অনলাইন ডেস্ক
শিশুদের আদর–স্নেহ করা মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। তবে স্নেহের আতিশয্যে অনেকে বাড়াবাড়িও করে ফেলেন। শিশুকে দেখলে দৌড়ে গিয়ে কোলে নেওয়া বা চুমু দেওয়া পর্যন্ত হয়তো স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া ধরা যেতে পারে। কিন্তু অনেকে স্নেহ প্রকাশে বেশ আগ্রাসী ভাব দেখান। যেমন— শক্ত করে চেপে ধরা বা চিমটি কাটা।
শুধু মানবশিশু নয়, যে কোনো ছোট প্রাণীর প্রতিই মানুষের এমন আচরণ লক্ষ্য করা হয়। সৌন্দর্যের প্রতি চিরায়ত আকর্ষণের কারণেই মানুষের মধ্যে এ প্রবণতা দেখা যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েকটি শারীরিক বৈশিষ্ট্যকে মানুষ সৌন্দর্যের নির্ধারক বলে মনে করে। প্রাণী আচরণবিদ কোনরাড লরেঞ্জ ১৯৪৩ সালে সৌন্দর্যের এ ধারণাকে ‘কাইন্ডশেনস্কিমা’ বা ‘বেবি স্কিমা’ বলে আখ্যায়িত করেন।
এ বৈশিষ্ট্যগুলো হলো— গোলগাল কপোল, বড় চোখ, উঁচু কপাল, ছোট চিবুক আর ছোট নাক। এ ধরনের শারীরিক বৈশিষ্ট্যগুলো থাকলে কোনো সুন্দর প্রাণীর দিকে তাকালে আমাদের হৃদয় উষ্ণ হয়, ভালোবাসা ও আনন্দের মতো অনুভূতি হয়।
কোনো প্রাণীর মধ্যে এই ‘বেবি স্কিমা’ বৈশিষ্ট্যগুলো থাকলে মানুষের মধ্যে ওই প্রাণীর কাছাকাছি যাওয়ার বা মানবশিশুর সঙ্গে মা যেমন আচরণ করেন তেমন আচরণ করার প্রবণতা দেখা দেয়। এর কারণে মানুষ কুকুর বিড়াল পুষতে ভালোবাসে। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে, সৌন্দর্য কীভাবে ও কেন আমাদের ওপর এত প্রভাব ফেলে। সৌন্দর্যের প্রতি মানুষের মুগ্ধতার প্রধান দুটি কারণের কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা—
১. সৌন্দর্য আবেগের সৃষ্টি করে
২০১৯ সালে প্রকাশিত এক গবেষণা অনুসারে, ‘বেবি স্কিমা’ আমাদের মধ্যে একধরনের আবেগীয় প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। একে বলে ‘কামা মুতা’। সংস্কৃত এ শব্দটিতে বোঝায়— ভালোবাসা এবং উষ্ণতা, স্মৃতিকাতরতা এমনকি দেশাত্মবোধ অনুভব করা। গবেষকেরা বলছেন, ‘কামা মুতা’ প্রতিক্রিয়া বিশেষত ঘটে যখন কোনো ‘সুন্দর প্রাণী’ স্নেহের উদ্রেক করে।
গবেষণা আরও বলছে, সুন্দর কোনো বস্তুর দিকে তাকালে আমাদের মধ্যে জটিল এবং প্রায়ই পরস্পর–বিরোধী আবেগের সৃষ্টি হয়। গবেষকেরা বলছেন, আমরা অতিরিক্ত সুন্দর কিছু দেখলে ‘দ্বিরূপ অভিব্যক্তি’ প্রকাশ করি। অর্থাৎ কোনো ইতিবাচক আবেগের প্রতি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখানো। যেমন—আনন্দে কান্না করতে চাওয়া বা চিৎকার করতে চাওয়া।
সুন্দর বস্তুগুলো আমাদের মধ্যে তীব্র ইতিবাচক আবেগের সৃষ্টি করে। এর কারণে নেতিবাচক কোনো অনুভূতি ছাড়াই কখনো কখনো আমরা নিয়ন্ত্রণহীন বা অস্থিরতা অনুভব করতে পারি।
২. সৌন্দর্য তীব্র আচরণগত প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে
২০১২ সালের এক গবেষণায় ‘কাওয়াই’–এর প্রভাব তুলে ধরা হয়। জাপানি শব্দ কাওয়াই মানে হলো ‘সুন্দর’। এ গবেষণা অনুসারে, কুকুর ছানা ও বিড়াল ছানার মতো কোনো প্রাণীর ছানার সুন্দর ছবি দেখলে গভীর মনযোগ প্রয়োজন এমন কাজে কর্মদক্ষতা বাড়ে।
সহজ কথায় বলতে গেলে, সুন্দর কিছু দেখলে মানুষের মধ্যে ইতিবাচক আবেগ ও দৃঢ় মনযোগের তৈরি হয়। এর পরে আমরা সতর্কতার সঙ্গে কাজ করি, যৌক্তিক ও সূক্ষ্ম চিন্তা করি এবং প্রয়োজনের সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।
দ্বিতীয় আচরণগত প্রভাবটি হলো, অনেকের মধ্যে সৌন্দর্যের প্রতি আগ্রাসী মনোভাব দেখা দিতে পারে। এর কারণে মানুষ প্রকৃতপক্ষেই সুন্দর জিনিসের ক্ষতি করতে না চাইলেও এটি অতি মাত্রায় ইতিবাচক অনুভূতির তৈরি করে। এ অনুভূতিগুলো প্রায়ই মানুষের শারীরিক প্রতিক্রিয়াতে প্রকাশ পায়। প্রতিক্রিয়াগুলো হতে পারে— দাঁতে দাঁত ঘষা, উচ্চস্বরে কথা বলা এবং সুন্দর বস্তু বা প্রাণীকে চেপে ধরা, কামড় দেওয়া বা চিমটি দেওয়ার মতো ইচ্ছা তৈরি হওয়া।
২০১৫ সালে গবেষণা প্রতিবেদনে যেসব গবেষক ‘সুন্দরের প্রতি আগ্রাসী মনোভাব’ ধারণাটি এনেছেন তাঁরা এ ধরনের প্রতিক্রিয়ার জন্য স্নায়বিক ভিত্তির খোঁজ পেয়েছেন। গবেষকেরা বলছেন, তীব্র উত্তেজনা ও আনন্দের প্রকাশ এবং অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতিই হলো এমন আগ্রাসী মনোভাব।
২০১৮ সালের এক গবেষণা অনুসারে, সৌন্দর্যের প্রতি আগ্রাসী মনোভাব আমাদের আরও বেশি যত্নবান হতে উৎসাহী করে। এর কারণে নিজের খেয়াল রাখতে পারে না এমন প্রাণীর (মানবশিশু বা প্রাণীর ছানা) প্রতি আরও যত্নশীল হয়ে উঠি। সৌন্দর্যের উপলব্ধি মানুষের মধ্যে নিরাপদে রাখার, যত্ন নেওয়ার ও কাছাকাছি থাকার প্রবৃত্তি তৈরি করে। এ প্রতিক্রিয়া আমাদের জীবতত্ত্বের গভীরে শেকড় গেড়ে আছে। যেমন— মা–বাবারা সন্তানদের প্রতি গভীর ইতিবাচক আবেগ অনুভব করেন। এর কারণে মা–বাবারা সন্তানের টিকে থাকা ও সুস্থতা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকেন।
অন্যান্য গবেষণায় বলা হচ্ছে, আমাদের কার্যক্রমে সৌন্দর্যের প্রভাব দেখা যায়। একটি সুন্দর ইন্টারফেস (কৃত্রিম মানুষ বা প্রাণী) আমাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে জড়িত হওয়ার ইচ্ছা তৈরি করতে পারে। আবার সৌন্দর্যের প্রভাব অসংযত কেনাকাটার মতো প্রবণতা তৈরি করতে পারে। এমনকি স্বাদ যাচাই না করেই শুধু সুন্দর দেখতে খাবার কেনার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়।
সুবিধা–বঞ্চিত শিশুদের দুঃখী মুখের ছবির চেয়ে হাসি মুখের ছবি বেশি সুন্দর লাগে বলে ২০২১ সালের এক গবেষণায় উঠে এসেছে। এ কারণে মানুষের মনে আরও বেশি সহমর্মিতা তৈরি করে দাতব্য কাজে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা তৈরি হয়।
সৌন্দর্যের প্রতি মানুষের প্রতিক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ বিবর্তনের অংশ, যার ফলে মানুষ প্রজাতি এখনো টিকে রয়েছে। সৌন্দর্য মানুষের মধ্যে আবেগের সঞ্চার করে, যা আচরণ নিয়ন্ত্রিত করে।
কখনো কখনো সৌন্দর্য নিয়ন্ত্রণহীন আচরণের উদ্রেক করলেও তা মূলত মানুষের সচেতনতা, মনযোগ ও ভালোবাসার অনুভূতি তৈরি করে। দৃশ্যত মনে হয়, যেন সুন্দর জিনিসকে ভালোবাসা ও রক্ষা করাই মানুষের প্রকৃতি, এই প্রবণতা সর্বজনীন।
শিশুদের আদর–স্নেহ করা মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। তবে স্নেহের আতিশয্যে অনেকে বাড়াবাড়িও করে ফেলেন। শিশুকে দেখলে দৌড়ে গিয়ে কোলে নেওয়া বা চুমু দেওয়া পর্যন্ত হয়তো স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া ধরা যেতে পারে। কিন্তু অনেকে স্নেহ প্রকাশে বেশ আগ্রাসী ভাব দেখান। যেমন— শক্ত করে চেপে ধরা বা চিমটি কাটা।
শুধু মানবশিশু নয়, যে কোনো ছোট প্রাণীর প্রতিই মানুষের এমন আচরণ লক্ষ্য করা হয়। সৌন্দর্যের প্রতি চিরায়ত আকর্ষণের কারণেই মানুষের মধ্যে এ প্রবণতা দেখা যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েকটি শারীরিক বৈশিষ্ট্যকে মানুষ সৌন্দর্যের নির্ধারক বলে মনে করে। প্রাণী আচরণবিদ কোনরাড লরেঞ্জ ১৯৪৩ সালে সৌন্দর্যের এ ধারণাকে ‘কাইন্ডশেনস্কিমা’ বা ‘বেবি স্কিমা’ বলে আখ্যায়িত করেন।
এ বৈশিষ্ট্যগুলো হলো— গোলগাল কপোল, বড় চোখ, উঁচু কপাল, ছোট চিবুক আর ছোট নাক। এ ধরনের শারীরিক বৈশিষ্ট্যগুলো থাকলে কোনো সুন্দর প্রাণীর দিকে তাকালে আমাদের হৃদয় উষ্ণ হয়, ভালোবাসা ও আনন্দের মতো অনুভূতি হয়।
কোনো প্রাণীর মধ্যে এই ‘বেবি স্কিমা’ বৈশিষ্ট্যগুলো থাকলে মানুষের মধ্যে ওই প্রাণীর কাছাকাছি যাওয়ার বা মানবশিশুর সঙ্গে মা যেমন আচরণ করেন তেমন আচরণ করার প্রবণতা দেখা দেয়। এর কারণে মানুষ কুকুর বিড়াল পুষতে ভালোবাসে। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে, সৌন্দর্য কীভাবে ও কেন আমাদের ওপর এত প্রভাব ফেলে। সৌন্দর্যের প্রতি মানুষের মুগ্ধতার প্রধান দুটি কারণের কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা—
১. সৌন্দর্য আবেগের সৃষ্টি করে
২০১৯ সালে প্রকাশিত এক গবেষণা অনুসারে, ‘বেবি স্কিমা’ আমাদের মধ্যে একধরনের আবেগীয় প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। একে বলে ‘কামা মুতা’। সংস্কৃত এ শব্দটিতে বোঝায়— ভালোবাসা এবং উষ্ণতা, স্মৃতিকাতরতা এমনকি দেশাত্মবোধ অনুভব করা। গবেষকেরা বলছেন, ‘কামা মুতা’ প্রতিক্রিয়া বিশেষত ঘটে যখন কোনো ‘সুন্দর প্রাণী’ স্নেহের উদ্রেক করে।
গবেষণা আরও বলছে, সুন্দর কোনো বস্তুর দিকে তাকালে আমাদের মধ্যে জটিল এবং প্রায়ই পরস্পর–বিরোধী আবেগের সৃষ্টি হয়। গবেষকেরা বলছেন, আমরা অতিরিক্ত সুন্দর কিছু দেখলে ‘দ্বিরূপ অভিব্যক্তি’ প্রকাশ করি। অর্থাৎ কোনো ইতিবাচক আবেগের প্রতি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখানো। যেমন—আনন্দে কান্না করতে চাওয়া বা চিৎকার করতে চাওয়া।
সুন্দর বস্তুগুলো আমাদের মধ্যে তীব্র ইতিবাচক আবেগের সৃষ্টি করে। এর কারণে নেতিবাচক কোনো অনুভূতি ছাড়াই কখনো কখনো আমরা নিয়ন্ত্রণহীন বা অস্থিরতা অনুভব করতে পারি।
২. সৌন্দর্য তীব্র আচরণগত প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে
২০১২ সালের এক গবেষণায় ‘কাওয়াই’–এর প্রভাব তুলে ধরা হয়। জাপানি শব্দ কাওয়াই মানে হলো ‘সুন্দর’। এ গবেষণা অনুসারে, কুকুর ছানা ও বিড়াল ছানার মতো কোনো প্রাণীর ছানার সুন্দর ছবি দেখলে গভীর মনযোগ প্রয়োজন এমন কাজে কর্মদক্ষতা বাড়ে।
সহজ কথায় বলতে গেলে, সুন্দর কিছু দেখলে মানুষের মধ্যে ইতিবাচক আবেগ ও দৃঢ় মনযোগের তৈরি হয়। এর পরে আমরা সতর্কতার সঙ্গে কাজ করি, যৌক্তিক ও সূক্ষ্ম চিন্তা করি এবং প্রয়োজনের সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।
দ্বিতীয় আচরণগত প্রভাবটি হলো, অনেকের মধ্যে সৌন্দর্যের প্রতি আগ্রাসী মনোভাব দেখা দিতে পারে। এর কারণে মানুষ প্রকৃতপক্ষেই সুন্দর জিনিসের ক্ষতি করতে না চাইলেও এটি অতি মাত্রায় ইতিবাচক অনুভূতির তৈরি করে। এ অনুভূতিগুলো প্রায়ই মানুষের শারীরিক প্রতিক্রিয়াতে প্রকাশ পায়। প্রতিক্রিয়াগুলো হতে পারে— দাঁতে দাঁত ঘষা, উচ্চস্বরে কথা বলা এবং সুন্দর বস্তু বা প্রাণীকে চেপে ধরা, কামড় দেওয়া বা চিমটি দেওয়ার মতো ইচ্ছা তৈরি হওয়া।
২০১৫ সালে গবেষণা প্রতিবেদনে যেসব গবেষক ‘সুন্দরের প্রতি আগ্রাসী মনোভাব’ ধারণাটি এনেছেন তাঁরা এ ধরনের প্রতিক্রিয়ার জন্য স্নায়বিক ভিত্তির খোঁজ পেয়েছেন। গবেষকেরা বলছেন, তীব্র উত্তেজনা ও আনন্দের প্রকাশ এবং অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতিই হলো এমন আগ্রাসী মনোভাব।
২০১৮ সালের এক গবেষণা অনুসারে, সৌন্দর্যের প্রতি আগ্রাসী মনোভাব আমাদের আরও বেশি যত্নবান হতে উৎসাহী করে। এর কারণে নিজের খেয়াল রাখতে পারে না এমন প্রাণীর (মানবশিশু বা প্রাণীর ছানা) প্রতি আরও যত্নশীল হয়ে উঠি। সৌন্দর্যের উপলব্ধি মানুষের মধ্যে নিরাপদে রাখার, যত্ন নেওয়ার ও কাছাকাছি থাকার প্রবৃত্তি তৈরি করে। এ প্রতিক্রিয়া আমাদের জীবতত্ত্বের গভীরে শেকড় গেড়ে আছে। যেমন— মা–বাবারা সন্তানদের প্রতি গভীর ইতিবাচক আবেগ অনুভব করেন। এর কারণে মা–বাবারা সন্তানের টিকে থাকা ও সুস্থতা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকেন।
অন্যান্য গবেষণায় বলা হচ্ছে, আমাদের কার্যক্রমে সৌন্দর্যের প্রভাব দেখা যায়। একটি সুন্দর ইন্টারফেস (কৃত্রিম মানুষ বা প্রাণী) আমাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে জড়িত হওয়ার ইচ্ছা তৈরি করতে পারে। আবার সৌন্দর্যের প্রভাব অসংযত কেনাকাটার মতো প্রবণতা তৈরি করতে পারে। এমনকি স্বাদ যাচাই না করেই শুধু সুন্দর দেখতে খাবার কেনার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়।
সুবিধা–বঞ্চিত শিশুদের দুঃখী মুখের ছবির চেয়ে হাসি মুখের ছবি বেশি সুন্দর লাগে বলে ২০২১ সালের এক গবেষণায় উঠে এসেছে। এ কারণে মানুষের মনে আরও বেশি সহমর্মিতা তৈরি করে দাতব্য কাজে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা তৈরি হয়।
সৌন্দর্যের প্রতি মানুষের প্রতিক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ বিবর্তনের অংশ, যার ফলে মানুষ প্রজাতি এখনো টিকে রয়েছে। সৌন্দর্য মানুষের মধ্যে আবেগের সঞ্চার করে, যা আচরণ নিয়ন্ত্রিত করে।
কখনো কখনো সৌন্দর্য নিয়ন্ত্রণহীন আচরণের উদ্রেক করলেও তা মূলত মানুষের সচেতনতা, মনযোগ ও ভালোবাসার অনুভূতি তৈরি করে। দৃশ্যত মনে হয়, যেন সুন্দর জিনিসকে ভালোবাসা ও রক্ষা করাই মানুষের প্রকৃতি, এই প্রবণতা সর্বজনীন।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে