রিক্তা রিচি, ঢাকা
সকালে বের হওয়ার জন্য তৈরি হওয়ার সময় দেখলেন আকাশ ঘন কালো, বাইরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। আবার হুট করে রোদও উঠে গেল। বাইরে যাওয়ার সময় গয়না না থাকলে ঠিক মানায় না। তবে এই বৃষ্টি এই রোদের এই সময়ে ভারী গয়নার বদলে হালকা ওজন ও হালকা কাজের গয়না ব্যবহার করা ভালো। ঝড়বৃষ্টি বা ঘামে এগুলো নিয়ে তেমন কোনো ঝামেলায় পড়তে হয় না। তবে এ সময় গয়না নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিছুটা সতর্ক থাকতে হবে।
এখন যেমন গয়না
এ সময় বিভিন্ন রকম ধাতু, পাথরের গয়নাসহ প্লাস্টিক, স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি গয়না অনায়াসে পরা যেতে পারে। অ্যান্টিক ও অক্সিডাইজের গয়নাও এ সময় অনায়াসে পরা যায়। বর্তমানে তামা, পিতল, রুপাসহ বিভিন্ন ধাতব গয়নার চাহিদা বেড়েছে। এসব গয়নায় তরুণী, যুবতী ও মধ্যবয়স্ক নারীদের মানিয়ে যায়। সোনার গয়নার প্রচলন থাকলেও এখন গয়না ফ্যাশনে বেশ পরিবর্তন এসেছে। নারীদের মধ্যে সোনার গয়নার চেয়ে অন্যান্য গয়না পরার প্রচলন বেশি দেখা যায়। হালকা নকশার দুল, গলার নেকলেস, চেন, পেনডেন্ট, আংটি, ছোট ঝুমকা ইত্যাদি শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তিসহ প্রায় সব পোশাকের সঙ্গেই মানিয়ে যায়।
যাঁরা নিয়মিত অফিস করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান কিংবা ক্লাস করেন তাদের সাজ-পোশাকের সঙ্গেও মানিয়ে যায় হালকা গয়না। সিক্স ইয়ার্ডস স্টোরির স্বত্বাধিকারী লরা খান বলেন, ‘আমাদের ফিউশন ও ট্র্যাডিশনাল দুই ধরনের গয়না আছে। সব ধরনের ম্যাটেরিয়াল, যেমন মেটাল, সোনা, পাথর, ডায়মন্ডসহ মোটামুটি সব ধরনের গয়না আছে। আমাদের আরেকটি গয়না আছে, যার নাম জামদানি পাড় সেট। এটি জামদানি শাড়ির কাজ দেখে করা হয়েছে।’
লরা খান জানান, এসব গয়না যেকোনো সময়ে পরা যায়। বৃষ্টির দিনেও পরা যায়। তবে বৃষ্টিতে ভিজলে বা গায়ে পানি লাগলে গয়নার আলাদা যত্ন দরকার।
উপাদান ও গয়নার আঁকিবুঁকি
মেটালের গয়না ছাড়াও এ সময় ট্রেন্ডে আছে কাঠ, মাটি, সামুদ্রিক শাঁস ও রেজিনের গয়না। কাঠ ও মাটির গয়নায় মনের মাধুরী মিশিয়ে বিভিন্ন চিত্র ও নকশা আঁকা হয়। গলার মালায়, কানের দুলে কাঠের পরতের ওপর বিভিন্ন আঁকিবুঁকি করা হয়। রঙে রাঙিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয় প্রাণ ও প্রকৃতির বিভিন্ন অনুষঙ্গ। নকশায়ও থাকে বৈচিত্র্য। দুল-মালা-চুড়িতে শিউলি, সূর্যমুখী, কাঠগোলাপ, জবা কিংবা অন্যান্য ফুল, চুল খোলা কোনো নারীর প্রতিচ্ছবি ইত্যাদিও আঁকা হয়। অর্থাৎ, কাঠের গয়নায় মনের মতো আঁকিবুঁকির সুযোগ থাকে। হ্যান্ড পেইন্ট ছাড়াও গয়নায় বসানো হয় বিডস, কড়ি ও সুতার তৈরি বিভিন্ন উপকরণ।
কিন্তু বৃষ্টিতে কি কাঠের গয়না পরা যাবে? সে প্রশ্নের উত্তরে রূপসার স্বত্বাধিকারী ঝুমকি বসু জানান, পানিতে ভিজলে কাঠের গয়নার রং নষ্ট হয় না। হলুদ ছোঁয়ার স্বত্বাধিকারী সায়েরা সরকার শান্তা জানান, বৃষ্টির দিনে ক্লের গয়না পরা যাবে। কারণ ক্লে একবার শুকিয়ে গেলে সেটা পানির সঙ্গে আর মেশে না। পানিতে ভিজে গেলে তা ভালো করে মুছে নিতে হবে।
বৃষ্টিতে ভিজলে গয়নাগুলো সুতি কাপড় দিয়ে ভালো করে মুছে নিতে হবে। গয়নায় যেন কোনো পানি না থাকে তা নিশ্চিত করে এয়ার টাইট বাক্সে সংরক্ষণ করতে হবে। তাহলে গয়না ভালো থাকবে।
ফ্যাশন সচেতন নারীরা বেছে নিচ্ছেন রেজিনের গয়নাও। রেজিনের গয়নার নকশা ফুল, পাতা, পাপড়ি, কড়ি, শামুক, ঝিনুক দিয়েও তৈরি করা হয়। রেজিনের গয়নাগুলো রেজিন ও হার্ডেনার উপাদানের মিশ্রণে তৈরি করা হয়। হার্ডেনারের কারণেই মূলত তরল থেকে ধীরে ধীরে কঠিনে রূপ লাভ করে এসব গয়না। এ ধরনের গয়নার দাম একটু বেশি হয়ে থাকে।
এখন অনলাইনের বিভিন্ন পেজ ও মার্কেটে পাওয়া যায় ক্লে দিয়ে তৈরি গয়নাও। এসব গয়নার মূল উপাদান থাকে ক্লে। ‘হলুদ ছোঁয়া’র উদ্যোক্তা সায়েরা সরকার শান্তা জানান, সৌন্দর্য বাড়াতে গয়নার সঙ্গে পুঁতি, বিডসসহ আরও ছোট ছোট জিনিস যোগ করা হয়। ক্লে দিয়ে বানানো হয় গোলাপ, সূর্যমুখী, পদ্মপাতা, অপরাজিতা, কাঠগোলাপ ইত্যাদি।
যেখানে পাবেন
ঢাকায় প্রায় সব শপিং মলেই এ ধরনের গয়না পাওয়া যায় এখন। বৈচিত্র্যময় গয়নার খোঁজ করতে পারেন সিক্স ইয়ার্ডস স্টোরি, জাফরিন’স রুবি, রূপসা, ইজি শপিং, কন্যা, কাসিমাত, স্পার্কলি ক্লোজেট, ত্রিনিত্রি, কায়রাসহ বিভিন্ন অনলাইন পেজেও। অনলাইন পেজে কাস্টমাইজ করে গয়না বানানোর সুযোগও আছে।
ঢাকার বাইরে জেলা শহরগুলোর নিউমার্কেট বা সুপার মার্কেটের গয়নার দোকানে খোঁজ করলেও পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের গয়না। আর ডেলিভারি চার্জ দিলে যেকোনো জায়গায় বসে ঢাকা থেকেও গয়না কেনা যায় এখন।
দরদাম
নকশা ও ধাতুর ওপর নির্ভর করে ৮০, ১০০, ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার বা তার বেশি দামেও কেনা যাবে এই গয়নাগুলো। রেজিনের গয়না ৫০ বা ১০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে ৮০০ বা ১ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।
সকালে বের হওয়ার জন্য তৈরি হওয়ার সময় দেখলেন আকাশ ঘন কালো, বাইরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। আবার হুট করে রোদও উঠে গেল। বাইরে যাওয়ার সময় গয়না না থাকলে ঠিক মানায় না। তবে এই বৃষ্টি এই রোদের এই সময়ে ভারী গয়নার বদলে হালকা ওজন ও হালকা কাজের গয়না ব্যবহার করা ভালো। ঝড়বৃষ্টি বা ঘামে এগুলো নিয়ে তেমন কোনো ঝামেলায় পড়তে হয় না। তবে এ সময় গয়না নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিছুটা সতর্ক থাকতে হবে।
এখন যেমন গয়না
এ সময় বিভিন্ন রকম ধাতু, পাথরের গয়নাসহ প্লাস্টিক, স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি গয়না অনায়াসে পরা যেতে পারে। অ্যান্টিক ও অক্সিডাইজের গয়নাও এ সময় অনায়াসে পরা যায়। বর্তমানে তামা, পিতল, রুপাসহ বিভিন্ন ধাতব গয়নার চাহিদা বেড়েছে। এসব গয়নায় তরুণী, যুবতী ও মধ্যবয়স্ক নারীদের মানিয়ে যায়। সোনার গয়নার প্রচলন থাকলেও এখন গয়না ফ্যাশনে বেশ পরিবর্তন এসেছে। নারীদের মধ্যে সোনার গয়নার চেয়ে অন্যান্য গয়না পরার প্রচলন বেশি দেখা যায়। হালকা নকশার দুল, গলার নেকলেস, চেন, পেনডেন্ট, আংটি, ছোট ঝুমকা ইত্যাদি শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তিসহ প্রায় সব পোশাকের সঙ্গেই মানিয়ে যায়।
যাঁরা নিয়মিত অফিস করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান কিংবা ক্লাস করেন তাদের সাজ-পোশাকের সঙ্গেও মানিয়ে যায় হালকা গয়না। সিক্স ইয়ার্ডস স্টোরির স্বত্বাধিকারী লরা খান বলেন, ‘আমাদের ফিউশন ও ট্র্যাডিশনাল দুই ধরনের গয়না আছে। সব ধরনের ম্যাটেরিয়াল, যেমন মেটাল, সোনা, পাথর, ডায়মন্ডসহ মোটামুটি সব ধরনের গয়না আছে। আমাদের আরেকটি গয়না আছে, যার নাম জামদানি পাড় সেট। এটি জামদানি শাড়ির কাজ দেখে করা হয়েছে।’
লরা খান জানান, এসব গয়না যেকোনো সময়ে পরা যায়। বৃষ্টির দিনেও পরা যায়। তবে বৃষ্টিতে ভিজলে বা গায়ে পানি লাগলে গয়নার আলাদা যত্ন দরকার।
উপাদান ও গয়নার আঁকিবুঁকি
মেটালের গয়না ছাড়াও এ সময় ট্রেন্ডে আছে কাঠ, মাটি, সামুদ্রিক শাঁস ও রেজিনের গয়না। কাঠ ও মাটির গয়নায় মনের মাধুরী মিশিয়ে বিভিন্ন চিত্র ও নকশা আঁকা হয়। গলার মালায়, কানের দুলে কাঠের পরতের ওপর বিভিন্ন আঁকিবুঁকি করা হয়। রঙে রাঙিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয় প্রাণ ও প্রকৃতির বিভিন্ন অনুষঙ্গ। নকশায়ও থাকে বৈচিত্র্য। দুল-মালা-চুড়িতে শিউলি, সূর্যমুখী, কাঠগোলাপ, জবা কিংবা অন্যান্য ফুল, চুল খোলা কোনো নারীর প্রতিচ্ছবি ইত্যাদিও আঁকা হয়। অর্থাৎ, কাঠের গয়নায় মনের মতো আঁকিবুঁকির সুযোগ থাকে। হ্যান্ড পেইন্ট ছাড়াও গয়নায় বসানো হয় বিডস, কড়ি ও সুতার তৈরি বিভিন্ন উপকরণ।
কিন্তু বৃষ্টিতে কি কাঠের গয়না পরা যাবে? সে প্রশ্নের উত্তরে রূপসার স্বত্বাধিকারী ঝুমকি বসু জানান, পানিতে ভিজলে কাঠের গয়নার রং নষ্ট হয় না। হলুদ ছোঁয়ার স্বত্বাধিকারী সায়েরা সরকার শান্তা জানান, বৃষ্টির দিনে ক্লের গয়না পরা যাবে। কারণ ক্লে একবার শুকিয়ে গেলে সেটা পানির সঙ্গে আর মেশে না। পানিতে ভিজে গেলে তা ভালো করে মুছে নিতে হবে।
বৃষ্টিতে ভিজলে গয়নাগুলো সুতি কাপড় দিয়ে ভালো করে মুছে নিতে হবে। গয়নায় যেন কোনো পানি না থাকে তা নিশ্চিত করে এয়ার টাইট বাক্সে সংরক্ষণ করতে হবে। তাহলে গয়না ভালো থাকবে।
ফ্যাশন সচেতন নারীরা বেছে নিচ্ছেন রেজিনের গয়নাও। রেজিনের গয়নার নকশা ফুল, পাতা, পাপড়ি, কড়ি, শামুক, ঝিনুক দিয়েও তৈরি করা হয়। রেজিনের গয়নাগুলো রেজিন ও হার্ডেনার উপাদানের মিশ্রণে তৈরি করা হয়। হার্ডেনারের কারণেই মূলত তরল থেকে ধীরে ধীরে কঠিনে রূপ লাভ করে এসব গয়না। এ ধরনের গয়নার দাম একটু বেশি হয়ে থাকে।
এখন অনলাইনের বিভিন্ন পেজ ও মার্কেটে পাওয়া যায় ক্লে দিয়ে তৈরি গয়নাও। এসব গয়নার মূল উপাদান থাকে ক্লে। ‘হলুদ ছোঁয়া’র উদ্যোক্তা সায়েরা সরকার শান্তা জানান, সৌন্দর্য বাড়াতে গয়নার সঙ্গে পুঁতি, বিডসসহ আরও ছোট ছোট জিনিস যোগ করা হয়। ক্লে দিয়ে বানানো হয় গোলাপ, সূর্যমুখী, পদ্মপাতা, অপরাজিতা, কাঠগোলাপ ইত্যাদি।
যেখানে পাবেন
ঢাকায় প্রায় সব শপিং মলেই এ ধরনের গয়না পাওয়া যায় এখন। বৈচিত্র্যময় গয়নার খোঁজ করতে পারেন সিক্স ইয়ার্ডস স্টোরি, জাফরিন’স রুবি, রূপসা, ইজি শপিং, কন্যা, কাসিমাত, স্পার্কলি ক্লোজেট, ত্রিনিত্রি, কায়রাসহ বিভিন্ন অনলাইন পেজেও। অনলাইন পেজে কাস্টমাইজ করে গয়না বানানোর সুযোগও আছে।
ঢাকার বাইরে জেলা শহরগুলোর নিউমার্কেট বা সুপার মার্কেটের গয়নার দোকানে খোঁজ করলেও পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের গয়না। আর ডেলিভারি চার্জ দিলে যেকোনো জায়গায় বসে ঢাকা থেকেও গয়না কেনা যায় এখন।
দরদাম
নকশা ও ধাতুর ওপর নির্ভর করে ৮০, ১০০, ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার বা তার বেশি দামেও কেনা যাবে এই গয়নাগুলো। রেজিনের গয়না ৫০ বা ১০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে ৮০০ বা ১ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে