রিক্তা রিচি, ঢাকা
জামদানি, মসলিন, কাতান, সুতি, হাফসিল্ক মোটামুটি সব ধরনের শাড়ি একজন নারীর সংগ্রহে থাকে। বলা হয়, শাড়িতে নারীর সুখ লুকিয়ে থাকে। নিয়মিত পরার জন্য নারীরা বেছে নেন সুতি ও হাফসিল্ক শাড়ি। এসব শাড়ি সামলাতে বেগ পেতে হয় না। মেলে স্বস্তিও। এ ছাড়া সুতি, হ্যান্ডলুম, হাফসিল্কের শাড়িতে করা যায় মনের মতো রং।
শাড়িতে ফুটিয়ে তোলা যায় শিউলির স্নিগ্ধতা, নীল আকাশে ভেসে যাওয়া মেঘ, দিগন্তজোড়া কাশফুলের সারি, পেখম মেলে থাকা ময়ূর, সোনালি বনে ছোট পাখির ঝাঁক, মাধবীলতা বা মধুমঞ্জরীর বাহার। ফুটিয়ে তোলা যায় কদম, কৃষ্ণচূড়া, শাপলা, প্রজাপতিসহ আরও অনেক কিছু। শুধু কি তা-ই? প্রিয় লেখকের কোনো উক্তি, বইয়ের প্রচ্ছদ, কবিতার চরণ ইত্যাদি সবকিছুই মূর্ত করে তোলা যায় শাড়িতে। বলছি হ্যান্ডপেইন্ট বা হাতে আঁকা শাড়ির কথা।
সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে গেছে অনেকখানি। আড়ষ্টতা ঝেড়ে ফেলে সবাই এখন মনের মতো পোশাক পরার দিকে মনোযোগী হয়ে উঠেছেন। ফ্যাশন আর ঋতুর যুগলবন্দীতে এখন হ্যান্ডপেইন্ট শাড়ির বেশ রমরমা। একজন শিল্পী বা নকশাকার তাঁর শৈল্পিক সত্তার সবটা ব্যবহার করে শাড়িজুড়ে টুকরো টুকরো গল্প সাজিয়ে তোলেন। মনের প্রেম প্রতীয়মান হয় শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে। এ জন্যই হয়তো হাতে আঁকা শাড়ির কদর একটু বেশি।
সামনে আসছে পূজা। পূজা মানেই আনন্দ-উৎসব। এ আনন্দ ধরে রাখতে চাইবেন সবাই পোশাকে। নতুন শাড়িতে নিজেকে রাঙিয়ে নেওয়ার তাই কমতি রাখলে চলবে না। পূজাকে কেন্দ্র করে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো শাড়িতে ঋতু ও পূজাকেন্দ্রিক বিভিন্ন মোটিফ নিয়ে এসেছে। শাড়ির আঁচল ও জমিনে শোভা পাচ্ছে উৎসব। পিছিয়ে নেই অনলাইন উদ্যোক্তারাও।
ফেসবুকনির্ভর উদ্যোক্তারাও উৎসবকে কেন্দ্র করে এনেছেন নতুন মোটিফের শাড়ি।
তবে হ্যান্ডপেইন্টের শাড়ির নকশা নির্ভর করে শিল্পী ও ক্রেতার চাহিদার ওপর। শিল্পী ঠিক তা-ই আঁকেন, যা ক্রেতা চান। কিছু কিছু শাড়ির জমিনজুড়ে আঁকা হয় হালকা নকশা।
আঁচলে ফুটিয়ে তোলা হয় আকর্ষণীয় ও কাঙ্ক্ষিত বিষয়। কখনো কখনো কুঁচিতে বিভিন্ন নকশা আঁকা হয়। মাঝে মাঝে জমিন ও পাড়ের রং ও ডিজাইনে দেখা যায় বৈপরীত্য। রঙের বৈপরীত্য আর শেডের দারুণ সমন্বয়ই হ্যান্ডপেইন্ট শাড়িকে অনন্য করে তোলে।
‘পঞ্চরং’-এর স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার সাদিকা তাসনিম মৃদু জানান, হ্যান্ডপেইন্টের চাহিদা বেশি ঢাকা ও চট্টগ্রামে। বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে এই শাড়িগুলোয় বিভিন্ন বিষয় প্রাণবন্ত করে তোলা হয়। পঞ্চরং-এর শাড়িতে লতা, পাতা, ফুল ইত্যাদি বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। শরৎকে মাথায় রেখে শিউলি ও কাশফুলের আবেশে সাজানো হয়েছে অধিকাংশ শাড়ি বলে জানান সাদিকা। দুর্গাপূজা উপলক্ষে পঞ্চরং নিয়ে এসেছে বিভিন্ন শাড়ি। পূজার শাড়িগুলোর পুরো জমিনে হালকা ফুলের কাজ করা হয়েছে। আঁচলকে আকর্ষণীয় করে তুলতে প্রতিমার মুখ আঁকা হয়েছে বলে জানান সাদিকা তাসনিম মৃদু।
‘র’ ফ্যাশন হাউসের স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার জিন্নাতুন জান্নাত বলেন, ‘আমাদের কাছে ফ্লোরাল পেইন্টের শাড়িগুলোর অর্ডার বেশি আসে।’ গোলাপ, জবা ও অন্যান্য ফুলের ডিজাইনে চাহিদা বেশি থাকে। থিমভিত্তিক কাজও করে থাকেন তাঁরা। মসলিন শাড়িতে হ্যান্ডপেইন্ট করা হলে শাড়ির দাম শুরু হয় ৯ হাজার ৮০০ টাকা থেকে। সিল্ক, এন্ডি সিল্কের ফেব্রিকের ওপরও হ্যান্ডপেইন্ট করে র ফ্যাশন হাউস। সেগুলোর দাম শুরু হয় ১৩ হাজার টাকা থেকে।
‘পদ্মপুরাণ’-এর স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার জেবুন নাহার যুঁথী জানান, তাঁদের শাড়িতে ফুল-পাখি এই মোটিফগুলো বেশি থাকে। পূজার জন্য শিউলি, কাশফুল মোটিফের কাজ করেছেন তাঁরা। ডিজাইনের তারতম্য অনুযায়ী একটি শাড়িতে হ্যান্ডপেইন্ট করতে তিন থেকে সাত দিন সময় লাগে। শাড়ির দাম কাপড় ও নকশার ওপর নির্ভর করে। পদ্মপুরাণের করা হাফসিল্ক শাড়ির দাম শুরু হয় ১ হাজার ৮৫০ টাকা থেকে।
যত্ন-আত্তি
প্রাপ্তিস্থান ও দরদাম
হ্যান্ডপেইন্টের শাড়ি কিনতে দেশীয় ফ্যাশন হাউসে ঢুঁ মারতে পারেন। এ ছাড়া বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, নিউমার্কেট, গাউছিয়া, মৌচাক মার্কেট ইত্যাদিতে পাওয়া যায় হ্যান্ডপেইন্টের শাড়ি। অনলাইন পেজ ‘র’, কাজলা স্টুডিও, পঞ্চরং, ইচ্ছেরঙিন, সাজলহরী, ইচ্ছেপূরণ, পদ্মপুরাণ, নয়া বায়নায় পাবেন হ্যান্ডপেইন্টের শাড়ি। সুতি ও হ্যান্ডলুমের ওপর হ্যান্ডপেইন্ট করা শাড়িগুলোর দাম সাধারণত ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। মসলিন ও সিল্ক শাড়িতে হ্যান্ডপেইন্ট করা হলে দাম ৯ হাজার থেকে ১৮ হাজার কিংবা ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
জামদানি, মসলিন, কাতান, সুতি, হাফসিল্ক মোটামুটি সব ধরনের শাড়ি একজন নারীর সংগ্রহে থাকে। বলা হয়, শাড়িতে নারীর সুখ লুকিয়ে থাকে। নিয়মিত পরার জন্য নারীরা বেছে নেন সুতি ও হাফসিল্ক শাড়ি। এসব শাড়ি সামলাতে বেগ পেতে হয় না। মেলে স্বস্তিও। এ ছাড়া সুতি, হ্যান্ডলুম, হাফসিল্কের শাড়িতে করা যায় মনের মতো রং।
শাড়িতে ফুটিয়ে তোলা যায় শিউলির স্নিগ্ধতা, নীল আকাশে ভেসে যাওয়া মেঘ, দিগন্তজোড়া কাশফুলের সারি, পেখম মেলে থাকা ময়ূর, সোনালি বনে ছোট পাখির ঝাঁক, মাধবীলতা বা মধুমঞ্জরীর বাহার। ফুটিয়ে তোলা যায় কদম, কৃষ্ণচূড়া, শাপলা, প্রজাপতিসহ আরও অনেক কিছু। শুধু কি তা-ই? প্রিয় লেখকের কোনো উক্তি, বইয়ের প্রচ্ছদ, কবিতার চরণ ইত্যাদি সবকিছুই মূর্ত করে তোলা যায় শাড়িতে। বলছি হ্যান্ডপেইন্ট বা হাতে আঁকা শাড়ির কথা।
সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে গেছে অনেকখানি। আড়ষ্টতা ঝেড়ে ফেলে সবাই এখন মনের মতো পোশাক পরার দিকে মনোযোগী হয়ে উঠেছেন। ফ্যাশন আর ঋতুর যুগলবন্দীতে এখন হ্যান্ডপেইন্ট শাড়ির বেশ রমরমা। একজন শিল্পী বা নকশাকার তাঁর শৈল্পিক সত্তার সবটা ব্যবহার করে শাড়িজুড়ে টুকরো টুকরো গল্প সাজিয়ে তোলেন। মনের প্রেম প্রতীয়মান হয় শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে। এ জন্যই হয়তো হাতে আঁকা শাড়ির কদর একটু বেশি।
সামনে আসছে পূজা। পূজা মানেই আনন্দ-উৎসব। এ আনন্দ ধরে রাখতে চাইবেন সবাই পোশাকে। নতুন শাড়িতে নিজেকে রাঙিয়ে নেওয়ার তাই কমতি রাখলে চলবে না। পূজাকে কেন্দ্র করে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো শাড়িতে ঋতু ও পূজাকেন্দ্রিক বিভিন্ন মোটিফ নিয়ে এসেছে। শাড়ির আঁচল ও জমিনে শোভা পাচ্ছে উৎসব। পিছিয়ে নেই অনলাইন উদ্যোক্তারাও।
ফেসবুকনির্ভর উদ্যোক্তারাও উৎসবকে কেন্দ্র করে এনেছেন নতুন মোটিফের শাড়ি।
তবে হ্যান্ডপেইন্টের শাড়ির নকশা নির্ভর করে শিল্পী ও ক্রেতার চাহিদার ওপর। শিল্পী ঠিক তা-ই আঁকেন, যা ক্রেতা চান। কিছু কিছু শাড়ির জমিনজুড়ে আঁকা হয় হালকা নকশা।
আঁচলে ফুটিয়ে তোলা হয় আকর্ষণীয় ও কাঙ্ক্ষিত বিষয়। কখনো কখনো কুঁচিতে বিভিন্ন নকশা আঁকা হয়। মাঝে মাঝে জমিন ও পাড়ের রং ও ডিজাইনে দেখা যায় বৈপরীত্য। রঙের বৈপরীত্য আর শেডের দারুণ সমন্বয়ই হ্যান্ডপেইন্ট শাড়িকে অনন্য করে তোলে।
‘পঞ্চরং’-এর স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার সাদিকা তাসনিম মৃদু জানান, হ্যান্ডপেইন্টের চাহিদা বেশি ঢাকা ও চট্টগ্রামে। বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে এই শাড়িগুলোয় বিভিন্ন বিষয় প্রাণবন্ত করে তোলা হয়। পঞ্চরং-এর শাড়িতে লতা, পাতা, ফুল ইত্যাদি বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। শরৎকে মাথায় রেখে শিউলি ও কাশফুলের আবেশে সাজানো হয়েছে অধিকাংশ শাড়ি বলে জানান সাদিকা। দুর্গাপূজা উপলক্ষে পঞ্চরং নিয়ে এসেছে বিভিন্ন শাড়ি। পূজার শাড়িগুলোর পুরো জমিনে হালকা ফুলের কাজ করা হয়েছে। আঁচলকে আকর্ষণীয় করে তুলতে প্রতিমার মুখ আঁকা হয়েছে বলে জানান সাদিকা তাসনিম মৃদু।
‘র’ ফ্যাশন হাউসের স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার জিন্নাতুন জান্নাত বলেন, ‘আমাদের কাছে ফ্লোরাল পেইন্টের শাড়িগুলোর অর্ডার বেশি আসে।’ গোলাপ, জবা ও অন্যান্য ফুলের ডিজাইনে চাহিদা বেশি থাকে। থিমভিত্তিক কাজও করে থাকেন তাঁরা। মসলিন শাড়িতে হ্যান্ডপেইন্ট করা হলে শাড়ির দাম শুরু হয় ৯ হাজার ৮০০ টাকা থেকে। সিল্ক, এন্ডি সিল্কের ফেব্রিকের ওপরও হ্যান্ডপেইন্ট করে র ফ্যাশন হাউস। সেগুলোর দাম শুরু হয় ১৩ হাজার টাকা থেকে।
‘পদ্মপুরাণ’-এর স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার জেবুন নাহার যুঁথী জানান, তাঁদের শাড়িতে ফুল-পাখি এই মোটিফগুলো বেশি থাকে। পূজার জন্য শিউলি, কাশফুল মোটিফের কাজ করেছেন তাঁরা। ডিজাইনের তারতম্য অনুযায়ী একটি শাড়িতে হ্যান্ডপেইন্ট করতে তিন থেকে সাত দিন সময় লাগে। শাড়ির দাম কাপড় ও নকশার ওপর নির্ভর করে। পদ্মপুরাণের করা হাফসিল্ক শাড়ির দাম শুরু হয় ১ হাজার ৮৫০ টাকা থেকে।
যত্ন-আত্তি
প্রাপ্তিস্থান ও দরদাম
হ্যান্ডপেইন্টের শাড়ি কিনতে দেশীয় ফ্যাশন হাউসে ঢুঁ মারতে পারেন। এ ছাড়া বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, নিউমার্কেট, গাউছিয়া, মৌচাক মার্কেট ইত্যাদিতে পাওয়া যায় হ্যান্ডপেইন্টের শাড়ি। অনলাইন পেজ ‘র’, কাজলা স্টুডিও, পঞ্চরং, ইচ্ছেরঙিন, সাজলহরী, ইচ্ছেপূরণ, পদ্মপুরাণ, নয়া বায়নায় পাবেন হ্যান্ডপেইন্টের শাড়ি। সুতি ও হ্যান্ডলুমের ওপর হ্যান্ডপেইন্ট করা শাড়িগুলোর দাম সাধারণত ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। মসলিন ও সিল্ক শাড়িতে হ্যান্ডপেইন্ট করা হলে দাম ৯ হাজার থেকে ১৮ হাজার কিংবা ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
২ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
২ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
২ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
২ দিন আগে