সানজিদা সামরিন, ঢাকা
রোজ ভোরে ঘুম থেকে উঠে লেবু ও মধু মেশানো পানি পান করেই কি ইয়োগা ম্যাটের ওপর দাঁড়িয়ে যান? প্রাণায়াম, সূর্য নমস্কারসহ একে একে প্রয়োজনীয় যোগাসন শেষ করে তবেই দিনের কাজ শুরু হয় আপনার। তাই তো? তাহলে বলছি, যোগব্যায়ামের জন্য একটা ঘর আলাদা করে ফেলুন। সম্ভব না হলে যে ঘরে যোগব্যায়াম করছেন, সেই ঘরটার একটা অংশকে পাকাপাকিভাবে ব্যায়ামের জন্য সাজিয়ে-গুছিয়ে নিন। যোগব্যায়াম তো কেবল শরীরচর্চাই নয়, বরং মন ও মস্তিষ্ককেও পুনরুজ্জীবিত করে তোলে। তাই প্রশান্তির দিকটাও ভাবতে হবে। ডিপ ক্লিনিংয়ের পর ঘরকে যেভাবে যোগব্যায়ামের উপযোগী স্থান করে তোলা যায়, তা নিয়েই কথা হচ্ছে এখন—
দেয়ালে থাকুক শান্তির রং
যোগব্যায়াম আমাদের মনেও প্রশান্তি এনে দেয়। তাই যে ঘরে যোগব্যায়াম করবেন, সেই ঘর যেন শান্তিপূর্ণ হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। ঘরের দেয়ালে যেন কোনো উত্তেজক রং না থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে। আকাশি, সি ব্লু বা নীলের অন্য যেকোনো গাঢ় শেড দেওয়া যেতে পারে ঘরের বড় একটি দেয়ালে। বাকি দেয়ালে ধূসর, অফ হোয়াইট বা সাদা রং করা যেতে পারে। এতে করে ভোরে সূর্যের আলো সাদা দেয়ালগুলোয় প্রতিফলিত হয়ে পুরো ঘরে একটা শান্তির আবহ সৃষ্টি করবে। মনেও শান্তি বিরাজ করবে।ইয়োগা ম্যাটে ভিন্নতা
দীর্ঘদিন ধরে একই রঙের ইয়োগা ম্যাট ব্যবহার করছেন? বিভিন্ন ধরনের স্ট্রেচ করার জন্য ইয়োগা ম্যাট বেশ সহায়ক ভূমিকা রাখে। কিন্তু ইয়োগা ম্যাটের রংও অনেক সময় ব্যায়াম করায় উদ্যম ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। তাই সম্ভব হলে কয়েকটি রঙের ও নকশার ইয়োগা ম্যাট রাখুন। একেক দিন একেকটি ম্যাটে যোগব্যায়াম করুন। নরম আলোয় ভরে থাক ঘর
খেয়াল করলে দেখবেন, বেশির ভাগ ইয়োগা স্টুডিও একটু ডার্ক শেডের হয়। এর কারণ বেশি উজ্জ্বল রং বা চড়া রং আমাদের মস্তিষ্ক উত্তেজিত করে। অন্যদিকে একটু গাঢ় শীতল রংগুলো মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখে। তাই যে ঘরে যোগব্যায়াম করা হয়, সেই ঘরের আলো যত নরম হবে ততই ভালো। এলইডি হোয়াইট লাইটের পরিবর্তে ওয়ার্ম লাইট ব্যবহার করতে পারেন। ডেকোরেটিভ ল্যাম্পও থাকতে পারে। দেয়ালে ঢেউয়ের নকশায় ঝুলিয়ে দিতে পারেন উষ্ণ ফেইরি লাইট। চাইলে নিচু একটি টেবিলে সুগন্ধি মোম রাখতে পারেন। মোমের মৃদু আলো ও সুগন্ধ মুড লিফটিংয়ে খুব ভালো কাজ করে।
সবুজের উপস্থিতি
বাড়িতে ইয়োগা স্টুডিও বা যোগব্যায়াম করার আলাদা ঘর করতে চাইলে সেখানে রাখুন ইনডোর প্ল্যান্ট। এতে করে ঘরে একটা প্রাকৃতিক আবহ তৈরি হবে। পাশাপাশি সবুজ রং চোখে আরাম দেয় এবং মস্তিষ্ক শান্ত রাখতে সহায়তা করে। চেষ্টা করুন সাদা রঙের পটে সবুজ রঙের ইনডোর প্ল্যান্ট রাখতে। ইনডোর প্ল্যান্টের পাতায় যেন কোনো প্রকার ধুলোবালু না জমে, সেদিকেও খেয়াল রাখা চাই। সুগন্ধি
ইয়োগা রুমে মিষ্টি গন্ধের কয়েক ধরনের ধূপকাঠি রাখুন। পদ্ম ফুলের আকৃতির ধূপদানিও রাখতে পারেন। হালকা মিষ্টি সুগন্ধ গোটা ঘরকে শান্তিময় করে তুলবে। দিনের একটা সময় এই ঘরের দরজা-জানালা খুলে দিন। এতে করে ঘরটা ফ্রেশ থাকবে।
আয়না
ইয়োগা রুমের একটি দেয়ালে প্লেইন শেপের ফ্রেমের আয়না রাখুন। এতে করে যোগব্যায়ামের পোজগুলো একবার করে আয়নায় নিরীক্ষা করে নেওয়া যায়। এতে ব্যায়াম করায় মনোযোগ বাড়ে এবং সঠিক নিয়মে ব্যায়াম করা যায়।
আই পিলো ও অ্যাসেনশিয়াল অয়েল
যোগব্যায়াম শেষ তো করবেন শবাসন দিয়েই। তাই এই আসনকে আরেকটু আরামদায়ক করার জন্য চোখের ওপর রাখতে আই পিলো কিনে নিতে পারেন বা হাতেই বানিয়ে নিতে পারেন। আই পিলোতে ছড়িয়ে নিতে পারেন কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অ্যাসেনশিয়াল অয়েল। ক্লান্তি দূর হয়ে একেবারে ঝরঝরে হয়ে উঠবেন আপনি।
সূত্র: দ্য ইয়োগাটিক, ইয়োগাডাইজেস্ট ও অন্যান্য
রোজ ভোরে ঘুম থেকে উঠে লেবু ও মধু মেশানো পানি পান করেই কি ইয়োগা ম্যাটের ওপর দাঁড়িয়ে যান? প্রাণায়াম, সূর্য নমস্কারসহ একে একে প্রয়োজনীয় যোগাসন শেষ করে তবেই দিনের কাজ শুরু হয় আপনার। তাই তো? তাহলে বলছি, যোগব্যায়ামের জন্য একটা ঘর আলাদা করে ফেলুন। সম্ভব না হলে যে ঘরে যোগব্যায়াম করছেন, সেই ঘরটার একটা অংশকে পাকাপাকিভাবে ব্যায়ামের জন্য সাজিয়ে-গুছিয়ে নিন। যোগব্যায়াম তো কেবল শরীরচর্চাই নয়, বরং মন ও মস্তিষ্ককেও পুনরুজ্জীবিত করে তোলে। তাই প্রশান্তির দিকটাও ভাবতে হবে। ডিপ ক্লিনিংয়ের পর ঘরকে যেভাবে যোগব্যায়ামের উপযোগী স্থান করে তোলা যায়, তা নিয়েই কথা হচ্ছে এখন—
দেয়ালে থাকুক শান্তির রং
যোগব্যায়াম আমাদের মনেও প্রশান্তি এনে দেয়। তাই যে ঘরে যোগব্যায়াম করবেন, সেই ঘর যেন শান্তিপূর্ণ হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। ঘরের দেয়ালে যেন কোনো উত্তেজক রং না থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে। আকাশি, সি ব্লু বা নীলের অন্য যেকোনো গাঢ় শেড দেওয়া যেতে পারে ঘরের বড় একটি দেয়ালে। বাকি দেয়ালে ধূসর, অফ হোয়াইট বা সাদা রং করা যেতে পারে। এতে করে ভোরে সূর্যের আলো সাদা দেয়ালগুলোয় প্রতিফলিত হয়ে পুরো ঘরে একটা শান্তির আবহ সৃষ্টি করবে। মনেও শান্তি বিরাজ করবে।ইয়োগা ম্যাটে ভিন্নতা
দীর্ঘদিন ধরে একই রঙের ইয়োগা ম্যাট ব্যবহার করছেন? বিভিন্ন ধরনের স্ট্রেচ করার জন্য ইয়োগা ম্যাট বেশ সহায়ক ভূমিকা রাখে। কিন্তু ইয়োগা ম্যাটের রংও অনেক সময় ব্যায়াম করায় উদ্যম ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। তাই সম্ভব হলে কয়েকটি রঙের ও নকশার ইয়োগা ম্যাট রাখুন। একেক দিন একেকটি ম্যাটে যোগব্যায়াম করুন। নরম আলোয় ভরে থাক ঘর
খেয়াল করলে দেখবেন, বেশির ভাগ ইয়োগা স্টুডিও একটু ডার্ক শেডের হয়। এর কারণ বেশি উজ্জ্বল রং বা চড়া রং আমাদের মস্তিষ্ক উত্তেজিত করে। অন্যদিকে একটু গাঢ় শীতল রংগুলো মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখে। তাই যে ঘরে যোগব্যায়াম করা হয়, সেই ঘরের আলো যত নরম হবে ততই ভালো। এলইডি হোয়াইট লাইটের পরিবর্তে ওয়ার্ম লাইট ব্যবহার করতে পারেন। ডেকোরেটিভ ল্যাম্পও থাকতে পারে। দেয়ালে ঢেউয়ের নকশায় ঝুলিয়ে দিতে পারেন উষ্ণ ফেইরি লাইট। চাইলে নিচু একটি টেবিলে সুগন্ধি মোম রাখতে পারেন। মোমের মৃদু আলো ও সুগন্ধ মুড লিফটিংয়ে খুব ভালো কাজ করে।
সবুজের উপস্থিতি
বাড়িতে ইয়োগা স্টুডিও বা যোগব্যায়াম করার আলাদা ঘর করতে চাইলে সেখানে রাখুন ইনডোর প্ল্যান্ট। এতে করে ঘরে একটা প্রাকৃতিক আবহ তৈরি হবে। পাশাপাশি সবুজ রং চোখে আরাম দেয় এবং মস্তিষ্ক শান্ত রাখতে সহায়তা করে। চেষ্টা করুন সাদা রঙের পটে সবুজ রঙের ইনডোর প্ল্যান্ট রাখতে। ইনডোর প্ল্যান্টের পাতায় যেন কোনো প্রকার ধুলোবালু না জমে, সেদিকেও খেয়াল রাখা চাই। সুগন্ধি
ইয়োগা রুমে মিষ্টি গন্ধের কয়েক ধরনের ধূপকাঠি রাখুন। পদ্ম ফুলের আকৃতির ধূপদানিও রাখতে পারেন। হালকা মিষ্টি সুগন্ধ গোটা ঘরকে শান্তিময় করে তুলবে। দিনের একটা সময় এই ঘরের দরজা-জানালা খুলে দিন। এতে করে ঘরটা ফ্রেশ থাকবে।
আয়না
ইয়োগা রুমের একটি দেয়ালে প্লেইন শেপের ফ্রেমের আয়না রাখুন। এতে করে যোগব্যায়ামের পোজগুলো একবার করে আয়নায় নিরীক্ষা করে নেওয়া যায়। এতে ব্যায়াম করায় মনোযোগ বাড়ে এবং সঠিক নিয়মে ব্যায়াম করা যায়।
আই পিলো ও অ্যাসেনশিয়াল অয়েল
যোগব্যায়াম শেষ তো করবেন শবাসন দিয়েই। তাই এই আসনকে আরেকটু আরামদায়ক করার জন্য চোখের ওপর রাখতে আই পিলো কিনে নিতে পারেন বা হাতেই বানিয়ে নিতে পারেন। আই পিলোতে ছড়িয়ে নিতে পারেন কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অ্যাসেনশিয়াল অয়েল। ক্লান্তি দূর হয়ে একেবারে ঝরঝরে হয়ে উঠবেন আপনি।
সূত্র: দ্য ইয়োগাটিক, ইয়োগাডাইজেস্ট ও অন্যান্য
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে