অনন্যা দাস
রমণীদের চোখ নিয়ে আমাদের কবি-গীতিকারদের যুগ যুগ ধরেই আদিখ্যেতার শেষ নেই। হোক সে ‘কালো মেয়ের কালো হরিণ চোখ’ কিংবা ‘পাখির নীড়ের মতো’ বনলতা সেনের চোখ।
এত সব গান আর কবিতার বিষয়বস্তু যারা, তাদের যে চোখের সাজ নিয়ে একটু বাড়তি আগ্রহ আছে, সেটা মিথ্যা নয়। হরিণ চোখেও কিছুটা কাজলের ছোঁয়া লাগে বৈকি। তাই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমান ট্রেন্ডে ফিরে আসা ক্যাটস আই লুকের প্রতি সবার আগ্রহ বাড়ছে।
এমনিতে এই সাজ নতুন কিছু নয়। বিড়াল-চোখের আদলে কাজল আঁকা এই সাজ মূলত নেফারতিতি ও ক্লিওপেট্রার মতো প্রাচীন মিসরীয় রানিদের আবক্ষ মূর্তি থেকে অনুপ্রাণিত। ক্যাট-আই উন্মাদনা পঞ্চাশের দশকে অড্রে হেপবার্ন ও মেরিলিন মনরোর মতো তারকাদের কারণে আকাশ ছুঁয়ে ছিল। ক্যাটস আই নামখানাও সেই যুগের অবদান। এরপর কালের পরীক্ষায় টিকে গিয়ে ক্ল্যাসিক এ লুক সময় সময় ট্রেন্ডে ফিরেছে।
ক্যাটস আই লুকের জন্য যা দরকার
প্রয়োজন হবে মূলত দুটি জিনিস—ভালো ব্র্যান্ডের একটি প্রাইমার ও আইলাইনার। শুরুতে চোখে একটি ভালো বেস তৈরি করতে হবে। সে জন্য খুব ভালো করে চোখ পরিষ্কার, টোনিং ও ময়শ্চারাইজ করে নিন।
যদি আপনার চোখের চারপাশে লালচে, ডার্ক সার্কেল বা ফোলা ভাব থাকে, তবে চোখের সেরাম বা আই ক্রিম ব্যবহার করুন। এরপর চোখের পাতায় মেকআপ ভালোভাবে বসবে, সেটা নিশ্চিত করতে প্রাইমার লাগিয়ে নিন।
এবার পালা আইলাইনার বাছাইয়ের। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ও ধরনের আইলাইনার পাওয়া যায়। আপনি বেছে নিতে পারেন একটি লিকুইড আইলাইনার, যেগুলো সরু ব্রাশ দিয়ে সহজেই চোখে ব্যবহার করা যায়।
অথবা বেছে নিতে পারেন জেল-বেসড আইলাইনার। ক্যাটস আই আঁকার ক্ষেত্রে সাধারণত বাঁকানো ব্রাশ ভালো কাজে দেয়। চেষ্টা করবেন ফেল্ট টিপ ব্রাশ বেছে নিতে। তাহলে বিশেষ করে নতুনদের ক্ষেত্রে ক্যাটস আই আঁকা বেশি সহজ হবে। প্রস্তুতি শেষ। এবার?
প্রথম ধাপ: ওপরের ল্যাশ লাইনে রেখা টানুন
প্রথমে চোখের ওপরের ল্যাশ লাইন ধরে ধীরে ধীরে দাগ টানুন। ছোট ছোট স্ট্রোক দিয়ে শুরু করুন। তাড়াহুড়ো করলে দাগ বাঁকা হয়ে যেতে পারে। আপনি যদি অল্প অল্প করে দাগ টানতে থাকেন, তাহলে প্রয়োজনমতো ধীরে ধীরে পুরুত্ব বাড়াতে পারবেন।
দ্বিতীয় ধাপ: ডানার (ফ্লিক) আকৃতি তৈরি
আপনার ক্যাটস আই সাজে চোখের কোনায় যে বাঁকানো ডানার (ফ্লিক) মতো আকৃতিটি থাকে, তা কতটুকু লম্বা ও বাঁকানো হবে, সেটা এবার ঠিক করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সব থেকে সহজ হবে আপনার চোখের প্রাকৃতিক আকৃতি অনুসরণ করা।
কল্পনা করুন আপনার চোখের নিচের ল্যাশ লাইনটি প্রসারিত হলে কেমন দেখাতে পারে। সেই আন্দাজ করে ডানার মতো অংশে একটা আউটলাইন এঁকে নিন। আঁকার জন্য আইশ্যাডো ও ছোট কোনাচে ধরনের ব্রাশ ব্যবহার করুন।
তৃতীয় ধাপ: ফ্লিক আঁকা
একবার ডানার আকৃতির একটা অবয়ব এঁকে নিলে বাকিটা বেশ সহজ। আপনি আইলাইনার ব্যবহার করে ছোট ছোট বিন্দু এঁকে ফ্লিকের চূড়ান্ত আকৃতি নির্ধারণ করে নিন। আঁকা নিয়ে সন্তুষ্ট হলে পরে বিন্দুগুলো যোগ করে দিন এবং আপনার ল্যাশ লাইনের ওপরে যে লাইনটি আঁকা হয়েছে, তার সঙ্গে যুক্ত করুন। এবার ফাঁপা আকৃতির মাঝের অংশ পূরণ করুন।
চতুর্থ ধাপ: ফাইনাল টাচ
যদি আকৃতিটি একটু ঘোলাটে হয় অথবা আঁকার সময় কোনো ভুল হয়ে যায়, তাহলে আপনি তা সংশোধন করতে একটি কটন সোয়াব বা কনসিলার ব্যবহার করতে পারেন। ব্যস, এবার আপনার নিখুঁত বিড়াল-চোখ দেখতে প্রস্তুত সবাই!
সূত্র: স্টাইলক্রেজ
ছবি: পেক্সেলস
রমণীদের চোখ নিয়ে আমাদের কবি-গীতিকারদের যুগ যুগ ধরেই আদিখ্যেতার শেষ নেই। হোক সে ‘কালো মেয়ের কালো হরিণ চোখ’ কিংবা ‘পাখির নীড়ের মতো’ বনলতা সেনের চোখ।
এত সব গান আর কবিতার বিষয়বস্তু যারা, তাদের যে চোখের সাজ নিয়ে একটু বাড়তি আগ্রহ আছে, সেটা মিথ্যা নয়। হরিণ চোখেও কিছুটা কাজলের ছোঁয়া লাগে বৈকি। তাই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমান ট্রেন্ডে ফিরে আসা ক্যাটস আই লুকের প্রতি সবার আগ্রহ বাড়ছে।
এমনিতে এই সাজ নতুন কিছু নয়। বিড়াল-চোখের আদলে কাজল আঁকা এই সাজ মূলত নেফারতিতি ও ক্লিওপেট্রার মতো প্রাচীন মিসরীয় রানিদের আবক্ষ মূর্তি থেকে অনুপ্রাণিত। ক্যাট-আই উন্মাদনা পঞ্চাশের দশকে অড্রে হেপবার্ন ও মেরিলিন মনরোর মতো তারকাদের কারণে আকাশ ছুঁয়ে ছিল। ক্যাটস আই নামখানাও সেই যুগের অবদান। এরপর কালের পরীক্ষায় টিকে গিয়ে ক্ল্যাসিক এ লুক সময় সময় ট্রেন্ডে ফিরেছে।
ক্যাটস আই লুকের জন্য যা দরকার
প্রয়োজন হবে মূলত দুটি জিনিস—ভালো ব্র্যান্ডের একটি প্রাইমার ও আইলাইনার। শুরুতে চোখে একটি ভালো বেস তৈরি করতে হবে। সে জন্য খুব ভালো করে চোখ পরিষ্কার, টোনিং ও ময়শ্চারাইজ করে নিন।
যদি আপনার চোখের চারপাশে লালচে, ডার্ক সার্কেল বা ফোলা ভাব থাকে, তবে চোখের সেরাম বা আই ক্রিম ব্যবহার করুন। এরপর চোখের পাতায় মেকআপ ভালোভাবে বসবে, সেটা নিশ্চিত করতে প্রাইমার লাগিয়ে নিন।
এবার পালা আইলাইনার বাছাইয়ের। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ও ধরনের আইলাইনার পাওয়া যায়। আপনি বেছে নিতে পারেন একটি লিকুইড আইলাইনার, যেগুলো সরু ব্রাশ দিয়ে সহজেই চোখে ব্যবহার করা যায়।
অথবা বেছে নিতে পারেন জেল-বেসড আইলাইনার। ক্যাটস আই আঁকার ক্ষেত্রে সাধারণত বাঁকানো ব্রাশ ভালো কাজে দেয়। চেষ্টা করবেন ফেল্ট টিপ ব্রাশ বেছে নিতে। তাহলে বিশেষ করে নতুনদের ক্ষেত্রে ক্যাটস আই আঁকা বেশি সহজ হবে। প্রস্তুতি শেষ। এবার?
প্রথম ধাপ: ওপরের ল্যাশ লাইনে রেখা টানুন
প্রথমে চোখের ওপরের ল্যাশ লাইন ধরে ধীরে ধীরে দাগ টানুন। ছোট ছোট স্ট্রোক দিয়ে শুরু করুন। তাড়াহুড়ো করলে দাগ বাঁকা হয়ে যেতে পারে। আপনি যদি অল্প অল্প করে দাগ টানতে থাকেন, তাহলে প্রয়োজনমতো ধীরে ধীরে পুরুত্ব বাড়াতে পারবেন।
দ্বিতীয় ধাপ: ডানার (ফ্লিক) আকৃতি তৈরি
আপনার ক্যাটস আই সাজে চোখের কোনায় যে বাঁকানো ডানার (ফ্লিক) মতো আকৃতিটি থাকে, তা কতটুকু লম্বা ও বাঁকানো হবে, সেটা এবার ঠিক করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সব থেকে সহজ হবে আপনার চোখের প্রাকৃতিক আকৃতি অনুসরণ করা।
কল্পনা করুন আপনার চোখের নিচের ল্যাশ লাইনটি প্রসারিত হলে কেমন দেখাতে পারে। সেই আন্দাজ করে ডানার মতো অংশে একটা আউটলাইন এঁকে নিন। আঁকার জন্য আইশ্যাডো ও ছোট কোনাচে ধরনের ব্রাশ ব্যবহার করুন।
তৃতীয় ধাপ: ফ্লিক আঁকা
একবার ডানার আকৃতির একটা অবয়ব এঁকে নিলে বাকিটা বেশ সহজ। আপনি আইলাইনার ব্যবহার করে ছোট ছোট বিন্দু এঁকে ফ্লিকের চূড়ান্ত আকৃতি নির্ধারণ করে নিন। আঁকা নিয়ে সন্তুষ্ট হলে পরে বিন্দুগুলো যোগ করে দিন এবং আপনার ল্যাশ লাইনের ওপরে যে লাইনটি আঁকা হয়েছে, তার সঙ্গে যুক্ত করুন। এবার ফাঁপা আকৃতির মাঝের অংশ পূরণ করুন।
চতুর্থ ধাপ: ফাইনাল টাচ
যদি আকৃতিটি একটু ঘোলাটে হয় অথবা আঁকার সময় কোনো ভুল হয়ে যায়, তাহলে আপনি তা সংশোধন করতে একটি কটন সোয়াব বা কনসিলার ব্যবহার করতে পারেন। ব্যস, এবার আপনার নিখুঁত বিড়াল-চোখ দেখতে প্রস্তুত সবাই!
সূত্র: স্টাইলক্রেজ
ছবি: পেক্সেলস
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
৩ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
৩ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
৩ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
৩ দিন আগে