অনলাইন ডেস্ক
এশিয়ায় বিভিন্ন স্থাপনায় বাঁশের ব্যবহার চোখে পড়ে বহু আগে থেকেই। তবে ইউরোপ কিংবা আমেরিকায় সে তুলনায় এর ব্যবহার একেবারেই কম। তবে সম্প্রতি কিছু প্রতিষ্ঠান এসব দেশের কোনো কোনো স্থাপনায় বাঁশের ব্যবহার শুরু করেছেন।
বালির গ্রিন স্কুলটি দেখলে মুগ্ধ হবেন যে কেউ। বাঁশের একটির পর একটি খিলান তৈরি করেছে এর মূল কাঠামো। এটিকে বিবেচনা করা হচ্ছে এখন পর্যন্ত বাঁশ দিয়ে তৈরি সবচেয়ে অসাধারণ কাঠামোগুলোর একটি হিসেবে।
স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান ইবুকুর নকশা করা এই ভবন তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১২.৪ টন রাফ ব্যাম্বু বা জায়ান্ট ব্যাম্বু। হালকা ওজনের ভবনটির নির্মাণ শেষ হয় ২০২১ সালের এপ্রিলে।
এ ধরনের একটি নজরকাড়া ভবন বাঁশের শক্তি এবং বহুমুখিতা প্রমাণ করে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতে সাহায্য করে বাঁশ নির্মাণ শিল্পে একটি চমৎকার উপাদানে পরিণত হতে পারে। এমনকি বৃক্ষের অনেক প্রজাতির চেয়ে বেশি কার্বন সঞ্চয় করতে পারে বাঁশ। এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
একটি বাঁশ বাগানের কথা যদি বিবেচনা করেন একটি প্রতি হেক্টরে ৪০১ টন কার্বন শোষণ করতে পারে। এদিকে চীনা দেবদারু জাতীয় গাছেদের বেলায় এই পরিমাণ ২৩৭ টন কার্বন। নেদারল্যান্ডসের ডেলফট ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড টেকনোলজি এবং ইন্টারন্যাশনাল ব্যাম্বু অ্যান্ড রত্তন অর্গানাইজেশনের (আইএনবিআর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভিদগুলোর একটি এটি। কোনো কোনো প্রজাতি এমনকি দিনে এক মিটার বাড়ার ঘটনাও ঘটে। তা ছাড়া বাঁশ একটি ঘাসজাতীয় উদ্ভিদ হওয়ায় যখন কাণ্ড কাটা হয় তখন তা আবার বাড়ে, বেশির ভাগ গাছের বেলায় যা হয় না।
এশিয়াতে নির্মাণে বাঁশ ব্যবহারের চল অনেক পুরোনো। ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে নির্মাণ উপাদান হিসেবে এটি এখনো ততটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। এসব জায়গায় তাপ এবং রাসায়নিক প্রয়োগ করা বাঁশ মেঝে, রান্নাঘরের ওপরের অংশ এবং চপিং বোর্ড তৈরিতে ব্যবহার করা হলেও দালান তৈরির উপাদান হিসেবে খুব কমই ব্যবহৃত হয়। তবে নির্মাণ সামগ্রী হিসেবে বাঁশের ব্যবহার বাড়াতে সাম্প্রতিক কিছু উদ্যোগ চোখে পড়ার মতো।
লন্ডন-ভিত্তিক প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান অ্যাটেলিয়ার ওয়ানের ক্রিস্টোফার ম্যাথিউসের মতে, সমস্যার একটি অংশ হলো পরিচিতির অভাব।
‘বাঁশের কৌশলী ব্যবহারের বিষয়টি সম্পর্কে জানা না থাকাটা একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।’ বালির স্কুল প্রকল্পে কাজ করা ম্যাথিউস বলেন, ‘সুতরাং আমাদের এটি পরীক্ষা করতে হয়েছিল। আমরা সেখানে ছিলাম, এটি কতটা শক্তিশালী তা প্রমাণ করার জন্য বাঁশের ওপর প্রচুর বালির ব্যাগ তোলা হয়।’
ক্রিস্টোফার ম্যাথিউস জানান বাঁশের চাহিদা বাড়ছে। তাঁর কোম্পানির শতকরা ৩০ শতাংশ গ্রাহক এখন এটি ব্যবহার করছেন। ‘নিত্য নতুন সব বাঁশের কাঠামো তৈরিতে কাজ করছি আমরা।’
উদাহরণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর একটি স্কুলের ক্যাম্পাস, কোস্টারিকার ইয়োগা স্টুডিও ভবন এবং ফিলিপাইনের একটি সেতু এবং প্যাভিলিয়নের কথা উল্লেখ করেন।
‘যেসব দেশে বাঁশ ব্যবহার করা হয় এটি দামে খুব সস্তা এবং প্রচুর পরিমাণে আছে। আর যারা নির্মাণকাজে জড়িত থাকেন তাঁরা এটি ব্যবহারে দক্ষ। আমরা যদি ইউরোপে ব্যবহার শুরু করি, গোড়ার দিকে ব্যয়বহুল হবে এটি। তবে যখন ব্যবহার বেড়ে যাবে খরচ না কমার কোনো কারণ নেই।’
তিনি জানান যুক্তরাজ্যে নির্মাণে বাঁশ ব্যবহারের বিষয়ে প্রাথমিক আলাপ-আলোচনায় আছেন তাঁরা। ইউরোপে বাঁশ জন্মালে বাঁশের এই সম্প্রসারণের বিষয়গুলো আরও সহজ হতো। তবে বাঁশের বড় প্রজাতিগুলো শীতল উত্তরের জলবায়ুতে জন্মায় না।
তবে এতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে ব্যাম্বুলজিক নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ইউরোপে প্রথম বড় আকারে বাঁশ চাষে হাত দিয়েছে তারা।
পর্তুগালে বাঁশের বাগান করা ব্যাম্বুলজিকের বিশেষজ্ঞ জেন ডেটাভার্নিয়ার বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই এর জন্য প্রচুর সূর্যের তাপ লাগবে, কিছু পরিমাণ পানিও লাগবে।’
‘দক্ষিণে, আমরা প্রচুর সূর্যের তাপ পাই।’ তিনি বলেন। ডেটাভার্নিয়ার আরও জানান, এটির ক্ষয়প্রাপ্ত মাটি পুনরুদ্ধারের ক্ষমতা রয়েছে। পর্তুগালের দক্ষিণে মাটির অবস্থা বেশ খাপ। যেহেতু বাঁশ কার্বন-ডাই-অক্সাইড ধারণ করে এবং মাটিতে জমা করে, এটি মাটির জন্য উপকারী।
ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার স্কুল অফ আর্কিটেকচারের স্থাপত্যবিদ্যার সহকারী অধ্যাপক ড. ভাবনা শর্মা বলেন, ‘নির্মাণে বাঁশ ব্যবহার করা এখনো একটি চ্যালেঞ্জ। কারণ এটি এখনো একটি অপ্রচলিত উপাদান।’
তিনি মনে করেন বিভিন্ন পরিবেশে উপাদানটি কীভাবে কাজ করবে তা বোঝাটাও জরুরি। যার অর্থ আমস্টারডামে নির্মাণ করলে ভবনটি ওই আবহাওয়া এবং জলবায়ুতে কীভাবে কাজ করবে কিংবা ইন্দোনেশিয়ায় বেলায় ঘটনাটি কী ঘটবে তা জানা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় টেকসই দালান উপকরণ কোম্পানি ব্যামকোর প্রতিষ্ঠা হয় ২০১৯ সালে। তাদের কারিগরি ফলানো বাঁশ এবং কাঠ, অথবা ইউক্যালিপটাস এবং কাঠ দিয়ে তৈরি প্যানেল পাঁচ তলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক এবং আবাসিক ভবন তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ব্যামকোর কর্মকর্তা কেট চিল্টন বলেন, ‘আমাদের গ্রাহকেরা মূলত কোনো বাড়ির মালিক বা স্থপতি যারা টেকসই কিছু একটা চাইছিলেন।
তবে এখন ডেভেলপারদেরও ক্রেতা হিসেবে পাচ্ছেন বলে জানান। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ভবন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডি. আর. হর্টনের উল্লেখ করে বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের তাদের কিছু প্রকল্পে পরীক্ষামূলক ভাবে বাঁশের সামগ্রী ব্যবহার করার পথে আছে।
বাঁশের ১ হাজার ৬০০ প্রজাতি থাকলেও ব্যামকোর ডেন্ড্রোকেলামাস এসপার বা জায়ান্ট ব্যাম্বু ব্যবহার করা পছন্দ করে। দক্ষিণ আমেরিকা এবং এশিয়া থেকে এগুলো আমদানি হয়।
কেউ কেউ বাঁশের সৃজনশীল সম্ভাবনাটাও দেখছেন। ইভেন্ট মার্কেটিং এজেন্সি ন্যাচল্যাব আগামী বছর অনুষ্ঠেয় পর্তুগালের একটি ফেস্টিভ্যালের জন্য পুনর্ব্যবহৃত বাঁশ দিয়ে ৬৫০ বর্গমিটারের একটি কাঠামো তৈরি করছে।
কাজেই সব মিলিয়ে এশিয়ার পাশাপাশি ইউরোপ এবং আমেরিকায়ও যে বাঁশের নতুন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে তাতে সন্দেহ নেই।
এশিয়ায় বিভিন্ন স্থাপনায় বাঁশের ব্যবহার চোখে পড়ে বহু আগে থেকেই। তবে ইউরোপ কিংবা আমেরিকায় সে তুলনায় এর ব্যবহার একেবারেই কম। তবে সম্প্রতি কিছু প্রতিষ্ঠান এসব দেশের কোনো কোনো স্থাপনায় বাঁশের ব্যবহার শুরু করেছেন।
বালির গ্রিন স্কুলটি দেখলে মুগ্ধ হবেন যে কেউ। বাঁশের একটির পর একটি খিলান তৈরি করেছে এর মূল কাঠামো। এটিকে বিবেচনা করা হচ্ছে এখন পর্যন্ত বাঁশ দিয়ে তৈরি সবচেয়ে অসাধারণ কাঠামোগুলোর একটি হিসেবে।
স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান ইবুকুর নকশা করা এই ভবন তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১২.৪ টন রাফ ব্যাম্বু বা জায়ান্ট ব্যাম্বু। হালকা ওজনের ভবনটির নির্মাণ শেষ হয় ২০২১ সালের এপ্রিলে।
এ ধরনের একটি নজরকাড়া ভবন বাঁশের শক্তি এবং বহুমুখিতা প্রমাণ করে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতে সাহায্য করে বাঁশ নির্মাণ শিল্পে একটি চমৎকার উপাদানে পরিণত হতে পারে। এমনকি বৃক্ষের অনেক প্রজাতির চেয়ে বেশি কার্বন সঞ্চয় করতে পারে বাঁশ। এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
একটি বাঁশ বাগানের কথা যদি বিবেচনা করেন একটি প্রতি হেক্টরে ৪০১ টন কার্বন শোষণ করতে পারে। এদিকে চীনা দেবদারু জাতীয় গাছেদের বেলায় এই পরিমাণ ২৩৭ টন কার্বন। নেদারল্যান্ডসের ডেলফট ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড টেকনোলজি এবং ইন্টারন্যাশনাল ব্যাম্বু অ্যান্ড রত্তন অর্গানাইজেশনের (আইএনবিআর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভিদগুলোর একটি এটি। কোনো কোনো প্রজাতি এমনকি দিনে এক মিটার বাড়ার ঘটনাও ঘটে। তা ছাড়া বাঁশ একটি ঘাসজাতীয় উদ্ভিদ হওয়ায় যখন কাণ্ড কাটা হয় তখন তা আবার বাড়ে, বেশির ভাগ গাছের বেলায় যা হয় না।
এশিয়াতে নির্মাণে বাঁশ ব্যবহারের চল অনেক পুরোনো। ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে নির্মাণ উপাদান হিসেবে এটি এখনো ততটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। এসব জায়গায় তাপ এবং রাসায়নিক প্রয়োগ করা বাঁশ মেঝে, রান্নাঘরের ওপরের অংশ এবং চপিং বোর্ড তৈরিতে ব্যবহার করা হলেও দালান তৈরির উপাদান হিসেবে খুব কমই ব্যবহৃত হয়। তবে নির্মাণ সামগ্রী হিসেবে বাঁশের ব্যবহার বাড়াতে সাম্প্রতিক কিছু উদ্যোগ চোখে পড়ার মতো।
লন্ডন-ভিত্তিক প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান অ্যাটেলিয়ার ওয়ানের ক্রিস্টোফার ম্যাথিউসের মতে, সমস্যার একটি অংশ হলো পরিচিতির অভাব।
‘বাঁশের কৌশলী ব্যবহারের বিষয়টি সম্পর্কে জানা না থাকাটা একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।’ বালির স্কুল প্রকল্পে কাজ করা ম্যাথিউস বলেন, ‘সুতরাং আমাদের এটি পরীক্ষা করতে হয়েছিল। আমরা সেখানে ছিলাম, এটি কতটা শক্তিশালী তা প্রমাণ করার জন্য বাঁশের ওপর প্রচুর বালির ব্যাগ তোলা হয়।’
ক্রিস্টোফার ম্যাথিউস জানান বাঁশের চাহিদা বাড়ছে। তাঁর কোম্পানির শতকরা ৩০ শতাংশ গ্রাহক এখন এটি ব্যবহার করছেন। ‘নিত্য নতুন সব বাঁশের কাঠামো তৈরিতে কাজ করছি আমরা।’
উদাহরণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর একটি স্কুলের ক্যাম্পাস, কোস্টারিকার ইয়োগা স্টুডিও ভবন এবং ফিলিপাইনের একটি সেতু এবং প্যাভিলিয়নের কথা উল্লেখ করেন।
‘যেসব দেশে বাঁশ ব্যবহার করা হয় এটি দামে খুব সস্তা এবং প্রচুর পরিমাণে আছে। আর যারা নির্মাণকাজে জড়িত থাকেন তাঁরা এটি ব্যবহারে দক্ষ। আমরা যদি ইউরোপে ব্যবহার শুরু করি, গোড়ার দিকে ব্যয়বহুল হবে এটি। তবে যখন ব্যবহার বেড়ে যাবে খরচ না কমার কোনো কারণ নেই।’
তিনি জানান যুক্তরাজ্যে নির্মাণে বাঁশ ব্যবহারের বিষয়ে প্রাথমিক আলাপ-আলোচনায় আছেন তাঁরা। ইউরোপে বাঁশ জন্মালে বাঁশের এই সম্প্রসারণের বিষয়গুলো আরও সহজ হতো। তবে বাঁশের বড় প্রজাতিগুলো শীতল উত্তরের জলবায়ুতে জন্মায় না।
তবে এতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে ব্যাম্বুলজিক নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ইউরোপে প্রথম বড় আকারে বাঁশ চাষে হাত দিয়েছে তারা।
পর্তুগালে বাঁশের বাগান করা ব্যাম্বুলজিকের বিশেষজ্ঞ জেন ডেটাভার্নিয়ার বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই এর জন্য প্রচুর সূর্যের তাপ লাগবে, কিছু পরিমাণ পানিও লাগবে।’
‘দক্ষিণে, আমরা প্রচুর সূর্যের তাপ পাই।’ তিনি বলেন। ডেটাভার্নিয়ার আরও জানান, এটির ক্ষয়প্রাপ্ত মাটি পুনরুদ্ধারের ক্ষমতা রয়েছে। পর্তুগালের দক্ষিণে মাটির অবস্থা বেশ খাপ। যেহেতু বাঁশ কার্বন-ডাই-অক্সাইড ধারণ করে এবং মাটিতে জমা করে, এটি মাটির জন্য উপকারী।
ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার স্কুল অফ আর্কিটেকচারের স্থাপত্যবিদ্যার সহকারী অধ্যাপক ড. ভাবনা শর্মা বলেন, ‘নির্মাণে বাঁশ ব্যবহার করা এখনো একটি চ্যালেঞ্জ। কারণ এটি এখনো একটি অপ্রচলিত উপাদান।’
তিনি মনে করেন বিভিন্ন পরিবেশে উপাদানটি কীভাবে কাজ করবে তা বোঝাটাও জরুরি। যার অর্থ আমস্টারডামে নির্মাণ করলে ভবনটি ওই আবহাওয়া এবং জলবায়ুতে কীভাবে কাজ করবে কিংবা ইন্দোনেশিয়ায় বেলায় ঘটনাটি কী ঘটবে তা জানা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় টেকসই দালান উপকরণ কোম্পানি ব্যামকোর প্রতিষ্ঠা হয় ২০১৯ সালে। তাদের কারিগরি ফলানো বাঁশ এবং কাঠ, অথবা ইউক্যালিপটাস এবং কাঠ দিয়ে তৈরি প্যানেল পাঁচ তলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক এবং আবাসিক ভবন তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ব্যামকোর কর্মকর্তা কেট চিল্টন বলেন, ‘আমাদের গ্রাহকেরা মূলত কোনো বাড়ির মালিক বা স্থপতি যারা টেকসই কিছু একটা চাইছিলেন।
তবে এখন ডেভেলপারদেরও ক্রেতা হিসেবে পাচ্ছেন বলে জানান। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ভবন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডি. আর. হর্টনের উল্লেখ করে বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের তাদের কিছু প্রকল্পে পরীক্ষামূলক ভাবে বাঁশের সামগ্রী ব্যবহার করার পথে আছে।
বাঁশের ১ হাজার ৬০০ প্রজাতি থাকলেও ব্যামকোর ডেন্ড্রোকেলামাস এসপার বা জায়ান্ট ব্যাম্বু ব্যবহার করা পছন্দ করে। দক্ষিণ আমেরিকা এবং এশিয়া থেকে এগুলো আমদানি হয়।
কেউ কেউ বাঁশের সৃজনশীল সম্ভাবনাটাও দেখছেন। ইভেন্ট মার্কেটিং এজেন্সি ন্যাচল্যাব আগামী বছর অনুষ্ঠেয় পর্তুগালের একটি ফেস্টিভ্যালের জন্য পুনর্ব্যবহৃত বাঁশ দিয়ে ৬৫০ বর্গমিটারের একটি কাঠামো তৈরি করছে।
কাজেই সব মিলিয়ে এশিয়ার পাশাপাশি ইউরোপ এবং আমেরিকায়ও যে বাঁশের নতুন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে তাতে সন্দেহ নেই।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে