অনলাইন ডেস্ক
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও রাজনীতিক রাঘব–পরিণীতির বিয়ের মাধ্যমে আবারও আলোচনায় উদয়পুর লেক প্যালেস। বিরাট–আনুশকা, ভিকি–ক্যাটরিনা থেকে সর্বশেষ রাঘব–পরিণীতির বিয়ের আসর, আভিজাত্যের অলংকার হিসেবে সামনে এসেছে বিলাসবহুল প্রাসাদটি। ভারতের তো বটেই, বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল ও রোমান্টিক হোটেল কমপ্লেক্স বলা হয় এটিকে।
ভারতের রাজস্থান রাজ্যের উদয়পুরের মনোরম পিচোলা লেকের মাঝখানে অবস্থিত তাজ লেক প্যালেস। মূলত একটি প্রাসাদ কমপ্লেক্স। হোটেলটি এর আগে পরিচিত ছিল ‘জগ নিবাস’ নামে। জনপ্রিয়তার কারণে উদয়পুর প্যালেস, উদয়পুর লেক প্যালেস ও উদয়পুর লীলা প্যালেস হিসেবে পরিচিতি পায় এই প্রাসাদ। চার একর দ্বীপজুড়ে বিশাল আকারের প্রাসাদটি স্বপ্নের মতো মনে হবে। চারপাশে পানি থাকায় শহর থেকে হোটেল যাতায়াতের জন্য অতিথিদের জন্য স্পিড বোটের ব্যবস্থা রেখেছে লেক প্যালেস কর্তৃপক্ষ। স্পিড বোট থেকে নামার পর গোলাপের পাপড়ির ঝরনা এবং নাশতার থালা নিয়ে সদরঘাট বা ত্রিপোলিয়ায় আপনাকে অভ্যর্থনা জানাবেন রক্ষীরা।
একদিকে মনোরম আরাবল্লি পাহাড়, অন্যদিকে উঁচু প্রাসাদ চারপাশে পিচোলা হ্রদের শান্ত জলের নির্মল–নিখুঁত পটভূমি যেন এক স্বর্গীয় দৃশ্যপট। হোটেল লেক প্যালেসের সবচেয়ে আকর্ষণীয় এর স্বতন্ত্র স্থাপত্য নকশা। সম্পূর্ণ প্রাসাদ কমপ্লেক্সটি গ্রানাইট ও মার্বেলে তৈরি। লেক প্যালেসে সাদা মার্বেল দেয়াল সমন্বিত ৮৩টি কক্ষ ও স্যুইটস রয়েছে।
লেক প্যালেসের মনোমুগ্ধকর প্রাসাদের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তুলেছে বড় মহল, দিলখুশ মহল, মতি মহল, শীশ মহল, অজ্ঞান নিবাস, ফুল মহল এবং শম্বু নিবাস নামে বেশ কয়েকটি কক্ষ। বড় আয়তনের কক্ষগুলো পেইন্টিং, পাথরের কাজ, খোদাই করা খিলান এবং গোলাপি ও সবুজ পদ্মপাতার অভ্যন্তরীণ পাথর দিয়ে সজ্জিত। কমপ্লেক্সের ভেতরের প্রাসাদগুলো অনেকগুলো চৌকি বা চতুর্ভুজ করিডরের মাধ্যমে পরস্পর সংযুক্ত।
কমপ্লেক্সটিতে একটি পোস্ট অফিস, ব্যাংক, ট্রাভেল এজেন্সি, অসংখ্য কারুশিল্পের দোকান এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ডের (ডব্লিউডব্লিউএফ) একটি ভারতীয় বুটিকের স্টল রয়েছে।
প্রাসাদ কমপ্লেক্সের বারান্দা, টাওয়ার, সম্মুখভাগসহ অভ্যন্তরীণ অংশে রয়েছে আয়না ও মার্বেলের নিখুঁত কাজ, ম্যুরাল, দেয়ালচিত্র, রুপার কাজ, ইনলে–ওয়ার্ক এবং রঙিন কাচের কারুকাজ। প্রাসাদের ওপরের কক্ষটি একটি নিখুঁত বৃত্তের আকারে বানানো; যার ব্যাস প্রায় ২১ ফুট (৬ দশমিক ৪ মিটার)। তার মেঝে কালো ও সাদা মার্বেল খচিত এবং দেয়ালগুলো বিভিন্ন রঙের পাথরের গম্বুজ এবং অসাধারণ করুকার্য সমৃদ্ধ। কমপ্লেক্সটির ওপরের অংশ থেকে হ্রদ এবং উদয়পুর শহরের নান্দনিক দৃশ্য দেখা যায়।
মেওয়ার বা মেবার রাজপুত দ্বিতীয় মহারানা উদয় সিং প্রাসাদটি নির্মাণ করেন। জনশ্রুতি আছে, মেওয়ার রাজবংশের বেশ কয়েকজন শাসকের অবদানে নির্মিত হয় প্রাসাদটি। ভারত স্বাধীন হলে ১৯৪৯ সালে প্রাসাদটির পরিচালনার ভার গ্রহণ করে সরকার। পরে তাজ গ্রুপের তত্ত্বাবধানে প্রাসাদটি পাঁচ তারকা হোটেলে রূপান্তরিত হয়। এর আগে রাজার বংশধরদের গ্রীষ্মকালীন অবকাশযাপন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হতো প্রাসাদটি।
হ্রদের মাঝখানে এই বিস্ময়কর নান্দনিকতা বাস্তবে পরিদর্শন ছাড়া বোঝানো কঠিন। এর সৌন্দর্য বর্ণনা করা অসম্ভব! নয়নাভিরাম ঝরনা, সাজানো উদ্যান এবং অসংখ্য গম্বুজের গাম্ভীর্যে আপনি প্রেমে পড়তে বাধ্য হবেন।
এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে তাজ লেক প্যালেসে অতিথি হয়ে এসেছিলেন লর্ড কার্জন, ভিভিয়েন লে, রানি এলিজাবেথের মতো অভিজাত ব্যক্তিরা। বিশ্বের স্বনামধন্য চলচ্চিত্র নির্মাতাদেরও কৌতূহল জাগিয়েছে লেক প্যালেস। জেমস বন্ড চলচ্চিত্র ‘অক্টোপুসি’, ফ্রিৎস লাং নির্মিত ‘দি টাইগার অব এসচনাপুর’ এবং ‘দি ইন্ডিয়ান টুম্ব’ চলচ্চিত্রসহ অনেক হিন্দি সিনেমার পর্দায় জায়গা করে নিয়েছে প্রাসাদটি।
সূত্র: ট্রাভেল ট্রায়েঙ্গেল ও উদয়পুর গাইড
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও রাজনীতিক রাঘব–পরিণীতির বিয়ের মাধ্যমে আবারও আলোচনায় উদয়পুর লেক প্যালেস। বিরাট–আনুশকা, ভিকি–ক্যাটরিনা থেকে সর্বশেষ রাঘব–পরিণীতির বিয়ের আসর, আভিজাত্যের অলংকার হিসেবে সামনে এসেছে বিলাসবহুল প্রাসাদটি। ভারতের তো বটেই, বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল ও রোমান্টিক হোটেল কমপ্লেক্স বলা হয় এটিকে।
ভারতের রাজস্থান রাজ্যের উদয়পুরের মনোরম পিচোলা লেকের মাঝখানে অবস্থিত তাজ লেক প্যালেস। মূলত একটি প্রাসাদ কমপ্লেক্স। হোটেলটি এর আগে পরিচিত ছিল ‘জগ নিবাস’ নামে। জনপ্রিয়তার কারণে উদয়পুর প্যালেস, উদয়পুর লেক প্যালেস ও উদয়পুর লীলা প্যালেস হিসেবে পরিচিতি পায় এই প্রাসাদ। চার একর দ্বীপজুড়ে বিশাল আকারের প্রাসাদটি স্বপ্নের মতো মনে হবে। চারপাশে পানি থাকায় শহর থেকে হোটেল যাতায়াতের জন্য অতিথিদের জন্য স্পিড বোটের ব্যবস্থা রেখেছে লেক প্যালেস কর্তৃপক্ষ। স্পিড বোট থেকে নামার পর গোলাপের পাপড়ির ঝরনা এবং নাশতার থালা নিয়ে সদরঘাট বা ত্রিপোলিয়ায় আপনাকে অভ্যর্থনা জানাবেন রক্ষীরা।
একদিকে মনোরম আরাবল্লি পাহাড়, অন্যদিকে উঁচু প্রাসাদ চারপাশে পিচোলা হ্রদের শান্ত জলের নির্মল–নিখুঁত পটভূমি যেন এক স্বর্গীয় দৃশ্যপট। হোটেল লেক প্যালেসের সবচেয়ে আকর্ষণীয় এর স্বতন্ত্র স্থাপত্য নকশা। সম্পূর্ণ প্রাসাদ কমপ্লেক্সটি গ্রানাইট ও মার্বেলে তৈরি। লেক প্যালেসে সাদা মার্বেল দেয়াল সমন্বিত ৮৩টি কক্ষ ও স্যুইটস রয়েছে।
লেক প্যালেসের মনোমুগ্ধকর প্রাসাদের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তুলেছে বড় মহল, দিলখুশ মহল, মতি মহল, শীশ মহল, অজ্ঞান নিবাস, ফুল মহল এবং শম্বু নিবাস নামে বেশ কয়েকটি কক্ষ। বড় আয়তনের কক্ষগুলো পেইন্টিং, পাথরের কাজ, খোদাই করা খিলান এবং গোলাপি ও সবুজ পদ্মপাতার অভ্যন্তরীণ পাথর দিয়ে সজ্জিত। কমপ্লেক্সের ভেতরের প্রাসাদগুলো অনেকগুলো চৌকি বা চতুর্ভুজ করিডরের মাধ্যমে পরস্পর সংযুক্ত।
কমপ্লেক্সটিতে একটি পোস্ট অফিস, ব্যাংক, ট্রাভেল এজেন্সি, অসংখ্য কারুশিল্পের দোকান এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ডের (ডব্লিউডব্লিউএফ) একটি ভারতীয় বুটিকের স্টল রয়েছে।
প্রাসাদ কমপ্লেক্সের বারান্দা, টাওয়ার, সম্মুখভাগসহ অভ্যন্তরীণ অংশে রয়েছে আয়না ও মার্বেলের নিখুঁত কাজ, ম্যুরাল, দেয়ালচিত্র, রুপার কাজ, ইনলে–ওয়ার্ক এবং রঙিন কাচের কারুকাজ। প্রাসাদের ওপরের কক্ষটি একটি নিখুঁত বৃত্তের আকারে বানানো; যার ব্যাস প্রায় ২১ ফুট (৬ দশমিক ৪ মিটার)। তার মেঝে কালো ও সাদা মার্বেল খচিত এবং দেয়ালগুলো বিভিন্ন রঙের পাথরের গম্বুজ এবং অসাধারণ করুকার্য সমৃদ্ধ। কমপ্লেক্সটির ওপরের অংশ থেকে হ্রদ এবং উদয়পুর শহরের নান্দনিক দৃশ্য দেখা যায়।
মেওয়ার বা মেবার রাজপুত দ্বিতীয় মহারানা উদয় সিং প্রাসাদটি নির্মাণ করেন। জনশ্রুতি আছে, মেওয়ার রাজবংশের বেশ কয়েকজন শাসকের অবদানে নির্মিত হয় প্রাসাদটি। ভারত স্বাধীন হলে ১৯৪৯ সালে প্রাসাদটির পরিচালনার ভার গ্রহণ করে সরকার। পরে তাজ গ্রুপের তত্ত্বাবধানে প্রাসাদটি পাঁচ তারকা হোটেলে রূপান্তরিত হয়। এর আগে রাজার বংশধরদের গ্রীষ্মকালীন অবকাশযাপন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হতো প্রাসাদটি।
হ্রদের মাঝখানে এই বিস্ময়কর নান্দনিকতা বাস্তবে পরিদর্শন ছাড়া বোঝানো কঠিন। এর সৌন্দর্য বর্ণনা করা অসম্ভব! নয়নাভিরাম ঝরনা, সাজানো উদ্যান এবং অসংখ্য গম্বুজের গাম্ভীর্যে আপনি প্রেমে পড়তে বাধ্য হবেন।
এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে তাজ লেক প্যালেসে অতিথি হয়ে এসেছিলেন লর্ড কার্জন, ভিভিয়েন লে, রানি এলিজাবেথের মতো অভিজাত ব্যক্তিরা। বিশ্বের স্বনামধন্য চলচ্চিত্র নির্মাতাদেরও কৌতূহল জাগিয়েছে লেক প্যালেস। জেমস বন্ড চলচ্চিত্র ‘অক্টোপুসি’, ফ্রিৎস লাং নির্মিত ‘দি টাইগার অব এসচনাপুর’ এবং ‘দি ইন্ডিয়ান টুম্ব’ চলচ্চিত্রসহ অনেক হিন্দি সিনেমার পর্দায় জায়গা করে নিয়েছে প্রাসাদটি।
সূত্র: ট্রাভেল ট্রায়েঙ্গেল ও উদয়পুর গাইড
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে