অনলাইন ডেস্ক
হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের কাউয়াই দ্বীপে ১০ কোটি ডলার ব্যয়ে আবাসিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। সেখানে বিশাল অট্টালিকা ও ভূগর্ভস্থ বাংকার গড়ছেন তিনি। ওই কমপাউন্ডের জন্য নিজস্ব খাদ্য ব্যবস্থা ও জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ এসব তথ্য জানিয়েছে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাউয়াই দ্বীপে প্রচুর জমি কিনেছেন মেটার সিইও ও ধনকুবের জাকারবার্গ। সেখানেই গোপনে প্রকল্পটি গড়ে তুলছেন তিনি। কাঠমিস্ত্রি, নিরাপত্তারক্ষী ও ইলেকট্রিশিয়ানসহ সব কর্মীরাই চুক্তিবদ্ধ হয়ে গোপনে প্রকল্পের কাজ চালাচ্ছেন। এ চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করলেই চাকরিচ্যুত করা হবে। তবু বেশকিছু তথ্য ফাঁস হয়েছে।
ফাঁস হওয়া তথ্য অনুযায়ী, মহাবিপর্যয়ে ‘সভ্যতার পতনের’ পর আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে কমপ্লেক্সকে ব্যবহার করা হবে। এতে একডজনেরও বেশি ভবন আছে, যাতে অন্তত ৩০টি শোবার ঘর ও ৩০টি বাথরুম আছে। আরও আছে আমেরিকান পেশাদার ফুটবল মাঠের সমান দুটি অট্টালিকা। কম্পাউন্ডটিতে আছে বিশাল রান্নাঘর, অফিস ও কনফারেন্স রুম। পাশেই থাকা জঙ্গল জেমস বন্ডের ভিলেনের আস্তানার কথা মনে করিয়ে দেবে।
বলা হচ্ছে, এখানে ডিস্ক আকৃতির ১১টি ট্রি হাউস তৈরি করা হবে যা দড়ির সেতু দিয়ে যুক্ত থাকবে। এর মাধ্যমে ভ্রমণের সময় জাকারবার্গ ও তাঁর অতিথিরা গাছের ওপরে থাকতে পারবেন।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়টি হলো- এখানে স্বয়ংসম্পূর্ণ ভূগর্ভস্থ বাংকার তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অট্টালিকা দুটি সুড়ঙ্গ দিয়ে যুক্ত থাকবে। ভূগর্ভস্থ করিডরটি ব্যবহার করে ৫ হাজার বর্গফুটের বাংকারেও যাওয়া যাবে। বাংকারটিতে থাকার জায়গাসহ মেকানিক্যাল রুম ও মই দিয়ে যাওয়ার মতো জরুরি পালানোর পথ রয়েছে। বোমা হামলার আশ্রয়কেন্দ্রের মতোই এতে ঢালাই করা ধাতব দরজা থাকবে।
বিশ্ব এখন বিভিন্ন সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে জাকারবার্গ যেন সর্বোচ্চ খারাপ পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতিই নিচ্ছেন। ফোর্বস ম্যাগাজিনের মতে মার্ক জাকারবার্গের সম্পদের নেট মূল্য ১১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
তাঁর এ বাংকার স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। এটিতে নিজস্ব পানির ট্যাঙ্ক থাকবে, যা পাঁচ ফুট ব্যাসবিশিষ্ট এবং ১৮ ফুট লম্বা হবে। কম্পাউন্ডটিতে এরই মধ্যে বিভিন্ন ধরনের খাবার উৎপাদন করা হচ্ছে। এর ১৪০০ একরের জমিতে কৃষি কাজ ও পশুপালন করা হচ্ছে।
জাকারবার্গ ও তাঁর স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে জমি কিনতেই ১৭ কোটি ডলার ব্যয় করেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এর নির্মাণে তাঁরা ব্য়য় করছেন ১০ কোটি ডলার। ২০১৪ সাল থেকেই তাঁরা এ প্রকল্পটি নিয়ে কাজ করা শুরু করেন।
এটি সবচেয়ে ব্যয়বহুল ব্যক্তিগত নির্মাণ প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি বলে ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। জাকারবার্গ বলছেন, এটি তাঁদের এবং তাঁদের তিন সন্তানের জন্য পারিবারিক আবাসস্থল হবে।
উচ্চস্তরের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার জন্য জাকারবার্গের কম্পাউন্ডকে সামরিক প্রকল্পের সঙ্গে তুলনা করছেন স্থানীয় নির্মাণ শিল্পের একজন কর্মকর্তা। ব্যক্তিগত কোনো প্রকল্পের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা রক্ষার চুক্তি অত্যন্ত বিরল।
নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে একটি ৬ ফুট উঁচু দেয়াল, যার কারণে পার্শ্ববর্তী রাস্তা থেকে এ প্রকল্পের কাজ দেখা যায় না। এর প্রবেশ দ্বারে নিরাপত্তা প্রহরীরা থাকেন এবং আশপাশের তীরেও তারা টহল দিতে থাকেন।
এ প্রকল্পে কর্মরত কর্মীরা বলছেন, যারা গোপনীয়তা রক্ষার চুক্তি লঙ্ঘন করেছেন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকল্পটি নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন তাঁদের তাৎক্ষণিক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তবে এ প্রকল্পের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাওয়াইয়ের স্থানীয় বাসিন্দারা। বাইরের কোনো ব্যক্তি দ্বীপের এমন বিপুল পরিমাণ জমি কিনবে এবং তা জনগণের দৃষ্টির আড়ালে রাখবে—এমনটা মেনে নিতে পারছেন না অনেক বাসিন্দাই।
ফেসবুকের এ প্রতিষ্ঠাতা ভূমিমালিকদের জমি বিক্রিতে বাধ্য করার জন্য মামলাও করেছেন। সমালোচকেরা এ পদক্ষেপকে নব্য উপনিবেশবাদ বলে উল্লেখ করেছেন।
বাংকার নিয়ে প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন জাকারবার্গের মুখপাত্র ব্রান্ডি হোফাইন বার। তিনি বলেন, জাকারবার্গ পরিবার হাওয়াইয়ে বিপন্ন বা হুমকির মুখে থাকা বন্যপ্রাণী রক্ষার জন্য সংরক্ষণবাদীদের সঙ্গে কাজ করছে।
জাকারবার্গই একমাত্র ধনী নন যিনি বিপর্যয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ফেসবুকের পূর্বের এক বিনিয়োগকারী পিটার থিয়েল এবং ওপেন এআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যানের মধ্যেও একটি চুক্তি আছে। এ চুক্তি অনুসারে, কোনো ধরনের বিপর্যয় ঘটলে স্যাম থিয়েলের নিউজিল্যান্ডের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেবেন।
হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের কাউয়াই দ্বীপে ১০ কোটি ডলার ব্যয়ে আবাসিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। সেখানে বিশাল অট্টালিকা ও ভূগর্ভস্থ বাংকার গড়ছেন তিনি। ওই কমপাউন্ডের জন্য নিজস্ব খাদ্য ব্যবস্থা ও জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ এসব তথ্য জানিয়েছে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাউয়াই দ্বীপে প্রচুর জমি কিনেছেন মেটার সিইও ও ধনকুবের জাকারবার্গ। সেখানেই গোপনে প্রকল্পটি গড়ে তুলছেন তিনি। কাঠমিস্ত্রি, নিরাপত্তারক্ষী ও ইলেকট্রিশিয়ানসহ সব কর্মীরাই চুক্তিবদ্ধ হয়ে গোপনে প্রকল্পের কাজ চালাচ্ছেন। এ চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করলেই চাকরিচ্যুত করা হবে। তবু বেশকিছু তথ্য ফাঁস হয়েছে।
ফাঁস হওয়া তথ্য অনুযায়ী, মহাবিপর্যয়ে ‘সভ্যতার পতনের’ পর আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে কমপ্লেক্সকে ব্যবহার করা হবে। এতে একডজনেরও বেশি ভবন আছে, যাতে অন্তত ৩০টি শোবার ঘর ও ৩০টি বাথরুম আছে। আরও আছে আমেরিকান পেশাদার ফুটবল মাঠের সমান দুটি অট্টালিকা। কম্পাউন্ডটিতে আছে বিশাল রান্নাঘর, অফিস ও কনফারেন্স রুম। পাশেই থাকা জঙ্গল জেমস বন্ডের ভিলেনের আস্তানার কথা মনে করিয়ে দেবে।
বলা হচ্ছে, এখানে ডিস্ক আকৃতির ১১টি ট্রি হাউস তৈরি করা হবে যা দড়ির সেতু দিয়ে যুক্ত থাকবে। এর মাধ্যমে ভ্রমণের সময় জাকারবার্গ ও তাঁর অতিথিরা গাছের ওপরে থাকতে পারবেন।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়টি হলো- এখানে স্বয়ংসম্পূর্ণ ভূগর্ভস্থ বাংকার তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অট্টালিকা দুটি সুড়ঙ্গ দিয়ে যুক্ত থাকবে। ভূগর্ভস্থ করিডরটি ব্যবহার করে ৫ হাজার বর্গফুটের বাংকারেও যাওয়া যাবে। বাংকারটিতে থাকার জায়গাসহ মেকানিক্যাল রুম ও মই দিয়ে যাওয়ার মতো জরুরি পালানোর পথ রয়েছে। বোমা হামলার আশ্রয়কেন্দ্রের মতোই এতে ঢালাই করা ধাতব দরজা থাকবে।
বিশ্ব এখন বিভিন্ন সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে জাকারবার্গ যেন সর্বোচ্চ খারাপ পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতিই নিচ্ছেন। ফোর্বস ম্যাগাজিনের মতে মার্ক জাকারবার্গের সম্পদের নেট মূল্য ১১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
তাঁর এ বাংকার স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। এটিতে নিজস্ব পানির ট্যাঙ্ক থাকবে, যা পাঁচ ফুট ব্যাসবিশিষ্ট এবং ১৮ ফুট লম্বা হবে। কম্পাউন্ডটিতে এরই মধ্যে বিভিন্ন ধরনের খাবার উৎপাদন করা হচ্ছে। এর ১৪০০ একরের জমিতে কৃষি কাজ ও পশুপালন করা হচ্ছে।
জাকারবার্গ ও তাঁর স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে জমি কিনতেই ১৭ কোটি ডলার ব্যয় করেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এর নির্মাণে তাঁরা ব্য়য় করছেন ১০ কোটি ডলার। ২০১৪ সাল থেকেই তাঁরা এ প্রকল্পটি নিয়ে কাজ করা শুরু করেন।
এটি সবচেয়ে ব্যয়বহুল ব্যক্তিগত নির্মাণ প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি বলে ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। জাকারবার্গ বলছেন, এটি তাঁদের এবং তাঁদের তিন সন্তানের জন্য পারিবারিক আবাসস্থল হবে।
উচ্চস্তরের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার জন্য জাকারবার্গের কম্পাউন্ডকে সামরিক প্রকল্পের সঙ্গে তুলনা করছেন স্থানীয় নির্মাণ শিল্পের একজন কর্মকর্তা। ব্যক্তিগত কোনো প্রকল্পের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা রক্ষার চুক্তি অত্যন্ত বিরল।
নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে একটি ৬ ফুট উঁচু দেয়াল, যার কারণে পার্শ্ববর্তী রাস্তা থেকে এ প্রকল্পের কাজ দেখা যায় না। এর প্রবেশ দ্বারে নিরাপত্তা প্রহরীরা থাকেন এবং আশপাশের তীরেও তারা টহল দিতে থাকেন।
এ প্রকল্পে কর্মরত কর্মীরা বলছেন, যারা গোপনীয়তা রক্ষার চুক্তি লঙ্ঘন করেছেন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকল্পটি নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন তাঁদের তাৎক্ষণিক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তবে এ প্রকল্পের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাওয়াইয়ের স্থানীয় বাসিন্দারা। বাইরের কোনো ব্যক্তি দ্বীপের এমন বিপুল পরিমাণ জমি কিনবে এবং তা জনগণের দৃষ্টির আড়ালে রাখবে—এমনটা মেনে নিতে পারছেন না অনেক বাসিন্দাই।
ফেসবুকের এ প্রতিষ্ঠাতা ভূমিমালিকদের জমি বিক্রিতে বাধ্য করার জন্য মামলাও করেছেন। সমালোচকেরা এ পদক্ষেপকে নব্য উপনিবেশবাদ বলে উল্লেখ করেছেন।
বাংকার নিয়ে প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন জাকারবার্গের মুখপাত্র ব্রান্ডি হোফাইন বার। তিনি বলেন, জাকারবার্গ পরিবার হাওয়াইয়ে বিপন্ন বা হুমকির মুখে থাকা বন্যপ্রাণী রক্ষার জন্য সংরক্ষণবাদীদের সঙ্গে কাজ করছে।
জাকারবার্গই একমাত্র ধনী নন যিনি বিপর্যয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ফেসবুকের পূর্বের এক বিনিয়োগকারী পিটার থিয়েল এবং ওপেন এআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যানের মধ্যেও একটি চুক্তি আছে। এ চুক্তি অনুসারে, কোনো ধরনের বিপর্যয় ঘটলে স্যাম থিয়েলের নিউজিল্যান্ডের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেবেন।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে