অনলাইন ডেস্ক
সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়ার আশায় আজকাল বাবা–মায়েরা শিশুদের নিয়ে মজার মজার ভিডিও তৈরি করেন। মজাচ্ছলে এমন ভিডিও বানালেও এগুলো দীর্ঘ মেয়াদে শিশুর ওপর অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
যেমন, অনেকে শিশুকে বড়দের মতো আচরণ করতে শেখায়। বকাঝকা করা, রাগ দেখানো, কাউকে নিয়ে ঠাট্টা–তামাশা করা ইত্যাদি নেতিবাচক আচরণ অনুকরণ করতে উৎসাহিত করেন। শিশুকে এভাবে বড়দের মতো আচরণ করতে দেখে দর্শকেরাও মজা পান।
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, বাবা–মায়ের এমন আচরণ এখন ক্রমবর্ধমান উদ্বেগে পরিণত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কিছু কিছু জিনিস বাবা–মায়ের কখনই শিশুদের সামনে বলা বা করা উচিত নয়। বাবা–মা হওয়া নিঃসন্দেহে একটি অত্যন্ত দায়িত্বশীল কাজ। তাই শিশুর সুস্থ মানসিক বিকাশে বাবা–মাকে খুব সতর্ক হতে হবে। বাবা–মার জানা উচিত, কীভাবে শিশুরা তাঁদের গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে এবং পরবর্তীতে অনুকরণ করে। এভাবেই বিভিন্ন বিষয়ে তাদের প্রাথমিক শিক্ষা হয়।
শিশুদের সামনে কখনোই বলা বা করা উচিত নয় এমন কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো:
১. চেহারা নিয়ে মন্তব্য
শিশুদের কিন্তু আত্মসম্মান বোধ আছে। মুখের সামনে ওদের চেহারা নিয়ে নেতিবাচক কথা বলা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। অন্যদের সামনে সন্তানকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিব্রত করা সবচেয়ে উদ্ভট কাজ। আপনি যদি চান, আপনার সন্তানেরা স্মার্ট, স্বাস্থ্যবান হোক, নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুক, তাহলে তাকে পুষ্টিকর খাবার দিন, নিয়মিত শরীরচর্চা করান। কিন্তু নাম–ডাক কামানোর ধান্দা করা মোটেও সঠিক কাজ নয়।
২. অন্যের সম্পর্কে খারাপ কথা বলা
বাবা–ময়েরা মাঝে মাঝে শিশুদের সামনে যেসব কথা বলেন বা গসিপ করেন সে সম্পর্কে সচেতন থাকেন না। আপনি যখন অন্যের সম্পর্কে খারাপ কথা বলেন বা তাদের সামনে অন্যদের নিয়ে নেতিবাচক গসিপ করেন, তখন শিশুর সামনে ভালো দৃষ্টান্ত তুলে ধরছেন না।
কখনো কি ভেবে দেখেছেন, আপনার শিশু এসব শোনা কথা প্রকাশ করে দিলে পরিস্থিতি কতটা খারাপ হতে পারে? অন্যের সামনে আপনার ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে?
৩. শিক্ষা সম্পর্কিত অর্জন নিয়ে নেতিবাচকভাবে সমালোচনা করা
স্কুলের পরীক্ষায় খারাপ করেছে বলে তাকে কখনোই ‘তোমাকে নিয়ে আমি খুব হতাশ!’ —এ ধরনের কথা বলবেন না। শিশুকে এমন কথা বলা খুবই বিপজ্জনক। কারণ এতে তার আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আপনার শিশুর পড়াশোনায় মাঝেমধ্যে গোলমাল হতেই পারে। এবার পরীক্ষায় হয়তো খারাপ করেছে। দেখবেন, হয়তো সে কিছু বিষয়ে ভালোও করেছে। চেষ্টার জন্য তার প্রশংসা করুন। সামনে আরও ভালো করার জন্য উৎসাহিত করুন।
৪. সব সময় ব্যঙ্গ করা
শিশুরা কটাক্ষ বোঝে না। কিন্তু আমরা যখন রাগে চিৎকার করি তখন তারা ঠিকই বুঝতে পারে। শিশুরা মানুষের আচরণ বুঝতে পারে। কিন্তু আচরণের কোনো বিষয়ের ভুল অর্থ করলে সেটি তাদের বাড়তি মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে।
৫. শিশুর সামনে তর্ক বা ঝগড়া করা
দম্পতির মধ্যে নানা বিষয়ে মতানৈক্য হওয়াটাই স্বাভাবিক। এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের সামনে তর্ক করা মোটেই ইতিবাচক অভিভাবকত্বের একটি আদর্শ উদাহরণ নয়। মতবিরোধের সময় আক্রমণাত্মক আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন। শিশুদের কাছ থেকে আড়ালে গিয়ে দুজনে মিলে পারস্পরিক মতপার্থক্যগুলোর সমাধান করুন।
৬. গ্যাজেটে বেশি সময় ব্যয় করা
যদি বুঝতে পারেন যে সন্তান গ্যাজেটের (ট্যাবলেট/স্মার্টফোন/ল্যাপটপ) সঙ্গে বেশি সময় ব্যয় করছে, তাহলে খেয়াল করুন আপনিও গ্যাজেটের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন সেটি তারা খেয়াল করছে কি না। শিশু মনোবৈজ্ঞানিকেরা সব সময়, ফোন বা ট্যাবলেট একপাশে রেখে বই পড়ার, বাইরে খেলাধুলা করার এবং তাদের সঙ্গে মজার অভিজ্ঞতা উপভোগ ও শেয়ার করার পরামর্শ দেন।
৮. অন্যদের সামনে তাকে নিয়ে মজা করা এবং উত্ত্যক্ত করা
সন্তানকে অন্যের সামনে উত্ত্যক্ত করাটা অনেকের কাছে মজার বিষয় মনে হতে পারে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এতে সে মনে আঘাত পেতে পারে। এতে আপনার শিশু নেতিবাচক চিন্তাভাবনা নিয়ে বেড়ে উঠবে এবং জীবনের অনেক বাস্তবতা নিয়ে ভীতি বা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে। শিশুদের কখনো প্রকাশ্যে ঠাট্টা করবেন না বা শিশুদের লজ্জা দেবেন না। এটি তাদের আগামী জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
৯. মেজাজ হারানো
রাগ মানুষের স্বাভাবিক আবেগ। আর সন্তান লালন–পালনের চাপ থেকে রাগ–বিরক্তি আসাটা স্বাভাবিক। কিন্তু বিশেষ করে আপনি যখন আপনার শিশুর সামনে রাগ প্রকাশ করেন, সেটি তার জন্য নেতিবাচক হতে পারে। প্রতিবার আপনি মেজাজ হারাবেন, আর তার মনে ভীতি তৈরি করবেন; তখন সে আপনার কাছে যেতে ভয় পাবে।
১০. সুবিধাবঞ্চিতদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা
বাবা–মা সন্তানদের রোল মডেল। আপনি কীভাবে আচরণ করেন, সেটি তারা খুব গভীরভাবে খেয়াল করে, এটি সরাসরি তাদের প্রভাবিত করে। কারও সম্পর্কে খারাপ কথা আপনার সন্তানের মনে খারাপ ছাপ ফেলে। আপনি অন্য লোকেদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করেন তারা একইভাবে আচরণ করতে শুরু করবে। এটি তাদের মনে গভীর ছাপ ফেলতে পারে। এর জন্য তারা উপহাসের শিকার হতে পারে। ইতিবাচক প্যারেন্টিং হলো— সদয়, শান্ত এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে শিশুকে শিক্ষিত করে তোলা।
১১. সঙ্গীর নামে কুকথা বলা
শিশুদের সামনে সঙ্গীর নামে কুকথা বলা বা কটূক্তি করা কখনই ঠিক নয়। কারণ তারা এটি বুঝতে পারে না। তারা অজান্তেই আপনাকে অনুকরণ করতে শুরু করবে এবং এটি মজার ব্যাপার মনে করে একই আচরণ করতে শুরু করবে। একপর্যায়ে কটূক্তি করা তার অভ্যাসে পরিণত হবে।
১২. তুলনা
শিক্ষা, খেলাধুলা বা অন্যান্য পাঠ্যক্রম বহির্ভূত ক্রিয়াকলাপগুলোতে আমরা প্রায়ই শিশুদের অন্য শিশুর সঙ্গে তুলনা করি। বাবা–মায়েরা ভুলে যান যে, তাদের উচ্চ প্রত্যাশা সন্তানদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বাবা–মায়ের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হলে শিশুর জন্য সেটি হতাশার কারণ হতে পারে। প্রতিটি শিশু ভিন্ন এবং বিভিন্ন ক্ষমতার অধিকারী হয়। এমনকি তাদের ছোট অর্জনেও প্রশংসা করার চেষ্টা করুন।
১৩. ধূমপান বা মদ্যপান
শিশুদের সামনে ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ তারা অল্প বয়সে গোপনে এ ধরনের অভ্যাস পরীক্ষা করার চেষ্টা করবে। আপনি যখন ধূমপান করেন, এটি কেবল আপনার স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতিকর নয়, আপনার শিশুরা পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। এতে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, কানের সংক্রমণ ইত্যাদি স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে।
১৪. উৎকোচ দেওয়া
এই কাজ করলে তোমাকে এই উপহার দেব, পরীক্ষায় ভালো করলে তোমার ওই আশা পূরণ করব—এমন কাজ অনেক বাবা–মায়েই করেন। এভাবে উৎকোচ দেওয়ার চর্চা শিশুকে সম্মানবোধ এবং দায়িত্ববোধ শেখাতে ব্যর্থ হয়। কার্যকর প্যারেন্টিং হলো, শিশুর দক্ষতা উন্নয়নে জোর দেওয়া এবং তার অর্জনের প্রশংসা করার পাশাপাশি পুরস্কৃত করা।
মনে রাখতে হবে, আপনার শিশুর মন অত্যন্ত কোমল এবং তারা নির্ভেজাল হৃদয়ের অধিকারী। অন্যায় এবং অধিকার সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই; তাদের সেই জ্ঞানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই আমাদের কাজ।
সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়ার আশায় আজকাল বাবা–মায়েরা শিশুদের নিয়ে মজার মজার ভিডিও তৈরি করেন। মজাচ্ছলে এমন ভিডিও বানালেও এগুলো দীর্ঘ মেয়াদে শিশুর ওপর অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
যেমন, অনেকে শিশুকে বড়দের মতো আচরণ করতে শেখায়। বকাঝকা করা, রাগ দেখানো, কাউকে নিয়ে ঠাট্টা–তামাশা করা ইত্যাদি নেতিবাচক আচরণ অনুকরণ করতে উৎসাহিত করেন। শিশুকে এভাবে বড়দের মতো আচরণ করতে দেখে দর্শকেরাও মজা পান।
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, বাবা–মায়ের এমন আচরণ এখন ক্রমবর্ধমান উদ্বেগে পরিণত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কিছু কিছু জিনিস বাবা–মায়ের কখনই শিশুদের সামনে বলা বা করা উচিত নয়। বাবা–মা হওয়া নিঃসন্দেহে একটি অত্যন্ত দায়িত্বশীল কাজ। তাই শিশুর সুস্থ মানসিক বিকাশে বাবা–মাকে খুব সতর্ক হতে হবে। বাবা–মার জানা উচিত, কীভাবে শিশুরা তাঁদের গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে এবং পরবর্তীতে অনুকরণ করে। এভাবেই বিভিন্ন বিষয়ে তাদের প্রাথমিক শিক্ষা হয়।
শিশুদের সামনে কখনোই বলা বা করা উচিত নয় এমন কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো:
১. চেহারা নিয়ে মন্তব্য
শিশুদের কিন্তু আত্মসম্মান বোধ আছে। মুখের সামনে ওদের চেহারা নিয়ে নেতিবাচক কথা বলা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। অন্যদের সামনে সন্তানকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিব্রত করা সবচেয়ে উদ্ভট কাজ। আপনি যদি চান, আপনার সন্তানেরা স্মার্ট, স্বাস্থ্যবান হোক, নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুক, তাহলে তাকে পুষ্টিকর খাবার দিন, নিয়মিত শরীরচর্চা করান। কিন্তু নাম–ডাক কামানোর ধান্দা করা মোটেও সঠিক কাজ নয়।
২. অন্যের সম্পর্কে খারাপ কথা বলা
বাবা–ময়েরা মাঝে মাঝে শিশুদের সামনে যেসব কথা বলেন বা গসিপ করেন সে সম্পর্কে সচেতন থাকেন না। আপনি যখন অন্যের সম্পর্কে খারাপ কথা বলেন বা তাদের সামনে অন্যদের নিয়ে নেতিবাচক গসিপ করেন, তখন শিশুর সামনে ভালো দৃষ্টান্ত তুলে ধরছেন না।
কখনো কি ভেবে দেখেছেন, আপনার শিশু এসব শোনা কথা প্রকাশ করে দিলে পরিস্থিতি কতটা খারাপ হতে পারে? অন্যের সামনে আপনার ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে?
৩. শিক্ষা সম্পর্কিত অর্জন নিয়ে নেতিবাচকভাবে সমালোচনা করা
স্কুলের পরীক্ষায় খারাপ করেছে বলে তাকে কখনোই ‘তোমাকে নিয়ে আমি খুব হতাশ!’ —এ ধরনের কথা বলবেন না। শিশুকে এমন কথা বলা খুবই বিপজ্জনক। কারণ এতে তার আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আপনার শিশুর পড়াশোনায় মাঝেমধ্যে গোলমাল হতেই পারে। এবার পরীক্ষায় হয়তো খারাপ করেছে। দেখবেন, হয়তো সে কিছু বিষয়ে ভালোও করেছে। চেষ্টার জন্য তার প্রশংসা করুন। সামনে আরও ভালো করার জন্য উৎসাহিত করুন।
৪. সব সময় ব্যঙ্গ করা
শিশুরা কটাক্ষ বোঝে না। কিন্তু আমরা যখন রাগে চিৎকার করি তখন তারা ঠিকই বুঝতে পারে। শিশুরা মানুষের আচরণ বুঝতে পারে। কিন্তু আচরণের কোনো বিষয়ের ভুল অর্থ করলে সেটি তাদের বাড়তি মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে।
৫. শিশুর সামনে তর্ক বা ঝগড়া করা
দম্পতির মধ্যে নানা বিষয়ে মতানৈক্য হওয়াটাই স্বাভাবিক। এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের সামনে তর্ক করা মোটেই ইতিবাচক অভিভাবকত্বের একটি আদর্শ উদাহরণ নয়। মতবিরোধের সময় আক্রমণাত্মক আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন। শিশুদের কাছ থেকে আড়ালে গিয়ে দুজনে মিলে পারস্পরিক মতপার্থক্যগুলোর সমাধান করুন।
৬. গ্যাজেটে বেশি সময় ব্যয় করা
যদি বুঝতে পারেন যে সন্তান গ্যাজেটের (ট্যাবলেট/স্মার্টফোন/ল্যাপটপ) সঙ্গে বেশি সময় ব্যয় করছে, তাহলে খেয়াল করুন আপনিও গ্যাজেটের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন সেটি তারা খেয়াল করছে কি না। শিশু মনোবৈজ্ঞানিকেরা সব সময়, ফোন বা ট্যাবলেট একপাশে রেখে বই পড়ার, বাইরে খেলাধুলা করার এবং তাদের সঙ্গে মজার অভিজ্ঞতা উপভোগ ও শেয়ার করার পরামর্শ দেন।
৮. অন্যদের সামনে তাকে নিয়ে মজা করা এবং উত্ত্যক্ত করা
সন্তানকে অন্যের সামনে উত্ত্যক্ত করাটা অনেকের কাছে মজার বিষয় মনে হতে পারে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এতে সে মনে আঘাত পেতে পারে। এতে আপনার শিশু নেতিবাচক চিন্তাভাবনা নিয়ে বেড়ে উঠবে এবং জীবনের অনেক বাস্তবতা নিয়ে ভীতি বা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে। শিশুদের কখনো প্রকাশ্যে ঠাট্টা করবেন না বা শিশুদের লজ্জা দেবেন না। এটি তাদের আগামী জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
৯. মেজাজ হারানো
রাগ মানুষের স্বাভাবিক আবেগ। আর সন্তান লালন–পালনের চাপ থেকে রাগ–বিরক্তি আসাটা স্বাভাবিক। কিন্তু বিশেষ করে আপনি যখন আপনার শিশুর সামনে রাগ প্রকাশ করেন, সেটি তার জন্য নেতিবাচক হতে পারে। প্রতিবার আপনি মেজাজ হারাবেন, আর তার মনে ভীতি তৈরি করবেন; তখন সে আপনার কাছে যেতে ভয় পাবে।
১০. সুবিধাবঞ্চিতদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা
বাবা–মা সন্তানদের রোল মডেল। আপনি কীভাবে আচরণ করেন, সেটি তারা খুব গভীরভাবে খেয়াল করে, এটি সরাসরি তাদের প্রভাবিত করে। কারও সম্পর্কে খারাপ কথা আপনার সন্তানের মনে খারাপ ছাপ ফেলে। আপনি অন্য লোকেদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করেন তারা একইভাবে আচরণ করতে শুরু করবে। এটি তাদের মনে গভীর ছাপ ফেলতে পারে। এর জন্য তারা উপহাসের শিকার হতে পারে। ইতিবাচক প্যারেন্টিং হলো— সদয়, শান্ত এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে শিশুকে শিক্ষিত করে তোলা।
১১. সঙ্গীর নামে কুকথা বলা
শিশুদের সামনে সঙ্গীর নামে কুকথা বলা বা কটূক্তি করা কখনই ঠিক নয়। কারণ তারা এটি বুঝতে পারে না। তারা অজান্তেই আপনাকে অনুকরণ করতে শুরু করবে এবং এটি মজার ব্যাপার মনে করে একই আচরণ করতে শুরু করবে। একপর্যায়ে কটূক্তি করা তার অভ্যাসে পরিণত হবে।
১২. তুলনা
শিক্ষা, খেলাধুলা বা অন্যান্য পাঠ্যক্রম বহির্ভূত ক্রিয়াকলাপগুলোতে আমরা প্রায়ই শিশুদের অন্য শিশুর সঙ্গে তুলনা করি। বাবা–মায়েরা ভুলে যান যে, তাদের উচ্চ প্রত্যাশা সন্তানদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বাবা–মায়ের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হলে শিশুর জন্য সেটি হতাশার কারণ হতে পারে। প্রতিটি শিশু ভিন্ন এবং বিভিন্ন ক্ষমতার অধিকারী হয়। এমনকি তাদের ছোট অর্জনেও প্রশংসা করার চেষ্টা করুন।
১৩. ধূমপান বা মদ্যপান
শিশুদের সামনে ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ তারা অল্প বয়সে গোপনে এ ধরনের অভ্যাস পরীক্ষা করার চেষ্টা করবে। আপনি যখন ধূমপান করেন, এটি কেবল আপনার স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতিকর নয়, আপনার শিশুরা পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। এতে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, কানের সংক্রমণ ইত্যাদি স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে।
১৪. উৎকোচ দেওয়া
এই কাজ করলে তোমাকে এই উপহার দেব, পরীক্ষায় ভালো করলে তোমার ওই আশা পূরণ করব—এমন কাজ অনেক বাবা–মায়েই করেন। এভাবে উৎকোচ দেওয়ার চর্চা শিশুকে সম্মানবোধ এবং দায়িত্ববোধ শেখাতে ব্যর্থ হয়। কার্যকর প্যারেন্টিং হলো, শিশুর দক্ষতা উন্নয়নে জোর দেওয়া এবং তার অর্জনের প্রশংসা করার পাশাপাশি পুরস্কৃত করা।
মনে রাখতে হবে, আপনার শিশুর মন অত্যন্ত কোমল এবং তারা নির্ভেজাল হৃদয়ের অধিকারী। অন্যায় এবং অধিকার সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই; তাদের সেই জ্ঞানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই আমাদের কাজ।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে