গুগল থেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে অফার লেটার হাতে পাওয়ার পর আপনার অনুভূতি কেমন ছিল?
গুগল থেকে অফার লেটার পাওয়ার অনুভূতি খুবই আনন্দময়। প্রায় এক বছর ধরে আমার এই নিয়োগ-প্রক্রিয়া চলেছিল। দীর্ঘ অপেক্ষার পর যখন অফার লেটারটা পেয়েছি, তখনই আমি আব্বু-আম্মুকে ফোনে জানাই এবং বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে ছোট্ট একটা সেলিব্রেশন করি। সব মিলিয়ে খুবই ভালো একটা অনুভূতি।
স্বপ্নের শুরুটা হলো কখন থেকে এবং কীভাবে?
গুগলে চাকরি করার ভাবনা এসেছিল ক্লাস টেনে পড়ার সময়। তবে ছোটবেলা থেকেই আমার যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিকস জিনিসের প্রতি খুবই কৌতূহল ছিল। বাসায় কোনো খেলনা বা গাড়ি কিনে আনলে আমার লক্ষ্য থাকত কখন এটা আমি ভেঙে দেখব। এটা কীভাবে কাজ করে তা জানব। যখন আমি ক্লাস টেনে পড়ি সৌভাগ্যবশত তখন কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট অ্যাকসেস পেয়েছিলাম। তখন থেকেই আমার কম্পিউটার প্রোগ্রামিং করা শুরু। সে সময় থেকেই প্রোগ্রামিং প্রবলেম সলভিং শুরু করি এবং তখন থেকেই আমার বেশ ভালো রেজাল্ট আসছিল। যেখান থেকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শেখার একটা মোটিভেশন পেয়ে যাই এবং তখন থেকেই আমার গুগলে চাকরি করার স্বপ্নটা দেখা শুরু হয়।
গুগলে চাকরি করতে একাডেমিক রেজাল্ট কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
গুগলে চাকরি পাওয়ার জন্য একাডেমিক রেজাল্ট সেভাবে দেখে না। আমার একাডেমিক রেজাল্টও খুব একটা ভালো ছিল না। তবে একাডেমিক রেজাল্ট বা সিজিপিএ নিয়ে হেলাফেলা করা উচিত নয়। কোনো মানুষের সিজিপিএ ভালো মানে, সে ডিসিপ্লিন, সে নিয়ম মেনে চলাফেরা করে, যা খুবই ভালো ব্যাপার। তবে শুধু সিজিপিএর জন্য পড়াশোনা করা উচিত নয়। বুঝে পড়ালেখা করা উচিত, এতে রেজাল্ট আউটকাম হিসেবে চলে আসবে।
কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিজ কি কোনো ভূমিকা রাখে?
কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিজ খুবই জরুরি একটা বিষয়। এটা স্টুডেন্ট লাইফ থেকে করা উচিত। মস্তিষ্কের বিকাশে এবং সব ক্ষেত্রে কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিজ সাহায্য করে। অনেক সময় সরাসরি এর প্রভাব দেখা যায় না। কিন্তু পরে ফল পাওয়া যায়। আমি স্কুল লেভেল থেকেই এই বিভিন্ন কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিজের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। সায়েন্স ফেয়ার, গণিত অলিম্পিয়াড, ফিজিকস অলিম্পিয়াড এবং ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং কনটেস্টে অংশগ্রহণ করেছি, যা আমাকে খুব হেল্প করেছে। ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং কনটেস্টে ন্যাশনাল লেভেলে রানার্সআপ হওয়ার পর প্রোগ্রামিং নিয়ে আগ্রহ আরও বেড়ে যায়।
গুগলে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ডাক পাওয়ার জন্য আপনার পদক্ষেপ কেমন ছিল?
