সানজিদা সামরিন
প্রতিবারের মতো এবারও ৮ মার্চ বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারী দিবসে এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘ব্রেক দ্য বায়াস’। এবারের নারী দিবসে টেকসই আগামী গড়তে সম্মিলিত ও ন্যায়সংগতভাবে লিঙ্গ পক্ষপাতিত্বের বেড়াজাল ভেঙে সমতা গঠনে আহ্বান জানানো হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, বিভিন্ন সম্প্রদায়, কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একপেশে মনোভাব ও বৈষম্যমুক্ত হলেই গড়ে উঠবে সক্ষম পৃথিবী। বিশ্বের নারীরা আজ সব বাধাকে তুড়ি মেরে নিজের পছন্দসই পেশায় যুক্ত হচ্ছেন। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। বিভিন্ন পেশায় নক্ষত্রের মতো জ্বলজ্বল করছেন তাঁরা। নিজের মনের কথা শুনে আত্মবিশ্বাস নিয়ে সফলভাবে ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছেন নিজ নিজ ক্ষেত্রে। গ্রন্থনা সানজিদা সামরিন
নারীরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচুক
রহিমা সুলতানা রীতা, লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞ ও স্বত্বাধিকারী, হারমনি স্পা
আমি প্রথম বাংলাদেশে স্পা সেবা শুরু করেছি। সে সময় বাংলাদেশে স্যালনের কনসেপ্ট ছিল, কিন্তু স্পা ছিল না। স্পা একধরনের ট্রিটমেন্ট, যা মানুষের শরীর, মন ও আত্মাকে প্রশান্ত করে। খেয়াল করলে দেখা যায়, আমরা শারীরিক স্বাস্থ্য ও বাহ্যিক সৌন্দর্যকে বেশি গুরুত্ব দিই। অন্যদিকে মনের যত্ন নিতে ভুলে যাই।
আমি যখন দেশের বাইরে যেতাম, তখন সব সময় স্পা সার্ভিসটা নিতাম। নেওয়ার পর এত ভালো লাগত, মনে হতো আমি সব ক্লান্তি ভুলে যেন এক নতুন আত্মার অধিকারী হয়ে উঠেছি।
তখন নিজের দেশের কথা পড়ল। সবার পক্ষে আসলে দেশের বাইরে গিয়ে এই সেবা নেওয়া সম্ভব নয়। তখন আমি স্পার ওপর বিদেশে পড়তে শুরু করি। পুরো ৯ মাস থাইল্যান্ডে একটা কোর্স করলাম। ইন্দোনেশিয়া, চায়না ও ভারতের কেরালা থেকেও কোর্স করে দেশে ফিরে আমার ব্যবসায় শুরু করি। এখন আমার এত ভালো লাগে, যখন সেবা নেওয়ার পর মানুষ বলে–তাঁরা ভালো বোধ করছেন, প্রশান্তি অনুভব করছেন।
ভালো থাকার জন্য শারীরিক ও মানসিক যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। আমি যত্ন দিয়েই সেবা দিতে চাই। আমার চাওয়া, নারীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো থাকবেন। আমি চাই নারীরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকুন।
নিজেকে অবদমিত না রেখে ন্যায্য সিদ্ধান্ত নেবেন
তানিন তানহা, মডেল ও অভিনেত্রী
আমার অনুপ্রেরণা আমি নিজেই। বরাবরই বেশি নির্ভর করেছি নিজের ওপর।
ভবিষ্যতে কিছু করতে হবে এই ভাবনা থেকেই ২০১৪ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় ছবি জমা দিই। যখন সিলেক্ট হই, তখন আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে ওঠে, হ্যাঁ, আমার দ্বারা অনেক কিছু সম্ভব। প্রতিযোগিতায় শীর্ষ দশে ছিলাম। এরপর প্রথম দুই বছর মডেলিং করি, তারপর নাটক ও সিনেমায় নিয়মিত হই।
ছোটবেলায় অভিনয় ভালো পারতাম। বাবা আমাকে অভিনয় শেখাতেন। আর নিজের ওপরও আত্মবিশ্বাস ছিল, সব মিলিয়েই আজকের আমি।
আশা রাখি, বাংলাদেশের নারীরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হবেন, উঁচু গলায় সত্য প্রকাশ করবেন, নিজেকে অবদমিত না রেখে, নিজেকে কষ্ট না দিয়ে ন্যায্য সিদ্ধান্তটাই নেবেন।
নারীদের আরও পথঘাটে দেখতে চাই
ফোয়ারা ফেরদৌস, উদ্যোক্তা, স্বত্বাধিকারী পটের বিবি
সব সময়ই নিজে কিছু করতে চেয়েছি। স্বাধীনতা ও আনন্দ– দুটোই পাব এমন কিছু করার তাগিদ ছিল। চাকরির পাশাপাশি ছোট পরিসরে পেইন্টিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। ২০১৫ সালের ১৫ মে শুরু হয় ‘পটের বিবি’র যাত্রা। দেশি শাড়ি নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা ছিল। আমার মনে হয়েছিল, এটাকে ধরে রাখতে পারলে মানুষ পছন্দ করবেই। দেশি পণ্যের একটা বড় বাজার তৈরি হবে। স্বাধীনভাবে কাজ করার তাড়নাই মূলত আমাকে ব্যবসা করতে সাহস জুগিয়েছে।
বাংলাদেশি নারীদের আমি আরও পথঘাটে দেখতে চাই। আমি চাই তারা তাদের জীবনের সিদ্ধান্তগুলো স্বাধীনভাবে নিতে পারুক।
নারী-পুরুষের দৃশ্যমান বৈষম্য দূর হোক
মুবাশশীরা কামাল ইরা, নৃত্যশিল্পী
ছোটবেলা থেকে খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা ছিল। ধীরে ধীরে নাচের প্রতিও অন্য রকমের ভালোবাসা জন্মায়। নাচের মধ্য দিয়েই আমি কিছু করতে চাই। রাজু ভাস্কর্যের সামনে আমি যে নাচ করেছি তা মূলত ব্যালে নয়, কনটেমপোরারি ড্যান্স। সামনে ব্যালে নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছে আছে। চীনে বেইজিং ড্যান্স কোম্পানিতে ব্যালে শেখানো হয়। ইচ্ছে আছে সেখানে যাওয়ার। ব্যালে নিয়ে আমি অনেক ধরনের ডকুমেন্টারি দেখেছি। আফ্রিকার বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট ছেলেমেয়ে রয়েছে, যারা ব্যালে অনেক পছন্দ করে। নেট জগতের বিভিন্ন ভিডিও দেখে ওরা ব্যালে শিখেছে। আমি একটা ভিডিওতে দেখেছি, আফ্রিকার দুর্গম একটি এলাকায় একটি ছেলে বৃষ্টির মধ্য়ে নাচছিল। সেই ভিডিওটা আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করেছে। মনে হয়েছে, সে যদি ওখানে ব্যালে করতে পারে, তাহলে আমি কেন পারব না!
আমি চাই, নারী-পুরুষের বৈষম্য যা এখনো চোখে পড়ে, তা দূর হোক। আশা রাখি প্রত্যেক নারীর ভেতর যে সুপ্ত প্রতিভা রয়েছে, তা প্রস্ফুটিত হবে। একজন নারীর যে কাজটি পছন্দ তিনি যেন তা নির্দ্বিধায় করতে পারেন।
প্রতিবারের মতো এবারও ৮ মার্চ বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারী দিবসে এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘ব্রেক দ্য বায়াস’। এবারের নারী দিবসে টেকসই আগামী গড়তে সম্মিলিত ও ন্যায়সংগতভাবে লিঙ্গ পক্ষপাতিত্বের বেড়াজাল ভেঙে সমতা গঠনে আহ্বান জানানো হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, বিভিন্ন সম্প্রদায়, কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একপেশে মনোভাব ও বৈষম্যমুক্ত হলেই গড়ে উঠবে সক্ষম পৃথিবী। বিশ্বের নারীরা আজ সব বাধাকে তুড়ি মেরে নিজের পছন্দসই পেশায় যুক্ত হচ্ছেন। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। বিভিন্ন পেশায় নক্ষত্রের মতো জ্বলজ্বল করছেন তাঁরা। নিজের মনের কথা শুনে আত্মবিশ্বাস নিয়ে সফলভাবে ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছেন নিজ নিজ ক্ষেত্রে। গ্রন্থনা সানজিদা সামরিন
নারীরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচুক
রহিমা সুলতানা রীতা, লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞ ও স্বত্বাধিকারী, হারমনি স্পা
আমি প্রথম বাংলাদেশে স্পা সেবা শুরু করেছি। সে সময় বাংলাদেশে স্যালনের কনসেপ্ট ছিল, কিন্তু স্পা ছিল না। স্পা একধরনের ট্রিটমেন্ট, যা মানুষের শরীর, মন ও আত্মাকে প্রশান্ত করে। খেয়াল করলে দেখা যায়, আমরা শারীরিক স্বাস্থ্য ও বাহ্যিক সৌন্দর্যকে বেশি গুরুত্ব দিই। অন্যদিকে মনের যত্ন নিতে ভুলে যাই।
আমি যখন দেশের বাইরে যেতাম, তখন সব সময় স্পা সার্ভিসটা নিতাম। নেওয়ার পর এত ভালো লাগত, মনে হতো আমি সব ক্লান্তি ভুলে যেন এক নতুন আত্মার অধিকারী হয়ে উঠেছি।
তখন নিজের দেশের কথা পড়ল। সবার পক্ষে আসলে দেশের বাইরে গিয়ে এই সেবা নেওয়া সম্ভব নয়। তখন আমি স্পার ওপর বিদেশে পড়তে শুরু করি। পুরো ৯ মাস থাইল্যান্ডে একটা কোর্স করলাম। ইন্দোনেশিয়া, চায়না ও ভারতের কেরালা থেকেও কোর্স করে দেশে ফিরে আমার ব্যবসায় শুরু করি। এখন আমার এত ভালো লাগে, যখন সেবা নেওয়ার পর মানুষ বলে–তাঁরা ভালো বোধ করছেন, প্রশান্তি অনুভব করছেন।
ভালো থাকার জন্য শারীরিক ও মানসিক যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। আমি যত্ন দিয়েই সেবা দিতে চাই। আমার চাওয়া, নারীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো থাকবেন। আমি চাই নারীরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকুন।
নিজেকে অবদমিত না রেখে ন্যায্য সিদ্ধান্ত নেবেন
তানিন তানহা, মডেল ও অভিনেত্রী
আমার অনুপ্রেরণা আমি নিজেই। বরাবরই বেশি নির্ভর করেছি নিজের ওপর।
ভবিষ্যতে কিছু করতে হবে এই ভাবনা থেকেই ২০১৪ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় ছবি জমা দিই। যখন সিলেক্ট হই, তখন আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে ওঠে, হ্যাঁ, আমার দ্বারা অনেক কিছু সম্ভব। প্রতিযোগিতায় শীর্ষ দশে ছিলাম। এরপর প্রথম দুই বছর মডেলিং করি, তারপর নাটক ও সিনেমায় নিয়মিত হই।
ছোটবেলায় অভিনয় ভালো পারতাম। বাবা আমাকে অভিনয় শেখাতেন। আর নিজের ওপরও আত্মবিশ্বাস ছিল, সব মিলিয়েই আজকের আমি।
আশা রাখি, বাংলাদেশের নারীরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হবেন, উঁচু গলায় সত্য প্রকাশ করবেন, নিজেকে অবদমিত না রেখে, নিজেকে কষ্ট না দিয়ে ন্যায্য সিদ্ধান্তটাই নেবেন।
নারীদের আরও পথঘাটে দেখতে চাই
ফোয়ারা ফেরদৌস, উদ্যোক্তা, স্বত্বাধিকারী পটের বিবি
সব সময়ই নিজে কিছু করতে চেয়েছি। স্বাধীনতা ও আনন্দ– দুটোই পাব এমন কিছু করার তাগিদ ছিল। চাকরির পাশাপাশি ছোট পরিসরে পেইন্টিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। ২০১৫ সালের ১৫ মে শুরু হয় ‘পটের বিবি’র যাত্রা। দেশি শাড়ি নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা ছিল। আমার মনে হয়েছিল, এটাকে ধরে রাখতে পারলে মানুষ পছন্দ করবেই। দেশি পণ্যের একটা বড় বাজার তৈরি হবে। স্বাধীনভাবে কাজ করার তাড়নাই মূলত আমাকে ব্যবসা করতে সাহস জুগিয়েছে।
বাংলাদেশি নারীদের আমি আরও পথঘাটে দেখতে চাই। আমি চাই তারা তাদের জীবনের সিদ্ধান্তগুলো স্বাধীনভাবে নিতে পারুক।
নারী-পুরুষের দৃশ্যমান বৈষম্য দূর হোক
মুবাশশীরা কামাল ইরা, নৃত্যশিল্পী
ছোটবেলা থেকে খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা ছিল। ধীরে ধীরে নাচের প্রতিও অন্য রকমের ভালোবাসা জন্মায়। নাচের মধ্য দিয়েই আমি কিছু করতে চাই। রাজু ভাস্কর্যের সামনে আমি যে নাচ করেছি তা মূলত ব্যালে নয়, কনটেমপোরারি ড্যান্স। সামনে ব্যালে নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছে আছে। চীনে বেইজিং ড্যান্স কোম্পানিতে ব্যালে শেখানো হয়। ইচ্ছে আছে সেখানে যাওয়ার। ব্যালে নিয়ে আমি অনেক ধরনের ডকুমেন্টারি দেখেছি। আফ্রিকার বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট ছেলেমেয়ে রয়েছে, যারা ব্যালে অনেক পছন্দ করে। নেট জগতের বিভিন্ন ভিডিও দেখে ওরা ব্যালে শিখেছে। আমি একটা ভিডিওতে দেখেছি, আফ্রিকার দুর্গম একটি এলাকায় একটি ছেলে বৃষ্টির মধ্য়ে নাচছিল। সেই ভিডিওটা আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করেছে। মনে হয়েছে, সে যদি ওখানে ব্যালে করতে পারে, তাহলে আমি কেন পারব না!
আমি চাই, নারী-পুরুষের বৈষম্য যা এখনো চোখে পড়ে, তা দূর হোক। আশা রাখি প্রত্যেক নারীর ভেতর যে সুপ্ত প্রতিভা রয়েছে, তা প্রস্ফুটিত হবে। একজন নারীর যে কাজটি পছন্দ তিনি যেন তা নির্দ্বিধায় করতে পারেন।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে