল। শুধু তা-ই নয়, ভারতীয় উপমহাদেশের রানিদের সৌন্দর্যচর্চার ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা মেলে দুধ, হলুদ ও চন্দনের।
যুগের পর যুগ ঘরোয়া রূপচর্চার অনন্য একটি উপাদান হলো দুধ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুধের ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন ক্লিনজার, টোনার, ফেসওয়াশ ও ক্রিমে।
ত্বকের সুস্থতায় দুধ
ব্রণ সারাতে
ধুলাবালি, ঘাম ও দূষণ থেকে ত্বকে ব্রণ জন্মে। ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে সাহায্য করে দুধ। দুধমিশ্রিত ফেসমাস্কের ব্যবহারে ত্বক হবে কোমল ও মসৃণ। হলুদের গুঁড়োর সঙ্গে কাঁচা দুধ মিশিয়ে নিন। এটি শুকানো পর্যন্ত ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। হলুদে থাকা অ্যান্ট্যি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণ দূর করতে সাহায্য করবে।
ত্বকের সতেজতায়
যাঁদের ত্বক খুব রুক্ষ ও শুষ্ক, তাঁরা ত্বকের যত্নে দুধ ব্যবহার করতে পারেন। দুধে থাকা বিভিন্ন উপাদান রুক্ষ ত্বককে সতেজ ও মসৃণ করে তুলবে। মুলতানি মাটির সঙ্গে কাঁচা দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক সতেজ ও উজ্জ্বল হবে।
এক্সফোলিয়েটর
ত্বকের মরা কোষ দূর করতে এক্সফোলিয়েশনের বিকল্প নেই। কাঁচা দুধে বিটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড আছে, যা এক্সফোলিয়েটিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এতে ত্বকের মরা কোষ দূর হয়ে যাবে, পোরসগুলো ক্রমেই ছোট হতে থাকবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। কাঠবাদাম সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খোসা ছাড়িয়ে বাদামগুলো ব্লেন্ড করে নিন। ব্লেন্ড করা বাদামের সঙ্গে কাঁচা দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। তারপর এটি ত্বকে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রেখে স্ক্র্যাব করতে করতে ধুয়ে ফেলুন।
কমাবে বয়সের ছাপ
দুধ ত্বকে দ্রুত বলিরেখা ও বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। দুধে থাকা ভিটামিন ডি ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। কাঁচা দুধের সঙ্গে লেবুর রস ও ১ চা-চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি ত্বকে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। অথবা কয়েক টুকরো পাকা পেঁপে ব্লেন্ড করে তার সঙ্গে পরিমাণমতো কাঁচা দুধ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ শুকানো পর্যন্ত ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন। বয়সের ছাপ ও বলিরেখা কমাতে কাঁচা দুধের সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ মিশিয়েও লাগাতে পারেন।
বাড়বে ত্বকের উজ্জ্বলতা
রোদে পোড়া কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে কাঁচা দুধ। দুধে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কাজ করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেসনের সঙ্গে দুধ ও লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি সপ্তাহে দুইবার ত্বকে লাগাতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকে এ পেস্ট ভালো কাজ করবে।
দুধের বিভিন্ন ব্যবহার
ক্লিনজার হিসেবে
ত্বক ভালো রাখতে দুধের ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন। ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহারের জন্য ৩ থেকে ৪ ফোঁটা কাঁচা দুধ নিন। দুধে তুলোর বল গড়িয়ে তা মুখে লাগান। এটি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে দুধের ক্লিনজার ত্বকের অপরিপক্বতা, পোরস দূর করে ত্বককে করে তুলবে লাবণ্যময়।
টোনার
কাঁচা দুধ সব ধরনের ত্বকে ব্যবহার করা যায়। এটি টোনার হিসেবে ভালো কাজ করে। ২ টেবিল চামচ কাঁচা দুধের সঙ্গে ৪ থেকে ৫ ফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে টোনার বানিয়ে নিন। টোনার ব্যবহারের আগে ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। এরপর তুলোর বলের সাহায্যে টোনার লাগিয়ে নিন। ভালো উপকার পেতে রাতে ঘুমানোর আগে এটি লাগিয়ে নিন। সকালে ধুয়ে ফেলুন।
দুধের তৈরি মাস্ক
রোদে পোড়া কালো দাগ দূর করতে দুধের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা টমেটোর রস মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করুন। এটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের কালচে ভাব দূর করে ত্বককে সুন্দর করতে সাহায্য করবে। সপ্তাহে তিনবার এই মাস্ক ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
অ্যান্টি-এজিং মাস্ক
যাঁরা চেহারা থেকে বয়সের ছাপ দূর করতে চান, তাঁরা দুধের সঙ্গে পরিমাণমতো দই মিশিয়ে নিন। ব্রাশের সাহায্যে এটি মুখে ও গলায় লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এর ব্যবহারে ত্বকের সজীবতা বাড়বে। ত্বক হবে মসৃণ ও সুন্দর।
সূত্র: বি বিউটিফুল, ফেমিনা
দুধে আলতা গায়ের বরণ রূপ যে কাঞ্চা সোনা
আঁচল দিয়া ঢাইকা রাইখো চোখ যেন পড়ে না...।
দুধে আলতা গায়ের রং পেতে ঠিক কী করতে হবে, তার সঠিক উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। ইতিহাসের পাতা ওল্টালে দেখা যায়, মিসরের রানি ক্লিওপেট্রা স্নান করতেন দুধ দিয়ে। জানা যায়, তিনি স্নানে গাধার দুধ, আমন্ড তেল ও মধু ব্যবহার করতেন। লাস্যময়ী এ নারী তাঁর ত্বক ও সৌন্দর্যের ব্যাপারে ছিলেন বেশ যত্নশীল। শুধু তা-ই নয়, ভারতীয় উপমহাদেশের রানিদের সৌন্দর্যচর্চার ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা মেলে দুধ, হলুদ ও চন্দনের।
যুগের পর যুগ ঘরোয়া রূপচর্চার অনন্য একটি উপাদান হলো দুধ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুধের ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন ক্লিনজার, টোনার, ফেসওয়াশ ও ক্রিমে।
ত্বকের সুস্থতায় দুধ
ব্রণ সারাতে
ধুলাবালি, ঘাম ও দূষণ থেকে ত্বকে ব্রণ জন্মে। ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে সাহায্য করে দুধ। দুধমিশ্রিত ফেসমাস্কের ব্যবহারে ত্বক হবে কোমল ও মসৃণ। হলুদের গুঁড়োর সঙ্গে কাঁচা দুধ মিশিয়ে নিন। এটি শুকানো পর্যন্ত ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। হলুদে থাকা অ্যান্ট্যি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণ দূর করতে সাহায্য করবে।
ত্বকের সতেজতায়
যাঁদের ত্বক খুব রুক্ষ ও শুষ্ক, তাঁরা ত্বকের যত্নে দুধ ব্যবহার করতে পারেন। দুধে থাকা বিভিন্ন উপাদান রুক্ষ ত্বককে সতেজ ও মসৃণ করে তুলবে। মুলতানি মাটির সঙ্গে কাঁচা দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক সতেজ ও উজ্জ্বল হবে।
এক্সফোলিয়েটর
ত্বকের মরা কোষ দূর করতে এক্সফোলিয়েশনের বিকল্প নেই। কাঁচা দুধে বিটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড আছে, যা এক্সফোলিয়েটিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এতে ত্বকের মরা কোষ দূর হয়ে যাবে, পোরসগুলো ক্রমেই ছোট হতে থাকবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। কাঠবাদাম সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খোসা ছাড়িয়ে বাদামগুলো ব্লেন্ড করে নিন। ব্লেন্ড করা বাদামের সঙ্গে কাঁচা দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। তারপর এটি ত্বকে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রেখে স্ক্র্যাব করতে করতে ধুয়ে ফেলুন।
কমাবে বয়সের ছাপ
দুধ ত্বকে দ্রুত বলিরেখা ও বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। দুধে থাকা ভিটামিন ডি ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। কাঁচা দুধের সঙ্গে লেবুর রস ও ১ চা-চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি ত্বকে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। অথবা কয়েক টুকরো পাকা পেঁপে ব্লেন্ড করে তার সঙ্গে পরিমাণমতো কাঁচা দুধ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ শুকানো পর্যন্ত ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন। বয়সের ছাপ ও বলিরেখা কমাতে কাঁচা দুধের সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ মিশিয়েও লাগাতে পারেন।
বাড়বে ত্বকের উজ্জ্বলতা
রোদে পোড়া কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে কাঁচা দুধ। দুধে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কাজ করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেসনের সঙ্গে দুধ ও লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি সপ্তাহে দুইবার ত্বকে লাগাতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকে এ পেস্ট ভালো কাজ করবে।
দুধের বিভিন্ন ব্যবহার
ক্লিনজার হিসেবে
ত্বক ভালো রাখতে দুধের ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন। ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহারের জন্য ৩ থেকে ৪ ফোঁটা কাঁচা দুধ নিন। দুধে তুলোর বল গড়িয়ে তা মুখে লাগান। এটি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে দুধের ক্লিনজার ত্বকের অপরিপক্বতা, পোরস দূর করে ত্বককে করে তুলবে লাবণ্যময়।
টোনার
কাঁচা দুধ সব ধরনের ত্বকে ব্যবহার করা যায়। এটি টোনার হিসেবে ভালো কাজ করে। ২ টেবিল চামচ কাঁচা দুধের সঙ্গে ৪ থেকে ৫ ফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে টোনার বানিয়ে নিন। টোনার ব্যবহারের আগে ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। এরপর তুলোর বলের সাহায্যে টোনার লাগিয়ে নিন। ভালো উপকার পেতে রাতে ঘুমানোর আগে এটি লাগিয়ে নিন। সকালে ধুয়ে ফেলুন।
দুধের তৈরি মাস্ক
রোদে পোড়া কালো দাগ দূর করতে দুধের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা টমেটোর রস মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করুন। এটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের কালচে ভাব দূর করে ত্বককে সুন্দর করতে সাহায্য করবে। সপ্তাহে তিনবার এই মাস্ক ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
অ্যান্টি-এজিং মাস্ক
যাঁরা চেহারা থেকে বয়সের ছাপ দূর করতে চান, তাঁরা দুধের সঙ্গে পরিমাণমতো দই মিশিয়ে নিন। ব্রাশের সাহায্যে এটি মুখে ও গলায় লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এর ব্যবহারে ত্বকের সজীবতা বাড়বে। ত্বক হবে মসৃণ ও সুন্দর।
সূত্র: বি বিউটিফুল, ফেমিনা
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
২ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
২ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
২ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
২ দিন আগে