নাদেরা সুলতানা, মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ার একটি স্থানীয় টেলিভিশনের জনপ্রিয় কুকিং রিয়্যালিটি শো ‘মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া’। গত এপ্রিলে শুরু হয়ে ১৩ জুলাই গ্র্যান্ড ফিনালের মাধ্যমে শেষ হলো এবারের আসর। বলব না, ব্যক্তিগতভাবে আমি এই শোটির খুব ভক্ত ছিলাম। মূলত অস্ট্রেলীয় তরুণ–তরুণীরা অংশগ্রহণ করে অনুষ্ঠানটিতে। অনেকগুলো ধাপ পার হয়ে একজন হয় চ্যাম্পিয়ন। মাস্টারশেফের রান্নাগুলো একদম আমাদের এশিয়ান বা বিশেষ করে বাংলাদেশিদের কাছে খুব মনে ধরবার মতো নয়। সময় থাকলে শেষদিকে এসে দু–একবার মূল পর্ব দেখা হয়েছে মাত্র।
তবে এই প্রথম সবকিছু ছেড়ে একদম প্রথম দিকে না হলেও অল্প কিছু পর্ব যাওয়ার পরই অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করা প্রায় সব বাংলাদেশি প্রবল আগ্রহ নিয়ে নড়েচড়ে বসেন। হয়ে ওঠেন নিয়মিত দর্শক। কারণ একটাই, সেরা দশ থেকে সেরা তিনে ফাইনালিস্ট হয়ে উঠে আসেন যিনি, শুরু থেকেই তিনি ‘বাংলাদেশের মেয়ে’ পরিচয়টি তুলে ধরেন। তাঁর নাম কিশোয়ার চৌধুরী।
কিশোয়ার চৌধুরীর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল চৌধুরী বাংলাদেশি। মা ওপার বাংলার বাঙালি লায়লা চৌধুরী। কিশোয়ার থাকেন আমি যে শহরে থাকি সেখানেই—মেলবোর্ন, ভিক্টোরিয়া।
ফাইনাল পর্বটি ছিল দুই দিনব্যাপী। মূল বিচারক তিনজন ছাড়াও সঙ্গে যোগ দেন বিভিন্ন সময় সেরা মাস্টার শেফসহ আরও অনেক নামকরা শেফ। প্রতিযোগীদের আনা কোনো না কোনো উপকরণ ও লটারির মাধ্যমে বেছে নিতে হয় রান্নার আইটেম। এরই এক পর্বে সেরা ডিশের একটি ছিল আলু ভর্তা, পান্তা ভাত, যাকে স্মোকি রাইস বলা হয়েছে। সঙ্গে ছিল সার্ডিন মাছ ভাজা—যা তিন বিচারকের কাছে দশে দশ পেয়ে পুরো ৩০ পেয়েছিল।
এর আগে যে রান্নাগুলো নিয়ে এসেছিলেন কিশোয়ার, বিচারকদের বেঁধে দেওয়া নিয়মের মধ্যেই সেগুলোর মাঝে নজর কেড়েছে লাউ চিংড়ি, পোড়া বেগুন ভর্তা, মাটন কোর্মা, চাটনি ও খিচুড়ির মতো বেশ কিছু খাবার।
চূড়ান্ত পর্বে নামকরা শেফ পিটার গিলমোরের বেঁধে দেওয়া রেসিপি অনুযায়ী নাট ক্যারামেল গোল্ডেন ক্র্যাকল কেক এবং স্কুইড কাস্টার্ড নুডলস বানাতে হয় প্রতিযোগীদের। সময়মতো শেষ করতে পেরেছিলেন কিশোয়ার এবং পেয়েছিলেন বিচারকদের প্রশংসাও। কিন্তু ফলাফল বিচারে ফিজিয়ান–ইন্ডিয়ান বংশোদ্ভূত জাস্টিন নারায়ণ জিতে নেন এবারের মাস্টারশেফ শিরোপা। প্রথম রানার আপ পিট ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন আমাদের কিশোয়ার চৌধুরী।
এই ফলাফল বা এর অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার বিস্তারিত প্রায় সবাই জানেন। শুধু বলি, কিশোয়ার চৌধুরী আমাদের আত্মপরিচয়ের গুরুত্ব নতুন করে অনুধাবন করার অনুপ্রেরণা। খাবার সংস্কৃতি, যা কিছু আমাদের শেকড়, আমাদের নিজস্বতা, স্বকীয়তা, বাংলার, বাংলাদেশের, তা প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বুকে কেউ এত গৌরবের সঙ্গে অনন্য এক উচ্চতায় তুলে আনলেন।
কিশোয়ার পুরো বিশ্বে বাংলাদেশিদের যে নতুন পরিচয় তুলে ধরেছেন, তা দেখে কিশোয়ারের শহরে থাকা বাংলাদেশি হিসেবে রোমাঞ্চিত হয়ে আছি। কিশোয়ার এক সাহসের নাম, ভালোবাসার নাম। মাস্টার শেফ, অস্ট্রেলিয়ার মঞ্চে দ্বিতীয় রানার আপ হয়েও আমাদের কাছে তিনি চ্যাম্পিয়ন! তিনি যে নতুন ইতিহাস রচনা করেছেন, তা লিখতে আমাদের অনেক লম্বা সময় লেগেছে। কিশোয়ার যে পথ দেখিয়ে গেছেন, আমি নিশ্চিত, এ পথে কাল, পরশু অন্য অনেকেই হেঁটে যাবেন বহুদূর!
অস্ট্রেলিয়ার একটি স্থানীয় টেলিভিশনের জনপ্রিয় কুকিং রিয়্যালিটি শো ‘মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া’। গত এপ্রিলে শুরু হয়ে ১৩ জুলাই গ্র্যান্ড ফিনালের মাধ্যমে শেষ হলো এবারের আসর। বলব না, ব্যক্তিগতভাবে আমি এই শোটির খুব ভক্ত ছিলাম। মূলত অস্ট্রেলীয় তরুণ–তরুণীরা অংশগ্রহণ করে অনুষ্ঠানটিতে। অনেকগুলো ধাপ পার হয়ে একজন হয় চ্যাম্পিয়ন। মাস্টারশেফের রান্নাগুলো একদম আমাদের এশিয়ান বা বিশেষ করে বাংলাদেশিদের কাছে খুব মনে ধরবার মতো নয়। সময় থাকলে শেষদিকে এসে দু–একবার মূল পর্ব দেখা হয়েছে মাত্র।
তবে এই প্রথম সবকিছু ছেড়ে একদম প্রথম দিকে না হলেও অল্প কিছু পর্ব যাওয়ার পরই অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করা প্রায় সব বাংলাদেশি প্রবল আগ্রহ নিয়ে নড়েচড়ে বসেন। হয়ে ওঠেন নিয়মিত দর্শক। কারণ একটাই, সেরা দশ থেকে সেরা তিনে ফাইনালিস্ট হয়ে উঠে আসেন যিনি, শুরু থেকেই তিনি ‘বাংলাদেশের মেয়ে’ পরিচয়টি তুলে ধরেন। তাঁর নাম কিশোয়ার চৌধুরী।
কিশোয়ার চৌধুরীর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল চৌধুরী বাংলাদেশি। মা ওপার বাংলার বাঙালি লায়লা চৌধুরী। কিশোয়ার থাকেন আমি যে শহরে থাকি সেখানেই—মেলবোর্ন, ভিক্টোরিয়া।
ফাইনাল পর্বটি ছিল দুই দিনব্যাপী। মূল বিচারক তিনজন ছাড়াও সঙ্গে যোগ দেন বিভিন্ন সময় সেরা মাস্টার শেফসহ আরও অনেক নামকরা শেফ। প্রতিযোগীদের আনা কোনো না কোনো উপকরণ ও লটারির মাধ্যমে বেছে নিতে হয় রান্নার আইটেম। এরই এক পর্বে সেরা ডিশের একটি ছিল আলু ভর্তা, পান্তা ভাত, যাকে স্মোকি রাইস বলা হয়েছে। সঙ্গে ছিল সার্ডিন মাছ ভাজা—যা তিন বিচারকের কাছে দশে দশ পেয়ে পুরো ৩০ পেয়েছিল।
এর আগে যে রান্নাগুলো নিয়ে এসেছিলেন কিশোয়ার, বিচারকদের বেঁধে দেওয়া নিয়মের মধ্যেই সেগুলোর মাঝে নজর কেড়েছে লাউ চিংড়ি, পোড়া বেগুন ভর্তা, মাটন কোর্মা, চাটনি ও খিচুড়ির মতো বেশ কিছু খাবার।
চূড়ান্ত পর্বে নামকরা শেফ পিটার গিলমোরের বেঁধে দেওয়া রেসিপি অনুযায়ী নাট ক্যারামেল গোল্ডেন ক্র্যাকল কেক এবং স্কুইড কাস্টার্ড নুডলস বানাতে হয় প্রতিযোগীদের। সময়মতো শেষ করতে পেরেছিলেন কিশোয়ার এবং পেয়েছিলেন বিচারকদের প্রশংসাও। কিন্তু ফলাফল বিচারে ফিজিয়ান–ইন্ডিয়ান বংশোদ্ভূত জাস্টিন নারায়ণ জিতে নেন এবারের মাস্টারশেফ শিরোপা। প্রথম রানার আপ পিট ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন আমাদের কিশোয়ার চৌধুরী।
এই ফলাফল বা এর অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার বিস্তারিত প্রায় সবাই জানেন। শুধু বলি, কিশোয়ার চৌধুরী আমাদের আত্মপরিচয়ের গুরুত্ব নতুন করে অনুধাবন করার অনুপ্রেরণা। খাবার সংস্কৃতি, যা কিছু আমাদের শেকড়, আমাদের নিজস্বতা, স্বকীয়তা, বাংলার, বাংলাদেশের, তা প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বুকে কেউ এত গৌরবের সঙ্গে অনন্য এক উচ্চতায় তুলে আনলেন।
কিশোয়ার পুরো বিশ্বে বাংলাদেশিদের যে নতুন পরিচয় তুলে ধরেছেন, তা দেখে কিশোয়ারের শহরে থাকা বাংলাদেশি হিসেবে রোমাঞ্চিত হয়ে আছি। কিশোয়ার এক সাহসের নাম, ভালোবাসার নাম। মাস্টার শেফ, অস্ট্রেলিয়ার মঞ্চে দ্বিতীয় রানার আপ হয়েও আমাদের কাছে তিনি চ্যাম্পিয়ন! তিনি যে নতুন ইতিহাস রচনা করেছেন, তা লিখতে আমাদের অনেক লম্বা সময় লেগেছে। কিশোয়ার যে পথ দেখিয়ে গেছেন, আমি নিশ্চিত, এ পথে কাল, পরশু অন্য অনেকেই হেঁটে যাবেন বহুদূর!
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
২ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
২ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
২ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
২ দিন আগে