সানজিদা সামরিন, ঢাকা
খসে পড়া পাখির পালক কুড়িয়েছেন কখনো? নীল-সবুজের স্বপ্নিল ময়ূরের পালক বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখার দিনগুলোর কথা মনে আছে? দুদিন পর পরই পাতা উল্টে পরখ করা—একখানা ময়ূরের পালক থেকে নতুন পালক গজাল কি না। সত্য়-মিথ্য়ে যাচাই না করে নতুন পালকের আশায় বুক বাঁধতেই সুখবোধ হতো। পালক শক্তি, সমৃদ্ধি, আশা ও স্বাধীনতার প্রতীক। কলম হিসেবে সে কালের রাজারা ব্যবহার করেছেন ময়ূরসহ বিভিন্ন পাখির পালক। এ ছাড়া আদিকাল থেকে পালক মর্যাদা এবং সম্পদের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
ইতিহাসটা প্রাচীন
বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে পাখির পালক সৌন্দর্য ও সম্মানে কতভাবে যে ব্যবহৃত হয়েছে যুগে যুগে তা বলা খুব কঠিন। ইউরোপে কোনো বিশেষ অর্জনের পর টুপিতে পালক যোগ করার প্রচলন ছিল। এ ছাড়া পোশাক ও গয়নার সৌন্দর্য বাড়াতে হাওয়াইতে স্থানীয়রা তাদের টুপিতে পালক পরত। এদিকে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রচলিত ছিল যে চলার পথে পাখির পালক খুঁজে পাওয়া মানে সুখ ও সমৃদ্ধি খুঁজে পাওয়া। আর এই বিশ্বাস থেকে এ অঞ্চলের মানুষের সাজপোশাকে যুক্ত হয় বিভিন্ন ধরনের পাখির পালক। নেটিভ আমেরিকানদের হেডপিস ও অলংকারেও পালকের সুনিপুণ ব্যবহার দেখা যায়। এককথায় সংস্কৃতিভেদে বিভিন্ন দেশের অধিবাসীদের পোশাক, মুকুট, টুপি ও গয়নায় পালকের ব্যবহারের অর্থ ভিন্ন ভিন্ন। পাখির পালক ব্যবহারের এই দীর্ঘ ধারাবাহিকতায় এখন আমাদের দেশেও পাওয়া যাচ্ছে পালকের গয়না।
এই সময়ে
এই সময়ে দাঁড়িয়ে সবকিছুর বাইরে এ কথা বলাই যায়, পালকের গয়না সাজসজ্জায় নিয়ে এসেছে দারুণ এক ট্রেন্ড।
বিভিন্ন পাখির পালক দিয়ে গয়না তৈরি করছে মনসিজ ক্র্যাফট। এসব গয়না তৈরিতে পালক ছাড়াও কড়ি, শামুক, ঝিনুক ও বিভিন্ন ধরনের পুঁতি ব্যবহার করা হচ্ছে। মনসিজ ক্র্যাফটের কর্ণধার ও শিল্পী সাদিয়া শারমিন জানান, এখন বিয়ের মতো জাঁকজমক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রতিদিন বাইরে বের হওয়ার জন্য শাড়ি বা পশ্চিমা পোশাকের সঙ্গে ফিউশনধর্মী গয়না ব্যবহার করছেন নারীরা। সেখানে স্থান পাচ্ছে পালকের গয়না।
সাদিয়া শারমিন বলেন, ‘পালক দিয়ে আমরা প্রশস্ত আকারে নেকলেস তৈরি করেছি। বেশির ভাগই দেশের বাইরে থেকে আনা পাখির বিভিন্ন রঙের পালক দিয়ে তৈরি। একই নকশার প্রতিটি নেকলেস এক পিস করে পাওয়া যাবে। সঙ্গে থাকবে ম্যাচিং কানের দুল ও আংটি। গয়নাগুলো পাওয়া যাবে মনসিজ ক্র্যাফটের ফেসবুক পেজে।’
এসব গয়না তৈরিতে টিয়া, হাঁস, ময়ূর, মোরগ ও তিতির ইত্যাদি পাখির ঝরে যাওয়া পালক ব্যবহার করা হয়।
স্টাইলে পালকের গয়না
মিনিমালে মধ্যমণি
মিনিমাল স্টাইলে গা ভাসিয়েছেন যাঁরা, তাঁরা মুখ ফিরিয়েছেন জবরজং পোশাক ও গয়না থেকে। মিনিমাল স্টাইলে হালকা গয়নার ক্ষেত্রে একটি গয়নাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। রাতের অনুষ্ঠানে ভারী শাড়ি এড়িয়ে গেলেও ক্ষতি নেই। একরঙা জর্জেট শাড়ির সঙ্গে গলায় পালকের বড় নেকলেস পরেই হয়ে উঠতে পারেন মধ্যমণি।
রংচঙে কোয়ার্কি
আঠারো শতকে নেদারল্যান্ডসে নারীরা চুলের খোঁপায় ও নেকলেসে ইগলের পালক ব্যবহার করতেন। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী জুয়েলারির ট্রেন্ডি ফ্যাশনেও যোগ হয়েছে পালকের গয়না। তবে পালকের গয়নায় বিভিন্ন ধরনের পালকের সঙ্গে ব্যবহৃত হচ্ছে পুঁতি, কড়ি, কাঠ, সুতো ও সামুদ্রিক শাঁস। এসব পালকের গয়না শাড়ি ও পশ্চিমা পোশাকের সঙ্গেই বেশি জুতসই। যাঁরা কোয়ার্কি স্টাইলে অভ্যস্ত, তাঁরা ফ্যাশন উইথ ফান স্লোগানে বিশ্বাসী। ঝলমলে রং, দারুণ সব প্রিন্ট ও ব্যতিক্রমী আনুষঙ্গিকে পরিপূর্ণ এ স্টাইলভান্ডার। তাঁদের পায়ে রংচঙে পাম্প সু, উজ্জ্বল জামাকাপড়ে পলকা ডট, টাইপরাইটারস, স্ট্রাইপ, ফ্লোরাল, অ্যানিমেল প্রিন্টের বাহারের মতো গয়নাতেও দেখা যায় নানান রঙের সন্নিবেশ। প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান, যেমন প্রজাপতি, পাখি, মৌমাছি, ফুল, পাখির পালক, সামুদ্রিক শাঁস খুঁজে পাওয়া যায় তাঁদের গয়না ও অন্যান্য সাজ উপকরণে।
সাহসী ও ফ্যাশনেবল
বলা হয়, ফ্যাশনে নতুনত্ব আসে রিস্ক টেকারদের হাত ধরে। সাজপোশাক নির্বাচনে যাঁরা একটু স্বাধীনভাবে ভাবতে ভালোবাসেন, বাক্সের বাইরে কীভাবে ভাবতে হয় তা তাঁদের ভালোভাবেই আয়ত্তে রয়েছে। টেকিং রিস্ক ফ্যাশনে যে আত্মবিশ্বাস ও ভয় জয় করার উদ্যম রয়েছে, তার সঙ্গে পালকের গয়নাকে সম্পর্কযুক্ত করা যায়। কারণ পালক স্বাধীনতার প্রতীক, শক্তিরও। গোলাপি, নীল, হলুদ, লাল, কালো, খয়েরি বাদামির মিলমিশ পালকের গয়না তো তাঁদের জন্যই।
দরদাম
এই গয়নাগুলো তৈরি হয়েছে টিয়া, হাঁস, ময়ূর, মোরগ ও তিতির পাখির পালক থেকে। হাতে তৈরি এসব গয়নার দাম ৩ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
খসে পড়া পাখির পালক কুড়িয়েছেন কখনো? নীল-সবুজের স্বপ্নিল ময়ূরের পালক বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখার দিনগুলোর কথা মনে আছে? দুদিন পর পরই পাতা উল্টে পরখ করা—একখানা ময়ূরের পালক থেকে নতুন পালক গজাল কি না। সত্য়-মিথ্য়ে যাচাই না করে নতুন পালকের আশায় বুক বাঁধতেই সুখবোধ হতো। পালক শক্তি, সমৃদ্ধি, আশা ও স্বাধীনতার প্রতীক। কলম হিসেবে সে কালের রাজারা ব্যবহার করেছেন ময়ূরসহ বিভিন্ন পাখির পালক। এ ছাড়া আদিকাল থেকে পালক মর্যাদা এবং সম্পদের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
ইতিহাসটা প্রাচীন
বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে পাখির পালক সৌন্দর্য ও সম্মানে কতভাবে যে ব্যবহৃত হয়েছে যুগে যুগে তা বলা খুব কঠিন। ইউরোপে কোনো বিশেষ অর্জনের পর টুপিতে পালক যোগ করার প্রচলন ছিল। এ ছাড়া পোশাক ও গয়নার সৌন্দর্য বাড়াতে হাওয়াইতে স্থানীয়রা তাদের টুপিতে পালক পরত। এদিকে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রচলিত ছিল যে চলার পথে পাখির পালক খুঁজে পাওয়া মানে সুখ ও সমৃদ্ধি খুঁজে পাওয়া। আর এই বিশ্বাস থেকে এ অঞ্চলের মানুষের সাজপোশাকে যুক্ত হয় বিভিন্ন ধরনের পাখির পালক। নেটিভ আমেরিকানদের হেডপিস ও অলংকারেও পালকের সুনিপুণ ব্যবহার দেখা যায়। এককথায় সংস্কৃতিভেদে বিভিন্ন দেশের অধিবাসীদের পোশাক, মুকুট, টুপি ও গয়নায় পালকের ব্যবহারের অর্থ ভিন্ন ভিন্ন। পাখির পালক ব্যবহারের এই দীর্ঘ ধারাবাহিকতায় এখন আমাদের দেশেও পাওয়া যাচ্ছে পালকের গয়না।
এই সময়ে
এই সময়ে দাঁড়িয়ে সবকিছুর বাইরে এ কথা বলাই যায়, পালকের গয়না সাজসজ্জায় নিয়ে এসেছে দারুণ এক ট্রেন্ড।
বিভিন্ন পাখির পালক দিয়ে গয়না তৈরি করছে মনসিজ ক্র্যাফট। এসব গয়না তৈরিতে পালক ছাড়াও কড়ি, শামুক, ঝিনুক ও বিভিন্ন ধরনের পুঁতি ব্যবহার করা হচ্ছে। মনসিজ ক্র্যাফটের কর্ণধার ও শিল্পী সাদিয়া শারমিন জানান, এখন বিয়ের মতো জাঁকজমক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রতিদিন বাইরে বের হওয়ার জন্য শাড়ি বা পশ্চিমা পোশাকের সঙ্গে ফিউশনধর্মী গয়না ব্যবহার করছেন নারীরা। সেখানে স্থান পাচ্ছে পালকের গয়না।
সাদিয়া শারমিন বলেন, ‘পালক দিয়ে আমরা প্রশস্ত আকারে নেকলেস তৈরি করেছি। বেশির ভাগই দেশের বাইরে থেকে আনা পাখির বিভিন্ন রঙের পালক দিয়ে তৈরি। একই নকশার প্রতিটি নেকলেস এক পিস করে পাওয়া যাবে। সঙ্গে থাকবে ম্যাচিং কানের দুল ও আংটি। গয়নাগুলো পাওয়া যাবে মনসিজ ক্র্যাফটের ফেসবুক পেজে।’
এসব গয়না তৈরিতে টিয়া, হাঁস, ময়ূর, মোরগ ও তিতির ইত্যাদি পাখির ঝরে যাওয়া পালক ব্যবহার করা হয়।
স্টাইলে পালকের গয়না
মিনিমালে মধ্যমণি
মিনিমাল স্টাইলে গা ভাসিয়েছেন যাঁরা, তাঁরা মুখ ফিরিয়েছেন জবরজং পোশাক ও গয়না থেকে। মিনিমাল স্টাইলে হালকা গয়নার ক্ষেত্রে একটি গয়নাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। রাতের অনুষ্ঠানে ভারী শাড়ি এড়িয়ে গেলেও ক্ষতি নেই। একরঙা জর্জেট শাড়ির সঙ্গে গলায় পালকের বড় নেকলেস পরেই হয়ে উঠতে পারেন মধ্যমণি।
রংচঙে কোয়ার্কি
আঠারো শতকে নেদারল্যান্ডসে নারীরা চুলের খোঁপায় ও নেকলেসে ইগলের পালক ব্যবহার করতেন। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী জুয়েলারির ট্রেন্ডি ফ্যাশনেও যোগ হয়েছে পালকের গয়না। তবে পালকের গয়নায় বিভিন্ন ধরনের পালকের সঙ্গে ব্যবহৃত হচ্ছে পুঁতি, কড়ি, কাঠ, সুতো ও সামুদ্রিক শাঁস। এসব পালকের গয়না শাড়ি ও পশ্চিমা পোশাকের সঙ্গেই বেশি জুতসই। যাঁরা কোয়ার্কি স্টাইলে অভ্যস্ত, তাঁরা ফ্যাশন উইথ ফান স্লোগানে বিশ্বাসী। ঝলমলে রং, দারুণ সব প্রিন্ট ও ব্যতিক্রমী আনুষঙ্গিকে পরিপূর্ণ এ স্টাইলভান্ডার। তাঁদের পায়ে রংচঙে পাম্প সু, উজ্জ্বল জামাকাপড়ে পলকা ডট, টাইপরাইটারস, স্ট্রাইপ, ফ্লোরাল, অ্যানিমেল প্রিন্টের বাহারের মতো গয়নাতেও দেখা যায় নানান রঙের সন্নিবেশ। প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান, যেমন প্রজাপতি, পাখি, মৌমাছি, ফুল, পাখির পালক, সামুদ্রিক শাঁস খুঁজে পাওয়া যায় তাঁদের গয়না ও অন্যান্য সাজ উপকরণে।
সাহসী ও ফ্যাশনেবল
বলা হয়, ফ্যাশনে নতুনত্ব আসে রিস্ক টেকারদের হাত ধরে। সাজপোশাক নির্বাচনে যাঁরা একটু স্বাধীনভাবে ভাবতে ভালোবাসেন, বাক্সের বাইরে কীভাবে ভাবতে হয় তা তাঁদের ভালোভাবেই আয়ত্তে রয়েছে। টেকিং রিস্ক ফ্যাশনে যে আত্মবিশ্বাস ও ভয় জয় করার উদ্যম রয়েছে, তার সঙ্গে পালকের গয়নাকে সম্পর্কযুক্ত করা যায়। কারণ পালক স্বাধীনতার প্রতীক, শক্তিরও। গোলাপি, নীল, হলুদ, লাল, কালো, খয়েরি বাদামির মিলমিশ পালকের গয়না তো তাঁদের জন্যই।
দরদাম
এই গয়নাগুলো তৈরি হয়েছে টিয়া, হাঁস, ময়ূর, মোরগ ও তিতির পাখির পালক থেকে। হাতে তৈরি এসব গয়নার দাম ৩ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে