শাকেরা তাসনীম ইরা, ঢাকা
জীবনে সফল হওয়ার ক্ষেত্রে কি কেবল ভালো অভ্যাস গড়ে তোলাই যথেষ্ট? অর্থাৎ, সফলতার পথে হাঁটতে আমরা সব সময় জীবনে কিছু না কিছু ভালো কাজ বা গুণ যোগ করার কথা ভাবি । কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন কি, সফলতা অর্জনের জন্য কী কী বদভ্যাস বাদ দেওয়া উচিত? সফল হতে চাইলে জীবনে নানান ইতিবাচক বিষয় যোগ করার পাশাপাশি যেসব বদভ্যাস ত্যাগ করতে হবে, সেগুলো হলো–
কাজ ফেলে রাখার অভ্যাস ছাড়ুন
প্রয়োজনীয় কাজগুলো হেলায় ফেলে রাখবেন না। আজ করব, কাল করব বলে যেসব কাজ ফেলে রাখছেন; দেখা যাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য়ে সেগুলো সম্পন্ন না করার ফলে পরে ভুগতে হচ্ছে। তাই সময়ের কাজ সময়ে করে ফেলুন। এতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে ভেবেচিন্তে কাজ করা যাবে। এরপর কাজ শেষে অবসর যাপন করুন।
ছাড়তে হবে অজুহাতের অভ্যাস
মানুষ অতীত বদলাতে পারে না। কিন্তু সুন্দর ভবিষ্য়ৎ গড়ার জন্য বর্তমানটাকে সুন্দরভাবে কাজে লাগাতে নিশ্চয়ই পারে। তাই অতীতের ভুলভ্রান্তি বা নেতিবাচক ঘটনাকে পুরো জীবনের অন্তরায় না ভেবে এবার গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়ান। অতীতের অজুহাতে বর্তমানের ‘আমি’কে হারালে চলবে কেন? যত যা-ই হোক, কাজের বেলায় প্রতিশ্রুতি রক্ষা করুন। কোনো কিছুর অজুহাতে ডেডলাইন বাড়াবেন না। এতে উপকার আপনার নিজেরই হবে।
নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা বাদ দিন
জীবনে সফলতা অর্জন করতে চাইলে নিখুঁত হতে চাওয়ার ইচ্ছাকে খানিকটা দমিয়ে রাখতে হবে। কেননা, আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন, কখনোই পরিপূর্ণ নিখুঁত মানুষ হয়ে উঠতে পারবেন না। তাই আপনি যা, আপনি যেমন; সেভাবেই নিজেকে মেনে নিয়ে মনোযোগ দিয়ে কাজ করলে কাজের মূল্যমান বাড়বে। তা না হলে নিজেকে নিখুঁত প্রমাণের প্রতিযোগিতায় হারিয়ে যাবে অসংখ্য মূল্যবান সময়।
অন্যের ওপর নির্ভর করবেন না
সফল হতে সবচেয়ে বেশি যা প্রয়োজন, তা হলো নিজের কোনো কাজের জন্য অন্যের ওপর নির্ভর না করা। অন্য কেউ আপনার কাজ করতে কখনোই বাধ্য নয়। তা ছাড়া আপনার কাজটি যেভাবে করতে চান, অন্য কারও পক্ষে একইভাবে সেই কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। অন্যের ওপর নির্ভরতার মতো বদভ্যাস ত্যাগ না করা গেলে মানুষের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়।
ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করবেন না
নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো দায়িত্ব পালন করা বা কাজ করা ভালো কোনো বিষয় নয়। কারণ, যে কাজ আপনি করছেন, সেই কাজকে যদি সঠিক বলে ভাবতে না পারেন, তাহলে কখনোই সেটি ভালো ফল এনে দেয় না। তাই জীবনে সফলতা চাইলে যখন যে কাজটি করছেন, তা পূর্ণ বিশ্বাসের সঙ্গে করলেই সফলতার পথ সহজ হয়ে ওঠে।
নেতিবাচক মানুষের সঙ্গ এড়িয়ে চলুন
একজন নেতিবাচক ধ্যানধারণার মানুষ আপনার জীবনকে বিষাক্ত করে তুলতে পারে। কারণ, এ ধরনের মানুষ আপনার জীবনের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এমন মানুষের সংস্পর্শে থাকুন, যাঁরা আপনার ভেতরের ইতিবাচক দিকগুলো আরও উজ্জীবিত করে তুলবে।
অন্য়ের কথায় চলা বন্ধ করুন
অন্য়ের পরামর্শ নিশ্চয়ই নেবেন। কিন্তু অন্ধভাবে সেই পরামর্শ মেনে কাজে ঝাঁপ দেবেন না। জীবনে সফল হতে গেলে নিজের মনের কথা শুনতে হবে। বিশ্বাস রাখতে হবে নিজের কাজের ওপর। আপনার জন্য কোনটি ভালো আর কোনটি মন্দ, তা যদি সব সময়ই অন্যরা ঠিক করে দেয়, তাহলে স্বকীয়তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সফল মানুষের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, তাঁর নিজস্ব চিন্তা ও ব্যক্তিত্ব থাকবে। আপনি কী করতে পারেন আর কী পারেন না, তা যদি অন্যরা সিদ্ধান্ত দিয়ে ফেলেন, তাহলে আপনার স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব গড়ে উঠবে না।
নিজেকে অসহায় ভাববেন না
সফলতার পথ নিজেকেই তৈরি করে নিতে হয়। এ কথাটা সবার জন্যই সমান। যার আর্থসামাজিক অবস্থা ভালো, তার জন্য এবং যার নয় তার জন্যও একই। কারও ওপর নির্ভর করে নিজের জীবনের পথ তৈরি করা যায় না। তাই নিজেকে অসহায় ভাবার কোনো কারণ নেই। উঠে দাঁড়ান, ঠিক করুন কোন পথে হাঁটবেন; এরপর প্রস্তুতি দিয়ে যাত্রা শুরু করুন। একাগ্রতা ও নিষ্ঠা আপনাকে পৌঁছে দেবে সফলতার দরজায়।
অতীত ব্যর্থতা নিয়ে পড়ে থাকবেন না
কোনো মানুষের জীবনই শতভাগ শুদ্ধ নয়। মানুষমাত্রই ভুল। তাই অতীত ভুলের কথা ভেবে অপরাধবোধে ভুগতে থাকা কখনোই সফলতা এনে দিতে পারে না। একবার ভুল হয়েছে বলে বারবার ভুল হবে—এমনটা কিন্তু নয়। তাই বুদ্ধিমানের কাজ হলো অতীত ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং ভবিষ্যতে সেই ভুল এড়িয়ে একটি সফল জীবন যাপন করা।
অন্যকে দোষ দেবেন না
দায়িত্ব এড়ানোর অন্যতম সহজ পদ্ধতি হলো অন্যকে অকারণ দোষ দেওয়া। কিন্তু নিজের ভুল স্বীকার করার পরিবর্তে অন্যকে দোষ দেওয়াটা কখনোই ভালো কিছু বয়ে আনে না। অন্যকে দোষ দেওয়ার পরিবর্তে নিজের ভুল নির্ণয় করে তা শুধরে নেওয়ার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা বেশি সহজ এবং কার্যকর।
তথ্যসূত্র : ১০০০+ লিটল থিংস বই অবলম্বনে
জীবনে সফল হওয়ার ক্ষেত্রে কি কেবল ভালো অভ্যাস গড়ে তোলাই যথেষ্ট? অর্থাৎ, সফলতার পথে হাঁটতে আমরা সব সময় জীবনে কিছু না কিছু ভালো কাজ বা গুণ যোগ করার কথা ভাবি । কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন কি, সফলতা অর্জনের জন্য কী কী বদভ্যাস বাদ দেওয়া উচিত? সফল হতে চাইলে জীবনে নানান ইতিবাচক বিষয় যোগ করার পাশাপাশি যেসব বদভ্যাস ত্যাগ করতে হবে, সেগুলো হলো–
কাজ ফেলে রাখার অভ্যাস ছাড়ুন
প্রয়োজনীয় কাজগুলো হেলায় ফেলে রাখবেন না। আজ করব, কাল করব বলে যেসব কাজ ফেলে রাখছেন; দেখা যাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য়ে সেগুলো সম্পন্ন না করার ফলে পরে ভুগতে হচ্ছে। তাই সময়ের কাজ সময়ে করে ফেলুন। এতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে ভেবেচিন্তে কাজ করা যাবে। এরপর কাজ শেষে অবসর যাপন করুন।
ছাড়তে হবে অজুহাতের অভ্যাস
মানুষ অতীত বদলাতে পারে না। কিন্তু সুন্দর ভবিষ্য়ৎ গড়ার জন্য বর্তমানটাকে সুন্দরভাবে কাজে লাগাতে নিশ্চয়ই পারে। তাই অতীতের ভুলভ্রান্তি বা নেতিবাচক ঘটনাকে পুরো জীবনের অন্তরায় না ভেবে এবার গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়ান। অতীতের অজুহাতে বর্তমানের ‘আমি’কে হারালে চলবে কেন? যত যা-ই হোক, কাজের বেলায় প্রতিশ্রুতি রক্ষা করুন। কোনো কিছুর অজুহাতে ডেডলাইন বাড়াবেন না। এতে উপকার আপনার নিজেরই হবে।
নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা বাদ দিন
জীবনে সফলতা অর্জন করতে চাইলে নিখুঁত হতে চাওয়ার ইচ্ছাকে খানিকটা দমিয়ে রাখতে হবে। কেননা, আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন, কখনোই পরিপূর্ণ নিখুঁত মানুষ হয়ে উঠতে পারবেন না। তাই আপনি যা, আপনি যেমন; সেভাবেই নিজেকে মেনে নিয়ে মনোযোগ দিয়ে কাজ করলে কাজের মূল্যমান বাড়বে। তা না হলে নিজেকে নিখুঁত প্রমাণের প্রতিযোগিতায় হারিয়ে যাবে অসংখ্য মূল্যবান সময়।
অন্যের ওপর নির্ভর করবেন না
সফল হতে সবচেয়ে বেশি যা প্রয়োজন, তা হলো নিজের কোনো কাজের জন্য অন্যের ওপর নির্ভর না করা। অন্য কেউ আপনার কাজ করতে কখনোই বাধ্য নয়। তা ছাড়া আপনার কাজটি যেভাবে করতে চান, অন্য কারও পক্ষে একইভাবে সেই কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। অন্যের ওপর নির্ভরতার মতো বদভ্যাস ত্যাগ না করা গেলে মানুষের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়।
ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করবেন না
নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো দায়িত্ব পালন করা বা কাজ করা ভালো কোনো বিষয় নয়। কারণ, যে কাজ আপনি করছেন, সেই কাজকে যদি সঠিক বলে ভাবতে না পারেন, তাহলে কখনোই সেটি ভালো ফল এনে দেয় না। তাই জীবনে সফলতা চাইলে যখন যে কাজটি করছেন, তা পূর্ণ বিশ্বাসের সঙ্গে করলেই সফলতার পথ সহজ হয়ে ওঠে।
নেতিবাচক মানুষের সঙ্গ এড়িয়ে চলুন
একজন নেতিবাচক ধ্যানধারণার মানুষ আপনার জীবনকে বিষাক্ত করে তুলতে পারে। কারণ, এ ধরনের মানুষ আপনার জীবনের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এমন মানুষের সংস্পর্শে থাকুন, যাঁরা আপনার ভেতরের ইতিবাচক দিকগুলো আরও উজ্জীবিত করে তুলবে।
অন্য়ের কথায় চলা বন্ধ করুন
অন্য়ের পরামর্শ নিশ্চয়ই নেবেন। কিন্তু অন্ধভাবে সেই পরামর্শ মেনে কাজে ঝাঁপ দেবেন না। জীবনে সফল হতে গেলে নিজের মনের কথা শুনতে হবে। বিশ্বাস রাখতে হবে নিজের কাজের ওপর। আপনার জন্য কোনটি ভালো আর কোনটি মন্দ, তা যদি সব সময়ই অন্যরা ঠিক করে দেয়, তাহলে স্বকীয়তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সফল মানুষের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, তাঁর নিজস্ব চিন্তা ও ব্যক্তিত্ব থাকবে। আপনি কী করতে পারেন আর কী পারেন না, তা যদি অন্যরা সিদ্ধান্ত দিয়ে ফেলেন, তাহলে আপনার স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব গড়ে উঠবে না।
নিজেকে অসহায় ভাববেন না
সফলতার পথ নিজেকেই তৈরি করে নিতে হয়। এ কথাটা সবার জন্যই সমান। যার আর্থসামাজিক অবস্থা ভালো, তার জন্য এবং যার নয় তার জন্যও একই। কারও ওপর নির্ভর করে নিজের জীবনের পথ তৈরি করা যায় না। তাই নিজেকে অসহায় ভাবার কোনো কারণ নেই। উঠে দাঁড়ান, ঠিক করুন কোন পথে হাঁটবেন; এরপর প্রস্তুতি দিয়ে যাত্রা শুরু করুন। একাগ্রতা ও নিষ্ঠা আপনাকে পৌঁছে দেবে সফলতার দরজায়।
অতীত ব্যর্থতা নিয়ে পড়ে থাকবেন না
কোনো মানুষের জীবনই শতভাগ শুদ্ধ নয়। মানুষমাত্রই ভুল। তাই অতীত ভুলের কথা ভেবে অপরাধবোধে ভুগতে থাকা কখনোই সফলতা এনে দিতে পারে না। একবার ভুল হয়েছে বলে বারবার ভুল হবে—এমনটা কিন্তু নয়। তাই বুদ্ধিমানের কাজ হলো অতীত ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং ভবিষ্যতে সেই ভুল এড়িয়ে একটি সফল জীবন যাপন করা।
অন্যকে দোষ দেবেন না
দায়িত্ব এড়ানোর অন্যতম সহজ পদ্ধতি হলো অন্যকে অকারণ দোষ দেওয়া। কিন্তু নিজের ভুল স্বীকার করার পরিবর্তে অন্যকে দোষ দেওয়াটা কখনোই ভালো কিছু বয়ে আনে না। অন্যকে দোষ দেওয়ার পরিবর্তে নিজের ভুল নির্ণয় করে তা শুধরে নেওয়ার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা বেশি সহজ এবং কার্যকর।
তথ্যসূত্র : ১০০০+ লিটল থিংস বই অবলম্বনে
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে