অনলাইন ডেস্ক
ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের পছন্দের তালিকায় ওপরের দিকেই থাকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড। আর থাইল্যান্ড গেলে নিদেন পক্ষে দুই-তিনটা দিন দেশটির রাজধানী ব্যাংককের জন্য আপনাকে বরাদ্দ রাখতেই হবে। ব্যাংকক এমন একটি জায়গা যে পরিবার নিয়ে, একা কিংবা হানিমুনে যেভাবেই যান না কেন আপনার সময়টা চমৎকার কাটবে।
ব্যাংককে মন্দির, প্রাসাদ, মার্কেট, জাদুঘর, নদী সবকিছুই পাবেন। নানা ধরনের মুখরোচক খাবারও মিলে এখানে। শহরটির দশটি দ্রষ্টব্য স্থানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব আজ পাঠকদের। যারা প্রথমবারের মতো কিংবা একটু কম সময়ের জন্য ব্যাংককে যাবেন আশা করি তাঁদের এটা বেশ কাজে লাগবে।
ওয়াট অরুণ
ব্যাংককে দৃষ্টিনন্দন সব মন্দির আর জাদুঘরের ভিড়ে আলাদাভাবে বলতে হয় ওয়াট অরুণের কথা। এই বৌদ্ধ মন্দিরটি ‘টেম্পল অব ডন’ নামেও পরিচিত। তবে অনেকে আবার বলেন সূর্যাস্তের সময় পড়ন্ত সূর্যের আলোয় সবচেয়ে আকর্ষণীয় রূপে ধরা দেয় ওয়াট অরুণ। এটি পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার ব্যাংকক শহরে সেরা স্থানগুলির একটি।
চাও ফ্রায়া নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত, ওয়াট অরুণ তার ৭৯ মিটার উঁচু কেন্দ্রীয় মোচাকৃতি চূড়াটির জন্য বিখ্যাত। একে অনেকে থাইল্যান্ডের আইফেল টাওয়ার হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। এর অনন্য নকশা এবং সূক্ষ্ম কারুকাজ নজর কাড়বে আপনার। মন্দিরটি ১৭ শতকে তৈরি হলেও মাঝখানের এই অংশটি তৈরি হয় উনিশ শতকে।
সাধারণত সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকে মন্দিরটি।
ভাসমান বাজার
ব্যাংককের বড় আকর্ষণ নিঃসন্দেহে এখানকার ভাসমান বাজার বা ফ্লোটিং মার্কেটগুলো। চমৎকার একটি নৌকা ভ্রমণের সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের এলাকায় উৎপাদিত সবজি ও ফল কিনতে পারবেন এখানে। নানা ধরনের স্মারক সংগ্রহের সুযোগও মিলবে। তেমনি ভাসমান রেস্তোরাঁ থেকে স্বাদ নিতে পারবেন ঐতিহ্যবাহী সব থাই খাবারের। দামনোয়েন সাদুয়াক, আমফাওয়া, তালিং চান ব্যাংককের ভাসমান বাজারগুলোর অন্যতম।
সকাল ছয়টা থেকে মোটামুটি রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা পাবেন এ ধরনের ভাসমান বাজার।
জিম থম্পসনস হাউস
ব্যাংককের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ভ্রমণ গন্তব্যগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয় একে। মার্কিন নাগরিক জিম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থাইল্যান্ডে থেকে যান পাকাপোক্তভাবে। সিল্কসহ শহরের হারিয়ে যেতে বসা বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করেন তিনি। এখানকার ছয়টি ভবনের নির্মাণশৈলী এবং বিভিন্ন সংগ্রহ ঐতিহ্যবাহী থাই স্থাপত্যের মহিমাকে খুব ভালোভাবে প্রতিফলিত করে। বিশেষ করে জাদুঘর যদি আপনার পছন্দের জায়গা হয় তবে এখানে যাওয়াটি আপনার জন্য অবশ্য কর্তব্য।
সকাল নয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে জিম থম্পসনস হাউসের দ্বার।
চাও ফ্রায়া নদী
ব্যাংককের সেরা পর্যটন এলাকার যে কোনো তালিকা চাও ফ্রায়া নদীর উল্লেখ না থাকলে অসম্পূর্ণ থেকে যাবে সেটি। এই নদীতে ভ্রমণ আপনাকে অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা দেবে। প্রমোদতরীতে ডিনার কিংবা মনোমুগ্ধকর ফেরি রাইড এখানকার বড় আকর্ষণ। নদী তীরে দাঁড়িয়ে থাকা দৃষ্টিনন্দন সব ভবন জায়গাটিকে অনন্য করে তুলেছে।
গ্র্যান্ড প্যালেস
শহরের মোটামুটি কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত গ্র্যান্ড প্যালেসকে একটিবার দেখা না এলে আপনার থাইল্যান্ড ভ্রমণই যেন সম্পূর্ণ হবে না। রাজা ফুত্তায়োতফা চুলালোক অর্থাৎ প্রথম রমা ১৭৮২ সালে গ্র্যান্ড প্যালেসের নির্মাণকাজ শুরু করেন। টানা দেড় শ বছর থাই সরকারের প্রশাসনিক কেন্দ্রবিন্দু ছিল এটি। বেশ কয়েকটি রাজকীয় স্থাপনা নিয়ে অসাধারণ এ প্রাসাদে ঘুরে বেশ কতকটা সময় কটিয়ে দিতে পারবেন।
টেম্পল অব দ্য এমারাল্ড বুদ্ধ গ্র্যান্ড প্যালেসের অন্যতম আকর্ষণ। মন্দিরের ভেতরে ঢুকলে দেখা পাবেন ২৬ ইঞ্চি উচ্চতার একটি বুদ্ধ মূর্তির। মূল্যবান সবুজ পাথরে তৈরি মূর্তিটিতে সোনার প্রলেপ দেওয়া।
সাধারণত সকাল সাড়ে আটটা থেকে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত পর্যটকেরা প্রবেশ করতে পারেন গ্র্যান্ড প্যালেসে।
ওয়াট ফাও
টেম্পল অব এমারাল্ড বুদ্ধের পেছনে অবস্থান ওয়াট ফাও নামের মন্দিরটির। এটি শহরের সবচেয়ে বড় মন্দির কমপ্লেক্সগুলির মধ্যে একটি। এখানকার বড় আকর্ষণ ৪৬ মিটার লম্বা বিশাল একটি হেলান দেওয়া বা আধ শোয়া সোনালি রঙের বুদ্ধমূর্তি। পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার জন্য এটিও একটি চমৎকার জায়গা। সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত এখানে প্রবেশ করতে পারেন ভ্রমণার্থীরা।
সি লাইফ ব্যাংকক ওশান ওয়ার্ল্ড
এমনকি অল্প সময়ের জন্য ব্যাংকক ভ্রমণে গেলেও সাগর তলের প্রাণীদের জীবনযাত্রা দেখার সুযোগটি হাতছাড়া করা উচিত হবে না আপনার। বিখ্যাত সিয়াম প্যারাগন শপিং মলের নিচের দুটি তলায় এর অবস্থান। বিশ্বের নানা প্রান্তের ৩০ হাজার জলজ প্রাণীর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ মিলবে আপনার এখানে।
সি লাইফ ব্যাংকক ওশান ওয়ার্ল্ড ব্যাংকককে অনেকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম অ্যাকোরিয়াম হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। প্রায় ১০ হাজার বর্গমিটার এলাকায় ৫০ লাখ লিটার পানিতে বাস এখানকার জলজ প্রাণীগুলোর। সকাল দশটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত খোলা থাকে এটি।
চায়না টাউন
ভোজনরসিকদের জন্য চায়না টাউন আদর্শ। তেমনি কেনাকাটার করতে যারা ভালোবাসেন তাঁদেরও দারুণ সময় কাটবে এখানে। চীনা সংস্কৃতি ও জীবনধারা সম্পর্কে জানতে চাইলেও কিছুটা সময় চায়না টাউনে কাটানো উচিত। সকাল সাতটা থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত জমজমাট থাকে জায়গাটি।
চাতুচাক ওইকএন্ড মার্কেট
কেনাকাটা যারা ভালোবাসেন তাঁরা এমনকি এক দিনের ব্যাংকক ভ্রমণেও এখানে একটি বার ঘুরে আসা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না আশা করি। এর বিশাল আকার এবং বৈচিত্র্যময় সংগ্রহ আপনার মন জয় করবে। বাজেট ফুরিয়ে যাওয়ার পরেও আপনার মনে আরও কিছুর কেনার তৃষ্ণা রয়ে যাবে। বন্ধু এবং পরিবারের জন্য উপহার কিংবা ভ্রমণের স্মৃতি হিসেবে স্মারক কেনার জন্য এর চেয়ে ভালো জায়গা আর মিলবে না।
লুমফিনি পার্ক
তাজা হাওয়া, গাছের ছায়া যা-ই চান পাবেন এখানে। সব বয়সের ভ্রমণকারীদের জন্য জায়গাটি আদর্শ। নানা জাতের গাছপালা আর পাখির দেখা পাবেন এখানে। নৌকায় করে এখানকার লেকে চমৎকার কিছুটা সময় কাটাতে পারবেন। ভোর পাঁচটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত এটি।
সূত্র: ট্রাভেল ট্রায়াঙ্গল, হলিডিফাই ডট কম, উইকিপিডিয়া
ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের পছন্দের তালিকায় ওপরের দিকেই থাকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড। আর থাইল্যান্ড গেলে নিদেন পক্ষে দুই-তিনটা দিন দেশটির রাজধানী ব্যাংককের জন্য আপনাকে বরাদ্দ রাখতেই হবে। ব্যাংকক এমন একটি জায়গা যে পরিবার নিয়ে, একা কিংবা হানিমুনে যেভাবেই যান না কেন আপনার সময়টা চমৎকার কাটবে।
ব্যাংককে মন্দির, প্রাসাদ, মার্কেট, জাদুঘর, নদী সবকিছুই পাবেন। নানা ধরনের মুখরোচক খাবারও মিলে এখানে। শহরটির দশটি দ্রষ্টব্য স্থানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব আজ পাঠকদের। যারা প্রথমবারের মতো কিংবা একটু কম সময়ের জন্য ব্যাংককে যাবেন আশা করি তাঁদের এটা বেশ কাজে লাগবে।
ওয়াট অরুণ
ব্যাংককে দৃষ্টিনন্দন সব মন্দির আর জাদুঘরের ভিড়ে আলাদাভাবে বলতে হয় ওয়াট অরুণের কথা। এই বৌদ্ধ মন্দিরটি ‘টেম্পল অব ডন’ নামেও পরিচিত। তবে অনেকে আবার বলেন সূর্যাস্তের সময় পড়ন্ত সূর্যের আলোয় সবচেয়ে আকর্ষণীয় রূপে ধরা দেয় ওয়াট অরুণ। এটি পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার ব্যাংকক শহরে সেরা স্থানগুলির একটি।
চাও ফ্রায়া নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত, ওয়াট অরুণ তার ৭৯ মিটার উঁচু কেন্দ্রীয় মোচাকৃতি চূড়াটির জন্য বিখ্যাত। একে অনেকে থাইল্যান্ডের আইফেল টাওয়ার হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। এর অনন্য নকশা এবং সূক্ষ্ম কারুকাজ নজর কাড়বে আপনার। মন্দিরটি ১৭ শতকে তৈরি হলেও মাঝখানের এই অংশটি তৈরি হয় উনিশ শতকে।
সাধারণত সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকে মন্দিরটি।
ভাসমান বাজার
ব্যাংককের বড় আকর্ষণ নিঃসন্দেহে এখানকার ভাসমান বাজার বা ফ্লোটিং মার্কেটগুলো। চমৎকার একটি নৌকা ভ্রমণের সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের এলাকায় উৎপাদিত সবজি ও ফল কিনতে পারবেন এখানে। নানা ধরনের স্মারক সংগ্রহের সুযোগও মিলবে। তেমনি ভাসমান রেস্তোরাঁ থেকে স্বাদ নিতে পারবেন ঐতিহ্যবাহী সব থাই খাবারের। দামনোয়েন সাদুয়াক, আমফাওয়া, তালিং চান ব্যাংককের ভাসমান বাজারগুলোর অন্যতম।
সকাল ছয়টা থেকে মোটামুটি রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা পাবেন এ ধরনের ভাসমান বাজার।
জিম থম্পসনস হাউস
ব্যাংককের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ভ্রমণ গন্তব্যগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয় একে। মার্কিন নাগরিক জিম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থাইল্যান্ডে থেকে যান পাকাপোক্তভাবে। সিল্কসহ শহরের হারিয়ে যেতে বসা বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করেন তিনি। এখানকার ছয়টি ভবনের নির্মাণশৈলী এবং বিভিন্ন সংগ্রহ ঐতিহ্যবাহী থাই স্থাপত্যের মহিমাকে খুব ভালোভাবে প্রতিফলিত করে। বিশেষ করে জাদুঘর যদি আপনার পছন্দের জায়গা হয় তবে এখানে যাওয়াটি আপনার জন্য অবশ্য কর্তব্য।
সকাল নয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে জিম থম্পসনস হাউসের দ্বার।
চাও ফ্রায়া নদী
ব্যাংককের সেরা পর্যটন এলাকার যে কোনো তালিকা চাও ফ্রায়া নদীর উল্লেখ না থাকলে অসম্পূর্ণ থেকে যাবে সেটি। এই নদীতে ভ্রমণ আপনাকে অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা দেবে। প্রমোদতরীতে ডিনার কিংবা মনোমুগ্ধকর ফেরি রাইড এখানকার বড় আকর্ষণ। নদী তীরে দাঁড়িয়ে থাকা দৃষ্টিনন্দন সব ভবন জায়গাটিকে অনন্য করে তুলেছে।
গ্র্যান্ড প্যালেস
শহরের মোটামুটি কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত গ্র্যান্ড প্যালেসকে একটিবার দেখা না এলে আপনার থাইল্যান্ড ভ্রমণই যেন সম্পূর্ণ হবে না। রাজা ফুত্তায়োতফা চুলালোক অর্থাৎ প্রথম রমা ১৭৮২ সালে গ্র্যান্ড প্যালেসের নির্মাণকাজ শুরু করেন। টানা দেড় শ বছর থাই সরকারের প্রশাসনিক কেন্দ্রবিন্দু ছিল এটি। বেশ কয়েকটি রাজকীয় স্থাপনা নিয়ে অসাধারণ এ প্রাসাদে ঘুরে বেশ কতকটা সময় কটিয়ে দিতে পারবেন।
টেম্পল অব দ্য এমারাল্ড বুদ্ধ গ্র্যান্ড প্যালেসের অন্যতম আকর্ষণ। মন্দিরের ভেতরে ঢুকলে দেখা পাবেন ২৬ ইঞ্চি উচ্চতার একটি বুদ্ধ মূর্তির। মূল্যবান সবুজ পাথরে তৈরি মূর্তিটিতে সোনার প্রলেপ দেওয়া।
সাধারণত সকাল সাড়ে আটটা থেকে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত পর্যটকেরা প্রবেশ করতে পারেন গ্র্যান্ড প্যালেসে।
ওয়াট ফাও
টেম্পল অব এমারাল্ড বুদ্ধের পেছনে অবস্থান ওয়াট ফাও নামের মন্দিরটির। এটি শহরের সবচেয়ে বড় মন্দির কমপ্লেক্সগুলির মধ্যে একটি। এখানকার বড় আকর্ষণ ৪৬ মিটার লম্বা বিশাল একটি হেলান দেওয়া বা আধ শোয়া সোনালি রঙের বুদ্ধমূর্তি। পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার জন্য এটিও একটি চমৎকার জায়গা। সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত এখানে প্রবেশ করতে পারেন ভ্রমণার্থীরা।
সি লাইফ ব্যাংকক ওশান ওয়ার্ল্ড
এমনকি অল্প সময়ের জন্য ব্যাংকক ভ্রমণে গেলেও সাগর তলের প্রাণীদের জীবনযাত্রা দেখার সুযোগটি হাতছাড়া করা উচিত হবে না আপনার। বিখ্যাত সিয়াম প্যারাগন শপিং মলের নিচের দুটি তলায় এর অবস্থান। বিশ্বের নানা প্রান্তের ৩০ হাজার জলজ প্রাণীর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ মিলবে আপনার এখানে।
সি লাইফ ব্যাংকক ওশান ওয়ার্ল্ড ব্যাংকককে অনেকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম অ্যাকোরিয়াম হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। প্রায় ১০ হাজার বর্গমিটার এলাকায় ৫০ লাখ লিটার পানিতে বাস এখানকার জলজ প্রাণীগুলোর। সকাল দশটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত খোলা থাকে এটি।
চায়না টাউন
ভোজনরসিকদের জন্য চায়না টাউন আদর্শ। তেমনি কেনাকাটার করতে যারা ভালোবাসেন তাঁদেরও দারুণ সময় কাটবে এখানে। চীনা সংস্কৃতি ও জীবনধারা সম্পর্কে জানতে চাইলেও কিছুটা সময় চায়না টাউনে কাটানো উচিত। সকাল সাতটা থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত জমজমাট থাকে জায়গাটি।
চাতুচাক ওইকএন্ড মার্কেট
কেনাকাটা যারা ভালোবাসেন তাঁরা এমনকি এক দিনের ব্যাংকক ভ্রমণেও এখানে একটি বার ঘুরে আসা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না আশা করি। এর বিশাল আকার এবং বৈচিত্র্যময় সংগ্রহ আপনার মন জয় করবে। বাজেট ফুরিয়ে যাওয়ার পরেও আপনার মনে আরও কিছুর কেনার তৃষ্ণা রয়ে যাবে। বন্ধু এবং পরিবারের জন্য উপহার কিংবা ভ্রমণের স্মৃতি হিসেবে স্মারক কেনার জন্য এর চেয়ে ভালো জায়গা আর মিলবে না।
লুমফিনি পার্ক
তাজা হাওয়া, গাছের ছায়া যা-ই চান পাবেন এখানে। সব বয়সের ভ্রমণকারীদের জন্য জায়গাটি আদর্শ। নানা জাতের গাছপালা আর পাখির দেখা পাবেন এখানে। নৌকায় করে এখানকার লেকে চমৎকার কিছুটা সময় কাটাতে পারবেন। ভোর পাঁচটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত এটি।
সূত্র: ট্রাভেল ট্রায়াঙ্গল, হলিডিফাই ডট কম, উইকিপিডিয়া
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে