অলকানন্দা রায়, ঢাকা
‘শীতের হাওয়ায় লাগল নাচন আমলকীর ওই ডালে ডালে’
কেমন হয় যদি শীতের হাওয়ার নাচন কেবল আমলকির ডালে ডালে না লেগে আপনার বাড়ির ছোট্ট বারান্দা বা ছাদের লাউ, কুমড়ো, টমেটো, পালং, পুঁই, ধনেপাতা, লালশাক, ঝিঙে, পাতাবাহারের পাতায় পাতায়ও দোল দিয়ে যায়?
কী অপূর্ব দৃশ্য তাই না? ছোট্ট ছাদ বা বারান্দা সবুজে, ফুলে, ফলে ভরে উঠবে; যাতে নিজেদের প্রয়োজনীয় বা পছন্দের ফুল, ফল সবজি ছাদেই ফলানো যায়। এতে যেমন ফুল-ফল-সবজির সঙ্গে প্রাকৃতিক শোভা পাওয়া যাবে, তেমনি পরিবারের সবাই মিলে পাওয়া যাবে বাগান করার নিখাদ আনন্দও। কিংবা অবসরে বা ছুটির দিনে এই ছাদবাগানেই জমে উঠতে পারে পিকনিক। হতে পারে শতরঞ্জি বিছিয়ে চায়ের আসর গান-কবিতায়।
এসব কথা ভাবলেই তো আর হলো না। কল্পনার মতো এমন সুন্দর বাগান পেতে হলে প্রথমেই চাই পরিকল্পনা। কোন কোন গাছ লাগাব, কোথায় লাগাব, জানা থাকতে হবে ঠিকঠিক পরিচর্যা, গাছেদের খাবার, রোগ-বালাই সারানোর উপায়। আর থাকতে হবে একটু সময় ও ধৈর্য। তবেই না ফুলে-ফলে-সবজিতে সেজে উঠবে ছাদবাগান বা বারান্দাবাগান।
আগারগাঁওয়ের সুষমা গ্রিন হাউজ নার্সারীর স্বত্বাধিকারী শাহজাহান মিয়া জানালেন শীতে বাগানের গাছপালার যত্নআত্তি বিষয়ে।
তাঁর মতে, মাটিতে পিএইচের ভারসাম্য ও ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে শীতে মাটির আর্দ্রতা বেশি সময় ধরে থাকে। ফলে সবজি চাষের জন্য শীতকাল উপযুক্ত সময়। শীতে মাটি ভেজা থাকার কারণে গাছে পানি দেওয়ার প্রয়োজনও হয় কম। তবে গাছের বৃদ্ধি ও ফল জন্মানোর কারণে গাছের খাদ্য বেশি দরকার হয় বলে শীতে সবজি চাষের জন্য সার ব্যবহার করতে হয় একটু বেশি। তাই গাছ লাগানোর ১৫ থেকে ২০ দিন পর যখন গাছ ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি লম্বা হবে, তখনই সার দিতে হবে।
এ ছাড়া গাছে ফল ধরার আগে বা ফুল ধরলে আরও একবার সার দিতে হবে। গাছে জৈব সার বা কেঁচো সার ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। অথবা রান্নাঘরের সবজি বা আনাজপাতির খোসা জমিয়ে এক জায়গায় দীর্ঘদিন রেখে দিলে ভালো সারে পরিণত হয়। এটা গাছের গোড়ায় ব্যবহার করলে গাছ যেমন প্রাকৃতিক পুষ্টি পাবে, তেমনি মাটির স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। আবার ডিমের খোসা ভালো করে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিয়ে গাছের গোড়ায় দেওয়াও উপকারী। যেহেতু এসব সারে কোনো রাসায়নিক পদার্থ থাকে না, তাই সবজির গুণাগুণও বজায় থাকে। সকালে ও বিকেলে পানি দেওয়া ভালো। আর যদি কোনো কারণে দুই বেলা পানি দেওয়া সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে এক বেলা পানি দেওয়ার জন্য বিকেলের সময়টাকে বেছে নিতে হবে। যাতে টবে পানি জমে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
শীতকালে গাছের কাট ওরম, মিলিবাগ, ফ্রুট ফ্লাই, ফ্রুট বোরের, শ্যুট বোরের ইত্যাদি ছত্রাক ও ভাইরাসজনিত রোগ হতে পারে। ছাদবাগানের গাছে এ ধরনের রোগ প্রতিকারের জন্য সাইপারমেথরিন, ম্যানকোজেব ও মালাথিওন-জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। পিঁপড়া বা অন্যান্য পোকামাকড়ের আক্রমণে গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর জন্য ব্যবহার করতে হবে কোনো ভালো ব্র্যান্ডের ইনসেক্ট কিলার। তবে প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়েও পোকামাকড় ও বালাইনাশক তৈরি করা যায়।
গাছের মাটি থেকে আর্দ্রতা যেন বেরিয়ে যেতে না পারে, তাই শুকনো পাতা বা খড় দিয়ে গোড়া ঢেকে দিতে হবে। এতে গাছের গোড়ায় বেশি কুয়াশাও লাগবে না, আবার আর্দ্রতাও বজায় থাকবে। কোনো গাছে পোকা আক্রমণ করলে সঙ্গে সঙ্গে গাছটি সরিয়ে ফেলতে হবে। কারণ, শীতে এ ধরনের পোকা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য গাছের ক্ষতি করে।
শীতে সূর্যের আলো যেহেতু কম থাকে, গাছের সালোকসংশ্লেষণ ভালো হওয়ার জন্য রাতে একটু গরম লাইটের ব্যবহার করতে পারলে ভালো হয়। শীতে অনেক সময়ে পচন রোগ দেখা দেয়। এমন দেখা দিলে সেই অংশ কেটে ফেলতে হবে বা প্রয়োজনে পুরো গাছটিই তুলে ফেলতে হবে।
ফুলের গাছের যত্নেও একই ধরনের সার ব্যবহার করা যাবে। পোকা-মাকড়ও প্রায় একই ধরনের হয়ে থাকে, ফলে যত্নও একই হয়। তবে ফুলের গাছেদের চাই আর একটু বাড়তি যত্ন। আর এসব যত্ন করতে হয় গাছ বুঝে।
যা করতে হবে
• শীতে গাছের গায়ে পর্যাপ্ত রোদ ও সূর্যের আলো পায় সেদিকটা নিশ্চিত করতে হবে। ইনডোর প্ল্যান্ট থাকলে সেগুলোকে সকালের হালকা রোদে দিতে হবে। সম্ভব হলে সব গাছ এ সময় রোদে রাখা ভালো হবে। খুব বেশি শীত পড়লে টব ঘরের ভেতরে রাখতে হবে এবং দিনের বেলায় রোদ উঠলে বাইরে রাখতে হবে।
• ক্যাকটাস-জাতীয় গাছের ক্ষেত্রে বেশি পানি দেওয়া যাবে না। বেশি পানি পেলে ক্যাকটাস মরে যায়, বিশেষত করে শীতকালে।
• শীতে গাছের পাতায় ধুলো-ময়লা বেশি জমে। তাই স্প্রেয়ার দিয়ে গাছের পাতা ধুয়ে দিতে হবে।
• কিছু কিছু গাছ আছে শীতের সময় ডাল-পাতা ছেঁটে দিতে হয়।
• টবের গোড়া নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। কোন শুকনো পাতা পড়ে থাকলে সরিয়ে ফেলতে হবে।
• কোনো গাছের পাতার রং মলিন হতে থাকলে পানি দেওয়া বন্ধ রাখতে হবে। মাটি শুকনো না হওয়া পর্যন্ত পানি দেওয়া যাবে না এবং পর্যাপ্ত সূর্যালোক পায় এমন জায়গায় রাখতে হবে।
‘শীতের হাওয়ায় লাগল নাচন আমলকীর ওই ডালে ডালে’
কেমন হয় যদি শীতের হাওয়ার নাচন কেবল আমলকির ডালে ডালে না লেগে আপনার বাড়ির ছোট্ট বারান্দা বা ছাদের লাউ, কুমড়ো, টমেটো, পালং, পুঁই, ধনেপাতা, লালশাক, ঝিঙে, পাতাবাহারের পাতায় পাতায়ও দোল দিয়ে যায়?
কী অপূর্ব দৃশ্য তাই না? ছোট্ট ছাদ বা বারান্দা সবুজে, ফুলে, ফলে ভরে উঠবে; যাতে নিজেদের প্রয়োজনীয় বা পছন্দের ফুল, ফল সবজি ছাদেই ফলানো যায়। এতে যেমন ফুল-ফল-সবজির সঙ্গে প্রাকৃতিক শোভা পাওয়া যাবে, তেমনি পরিবারের সবাই মিলে পাওয়া যাবে বাগান করার নিখাদ আনন্দও। কিংবা অবসরে বা ছুটির দিনে এই ছাদবাগানেই জমে উঠতে পারে পিকনিক। হতে পারে শতরঞ্জি বিছিয়ে চায়ের আসর গান-কবিতায়।
এসব কথা ভাবলেই তো আর হলো না। কল্পনার মতো এমন সুন্দর বাগান পেতে হলে প্রথমেই চাই পরিকল্পনা। কোন কোন গাছ লাগাব, কোথায় লাগাব, জানা থাকতে হবে ঠিকঠিক পরিচর্যা, গাছেদের খাবার, রোগ-বালাই সারানোর উপায়। আর থাকতে হবে একটু সময় ও ধৈর্য। তবেই না ফুলে-ফলে-সবজিতে সেজে উঠবে ছাদবাগান বা বারান্দাবাগান।
আগারগাঁওয়ের সুষমা গ্রিন হাউজ নার্সারীর স্বত্বাধিকারী শাহজাহান মিয়া জানালেন শীতে বাগানের গাছপালার যত্নআত্তি বিষয়ে।
তাঁর মতে, মাটিতে পিএইচের ভারসাম্য ও ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে শীতে মাটির আর্দ্রতা বেশি সময় ধরে থাকে। ফলে সবজি চাষের জন্য শীতকাল উপযুক্ত সময়। শীতে মাটি ভেজা থাকার কারণে গাছে পানি দেওয়ার প্রয়োজনও হয় কম। তবে গাছের বৃদ্ধি ও ফল জন্মানোর কারণে গাছের খাদ্য বেশি দরকার হয় বলে শীতে সবজি চাষের জন্য সার ব্যবহার করতে হয় একটু বেশি। তাই গাছ লাগানোর ১৫ থেকে ২০ দিন পর যখন গাছ ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি লম্বা হবে, তখনই সার দিতে হবে।
এ ছাড়া গাছে ফল ধরার আগে বা ফুল ধরলে আরও একবার সার দিতে হবে। গাছে জৈব সার বা কেঁচো সার ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। অথবা রান্নাঘরের সবজি বা আনাজপাতির খোসা জমিয়ে এক জায়গায় দীর্ঘদিন রেখে দিলে ভালো সারে পরিণত হয়। এটা গাছের গোড়ায় ব্যবহার করলে গাছ যেমন প্রাকৃতিক পুষ্টি পাবে, তেমনি মাটির স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। আবার ডিমের খোসা ভালো করে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিয়ে গাছের গোড়ায় দেওয়াও উপকারী। যেহেতু এসব সারে কোনো রাসায়নিক পদার্থ থাকে না, তাই সবজির গুণাগুণও বজায় থাকে। সকালে ও বিকেলে পানি দেওয়া ভালো। আর যদি কোনো কারণে দুই বেলা পানি দেওয়া সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে এক বেলা পানি দেওয়ার জন্য বিকেলের সময়টাকে বেছে নিতে হবে। যাতে টবে পানি জমে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
শীতকালে গাছের কাট ওরম, মিলিবাগ, ফ্রুট ফ্লাই, ফ্রুট বোরের, শ্যুট বোরের ইত্যাদি ছত্রাক ও ভাইরাসজনিত রোগ হতে পারে। ছাদবাগানের গাছে এ ধরনের রোগ প্রতিকারের জন্য সাইপারমেথরিন, ম্যানকোজেব ও মালাথিওন-জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। পিঁপড়া বা অন্যান্য পোকামাকড়ের আক্রমণে গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর জন্য ব্যবহার করতে হবে কোনো ভালো ব্র্যান্ডের ইনসেক্ট কিলার। তবে প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়েও পোকামাকড় ও বালাইনাশক তৈরি করা যায়।
গাছের মাটি থেকে আর্দ্রতা যেন বেরিয়ে যেতে না পারে, তাই শুকনো পাতা বা খড় দিয়ে গোড়া ঢেকে দিতে হবে। এতে গাছের গোড়ায় বেশি কুয়াশাও লাগবে না, আবার আর্দ্রতাও বজায় থাকবে। কোনো গাছে পোকা আক্রমণ করলে সঙ্গে সঙ্গে গাছটি সরিয়ে ফেলতে হবে। কারণ, শীতে এ ধরনের পোকা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য গাছের ক্ষতি করে।
শীতে সূর্যের আলো যেহেতু কম থাকে, গাছের সালোকসংশ্লেষণ ভালো হওয়ার জন্য রাতে একটু গরম লাইটের ব্যবহার করতে পারলে ভালো হয়। শীতে অনেক সময়ে পচন রোগ দেখা দেয়। এমন দেখা দিলে সেই অংশ কেটে ফেলতে হবে বা প্রয়োজনে পুরো গাছটিই তুলে ফেলতে হবে।
ফুলের গাছের যত্নেও একই ধরনের সার ব্যবহার করা যাবে। পোকা-মাকড়ও প্রায় একই ধরনের হয়ে থাকে, ফলে যত্নও একই হয়। তবে ফুলের গাছেদের চাই আর একটু বাড়তি যত্ন। আর এসব যত্ন করতে হয় গাছ বুঝে।
যা করতে হবে
• শীতে গাছের গায়ে পর্যাপ্ত রোদ ও সূর্যের আলো পায় সেদিকটা নিশ্চিত করতে হবে। ইনডোর প্ল্যান্ট থাকলে সেগুলোকে সকালের হালকা রোদে দিতে হবে। সম্ভব হলে সব গাছ এ সময় রোদে রাখা ভালো হবে। খুব বেশি শীত পড়লে টব ঘরের ভেতরে রাখতে হবে এবং দিনের বেলায় রোদ উঠলে বাইরে রাখতে হবে।
• ক্যাকটাস-জাতীয় গাছের ক্ষেত্রে বেশি পানি দেওয়া যাবে না। বেশি পানি পেলে ক্যাকটাস মরে যায়, বিশেষত করে শীতকালে।
• শীতে গাছের পাতায় ধুলো-ময়লা বেশি জমে। তাই স্প্রেয়ার দিয়ে গাছের পাতা ধুয়ে দিতে হবে।
• কিছু কিছু গাছ আছে শীতের সময় ডাল-পাতা ছেঁটে দিতে হয়।
• টবের গোড়া নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। কোন শুকনো পাতা পড়ে থাকলে সরিয়ে ফেলতে হবে।
• কোনো গাছের পাতার রং মলিন হতে থাকলে পানি দেওয়া বন্ধ রাখতে হবে। মাটি শুকনো না হওয়া পর্যন্ত পানি দেওয়া যাবে না এবং পর্যাপ্ত সূর্যালোক পায় এমন জায়গায় রাখতে হবে।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
২ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
২ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
২ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
২ দিন আগে