সানজিদা সামরিন
অনুজ্জ্বল আর নিষ্প্রাণ চুলের জন্য দূষণ ও পানি অনেকটাই দায়ী। তবে চাইলেই দূষণ এড়ানো বা ব্যবহৃত পানি বদলে নেওয়া সম্ভব নয়। ফলে প্রায় সবাই চুলের কোনো না কোনো সমস্যায় ভুগে থাকেন। চুলের বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে রয়েছে চুল পড়া, খুশকি, অকালে চুল পেকে যাওয়া, চুলের আগা ফেটে যাওয়া ইত্যাদি। কখনো কখনো দেখা যায়, প্রতিটি সমস্যা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত।
চুল পড়া ও খাদ্যাভ্যাসের যোগসূত্র
আমরা অনেকেই জানি না যে চুল পড়ে যাওয়ার সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসের গভীর যোগসূত্র আছে। কারণ আমাদের শরীরে যতটুকু প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ দরকার, ততটুকু যদি আমরা গ্রহণ না করি তাহলে চুল পুষ্টি পায় না। ফলে ঝরে পড়তে শুরু করে। সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, এক দিনে যে পরিমাণে
পুষ্টি গ্রহণ করা দরকার, সেটুকু নেওয়া হচ্ছে কি না। খুব ভালো হয় যদি একজন পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলে খাদ্যতালিকা ঠিক করে নেওয়া যায়। ডিম, মাছ, ভিটামিন সি-জাতীয় ফল ও সবজি, বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও বীজ এবং ভিটামিন ই-জাতীয় খাবার চুল ভালো রাখতে সহায়তা করে।
স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের সহজ উপায়
তেল চুলকে সুস্থ ও সুন্দর রাখে। এ জন্য সপ্তাহে দুই দিন চুলে তেল দিতে হবে। এক দিন প্যাক ব্যবহার করতে হবে। রাতে স্নান করলে ঘুমানোর আগে চুল সুন্দর করে শুকিয়ে ঘুমাতে হবে। তা ছাড়া ঘুমানোর আগে চুল আঁচড়ে নিতে হবে। এতে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। চুলের আগা ফাটা রোধে বালিশে সিল্কের কভার ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ
শুধু অযত্নের জন্য নয়, আরও নানা কারণে অতিমাত্রায় চুল পড়তে পারে। যাঁরা ডায়াবেটিস, থাইরয়েড কিংবা হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় ভুগছেন, তাঁরা অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যায়ও ভুগতে পারেন। এ জন্য খুব ভালো হয় যদি বছরে একবার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে নেওয়া যায়। এরপর বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
চুল গজানোর সহজ টোটকা
মেথিবাটার সঙ্গে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে এক ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু করে চুল শুকিয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণ নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল গজাবে ও দ্রুত বাড়বে।
নিয়মিত চুলের আগা ছাঁটুন
অনেকের ধারণা, আগা কাটলে চুল পড়া বন্ধ হয়। তবে এ কথা পুরোপুরি সত্য নয়। কারণ চুলের নিচের অংশ কাটার সঙ্গে গোড়ায় চুল মজবুত হওয়ার বা চুল না পড়ার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে আগা কাটলে চুলের নিচের অংশ ভারী হয়ে যায়, যার ফলে চুলের বৃদ্ধি ঘটে। সে ক্ষেত্রে তিন মাস পর পর চুলের আগা ছাঁটা উচিত।
চুলের দুশমন খুশকি
খুশকির কারণে চুল পড়তে পারে। যখন আমাদের মাথার ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যায় ও মরা কোষগুলো উঠতে থাকে, তখন সেটাকে আমরা খুশকি বলি। যখন এই মরা কোষ অনেক বেশি পরিমাণে উঠতে থাকে, তখন চুল অপুষ্টিতে তো ভোগেই, পাশাপাশি চুলের গোড়াও দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই মাথায় খুশকি বেড়ে উঠতে দেওয়া যাবে না। খুশকি তাড়াতে একটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর চুল স্বাভাবিক নিয়মে শ্যাম্পু করে নিন। এ ছাড়া আধা কাপ টক দইয়ের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ লেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগালেও উপকার পাওয়া যাবে।
অল্প বয়সে চুল পাকলে
জিনগত সমস্যার কারণে অল্প বয়সে অনেকেরই চুল পেকে যায়। এ ছাড়া অসুস্থতা ও অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণেও অকালে চুল পাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর দিতে হবে। চুল পাকার সমস্যা যেন আর না বাড়ে, সে জন্য প্রতিদিন দুই ইঞ্চি পুরু এক স্লাইস পাকা পেঁপে খেতে পারেন।
অনুজ্জ্বল আর নিষ্প্রাণ চুলের জন্য দূষণ ও পানি অনেকটাই দায়ী। তবে চাইলেই দূষণ এড়ানো বা ব্যবহৃত পানি বদলে নেওয়া সম্ভব নয়। ফলে প্রায় সবাই চুলের কোনো না কোনো সমস্যায় ভুগে থাকেন। চুলের বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে রয়েছে চুল পড়া, খুশকি, অকালে চুল পেকে যাওয়া, চুলের আগা ফেটে যাওয়া ইত্যাদি। কখনো কখনো দেখা যায়, প্রতিটি সমস্যা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত।
চুল পড়া ও খাদ্যাভ্যাসের যোগসূত্র
আমরা অনেকেই জানি না যে চুল পড়ে যাওয়ার সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসের গভীর যোগসূত্র আছে। কারণ আমাদের শরীরে যতটুকু প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ দরকার, ততটুকু যদি আমরা গ্রহণ না করি তাহলে চুল পুষ্টি পায় না। ফলে ঝরে পড়তে শুরু করে। সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, এক দিনে যে পরিমাণে
পুষ্টি গ্রহণ করা দরকার, সেটুকু নেওয়া হচ্ছে কি না। খুব ভালো হয় যদি একজন পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলে খাদ্যতালিকা ঠিক করে নেওয়া যায়। ডিম, মাছ, ভিটামিন সি-জাতীয় ফল ও সবজি, বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও বীজ এবং ভিটামিন ই-জাতীয় খাবার চুল ভালো রাখতে সহায়তা করে।
স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের সহজ উপায়
তেল চুলকে সুস্থ ও সুন্দর রাখে। এ জন্য সপ্তাহে দুই দিন চুলে তেল দিতে হবে। এক দিন প্যাক ব্যবহার করতে হবে। রাতে স্নান করলে ঘুমানোর আগে চুল সুন্দর করে শুকিয়ে ঘুমাতে হবে। তা ছাড়া ঘুমানোর আগে চুল আঁচড়ে নিতে হবে। এতে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। চুলের আগা ফাটা রোধে বালিশে সিল্কের কভার ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ
শুধু অযত্নের জন্য নয়, আরও নানা কারণে অতিমাত্রায় চুল পড়তে পারে। যাঁরা ডায়াবেটিস, থাইরয়েড কিংবা হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় ভুগছেন, তাঁরা অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যায়ও ভুগতে পারেন। এ জন্য খুব ভালো হয় যদি বছরে একবার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে নেওয়া যায়। এরপর বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
চুল গজানোর সহজ টোটকা
মেথিবাটার সঙ্গে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে এক ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু করে চুল শুকিয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণ নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল গজাবে ও দ্রুত বাড়বে।
নিয়মিত চুলের আগা ছাঁটুন
অনেকের ধারণা, আগা কাটলে চুল পড়া বন্ধ হয়। তবে এ কথা পুরোপুরি সত্য নয়। কারণ চুলের নিচের অংশ কাটার সঙ্গে গোড়ায় চুল মজবুত হওয়ার বা চুল না পড়ার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে আগা কাটলে চুলের নিচের অংশ ভারী হয়ে যায়, যার ফলে চুলের বৃদ্ধি ঘটে। সে ক্ষেত্রে তিন মাস পর পর চুলের আগা ছাঁটা উচিত।
চুলের দুশমন খুশকি
খুশকির কারণে চুল পড়তে পারে। যখন আমাদের মাথার ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যায় ও মরা কোষগুলো উঠতে থাকে, তখন সেটাকে আমরা খুশকি বলি। যখন এই মরা কোষ অনেক বেশি পরিমাণে উঠতে থাকে, তখন চুল অপুষ্টিতে তো ভোগেই, পাশাপাশি চুলের গোড়াও দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই মাথায় খুশকি বেড়ে উঠতে দেওয়া যাবে না। খুশকি তাড়াতে একটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর চুল স্বাভাবিক নিয়মে শ্যাম্পু করে নিন। এ ছাড়া আধা কাপ টক দইয়ের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ লেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগালেও উপকার পাওয়া যাবে।
অল্প বয়সে চুল পাকলে
জিনগত সমস্যার কারণে অল্প বয়সে অনেকেরই চুল পেকে যায়। এ ছাড়া অসুস্থতা ও অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণেও অকালে চুল পাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর দিতে হবে। চুল পাকার সমস্যা যেন আর না বাড়ে, সে জন্য প্রতিদিন দুই ইঞ্চি পুরু এক স্লাইস পাকা পেঁপে খেতে পারেন।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
২ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
২ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
২ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
২ দিন আগে