নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাপানের একটি দ্বীপের নাম ওকিনাওয়া। যেখানে মানুষের গড় আয়ু পৃথিবীর অন্য যেকোনো স্থানের চেয়ে অনেক বেশি। প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে সেখানে ২৪ দশমিক ৫৫ জনের বয়স ১০০ বছরের বেশি। ভাবা যায়!
কেন সেখানে মানুষ এত দিন বাঁচে? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেন অনেকেই। কেউ কেউ মনে করেন, সেখানকার আবহাওয়ার কারণে মানুষ বেশি দিন বাঁচে। আবার কেউ কেউ মনে করেন, সেখানকার মানুষ এমন কোনো খাবার খান, যাতে আয়ু বাড়ে। হতে পারে সেটা চা বা ফলমূলজাতীয় খাবার কিংবা অন্য কিছু। কিন্তু কোনো কিছুতেই সিদ্ধান্তে আসা গেল না। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে শুরু হলো গবেষণা। শুধু জাপান নয়, সমগ্র পৃথিবীর বিখ্যাত গবেষকেরা ঝাঁপিয়ে পড়লেন গবেষণার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে।
অনেকের মতো জাপানের নাগরিক হ্যাক্টর গার্সিয়া আর স্পেনের ফ্রান্সেস্ক মিরালসও শুরু করলেন গবেষণা। এ জন্য তাঁরা ওকিনাওয়া দ্বীপে গিয়ে সেখানকার মানুষের সঙ্গে বসবাস শুরু করলেন। সেটা ২০১৯ সালের ঘটনা। পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হেক্টর গার্সিয়া এবং লেখক ফ্রান্সেস্ক মিরালস জাপানের ওকিনাওয়ায় তাঁদের সার্ভের কাজ শুরু করেন। ইকিগাই ধারণাটির সঙ্গে মানুষের দীর্ঘ জীবনের আদৌ কোনো সম্পর্ক আছে কি না, তাঁদের গবেষণা ও সার্ভের মূল বিষয় ছিল সেটিই। গবেষণার কাজ করতে গিয়ে তাঁরা ওকিনাওয়ায় একটি গ্রামের নাম দিলেন ‘দীর্ঘায়ুদের গ্রাম’। বলে রাখা ভালো, জাপানিজ শব্দ ‘ইকি’ অর্থ জীবন। তবে ইংরেজিতে ‘গাই’ বা ‘কাই’-এর অনেক অর্থ আছে। যেমন ইফেক্ট বা প্রভাব, ওর্থ বা মূল্য, ইউস বা ব্যবহার, বেনিফিট বা সুবিধা। যেভাবেই ইকিগাই শব্দটির অর্থ তৈরি করা হোক না কেন সেটা গিয়ে দাঁড়ায়, জীবনের মূল্য খোঁজার মধ্যে কিংবা বেঁচে থাকার অর্থ খোঁজার মধ্যে।
হ্যাক্টর গার্সিয়া ও ফ্রান্সেস্ক মিরালস লক্ষ করলেন, এই আয়ু বৃদ্ধির মূল বটিকা মানুষের জীবনাচরণ। ওকিনাওয়া দ্বীপের মানুষের
সেই জীবনাচরণই হলো ‘ইকিগাই’। দীর্ঘদিন বাঁচার জন্য তাঁরা ১০টি মূলমন্ত্র চিহ্নিত করেন। মানুষ যখন জীবন নিয়ে চাপ, উদ্বিগ্নতা কিংবা উদ্দশ্যহীনতায় ভোগে, তখন ইকিগাই তাকে সহায়তা করতে পারে। পড়ে দেখুন, আপনার আয়ুও বেড়ে যেতে পারে।
১০টি মূল সূত্র
১. সব সময় কোনো না কোনো কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকুন। অবসর কথাটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। তবে এই ব্যস্ততা অর্থ, ক্যারিয়ার কিংবা আধুনিক জীবনযাপনের ইঁদুর দৌড়ে ব্যস্ত থাকা নয়। নিজের জন্য ব্যস্ত থাকুন। পছন্দের বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকুন।
২. কোনো কিছু নিয়ে তাড়াহুড়ো করবেন না। জীবনের সবকিছুতে তাড়াহুড়ো করার কোনো দরকার নেই। এর বিরূপ প্রভাব রয়েছে।
৩. কখনো ভরপেট খাবেন না। খাবার সময় ৮০ শতাংশ খাবেন আর ২০ ভাগ পেট খালি রাখবেন। মনে রাখবেন, অধিক আহারে রোগ হয়।
৪. ভালো বন্ধুদের সাহচর্যে থাকুন, তাদের সঙ্গে সুন্দর আলাপচারিতা করুন বা আড্ডা দিন। অর্থাৎ মন খুলে কথা বলুন। দেখবেন আপনার দিনটি অন্য রকম হয়ে যাবে।
৫. নিয়মিত শরীর চর্চা করুন, যেন শরীরে রোগ বাসা বাঁধতে না পারে।
৬. প্রাণ খুলে হাসুন, মুখ গোমড়া করে থাকবেন না। মনে করুন আপনি বেঁচে আছেন, সেটাই সৌভাগ্যের।
৭. প্রতিদিনই কিছুটা সময় প্রকৃতির সঙ্গে কাটান। প্রকৃতির সান্নিধ্য উপভোগ করুন।
ধন্যবাদ দিতে শিখুন, হোক সেটা ছোট কাজ। ধন্যবাদ দিন সৃষ্টিকর্তাকে তিনি আপনার সামনে প্রকৃতি দিয়েছেন প্রাণভরে নিশ্বাস নেওয়ার জন্য।
৮. প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করুন। অতীত নিয়ে অনুশোচনা আর ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন।
৯.আপনার ভেতরে যে গুণাবলি আছে, সেই ইকিগাইকে খুঁজে বের করুন। তাকে অর্থপূর্ণ করে তুলতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন। যদি নিজের গুণাবলি না জানেন, তবে সেটা খুঁজে বের করতে এখনই লেগে পড়ুন।
১০. ইকিগাই ধারণাটি জানাতে চায়, ধীরে চলুন। নেতিবাচকতা, উদ্বিগ্নতা ঝেড়ে ফেলুন। জীবন উপলব্ধি করুন। খুঁজে পাবেন দীর্ঘ জীবন।
জাপানের একটি দ্বীপের নাম ওকিনাওয়া। যেখানে মানুষের গড় আয়ু পৃথিবীর অন্য যেকোনো স্থানের চেয়ে অনেক বেশি। প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে সেখানে ২৪ দশমিক ৫৫ জনের বয়স ১০০ বছরের বেশি। ভাবা যায়!
কেন সেখানে মানুষ এত দিন বাঁচে? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেন অনেকেই। কেউ কেউ মনে করেন, সেখানকার আবহাওয়ার কারণে মানুষ বেশি দিন বাঁচে। আবার কেউ কেউ মনে করেন, সেখানকার মানুষ এমন কোনো খাবার খান, যাতে আয়ু বাড়ে। হতে পারে সেটা চা বা ফলমূলজাতীয় খাবার কিংবা অন্য কিছু। কিন্তু কোনো কিছুতেই সিদ্ধান্তে আসা গেল না। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে শুরু হলো গবেষণা। শুধু জাপান নয়, সমগ্র পৃথিবীর বিখ্যাত গবেষকেরা ঝাঁপিয়ে পড়লেন গবেষণার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে।
অনেকের মতো জাপানের নাগরিক হ্যাক্টর গার্সিয়া আর স্পেনের ফ্রান্সেস্ক মিরালসও শুরু করলেন গবেষণা। এ জন্য তাঁরা ওকিনাওয়া দ্বীপে গিয়ে সেখানকার মানুষের সঙ্গে বসবাস শুরু করলেন। সেটা ২০১৯ সালের ঘটনা। পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হেক্টর গার্সিয়া এবং লেখক ফ্রান্সেস্ক মিরালস জাপানের ওকিনাওয়ায় তাঁদের সার্ভের কাজ শুরু করেন। ইকিগাই ধারণাটির সঙ্গে মানুষের দীর্ঘ জীবনের আদৌ কোনো সম্পর্ক আছে কি না, তাঁদের গবেষণা ও সার্ভের মূল বিষয় ছিল সেটিই। গবেষণার কাজ করতে গিয়ে তাঁরা ওকিনাওয়ায় একটি গ্রামের নাম দিলেন ‘দীর্ঘায়ুদের গ্রাম’। বলে রাখা ভালো, জাপানিজ শব্দ ‘ইকি’ অর্থ জীবন। তবে ইংরেজিতে ‘গাই’ বা ‘কাই’-এর অনেক অর্থ আছে। যেমন ইফেক্ট বা প্রভাব, ওর্থ বা মূল্য, ইউস বা ব্যবহার, বেনিফিট বা সুবিধা। যেভাবেই ইকিগাই শব্দটির অর্থ তৈরি করা হোক না কেন সেটা গিয়ে দাঁড়ায়, জীবনের মূল্য খোঁজার মধ্যে কিংবা বেঁচে থাকার অর্থ খোঁজার মধ্যে।
হ্যাক্টর গার্সিয়া ও ফ্রান্সেস্ক মিরালস লক্ষ করলেন, এই আয়ু বৃদ্ধির মূল বটিকা মানুষের জীবনাচরণ। ওকিনাওয়া দ্বীপের মানুষের
সেই জীবনাচরণই হলো ‘ইকিগাই’। দীর্ঘদিন বাঁচার জন্য তাঁরা ১০টি মূলমন্ত্র চিহ্নিত করেন। মানুষ যখন জীবন নিয়ে চাপ, উদ্বিগ্নতা কিংবা উদ্দশ্যহীনতায় ভোগে, তখন ইকিগাই তাকে সহায়তা করতে পারে। পড়ে দেখুন, আপনার আয়ুও বেড়ে যেতে পারে।
১০টি মূল সূত্র
১. সব সময় কোনো না কোনো কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকুন। অবসর কথাটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। তবে এই ব্যস্ততা অর্থ, ক্যারিয়ার কিংবা আধুনিক জীবনযাপনের ইঁদুর দৌড়ে ব্যস্ত থাকা নয়। নিজের জন্য ব্যস্ত থাকুন। পছন্দের বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকুন।
২. কোনো কিছু নিয়ে তাড়াহুড়ো করবেন না। জীবনের সবকিছুতে তাড়াহুড়ো করার কোনো দরকার নেই। এর বিরূপ প্রভাব রয়েছে।
৩. কখনো ভরপেট খাবেন না। খাবার সময় ৮০ শতাংশ খাবেন আর ২০ ভাগ পেট খালি রাখবেন। মনে রাখবেন, অধিক আহারে রোগ হয়।
৪. ভালো বন্ধুদের সাহচর্যে থাকুন, তাদের সঙ্গে সুন্দর আলাপচারিতা করুন বা আড্ডা দিন। অর্থাৎ মন খুলে কথা বলুন। দেখবেন আপনার দিনটি অন্য রকম হয়ে যাবে।
৫. নিয়মিত শরীর চর্চা করুন, যেন শরীরে রোগ বাসা বাঁধতে না পারে।
৬. প্রাণ খুলে হাসুন, মুখ গোমড়া করে থাকবেন না। মনে করুন আপনি বেঁচে আছেন, সেটাই সৌভাগ্যের।
৭. প্রতিদিনই কিছুটা সময় প্রকৃতির সঙ্গে কাটান। প্রকৃতির সান্নিধ্য উপভোগ করুন।
ধন্যবাদ দিতে শিখুন, হোক সেটা ছোট কাজ। ধন্যবাদ দিন সৃষ্টিকর্তাকে তিনি আপনার সামনে প্রকৃতি দিয়েছেন প্রাণভরে নিশ্বাস নেওয়ার জন্য।
৮. প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করুন। অতীত নিয়ে অনুশোচনা আর ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন।
৯.আপনার ভেতরে যে গুণাবলি আছে, সেই ইকিগাইকে খুঁজে বের করুন। তাকে অর্থপূর্ণ করে তুলতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন। যদি নিজের গুণাবলি না জানেন, তবে সেটা খুঁজে বের করতে এখনই লেগে পড়ুন।
১০. ইকিগাই ধারণাটি জানাতে চায়, ধীরে চলুন। নেতিবাচকতা, উদ্বিগ্নতা ঝেড়ে ফেলুন। জীবন উপলব্ধি করুন। খুঁজে পাবেন দীর্ঘ জীবন।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
২ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
২ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
২ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
২ দিন আগে