প্রথমেই মনে রাখতে হবে, গুগলের নিয়োগ-প্রক্রিয়া সহজ কিছু না। এটা অত্যন্ত জটিল এবং সময়সাপেক্ষ একটা প্রক্রিয়া। তবে গুগলে নিয়োগ পাওয়ার প্রথম ধাপ হলো, লম্বা সময় নিয়ে, মনোযোগ দিয়ে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং খুবই ভালোভাবে শিখতে হবে। তারপর নিজেকে যাচাই করার জন্য প্রোগ্রামিংয়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের প্রোগ্রামিং-সম্পর্কিত প্রবলেম সলভ করতে হবে। যখন এগুলোতে ভালো করা শুরু করেছি, এর পরের ধাপে গুগলে চাকরি পাওয়ার জন্য আরও কিছু খুঁটিনাটি বিষয় ইন্টারনেট থেকে শিখেছি। এভাবে কয়েক বছর দেওয়ার ফলে যখন এ বিষয়গুলোতে দক্ষতা আসবে, তখন গুগলে যাঁরা বাংলাদেশি কর্মী আছেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিভি দিতে হবে। তাঁদের যদি সিভি দেখে মনে হয় এই ছেলেটা ভালো, তখন তাঁরা গুগলে সিভিটা রেফার করবেন। তারপর গুগল সিভিটা যাচাই করে ইন্টারভিউয়ের জন্য কল করবে। সর্বশেষ, চার থেকে পাঁচ দফা ইন্টারভিউয়ের পর কাউকে ডাকা হবে।
আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আপাতত তেমন কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নেই। এত বছর ধরে গুগলে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল, এখন স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বলতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
যাঁরা গুগলে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাঁদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
গুগল বা অন্য যেকোনো জায়গায় ক্যারিয়ারে ভালো করতে হলে প্রথম শর্ত হলো কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ী হতে হবে। যে কাজটা করছি, সেটা ধৈর্য নিয়ে করে যেতে হবে। একটা কাজ লম্বা সময় ধরে করে যাওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। তাহলে যেকোনো সেক্টরেই ভালো করা সম্ভব।
গুগল থেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে অফার লেটার হাতে পাওয়ার পর আপনার অনুভূতি কেমন ছিল?
গুগল থেকে অফার লেটার পাওয়ার অনুভূতি খুবই আনন্দময়। প্রায় এক বছর ধরে আমার এই নিয়োগ-প্রক্রিয়া চলেছিল। দীর্ঘ অপেক্ষার পর যখন অফার লেটারটা পেয়েছি, তখনই আমি আব্বু-আম্মুকে ফোনে জানাই এবং বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে ছোট্ট একটা সেলিব্রেশন করি। সব মিলিয়ে খুবই ভালো একটা অনুভূতি।
স্বপ্নের শুরুটা হলো কখন থেকে এবং কীভাবে?
গুগলে চাকরি করার ভাবনা এসেছিল ক্লাস টেনে পড়ার সময়। তবে ছোটবেলা থেকেই আমার যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিকস জিনিসের প্রতি খুবই কৌতূহল ছিল। বাসায় কোনো খেলনা বা গাড়ি কিনে আনলে আমার লক্ষ্য থাকত কখন এটা আমি ভেঙে দেখব। এটা কীভাবে কাজ করে তা জানব। যখন আমি ক্লাস টেনে পড়ি সৌভাগ্যবশত তখন কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট অ্যাকসেস পেয়েছিলাম। তখন থেকেই আমার কম্পিউটার প্রোগ্রামিং করা শুরু। সে সময় থেকেই প্রোগ্রামিং প্রবলেম সলভিং শুরু করি এবং তখন থেকেই আমার বেশ ভালো রেজাল্ট আসছিল। যেখান থেকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শেখার একটা মোটিভেশন পেয়ে যাই এবং তখন থেকেই আমার গুগলে চাকরি করার স্বপ্নটা দেখা শুরু হয়।
গুগলে চাকরি করতে একাডেমিক রেজাল্ট কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
গুগলে চাকরি পাওয়ার জন্য একাডেমিক রেজাল্ট সেভাবে দেখে না। আমার একাডেমিক রেজাল্টও খুব একটা ভালো ছিল না। তবে একাডেমিক রেজাল্ট বা সিজিপিএ নিয়ে হেলাফেলা করা উচিত নয়। কোনো মানুষের সিজিপিএ ভালো মানে, সে ডিসিপ্লিন, সে নিয়ম মেনে চলাফেরা করে, যা খুবই ভালো ব্যাপার। তবে শুধু সিজিপিএর জন্য পড়াশোনা করা উচিত নয়। বুঝে পড়ালেখা করা উচিত, এতে রেজাল্ট আউটকাম হিসেবে চলে আসবে।
কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিজ কি কোনো ভূমিকা রাখে?
কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিজ খুবই জরুরি একটা বিষয়। এটা স্টুডেন্ট লাইফ থেকে করা উচিত। মস্তিষ্কের বিকাশে এবং সব ক্ষেত্রে কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিজ সাহায্য করে। অনেক সময় সরাসরি এর প্রভাব দেখা যায় না। কিন্তু পরে ফল পাওয়া যায়। আমি স্কুল লেভেল থেকেই এই বিভিন্ন কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিজের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। সায়েন্স ফেয়ার, গণিত অলিম্পিয়াড, ফিজিকস অলিম্পিয়াড এবং ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং কনটেস্টে অংশগ্রহণ করেছি, যা আমাকে খুব হেল্প করেছে। ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং কনটেস্টে ন্যাশনাল লেভেলে রানার্সআপ হওয়ার পর প্রোগ্রামিং নিয়ে আগ্রহ আরও বেড়ে যায়।
গুগলে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ডাক পাওয়ার জন্য আপনার পদক্ষেপ কেমন ছিল?
প্রথমেই মনে রাখতে হবে, গুগলের নিয়োগ-প্রক্রিয়া সহজ কিছু না। এটা অত্যন্ত জটিল এবং সময়সাপেক্ষ একটা প্রক্রিয়া। তবে গুগলে নিয়োগ পাওয়ার প্রথম ধাপ হলো, লম্বা সময় নিয়ে, মনোযোগ দিয়ে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং খুবই ভালোভাবে শিখতে হবে। তারপর নিজেকে যাচাই করার জন্য প্রোগ্রামিংয়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের প্রোগ্রামিং-সম্পর্কিত প্রবলেম সলভ করতে হবে। যখন এগুলোতে ভালো করা শুরু করেছি, এর পরের ধাপে গুগলে চাকরি পাওয়ার জন্য আরও কিছু খুঁটিনাটি বিষয় ইন্টারনেট থেকে শিখেছি। এভাবে কয়েক বছর দেওয়ার ফলে যখন এ বিষয়গুলোতে দক্ষতা আসবে, তখন গুগলে যাঁরা বাংলাদেশি কর্মী আছেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিভি দিতে হবে। তাঁদের যদি সিভি দেখে মনে হয় এই ছেলেটা ভালো, তখন তাঁরা গুগলে সিভিটা রেফার করবেন। তারপর গুগল সিভিটা যাচাই করে ইন্টারভিউয়ের জন্য কল করবে। সর্বশেষ, চার থেকে পাঁচ দফা ইন্টারভিউয়ের পর কাউকে ডাকা হবে।
আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আপাতত তেমন কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নেই। এত বছর ধরে গুগলে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল, এখন স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বলতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
যাঁরা গুগলে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাঁদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
গুগল বা অন্য যেকোনো জায়গায় ক্যারিয়ারে ভালো করতে হলে প্রথম শর্ত হলো কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ী হতে হবে। যে কাজটা করছি, সেটা ধৈর্য নিয়ে করে যেতে হবে। একটা কাজ লম্বা সময় ধরে করে যাওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। তাহলে যেকোনো সেক্টরেই ভালো করা সম্ভব।
চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে আট পদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান সরকার হাসান শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংকে ‘সহকারী পরিচালক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. জবদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেজনবল নিয়োগের জন্য পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির দুই ধরনের শূন্য পদে ১২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগেসিনিয়র স্টাফ নার্স (১০ম গ্রেড) পদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫২ জন প্রার্থী। বুধবার পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে