অলকানন্দা রায়, ঢাকা
শুরু হয়েছে ৭৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসব। উৎসবটি চলচ্চিত্রের হলেও তা ছাপিয়ে কান নিয়ে যে কানাকানি তা মূলত তারকাদের স্টাইল এবং ফ্যাশন। আর ফ্যাশন মানেই জমকালো চোখ ধাঁধানো সাজপোশাক, ভিন্নমাত্রার নকশা, গয়নার গল্প—যেন চোখ ফেরানো দায়। আর তাই এই উৎসবের প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে রেড কার্পেটে বাহারি লুক নিয়ে তারকাদের উপস্থিতি। এবারও হয়নি তার ব্যতিক্রম।
এই উৎসবের প্রথম দিন থেকেই অনন্য সাজে বিশ্বের জনপ্রিয় সব অভিনয়শিল্পীরা এখানে হাজির হয়েছেন এক এক করে।
এবার সেই দলে যোগ দিয়েছেন বলিউড তারকা দীপিকা পাড়ুকোন। যদিও এর আগে বেশ কয়েকবার নানা পণ্যের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে লাল গালিচা মাতিয়েছেন তিনি। তবে এবার বলিউড সুন্দরী কানে হাজির হয়েছেন জুরিবোর্ডের সদস্য হয়ে।
কানের অন্য বিচারকদের সঙ্গে হোটেল মার্টিনেজে ডিনার পার্টিতে অংশ নেন দীপিকা। এ সময় তাঁর পরনে ছিল লুই ভিতোর বর্ণিল পোশাক ও বাদামি রঙের হাইবুট। তবে দীপিকার সেদিনের সাজপোশাককে ছাপিয়ে গেছে চিরচেনা সেই টোলপড়া হাসি।
কান চলচ্চিত্র উৎসব সম্পর্কিত খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
অন্যদিকে মঙ্গলবার ১৭ মে সংবাদ সম্মেলন কক্ষে হাজির হয়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। তাঁর পরনে ছিল সিল্কের প্রিন্ট শার্ট। সবুজ ঢিলেঢালা প্যান্ট। কোমরে বাদামি বেল্ট। গলায় কুন্দন-মুক্তা ও পাথরের তৈরি ভারী নেকলেস। মাথায় সিল্কের ব্যান্ড।
রেড কার্পেট অনুষ্ঠানে ভারতীয় পোশাকশিল্পী সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের নকশা করা শাড়িতে রেট্রো লুকে ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন দীপিকা। কালো ও সোনালি রঙের ডোরাকাটা চুমকির নকশা করা শাড়িতে চমকে দিয়েছেন ফ্যাশন দুনিয়াকে। ব্রালেটের সঙ্গে সেই শাড়ির মেলবন্ধন নজর কেড়েছে। চড়া মেক আপ, মোটা করে টানা আইলাইনার, বান হেয়ার স্টাইল, সোনালি হেয়ার ব্যান্ড, কানে সব্যসাচীর নকশা করা ভারী দুল—যেন ষাটের দশকের নায়িকাদের কথা মনে করিয়ে দিলেন দীপিকা।
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন প্রতি বছর ফ্রেঞ্চ রিভেরায় নিজের রূপের দ্যুতি ছড়ানো অভিনেত্রী। কান চলচ্চিত্র উৎসবের নিয়মিত অতিথি তিনি। এবারও সে ধারায় অন্যথা হয়নি। উৎসবের দ্বিতীয় দিন টম ক্রুজের ছবি ‘টপ গান মারভিক’-এর প্রিমিয়ারে হাজির ছিলেন ঐশ্বর্য। পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই অভিনেত্রীর সাজপোশাক দেখে মুগ্ধ অনুরাগীরা। বিদেশি পোশাকশিল্পীর নকশা করা কালো স্লিট গাউনে সেজে উঠেছিলেন তিনি। সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল সেই গাউনে রঙিন থ্রিডি ফুলেল মোটিফের কারুকাজ। গাউনের স্লিট অংশে আর ডান কাঁধ জুড়ে রঙিন ফুলের সেই নকশা ঐশ্বরিয়ার পোশাকের সৌন্দর্য যেন আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে তুলেছিল। খোলা চুল, মায়াবী চোখের সাজ আর হালকা মেকআপেই সেজেছিলেন তিনি। তাঁর সাজপোশাক দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভক্তগণ।
দক্ষিণী ছবির পাশাপাশি এখন বলিউডেও নিজের পরিচিতি তৈরি করেছেন অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া। কান চলচ্চিত্র উৎসবের রেড কার্পেটে সাদা-কালো বল গাউনে ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন অভিনেত্রী। সেই পোশাকে একাধিক ফটোশ্যুটও করেছেন তিনি। আর সেসব ছবি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন ভক্তরা। নেট দুনিয়ায় এখন ভাইরাল সেই ছবি। খোলা চুল। চোখে চড়া মেকআপ। কানে হিরের দুল। এতটুকুতেই রীতিমতো নজর কেড়েছেন তামান্না।
পূজা হেগড়ে দ্বিতীয় দিন দেখা দিয়েছেন ছড়ানো পালকের ক্রিমরঙা গাউনে। অনেকে বলছেন, এই লুক নাকি দীপিকার বেঙ্গল টাইগার শাড়ি আর ঐশ্বরিয়ার গোলাপি প্যান্ট-স্যুট থেকে ঢের ভালো।
সিরিয়ার ফ্যাশন ডিজাইনার রামি আল আলীর নকশা করা ওয়াইনরঙা গাউনে হিনা খানকে পছন্দ করেছেন ভক্তরা। দ্বিতীয় দিনে হিনা খান পরেছেন টেকসই ফ্যাশন ব্র্যান্ড ফোভারির কালো গাউন। এর একটি অংশ বডি হাগিং মিড লেন্থের। সেখানে রয়েছে এমব্রয়ডারি করা কালো লেস। আর ছড়ানো ট্রেনগুলো অনেকটা পাখার মতো।
কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ফ্যাশন ব্লগার হিসেবে ফ্যাশনের ক্ষেত্রে সফল ভারতীয়দের ভেতর অন্যতম মাসুম মিনাওয়ালা। ইতিহাস সৃষ্টি করে এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছেন তিনি। সমুদ্রের পাশে হালকা ওশান ব্লু-রঙা মাসুমের পোশাক নজর কেড়েছে অনেকের। এমব্রয়ডারি করা লম্বা হাতার ব্লাউজের সঙ্গে পরেছেন একই রঙের স্কার্ট। পোশাকটি ডিজাইন করেছেন অমিত আগারওয়াল।
পরপর পাঁচবারের মতো ভারতীয় ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে কানের লালগালিচায় অংশ নিলেন দীপা খোসলা। সাদা পালকের ব্লাউজ, গয়না আর শাড়িতে দীপা খোসলা হয়ে উঠেছিলেন অনন্য। তাঁর শাড়িটি ডিজাইন করেছেন মনীশ মালহোত্রা। দীপার এই লুকের স্টাইলিস্টও তিনি।
গ্র্যামি আগেই জানান দিয়েছিল, ফ্যাশন স্টেটমেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে এ বছর গোলাপির বিকল্প নেই। কেননা, গোলাপি দুঃসময় পেরিয়ে নতুনভাবে জেগে ওঠার বার্তা দেয়। এই সময়ের সঙ্গে যেটি খুবই সামঞ্জস্যপূর্ণ। সেটিই আবার প্রমাণিত হলো কান চলচ্চিত্র উৎসবে। ফারহানা বদিও বেছে নিয়েছিলেন হট পিংক ছড়ানো গাউন। বিশাল এই গাউনটি বানিয়েছে দুবাইভিত্তিক ফ্যাশন ব্র্যান্ড অ্যাটলিয়ার জুহরা। এত গেল বলিউড তারকাদের কথা।
উৎসবে হলিউড তারকারাও ছিলেন সমান উজ্জ্বল। আমেরিকান অভিনেত্রী ব্লেক লাইভলি তামার গাউন পরে রেড কার্পেটে হাঁটেন, যা নিউইয়র্কের স্থাপত্য ইতিহাস এবং বিশেষত স্ট্যাচু অব লিবার্টিকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
ইংলিশ অভিনেত্রী জেমা চ্যান নিকোলাস ঘেসকুইয়েরের স্প্রিং ২০২২ লুই ভিত সংগ্রহ থেকে পড়েছিলেন একটি বঙ্কার গাউন।
ব্রিটিশ মডেল কেট মস পড়েছিলেন বারবেরির ক্ল্যাসিক ভেলভেট টাক্সেডো পোশাক। টম ফোর্ড পরিহিতা গ্ল্যামারাস জুলিয়ান মুরকে দেখে ভক্ত অনুরাগীরা মুগ্ধ হয়েছেন। মার্কিন অভিনেত্রী জুলিয়া রবার্টস পড়েছিলেন চোপার্ড-এর গয়না ও রেনে কাওভিলা স্যান্ডেলসহ একটি লুই ভিত স্যুট। অন্য আরেক মার্কিন এলি ফ্যানিং লাল গালিচায় হেঁটেছিলেন একটি রূপকথার ব্লাশ গোলাপি আরমানি প্রাইভ গাউন এবং চোপার্ড গয়না পরে। সঙ্গে ছিল গুচির হাত ব্যাগ।
এলি ফ্যানিং তাক লাগিয়েছেন মিষ্টি রঙের অফ শোল্ডার লম্বা গাউন পরে। পোশাকের ওপরের অংশে ছিল পাথরের কাজ। সোনালি খোলা চুলের একপাশ আটকেছিলেন মুক্তা ও সাদা পুঁতি বসানো ক্লিপ দিয়ে।
লরি হার্ভে এসেছিলেন একটি ক্যানারি-হলুদ স্ট্র্যাপলেস রাফলড আলেকজান্দ্রে ভাথিয়ের কউচার বল গাউনে। গলায় ও কানে পরেছিলেন ১৩০ ক্যারেটের হিরার গয়না।
পূর্ব-পশ্চিম ও ফিউশন ফ্যাশনের মিলেমিশে কান হয়ে উঠেছে এক রঙিন ভুবন।
শুরু হয়েছে ৭৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসব। উৎসবটি চলচ্চিত্রের হলেও তা ছাপিয়ে কান নিয়ে যে কানাকানি তা মূলত তারকাদের স্টাইল এবং ফ্যাশন। আর ফ্যাশন মানেই জমকালো চোখ ধাঁধানো সাজপোশাক, ভিন্নমাত্রার নকশা, গয়নার গল্প—যেন চোখ ফেরানো দায়। আর তাই এই উৎসবের প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে রেড কার্পেটে বাহারি লুক নিয়ে তারকাদের উপস্থিতি। এবারও হয়নি তার ব্যতিক্রম।
এই উৎসবের প্রথম দিন থেকেই অনন্য সাজে বিশ্বের জনপ্রিয় সব অভিনয়শিল্পীরা এখানে হাজির হয়েছেন এক এক করে।
এবার সেই দলে যোগ দিয়েছেন বলিউড তারকা দীপিকা পাড়ুকোন। যদিও এর আগে বেশ কয়েকবার নানা পণ্যের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে লাল গালিচা মাতিয়েছেন তিনি। তবে এবার বলিউড সুন্দরী কানে হাজির হয়েছেন জুরিবোর্ডের সদস্য হয়ে।
কানের অন্য বিচারকদের সঙ্গে হোটেল মার্টিনেজে ডিনার পার্টিতে অংশ নেন দীপিকা। এ সময় তাঁর পরনে ছিল লুই ভিতোর বর্ণিল পোশাক ও বাদামি রঙের হাইবুট। তবে দীপিকার সেদিনের সাজপোশাককে ছাপিয়ে গেছে চিরচেনা সেই টোলপড়া হাসি।
কান চলচ্চিত্র উৎসব সম্পর্কিত খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
অন্যদিকে মঙ্গলবার ১৭ মে সংবাদ সম্মেলন কক্ষে হাজির হয়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। তাঁর পরনে ছিল সিল্কের প্রিন্ট শার্ট। সবুজ ঢিলেঢালা প্যান্ট। কোমরে বাদামি বেল্ট। গলায় কুন্দন-মুক্তা ও পাথরের তৈরি ভারী নেকলেস। মাথায় সিল্কের ব্যান্ড।
রেড কার্পেট অনুষ্ঠানে ভারতীয় পোশাকশিল্পী সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের নকশা করা শাড়িতে রেট্রো লুকে ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন দীপিকা। কালো ও সোনালি রঙের ডোরাকাটা চুমকির নকশা করা শাড়িতে চমকে দিয়েছেন ফ্যাশন দুনিয়াকে। ব্রালেটের সঙ্গে সেই শাড়ির মেলবন্ধন নজর কেড়েছে। চড়া মেক আপ, মোটা করে টানা আইলাইনার, বান হেয়ার স্টাইল, সোনালি হেয়ার ব্যান্ড, কানে সব্যসাচীর নকশা করা ভারী দুল—যেন ষাটের দশকের নায়িকাদের কথা মনে করিয়ে দিলেন দীপিকা।
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন প্রতি বছর ফ্রেঞ্চ রিভেরায় নিজের রূপের দ্যুতি ছড়ানো অভিনেত্রী। কান চলচ্চিত্র উৎসবের নিয়মিত অতিথি তিনি। এবারও সে ধারায় অন্যথা হয়নি। উৎসবের দ্বিতীয় দিন টম ক্রুজের ছবি ‘টপ গান মারভিক’-এর প্রিমিয়ারে হাজির ছিলেন ঐশ্বর্য। পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই অভিনেত্রীর সাজপোশাক দেখে মুগ্ধ অনুরাগীরা। বিদেশি পোশাকশিল্পীর নকশা করা কালো স্লিট গাউনে সেজে উঠেছিলেন তিনি। সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল সেই গাউনে রঙিন থ্রিডি ফুলেল মোটিফের কারুকাজ। গাউনের স্লিট অংশে আর ডান কাঁধ জুড়ে রঙিন ফুলের সেই নকশা ঐশ্বরিয়ার পোশাকের সৌন্দর্য যেন আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে তুলেছিল। খোলা চুল, মায়াবী চোখের সাজ আর হালকা মেকআপেই সেজেছিলেন তিনি। তাঁর সাজপোশাক দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভক্তগণ।
দক্ষিণী ছবির পাশাপাশি এখন বলিউডেও নিজের পরিচিতি তৈরি করেছেন অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া। কান চলচ্চিত্র উৎসবের রেড কার্পেটে সাদা-কালো বল গাউনে ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন অভিনেত্রী। সেই পোশাকে একাধিক ফটোশ্যুটও করেছেন তিনি। আর সেসব ছবি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন ভক্তরা। নেট দুনিয়ায় এখন ভাইরাল সেই ছবি। খোলা চুল। চোখে চড়া মেকআপ। কানে হিরের দুল। এতটুকুতেই রীতিমতো নজর কেড়েছেন তামান্না।
পূজা হেগড়ে দ্বিতীয় দিন দেখা দিয়েছেন ছড়ানো পালকের ক্রিমরঙা গাউনে। অনেকে বলছেন, এই লুক নাকি দীপিকার বেঙ্গল টাইগার শাড়ি আর ঐশ্বরিয়ার গোলাপি প্যান্ট-স্যুট থেকে ঢের ভালো।
সিরিয়ার ফ্যাশন ডিজাইনার রামি আল আলীর নকশা করা ওয়াইনরঙা গাউনে হিনা খানকে পছন্দ করেছেন ভক্তরা। দ্বিতীয় দিনে হিনা খান পরেছেন টেকসই ফ্যাশন ব্র্যান্ড ফোভারির কালো গাউন। এর একটি অংশ বডি হাগিং মিড লেন্থের। সেখানে রয়েছে এমব্রয়ডারি করা কালো লেস। আর ছড়ানো ট্রেনগুলো অনেকটা পাখার মতো।
কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ফ্যাশন ব্লগার হিসেবে ফ্যাশনের ক্ষেত্রে সফল ভারতীয়দের ভেতর অন্যতম মাসুম মিনাওয়ালা। ইতিহাস সৃষ্টি করে এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছেন তিনি। সমুদ্রের পাশে হালকা ওশান ব্লু-রঙা মাসুমের পোশাক নজর কেড়েছে অনেকের। এমব্রয়ডারি করা লম্বা হাতার ব্লাউজের সঙ্গে পরেছেন একই রঙের স্কার্ট। পোশাকটি ডিজাইন করেছেন অমিত আগারওয়াল।
পরপর পাঁচবারের মতো ভারতীয় ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে কানের লালগালিচায় অংশ নিলেন দীপা খোসলা। সাদা পালকের ব্লাউজ, গয়না আর শাড়িতে দীপা খোসলা হয়ে উঠেছিলেন অনন্য। তাঁর শাড়িটি ডিজাইন করেছেন মনীশ মালহোত্রা। দীপার এই লুকের স্টাইলিস্টও তিনি।
গ্র্যামি আগেই জানান দিয়েছিল, ফ্যাশন স্টেটমেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে এ বছর গোলাপির বিকল্প নেই। কেননা, গোলাপি দুঃসময় পেরিয়ে নতুনভাবে জেগে ওঠার বার্তা দেয়। এই সময়ের সঙ্গে যেটি খুবই সামঞ্জস্যপূর্ণ। সেটিই আবার প্রমাণিত হলো কান চলচ্চিত্র উৎসবে। ফারহানা বদিও বেছে নিয়েছিলেন হট পিংক ছড়ানো গাউন। বিশাল এই গাউনটি বানিয়েছে দুবাইভিত্তিক ফ্যাশন ব্র্যান্ড অ্যাটলিয়ার জুহরা। এত গেল বলিউড তারকাদের কথা।
উৎসবে হলিউড তারকারাও ছিলেন সমান উজ্জ্বল। আমেরিকান অভিনেত্রী ব্লেক লাইভলি তামার গাউন পরে রেড কার্পেটে হাঁটেন, যা নিউইয়র্কের স্থাপত্য ইতিহাস এবং বিশেষত স্ট্যাচু অব লিবার্টিকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
ইংলিশ অভিনেত্রী জেমা চ্যান নিকোলাস ঘেসকুইয়েরের স্প্রিং ২০২২ লুই ভিত সংগ্রহ থেকে পড়েছিলেন একটি বঙ্কার গাউন।
ব্রিটিশ মডেল কেট মস পড়েছিলেন বারবেরির ক্ল্যাসিক ভেলভেট টাক্সেডো পোশাক। টম ফোর্ড পরিহিতা গ্ল্যামারাস জুলিয়ান মুরকে দেখে ভক্ত অনুরাগীরা মুগ্ধ হয়েছেন। মার্কিন অভিনেত্রী জুলিয়া রবার্টস পড়েছিলেন চোপার্ড-এর গয়না ও রেনে কাওভিলা স্যান্ডেলসহ একটি লুই ভিত স্যুট। অন্য আরেক মার্কিন এলি ফ্যানিং লাল গালিচায় হেঁটেছিলেন একটি রূপকথার ব্লাশ গোলাপি আরমানি প্রাইভ গাউন এবং চোপার্ড গয়না পরে। সঙ্গে ছিল গুচির হাত ব্যাগ।
এলি ফ্যানিং তাক লাগিয়েছেন মিষ্টি রঙের অফ শোল্ডার লম্বা গাউন পরে। পোশাকের ওপরের অংশে ছিল পাথরের কাজ। সোনালি খোলা চুলের একপাশ আটকেছিলেন মুক্তা ও সাদা পুঁতি বসানো ক্লিপ দিয়ে।
লরি হার্ভে এসেছিলেন একটি ক্যানারি-হলুদ স্ট্র্যাপলেস রাফলড আলেকজান্দ্রে ভাথিয়ের কউচার বল গাউনে। গলায় ও কানে পরেছিলেন ১৩০ ক্যারেটের হিরার গয়না।
পূর্ব-পশ্চিম ও ফিউশন ফ্যাশনের মিলেমিশে কান হয়ে উঠেছে এক রঙিন ভুবন।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে