সানজিদা সামরিন, ঢাকা
মাথায় ছোট্ট ঘোমটা টেনে ঘিয়েরঙা শাড়ি পরে ড্রয়িংরুমে প্রবেশ করলেন নীলা। পানচিনির সাজ অত জমকালো হতে নেই। তবে খোঁপায় বেলি ফুলের মালা আর গলায়, কানে ও হাতে হালকা ধ্রুপদি গয়নার সুন্দর ছিমছাম ভাবটাই তাঁকে অনন্য করে তুলেছে। এককথায় ক্ল্যাসিক্যাল সাজ।
এমনিতে যেমন-তেমন হলেও চলে। কিন্তু বিশেষ দিনগুলোয় একটু মন ভরানো সুন্দর গয়না না পরলে চলে না। সোনার প্রলেপ দেওয়া রুপার গয়নারও কদর একসময় ভীষণ ছিল—নিঃসন্দেহে। সোনা, রুপা ও হীরার দামি গয়না ছাড়াও আনুষ্ঠানিক পোশাকের সঙ্গে তামা ও পিতলের, সোনা-রুপার প্লেট করা পুঁতি আর ঝুমকা বসানো নানা নকশা করা গয়না এখন জায়গা করে নিচ্ছে ফ্যাশনসচেতন তরুণীদের হৃদয়ে।
একটু খেয়াল করলে চোখে পড়বে, আমাদের মা, খালা বা দাদি-নানিরা যে নকশার কানের দুল, বালা, আংটি বা জড়োয়া হার পরতেন, সেই নকশার গয়না আবার ফিরে এসেছে। ছোট্ট, হালকা এই গয়নাগুলো আবার যত্ন করে গায়ে তুলছেন নারীরা। বিয়ে ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আরামসে পরা যায় এই গয়নাগুলো।
অনলাইন প্ল্যাটফর্মে
‘সিক্স ইয়ার্ডস স্টোরি’ কাজ শুরু করে বেশ কয়েক বছর আগে। কনের গয়না ছাড়াও নানা ধরনের গয়না বানিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। এই গয়নার মূল বিশেষত্ব নকশায়। একবার চোখ বোলাতেই নস্টালজিয়ায় ডুবে যেতে হয়। সিক্স ইয়ার্ডস স্টোরির স্বত্বাধিকারী লরা খান জানিয়েছেন, পুরোনো দিনের গয়নার নকশা তাঁর অনুপ্রেরণা। তিনি বলেন, ‘মূলত পিতল ও তামার ওপরই বেশি কাজ করা হয়। এগুলোর ওপর আবার সোনা ও রুপার প্লেটিং করে পূর্ণতা দেওয়া হয়।’
লরা খান আরও বলেন, ‘এখন ধাতুর ওপর খরচ করার চেয়ে নকশার ওপর মনোযোগ দিচ্ছেন ক্রেতারা। ফলে এমন গয়নাই তৈরি করা হয়, যা ক্রেতাদের মনঃপূত হয় এবং সময়োপযোগীও থাকে।’
পুরোনো গয়নার নকশা ও কাস্টমাইজড গয়না নিয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কাজ করছে বৃত্ত। বৃত্তর স্বত্বাধিকারী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘যখন আমি তিন বছর আগে কাজ শুরু করি, তখন একজন ক্লায়েন্ট ক্ল্যাসিক্যাল একটি টানা টপ দেখিয়ে জানতে চান, তেমন একটি টপ আমি বানিয়ে দিতে পারব কি না। তখন আমি প্রথম একটি টানা টপ তাঁকে বানিয়ে দিই। এরপর যখন ফেসবুকে এই টানা টপের ডেলিভারি পোস্ট দিই, তখন অনেকেই সেটা অর্ডার করতে শুরু করেন। সেই ক্ল্যাসিক্যাল টানা টপ ১৫০ থেকে ২০০টির ওপরে বিক্রি হয়েছে। খুব ভালো সাড়া পেয়েছিলাম।’
জান্নাতুল ফেরদৌস আরও বলেন, ‘এই টপ আবার নানাভাবে অনেকে কাস্টমাইজ করে নিচ্ছেন। কাস্টমাইজ করার ওপর আসলে দাম কত পড়বে তা নির্ভর করে।’
এখন ধ্রুপদি নকশার বিভিন্ন ধরনের ধাতব গয়না পাওয়া যায়। বিয়েতে পরার উপযোগী এসব গয়নায় বসানো হয় পুঁতি, মুক্তা ও পাথর। ভারী ও হালকা যেকোনো ধরনের অ্যান্টিক গয়নাই পেয়ে যাবেন বিভিন্ন শপিং মল ও অনলাইন শপে। এর মধ্যে নাকফুল, আংটি, নেকলেস, কানের দুল, চুড়ি, ব্রেসলেট, নোলক, টায়রা, ঝাপটা সবই আছে।
যেখানে পাবেন
ঢাকায় প্রায় সব শপিং মলেই এ ধরনের গয়না পাওয়া যায় এখন। তবে বায়তুল মোকাররম মার্কেট, ঢাকা নিউমার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, মৌচাক, ইস্টার্ন প্লাজা, নাভানা টাওয়ার, চাঁদনীচকসহ গুলশানের পিংক সিটি, বনানী, উত্তরার বিভিন্ন শপিং মলেও পেয়ে যাবেন অ্যান্টিকের বিয়ের গয়না। বৈচিত্র্যময় অ্যান্টিক গয়নার খোঁজ করতে পারেন সিক্স ইয়ার্ডস স্টোরি, জাফরিন’স রুবি, স্পার্কলি ক্লোজেট, কায়রাসহ বিভিন্ন অনলাইন পেজেও। রয়েছে কাস্টমাইজ করার সুযোগও।
ঢাকার বাইরে জেলা শহরগুলোর নিউ মার্কেট বা সুপার মার্কেটের গয়নার দোকানে খোঁজ করলেও পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের গয়না।
দরদাম
নকশা ও ধাতুর ওপর নির্ভর করে ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার বা তার বেশি দামেও কেনা যাবে এই গয়নাগুলো।
মাথায় ছোট্ট ঘোমটা টেনে ঘিয়েরঙা শাড়ি পরে ড্রয়িংরুমে প্রবেশ করলেন নীলা। পানচিনির সাজ অত জমকালো হতে নেই। তবে খোঁপায় বেলি ফুলের মালা আর গলায়, কানে ও হাতে হালকা ধ্রুপদি গয়নার সুন্দর ছিমছাম ভাবটাই তাঁকে অনন্য করে তুলেছে। এককথায় ক্ল্যাসিক্যাল সাজ।
এমনিতে যেমন-তেমন হলেও চলে। কিন্তু বিশেষ দিনগুলোয় একটু মন ভরানো সুন্দর গয়না না পরলে চলে না। সোনার প্রলেপ দেওয়া রুপার গয়নারও কদর একসময় ভীষণ ছিল—নিঃসন্দেহে। সোনা, রুপা ও হীরার দামি গয়না ছাড়াও আনুষ্ঠানিক পোশাকের সঙ্গে তামা ও পিতলের, সোনা-রুপার প্লেট করা পুঁতি আর ঝুমকা বসানো নানা নকশা করা গয়না এখন জায়গা করে নিচ্ছে ফ্যাশনসচেতন তরুণীদের হৃদয়ে।
একটু খেয়াল করলে চোখে পড়বে, আমাদের মা, খালা বা দাদি-নানিরা যে নকশার কানের দুল, বালা, আংটি বা জড়োয়া হার পরতেন, সেই নকশার গয়না আবার ফিরে এসেছে। ছোট্ট, হালকা এই গয়নাগুলো আবার যত্ন করে গায়ে তুলছেন নারীরা। বিয়ে ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আরামসে পরা যায় এই গয়নাগুলো।
অনলাইন প্ল্যাটফর্মে
‘সিক্স ইয়ার্ডস স্টোরি’ কাজ শুরু করে বেশ কয়েক বছর আগে। কনের গয়না ছাড়াও নানা ধরনের গয়না বানিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। এই গয়নার মূল বিশেষত্ব নকশায়। একবার চোখ বোলাতেই নস্টালজিয়ায় ডুবে যেতে হয়। সিক্স ইয়ার্ডস স্টোরির স্বত্বাধিকারী লরা খান জানিয়েছেন, পুরোনো দিনের গয়নার নকশা তাঁর অনুপ্রেরণা। তিনি বলেন, ‘মূলত পিতল ও তামার ওপরই বেশি কাজ করা হয়। এগুলোর ওপর আবার সোনা ও রুপার প্লেটিং করে পূর্ণতা দেওয়া হয়।’
লরা খান আরও বলেন, ‘এখন ধাতুর ওপর খরচ করার চেয়ে নকশার ওপর মনোযোগ দিচ্ছেন ক্রেতারা। ফলে এমন গয়নাই তৈরি করা হয়, যা ক্রেতাদের মনঃপূত হয় এবং সময়োপযোগীও থাকে।’
পুরোনো গয়নার নকশা ও কাস্টমাইজড গয়না নিয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কাজ করছে বৃত্ত। বৃত্তর স্বত্বাধিকারী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘যখন আমি তিন বছর আগে কাজ শুরু করি, তখন একজন ক্লায়েন্ট ক্ল্যাসিক্যাল একটি টানা টপ দেখিয়ে জানতে চান, তেমন একটি টপ আমি বানিয়ে দিতে পারব কি না। তখন আমি প্রথম একটি টানা টপ তাঁকে বানিয়ে দিই। এরপর যখন ফেসবুকে এই টানা টপের ডেলিভারি পোস্ট দিই, তখন অনেকেই সেটা অর্ডার করতে শুরু করেন। সেই ক্ল্যাসিক্যাল টানা টপ ১৫০ থেকে ২০০টির ওপরে বিক্রি হয়েছে। খুব ভালো সাড়া পেয়েছিলাম।’
জান্নাতুল ফেরদৌস আরও বলেন, ‘এই টপ আবার নানাভাবে অনেকে কাস্টমাইজ করে নিচ্ছেন। কাস্টমাইজ করার ওপর আসলে দাম কত পড়বে তা নির্ভর করে।’
এখন ধ্রুপদি নকশার বিভিন্ন ধরনের ধাতব গয়না পাওয়া যায়। বিয়েতে পরার উপযোগী এসব গয়নায় বসানো হয় পুঁতি, মুক্তা ও পাথর। ভারী ও হালকা যেকোনো ধরনের অ্যান্টিক গয়নাই পেয়ে যাবেন বিভিন্ন শপিং মল ও অনলাইন শপে। এর মধ্যে নাকফুল, আংটি, নেকলেস, কানের দুল, চুড়ি, ব্রেসলেট, নোলক, টায়রা, ঝাপটা সবই আছে।
যেখানে পাবেন
ঢাকায় প্রায় সব শপিং মলেই এ ধরনের গয়না পাওয়া যায় এখন। তবে বায়তুল মোকাররম মার্কেট, ঢাকা নিউমার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, মৌচাক, ইস্টার্ন প্লাজা, নাভানা টাওয়ার, চাঁদনীচকসহ গুলশানের পিংক সিটি, বনানী, উত্তরার বিভিন্ন শপিং মলেও পেয়ে যাবেন অ্যান্টিকের বিয়ের গয়না। বৈচিত্র্যময় অ্যান্টিক গয়নার খোঁজ করতে পারেন সিক্স ইয়ার্ডস স্টোরি, জাফরিন’স রুবি, স্পার্কলি ক্লোজেট, কায়রাসহ বিভিন্ন অনলাইন পেজেও। রয়েছে কাস্টমাইজ করার সুযোগও।
ঢাকার বাইরে জেলা শহরগুলোর নিউ মার্কেট বা সুপার মার্কেটের গয়নার দোকানে খোঁজ করলেও পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের গয়না।
দরদাম
নকশা ও ধাতুর ওপর নির্ভর করে ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার বা তার বেশি দামেও কেনা যাবে এই গয়নাগুলো।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে