সানজিদা সামরিন
ঢাকা: বাঙালি চায়ে চুমুক দেয়—সকাল, বিকেল, সন্ধ্যা কিংবা রাতে। সেই যে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ব্রিটিশেরা বাঙালিদের চা খাওয়ানো শেখাল, তারপর আর বাঙালি পেছন ফিরে তাকায়নি। এখন বাংলাদেশের মানুষ বছরে গড়ে ৭৮–৮০ হাজার টন চা পান করে বলে জানিয়েছে ‘দি ইকোনমিস্ট’–এর ওয়ার্ল্ড ইন ফিগার। চা এখন বাঙালি সংস্কৃতির অংশ। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অন্যান্য কয়েকটি দেশের চা পান নিয়ে জানিয়েছেন সানজিদা সামরিন।
বাংলাদেশ
‘খাব’ নাকি ‘পান করব’—এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকলেও আমাদের সমাজে সামাজিকতার অন্য নাম চা। ‘চা খেতে আসবেন’ বা ‘বাড়িতে চা খেয়ে যাবেন’ অথবা ‘চলুন, চা খেয়ে আসি’—এ রকম কথা প্রায়ই শোনা যায়। বাড়ি থেকে শুরু করে অফিসপাড়া, বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন, খেয়াঘাট, হাট–বাজার, শপিং মল, গলির মোড়ে—কোথায় চায়ের আয়োজন নেই, সেটাই প্রশ্ন। আমাদের দেশে মূলত দুধ চা ও দুধ ছাড়া লাল চা বা র চা খাওয়ার প্রবণতা বেশি। সম্প্রতি এতে যোগ হয়েছে টি ব্যাগ। আছে হরেক রকম গ্রিন ও হারবাল টি। অতি সাম্প্রতিক সময়ে শহুরে চা সংস্কৃতিতে যোগ হয়েছে আইস টি। আর টং–দোকানের অর্থোডক্স ব্ল্যাক টি তো আছেই বাঙালি চা সংস্কৃতির প্রত্নপ্রমাণ হিসেবে।
ভারতের মসলা ও মাটির ভাঁড়ের চা ভারতে প্রতিদিনের একটি অপরিহার্য পানীয় চা। গল্প, আড্ডা, মৌজ-মাস্তি ও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার টেবিলে চাই গরমাগরম চা। ভারতে মসলা চায়ের চাহিদা বেশি। ব্ল্যাক টি–তে দারুচিনি, আদা, রসুন, লবঙ্গ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করা হয় মসলাদার চা। এ ছাড়াও পাড়ার মোড়ে, রেলস্টেশনে পাওয়া যায় মাটির ভাঁড়ের চা। বিভিন্ন মসলা, চাপাতা ও দুধের সংমিশ্রণে তৈরি হয় এই চা।
জাপানে চায়ের অনুষ্ঠান
জাপানিজদের একটি চায়ের অনুষ্ঠান রয়েছে, এর নাম শ্যাডো। এই অনুষ্ঠানে মাটচা নামের এক প্রকার গুঁড়া গ্রিন টি তৈরি করে পরিবেশন করা হয়। জাপানিদের এই চা অনুষ্ঠানের গোড়াপত্তন চীনে। কিন্তু গত কয়েক শ বছরে জাপানে এই চা–পর্ব বেশ ভালোভাবেই বিকশিত হয়েছে।
চীনে জীবনের অন্যতম চাহিদা চা!
চীনে এই উৎসব সম্মান ও কৃতজ্ঞতাবোধের প্রতীক। এ ছাড়া এটি পারিবারিক মিলনের অন্যতম উদ্দীপনা। চীনের জনপ্রিয় একটি উক্তি হলো: ‘জীবনের সাতটি চাহিদার মধ্যে চা একটি।’ চীনে তিন প্রকার চা জনপ্রিয়—গ্রিন টি, ব্ল্যাক টি ও সুগন্ধি চা।
তাইওয়ানের বাবল টি
ওলং চায়ের অন্যতম বড় উৎপাদনকারী দেশ তাইওয়ান। ফলে চা পানের রীতিতে এরা প্রসিদ্ধ। ওলং চা ছাড়াও তাইওয়ানের অধিবাসীরা বাবল বা পার্ল মিল্ক টি খেতে ভালোবাসেন। পার্ল মিল্ক টি তৈরির রীতি আবিষ্কার হয় ১৯৮৮ সালে। মূলত ঠান্ডা চায়ে ফল/দুধ ও এক চামচ টাপিওকা বল (সাগুসদৃশ শস্য) দিয়ে তৈরি হয় এই চা।
মরক্কোর মিন্ট টি
মাঘরেবি মিন্ট টি মরোক্কান টি নামেও পরিচিত। আনুষ্ঠানিক এই চা অতিথিকে দেওয়ার পর যদি অতিথি তা পান না করেন তাহলে তা অভদ্রতা বলে বিবেচিত হয়। গ্রিন টি, চিনি ও মিন্টের সংমিশ্রণে ফ্রান্স ও স্পেনে মাঘরেবি মিন্ট টি মূলত গ্রীষ্মে ঠান্ডা আইস টি হিসেবে পরিবেশন করা হয়।
রাশিয়ান সামোভার
রাশিয়ানেরা সাধারণত ভারতীয় ও চায়নিজ চা পান করেন। তবে রাশিয়ায় স্টোভে পানি সেদ্ধর পরিবর্তে লোহার তৈরি চায়ের পাত্রে চা তৈরি করা হয়। এই পাত্রের নাম সামোভার।
তুর্কির চা
তুর্কির সামাজিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ চা। সেখানে একটি কথা প্রচলিত রয়েছে: চা ছাড়া আলাপচারিতা যেন চাঁদবিহীন রাতের আকাশের মতো। তুর্কিরা ছোট গ্লাসে দুধবিহীন চা পান করেন। তাঁরা চায়ের পাত্রে চিনি না মিশিয়ে চিনির খণ্ড জিভ ও গালের মধ্যবর্তী স্থানে রেখে ঠোঁট ভেজান চায়ে।
ঢাকা: বাঙালি চায়ে চুমুক দেয়—সকাল, বিকেল, সন্ধ্যা কিংবা রাতে। সেই যে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ব্রিটিশেরা বাঙালিদের চা খাওয়ানো শেখাল, তারপর আর বাঙালি পেছন ফিরে তাকায়নি। এখন বাংলাদেশের মানুষ বছরে গড়ে ৭৮–৮০ হাজার টন চা পান করে বলে জানিয়েছে ‘দি ইকোনমিস্ট’–এর ওয়ার্ল্ড ইন ফিগার। চা এখন বাঙালি সংস্কৃতির অংশ। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অন্যান্য কয়েকটি দেশের চা পান নিয়ে জানিয়েছেন সানজিদা সামরিন।
বাংলাদেশ
‘খাব’ নাকি ‘পান করব’—এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকলেও আমাদের সমাজে সামাজিকতার অন্য নাম চা। ‘চা খেতে আসবেন’ বা ‘বাড়িতে চা খেয়ে যাবেন’ অথবা ‘চলুন, চা খেয়ে আসি’—এ রকম কথা প্রায়ই শোনা যায়। বাড়ি থেকে শুরু করে অফিসপাড়া, বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন, খেয়াঘাট, হাট–বাজার, শপিং মল, গলির মোড়ে—কোথায় চায়ের আয়োজন নেই, সেটাই প্রশ্ন। আমাদের দেশে মূলত দুধ চা ও দুধ ছাড়া লাল চা বা র চা খাওয়ার প্রবণতা বেশি। সম্প্রতি এতে যোগ হয়েছে টি ব্যাগ। আছে হরেক রকম গ্রিন ও হারবাল টি। অতি সাম্প্রতিক সময়ে শহুরে চা সংস্কৃতিতে যোগ হয়েছে আইস টি। আর টং–দোকানের অর্থোডক্স ব্ল্যাক টি তো আছেই বাঙালি চা সংস্কৃতির প্রত্নপ্রমাণ হিসেবে।
ভারতের মসলা ও মাটির ভাঁড়ের চা ভারতে প্রতিদিনের একটি অপরিহার্য পানীয় চা। গল্প, আড্ডা, মৌজ-মাস্তি ও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার টেবিলে চাই গরমাগরম চা। ভারতে মসলা চায়ের চাহিদা বেশি। ব্ল্যাক টি–তে দারুচিনি, আদা, রসুন, লবঙ্গ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করা হয় মসলাদার চা। এ ছাড়াও পাড়ার মোড়ে, রেলস্টেশনে পাওয়া যায় মাটির ভাঁড়ের চা। বিভিন্ন মসলা, চাপাতা ও দুধের সংমিশ্রণে তৈরি হয় এই চা।
জাপানে চায়ের অনুষ্ঠান
জাপানিজদের একটি চায়ের অনুষ্ঠান রয়েছে, এর নাম শ্যাডো। এই অনুষ্ঠানে মাটচা নামের এক প্রকার গুঁড়া গ্রিন টি তৈরি করে পরিবেশন করা হয়। জাপানিদের এই চা অনুষ্ঠানের গোড়াপত্তন চীনে। কিন্তু গত কয়েক শ বছরে জাপানে এই চা–পর্ব বেশ ভালোভাবেই বিকশিত হয়েছে।
চীনে জীবনের অন্যতম চাহিদা চা!
চীনে এই উৎসব সম্মান ও কৃতজ্ঞতাবোধের প্রতীক। এ ছাড়া এটি পারিবারিক মিলনের অন্যতম উদ্দীপনা। চীনের জনপ্রিয় একটি উক্তি হলো: ‘জীবনের সাতটি চাহিদার মধ্যে চা একটি।’ চীনে তিন প্রকার চা জনপ্রিয়—গ্রিন টি, ব্ল্যাক টি ও সুগন্ধি চা।
তাইওয়ানের বাবল টি
ওলং চায়ের অন্যতম বড় উৎপাদনকারী দেশ তাইওয়ান। ফলে চা পানের রীতিতে এরা প্রসিদ্ধ। ওলং চা ছাড়াও তাইওয়ানের অধিবাসীরা বাবল বা পার্ল মিল্ক টি খেতে ভালোবাসেন। পার্ল মিল্ক টি তৈরির রীতি আবিষ্কার হয় ১৯৮৮ সালে। মূলত ঠান্ডা চায়ে ফল/দুধ ও এক চামচ টাপিওকা বল (সাগুসদৃশ শস্য) দিয়ে তৈরি হয় এই চা।
মরক্কোর মিন্ট টি
মাঘরেবি মিন্ট টি মরোক্কান টি নামেও পরিচিত। আনুষ্ঠানিক এই চা অতিথিকে দেওয়ার পর যদি অতিথি তা পান না করেন তাহলে তা অভদ্রতা বলে বিবেচিত হয়। গ্রিন টি, চিনি ও মিন্টের সংমিশ্রণে ফ্রান্স ও স্পেনে মাঘরেবি মিন্ট টি মূলত গ্রীষ্মে ঠান্ডা আইস টি হিসেবে পরিবেশন করা হয়।
রাশিয়ান সামোভার
রাশিয়ানেরা সাধারণত ভারতীয় ও চায়নিজ চা পান করেন। তবে রাশিয়ায় স্টোভে পানি সেদ্ধর পরিবর্তে লোহার তৈরি চায়ের পাত্রে চা তৈরি করা হয়। এই পাত্রের নাম সামোভার।
তুর্কির চা
তুর্কির সামাজিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ চা। সেখানে একটি কথা প্রচলিত রয়েছে: চা ছাড়া আলাপচারিতা যেন চাঁদবিহীন রাতের আকাশের মতো। তুর্কিরা ছোট গ্লাসে দুধবিহীন চা পান করেন। তাঁরা চায়ের পাত্রে চিনি না মিশিয়ে চিনির খণ্ড জিভ ও গালের মধ্যবর্তী স্থানে রেখে ঠোঁট ভেজান চায়ে।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে