বাপ্পা শান্তনু
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ফুসফুস আক্রান্ত হয়। এর ফলে দেহে খুব দ্রুত অক্সিজেনের অভাব ঘটতে পারে। আর অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হওয়া অস্বাভাবিক নয়। ফলে ফুসফুস সুস্থ রাখা দরকার। ফুসফুসের সুস্থতার জন্য করতে পারেন ইয়োগা।
উষ্ট্রাসন
যেভাবে করবেন
১. বিরাসনে অর্থাৎ হাঁটু গেড়ে পায়ের আঙুল ভেতরের দিকে দিয়ে বসুন।
২. দুই হাত দিয়ে দুই পায়ের গোড়ালি ধরুন। হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি পায়ের পাতার ভেতরের দিকে থাকবে।
৩. শ্বাস ভেতরে টেনে মাথা ও গ্রীবাকে পেছন দিকে মুড়ে কোমর ওপরে তুলুন। হাঁটু থেকে ঊরু পর্যন্ত ভূমির সাপেক্ষে লম্বা থাকবে।
৪. আসনে থাকাবস্থায় শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে।
৫. আসন থেকে নামার সময় শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে গোড়ালির ওপর বসে পড়ুন।
সময়কাল ও সংখ্যা
এই আসনে ১৫-৩০ সেকেন্ড থাকুন।
পরপর ৩-৫ বার করুন।
উপকারিতা
১. শ্বসনতন্ত্রের উপকার করে।
২. ফুসফুসের প্রকোষ্ঠগুলোকে ‘সক্রিয় করে তোলে। ফলে হাঁপানি রোগীরা খুব ভালো ফল পাবেন এ থেকে।
৩. সাইটিক, স্পন্ডালাইটিস প্রভৃতি মেরুদণ্ডের রোগে উপকার পাওয়া যাবে।
৪. থাইরয়েডের জন্য উপকারী আসন এটি।
ভস্ত্রিকা প্রাণায়াম
ফুসফুসের ব্যায়ামের জন্য এক জায়গায় বসে
স্থির থেকে সবচেয়ে সহজ ব্যায়াম হলো
ভস্ত্রিকা প্রাণায়াম।
শরীরের বিশেষ বিশেষ অংশের ব্যায়াম যখন করা হয়, তখন সেগুলোর জন্য একটু বেশি শক্তি প্রয়োগ করতে হয়। সাধারণভাবে যে শ্বাস নেওয়া হয় তা খুব ছোট। অর্থাৎ, ফুসফুসের আয়তনের খুব কম পরিমাণ বাতাস বা অক্সিজেন আমরা নাক দিয়ে টানি। ভস্ত্রিকা প্রাণায়ামের মাধ্যমে ফুসফুসের ব্যায়ামের সময় একটু শক্তি প্রয়োগ করে সম্পূর্ণ ফুসফুস ভরে শ্বাস নিয়ে আবার পুরো ফুসফুস খালি করে ফেলতে হয়। তবে রোগের তারতম্য অনুসারে এই শ্বাসের বিভিন্ন রকম গতি হয়ে থাকে।
যেভাবে করবেন
১. যেকোনো আসনে বসতে পারেন, তবে মেরুদণ্ড সোজা রাখবেন।
২. চোখ বন্ধ রাখুন।
৩. সম্পূর্ণ ফুসফুস ভরে শ্বাস নিন এবং পুরোটা ফুসফুস খালি করে ফেলুন।
৪. শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার সময় একটু বাড়তি শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। এই শক্তি প্রয়োগের জন্য শ্বাস নিতে শব্দ হয়।
৫. শ্বাস নেওয়া ও ছাড়া নাক দিয়ে করবেন।
সময়কাল
প্রথমে টানা ১ মিনিট করার চেষ্টা করুন। সম্পূর্ণ ফল পেতে টানা ৫ মিনিট করুন।
খেয়াল রাখতে হবে
যদি কারও করোনা হয়, সে অবস্থায় নিঃশব্দে ধীরে ধীরে ফুসফুস ভরে শ্বাস নিতে হবে। ছাড়ার সময়ও ধীরে ধীরে ছাড়তে হবে। বাড়তি শক্তি প্রয়োগ করা যাবে না।
লেখক: প্রশিক্ষক, এভারগ্রিন ইয়োগা
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ফুসফুস আক্রান্ত হয়। এর ফলে দেহে খুব দ্রুত অক্সিজেনের অভাব ঘটতে পারে। আর অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হওয়া অস্বাভাবিক নয়। ফলে ফুসফুস সুস্থ রাখা দরকার। ফুসফুসের সুস্থতার জন্য করতে পারেন ইয়োগা।
উষ্ট্রাসন
যেভাবে করবেন
১. বিরাসনে অর্থাৎ হাঁটু গেড়ে পায়ের আঙুল ভেতরের দিকে দিয়ে বসুন।
২. দুই হাত দিয়ে দুই পায়ের গোড়ালি ধরুন। হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি পায়ের পাতার ভেতরের দিকে থাকবে।
৩. শ্বাস ভেতরে টেনে মাথা ও গ্রীবাকে পেছন দিকে মুড়ে কোমর ওপরে তুলুন। হাঁটু থেকে ঊরু পর্যন্ত ভূমির সাপেক্ষে লম্বা থাকবে।
৪. আসনে থাকাবস্থায় শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে।
৫. আসন থেকে নামার সময় শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে গোড়ালির ওপর বসে পড়ুন।
সময়কাল ও সংখ্যা
এই আসনে ১৫-৩০ সেকেন্ড থাকুন।
পরপর ৩-৫ বার করুন।
উপকারিতা
১. শ্বসনতন্ত্রের উপকার করে।
২. ফুসফুসের প্রকোষ্ঠগুলোকে ‘সক্রিয় করে তোলে। ফলে হাঁপানি রোগীরা খুব ভালো ফল পাবেন এ থেকে।
৩. সাইটিক, স্পন্ডালাইটিস প্রভৃতি মেরুদণ্ডের রোগে উপকার পাওয়া যাবে।
৪. থাইরয়েডের জন্য উপকারী আসন এটি।
ভস্ত্রিকা প্রাণায়াম
ফুসফুসের ব্যায়ামের জন্য এক জায়গায় বসে
স্থির থেকে সবচেয়ে সহজ ব্যায়াম হলো
ভস্ত্রিকা প্রাণায়াম।
শরীরের বিশেষ বিশেষ অংশের ব্যায়াম যখন করা হয়, তখন সেগুলোর জন্য একটু বেশি শক্তি প্রয়োগ করতে হয়। সাধারণভাবে যে শ্বাস নেওয়া হয় তা খুব ছোট। অর্থাৎ, ফুসফুসের আয়তনের খুব কম পরিমাণ বাতাস বা অক্সিজেন আমরা নাক দিয়ে টানি। ভস্ত্রিকা প্রাণায়ামের মাধ্যমে ফুসফুসের ব্যায়ামের সময় একটু শক্তি প্রয়োগ করে সম্পূর্ণ ফুসফুস ভরে শ্বাস নিয়ে আবার পুরো ফুসফুস খালি করে ফেলতে হয়। তবে রোগের তারতম্য অনুসারে এই শ্বাসের বিভিন্ন রকম গতি হয়ে থাকে।
যেভাবে করবেন
১. যেকোনো আসনে বসতে পারেন, তবে মেরুদণ্ড সোজা রাখবেন।
২. চোখ বন্ধ রাখুন।
৩. সম্পূর্ণ ফুসফুস ভরে শ্বাস নিন এবং পুরোটা ফুসফুস খালি করে ফেলুন।
৪. শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার সময় একটু বাড়তি শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। এই শক্তি প্রয়োগের জন্য শ্বাস নিতে শব্দ হয়।
৫. শ্বাস নেওয়া ও ছাড়া নাক দিয়ে করবেন।
সময়কাল
প্রথমে টানা ১ মিনিট করার চেষ্টা করুন। সম্পূর্ণ ফল পেতে টানা ৫ মিনিট করুন।
খেয়াল রাখতে হবে
যদি কারও করোনা হয়, সে অবস্থায় নিঃশব্দে ধীরে ধীরে ফুসফুস ভরে শ্বাস নিতে হবে। ছাড়ার সময়ও ধীরে ধীরে ছাড়তে হবে। বাড়তি শক্তি প্রয়োগ করা যাবে না।
লেখক: প্রশিক্ষক, এভারগ্রিন ইয়োগা
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে