এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ থেকেই কয়েকটি কাজ করতে পারলে ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার সুন্দর করা সহজ হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের সুযোগগুলো লুফে নেওয়া যায়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের শুরু থেকেই নিয়মমাফিক কয়েকটি কাজ করতে হবে। তবে যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ পার করে ফেলেছেন অথবা বিশ্ববিদ্যালয় জীবন সম্পন্ন করেছেন তাঁরাও কাজগুলো করতে পারেন।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যাঁরা ভর্তির সুযোগ পান তাঁদের অনেকেই পছন্দসই বিষয়ে পড়তে পারেন না। ফলে ক্যারিয়ারের কোনো লক্ষ্য না নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়জীবন পার করতে থাকেন। তবে যে যেই সাবজেক্টেই পড়েন না কেন, যদি শুরু থেকে বিভিন্ন সেক্টরের ক্যারিয়ারের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে নিজেকে সেভাবে ধীরে ধীরে প্রস্তুত করা যায়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়জীবন শেষ করে সুন্দর ক্যারিয়ার গঠন করা সহজ হয়। এ জন্য শুরু থেকেই লক্ষ্য নির্ধারণ করে নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
প্রতিদিন পত্রিকা পড়া
একজন শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের দৈনিক পত্রিকা পড়া অবশ্য কর্তব্য। বলা হয়ে থাকে যার কাছে যত বেশি তথ্য থাকে তিনি তত বেশি স্মার্ট। তাই স্মার্ট হতে চাইলে পত্রিকা পড়তে হবে। পত্রিকা পড়লে নিজেকে আপডেট রাখা যায়। সমসাময়িক দেশ ও বিদেশের সবকিছু নখদর্পণে থাকে। সে আলোকে নিজেকে প্রস্তুত করা যায়। তা ছাড়া, পত্রিকা নানা রকম শেখার জিনিস থাকে, বুদ্ধিবৃত্তিক লেখা থাকে সেগুলো থেকেও নিজের মানোন্নয়ন করা যায়। প্রতিদিন কমপক্ষে একটা বাংলা ভাষার প্রথম শ্রেণির জাতীয় দৈনিক ও একটি ইংরেজি ভাষার প্রথম শ্রেণির জাতীয় দৈনিক অথবা আন্তর্জাতিক পত্রিকা পড়তে হবে। পত্রিকা থেকে বাংলা থেকে ইংরেজি ও ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ অনুশীলন করা যেতে পারে। এতে প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষায় এগিয়ে থাকা যাবে। অনুবাদে ভালো দক্ষ হলেও অনুবাদক হিসেবেও দারুণ ক্যারিয়ার গড়ে মোটা অঙ্কের টাকা আয়ের সুযোগ রয়েছে।
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা
বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকেই নিজের পছন্দমতো ব্যাংকে স্টুডেন্ট সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলে তাতে প্রতি মাসে অল্প পরিমাণে হলেও টাকা জমা করা উচিত। অনেকে মনে করতে পারে যে এখন তো তেমন টাকা নেই, কী সেভিংস করব? কিন্তু সত্যি বলতে আপনি চাইলে প্রতি মাসে ২০০-৩০০ টাকা জমা করতে পারেন। বিন্দু বিন্দু জলেই একসময় সাগর হয়। এ ক্ষেত্রেও কথাটি ঠিক। বিশ্ববিদ্যালয় শেষে বেকারজীবনে এই জমানো টাকা অনেক বড় শক্তি হবে। আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। আপনি যে অবস্থায় আছেন, সেই পরিস্থিতিতেই টাকা সেভিংস করুন। বিশ্বাস করেন, আপনার কাছে টাকা না থাকলে আপনি ভীষণ অসহায়। এই জিনিসটা সে-ই ভালো উপলব্ধি করতে পারবে যে এই অবস্থায় পড়েছে। তাই টিউশনির টাকা, হাত খরচের টাকা, টিফিনের টাকা থেকে অল্প পরিমাণে হলেও সঞ্চয় করুন। বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে আমাকে কেউ পরামর্শ দেয়নি। কিন্তু আমি এই কাজটা করে বেশ উপকৃত হয়েছি।
পাসপোর্ট করা
দেশে বর্তমানে ই-পাসপোর্ট করা যায়। ১০ বছরমেয়াদি ই-পাসপোর্ট আপনার বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের শুরু থেকেই করুন। বিভিন্ন সময় দেশের বাইরে বিভিন্ন সেমিনার, ওয়ার্কশপসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। সেখানে অনেক সময় বিনা খরচে বা নামমাত্র খরচেও যাওয়ার সুযোগ আসে। কিন্তু পাসপোর্ট করা না থাকলে সেসব সুযোগ নেওয়া সম্ভব হয় না। তা ছাড়া, ছাত্রজীবনে যদি দেশের বাইরে ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ করা যায় নিজেকে সমৃদ্ধ করতে সেটিও কিন্তু কম নয়। কারও যদি দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা নিতে যাওয়ার ইচ্ছা করে সে ক্ষেত্রেও আপনি কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকলেন।
টিউশনিতে প্রস্তুতি ও আয়
আপনার খরচ যদি পরিবার থেকেও বহন করে তবুও টিউশন করুন। প্রয়োজনে টিউশনের টাকা ব্যাংকে জমা রাখুন। বিশেষ করে গণিত ও ইংরেজির টিউশন করুন। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারলে ভালো হয়। স্নাতক সম্পন্ন করার পর যখন প্রচলিত চাকরির প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবেন। তখন এই টিউশনের দক্ষতা আপনাকে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রাখবে। শিক্ষার্থী পড়ানোর দক্ষতা আপনার অন্য মানুষকে কথা দিয়ে বোঝানোর দক্ষতাও আয়ত্তে আসে। তবে অতিরিক্ত টিউশন করাতে যাবেন না। এতে নিজের পড়াশোনায় ঘাটতি হয়ে যাবে।
সহশিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত হওয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন রকম ক্লাব ও অরাজনৈতিক সংগঠন আছে। সেগুলোর যেকোনো একটিতে পছন্দমতো যুক্ত হতে পারেন। আইটি ক্লাব, ডিবেটিং ক্লাব, ক্যারিয়ার ক্লাব, ফটোগ্রাফি ক্লাব অন্যতম। সহশিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত হলে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের দক্ষতা, নেটওয়ার্কিং দক্ষতা বাড়ে। তবে কিছু কিছু শিক্ষার্থীকে দেখা যায়, নিজের একাডেমিক পড়াশোনা বাদ দিয়ে দিনভর সহশিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে পড়ে থাকে। এতে কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে লাভের চেয়ে ক্ষতি হয়। এ জন্য একাডেমিক পড়াশোনার সঙ্গে ভারসাম্য রেখে এসব সহশিক্ষা কার্যক্রম করতে হবে।
নিয়মিত লাইব্রেরিতে যাওয়া
প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে লাইব্রেরি রয়েছে। এ ছাড়া জেলা শহরে পাবলিক লাইব্রেরি রয়েছে। ব্যক্তিমালিকানায়ও বেশ কিছু লাইব্রেরি, পাঠাগার, বুকশপ রয়েছে। সেখানে বসে পড়াশোনা করার মনোরম পরিবেশ আছে। প্রতিদিন লাইব্রেরিতে গিয়ে বিভিন্ন রকম বই, ম্যাগাজিন, জার্নালের সঙ্গে পরিচিত হতে পারলে নিজেকে অনেক বেশি সমৃদ্ধ করা যায়। একটা লাইব্রেরি বা বুকশপে যত বই থাকে সব বই হয়তো আপনার পড়া সম্ভব না। কিন্তু নিয়মিত সেখানে যাওয়ার ফলে দেশি-বিদেশি অনেক বিখ্যাত বইয়ের নাম ও লেখকের নামের সঙ্গে পরিচিত হলে সেগুলো চাকরির পরীক্ষাতেও কাজে লাগবে।
বিভিন্ন কোর্স করা
নিজেকে শতধারায় বিকশিত করতে হলে বিভিন্ন রকম কোর্স করা যেতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটার কোর্স করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেজেন্টেশনের স্লাইড তৈরি থেকে শুরু করে কর্মজীবনের বিভিন্ন কাজে আপনার কম্পিউটার দক্ষতা প্রয়োজন হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেজেন্টেশনের স্লাইড, অ্যাসাইনমেন্ট নিজে নিজে করবেন। এতে আখেরে আপনিই লাভবান হবেন। কম্পিউটারের মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট এক্সেল, মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট, ভিডিও এডিটিং, অ্যানিমেশন, ফটো এডিটিং প্রভৃতি শিখতে পারেন। এগুলোয় নিজের দক্ষতা প্রো লেভেলে নিতে পারলে এসব দিয়ে আপনি হাজার হাজার টাকাও ইনকাম করতে পারবেন। এ ছাড়া উচ্চশিক্ষা সহায়ক কোর্স, যেমন আইইএলটিএস, টোয়েফল, জিআরই, জিম্যাট প্রভৃতির যেকোনো একটি বা দুটি কোর্স করে রাখতে পারেন। তা ছাড়া, বিভিন্ন ভাষার কোর্স, ড্রাইভিং কোর্স করতে পারেন।
নেটওয়ার্কিং করা
বিশ্ববিদ্যালয়জীবন থেকেই বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে হবে। বর্তমান যুগটাই হলো নেটওয়ার্কিংয়ের যুগ। যার নেটওয়ার্ক যত ভালো তার ক্যারিয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিভিন্ন সুযোগ, অফার হাতছানি দিয়ে ডাকে। বিভিন্ন পেশার বড় বড় মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে হবে। তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনেক নিয়োগ হয়, কিন্তু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় না। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের সিইও বা চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার নিয়োগ হয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই। তাহলে এই চাকরিগুলো কারা পায়? যারা নিয়োগ দেবেন তাদের জানাশোনার মধ্যে যোগ্য ব্যক্তিটিকেই এই সুযোগ দেওয়া হয়। নেটওয়ার্কিংয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুক, টুইটার, লিংকডিইনের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কাজে লাগানো যেতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ থেকেই কয়েকটি কাজ করতে পারলে ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার সুন্দর করা সহজ হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের সুযোগগুলো লুফে নেওয়া যায়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের শুরু থেকেই নিয়মমাফিক কয়েকটি কাজ করতে হবে। তবে যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ পার করে ফেলেছেন অথবা বিশ্ববিদ্যালয় জীবন সম্পন্ন করেছেন তাঁরাও কাজগুলো করতে পারেন।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যাঁরা ভর্তির সুযোগ পান তাঁদের অনেকেই পছন্দসই বিষয়ে পড়তে পারেন না। ফলে ক্যারিয়ারের কোনো লক্ষ্য না নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়জীবন পার করতে থাকেন। তবে যে যেই সাবজেক্টেই পড়েন না কেন, যদি শুরু থেকে বিভিন্ন সেক্টরের ক্যারিয়ারের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে নিজেকে সেভাবে ধীরে ধীরে প্রস্তুত করা যায়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়জীবন শেষ করে সুন্দর ক্যারিয়ার গঠন করা সহজ হয়। এ জন্য শুরু থেকেই লক্ষ্য নির্ধারণ করে নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
প্রতিদিন পত্রিকা পড়া
একজন শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের দৈনিক পত্রিকা পড়া অবশ্য কর্তব্য। বলা হয়ে থাকে যার কাছে যত বেশি তথ্য থাকে তিনি তত বেশি স্মার্ট। তাই স্মার্ট হতে চাইলে পত্রিকা পড়তে হবে। পত্রিকা পড়লে নিজেকে আপডেট রাখা যায়। সমসাময়িক দেশ ও বিদেশের সবকিছু নখদর্পণে থাকে। সে আলোকে নিজেকে প্রস্তুত করা যায়। তা ছাড়া, পত্রিকা নানা রকম শেখার জিনিস থাকে, বুদ্ধিবৃত্তিক লেখা থাকে সেগুলো থেকেও নিজের মানোন্নয়ন করা যায়। প্রতিদিন কমপক্ষে একটা বাংলা ভাষার প্রথম শ্রেণির জাতীয় দৈনিক ও একটি ইংরেজি ভাষার প্রথম শ্রেণির জাতীয় দৈনিক অথবা আন্তর্জাতিক পত্রিকা পড়তে হবে। পত্রিকা থেকে বাংলা থেকে ইংরেজি ও ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ অনুশীলন করা যেতে পারে। এতে প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষায় এগিয়ে থাকা যাবে। অনুবাদে ভালো দক্ষ হলেও অনুবাদক হিসেবেও দারুণ ক্যারিয়ার গড়ে মোটা অঙ্কের টাকা আয়ের সুযোগ রয়েছে।
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা
বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকেই নিজের পছন্দমতো ব্যাংকে স্টুডেন্ট সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলে তাতে প্রতি মাসে অল্প পরিমাণে হলেও টাকা জমা করা উচিত। অনেকে মনে করতে পারে যে এখন তো তেমন টাকা নেই, কী সেভিংস করব? কিন্তু সত্যি বলতে আপনি চাইলে প্রতি মাসে ২০০-৩০০ টাকা জমা করতে পারেন। বিন্দু বিন্দু জলেই একসময় সাগর হয়। এ ক্ষেত্রেও কথাটি ঠিক। বিশ্ববিদ্যালয় শেষে বেকারজীবনে এই জমানো টাকা অনেক বড় শক্তি হবে। আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। আপনি যে অবস্থায় আছেন, সেই পরিস্থিতিতেই টাকা সেভিংস করুন। বিশ্বাস করেন, আপনার কাছে টাকা না থাকলে আপনি ভীষণ অসহায়। এই জিনিসটা সে-ই ভালো উপলব্ধি করতে পারবে যে এই অবস্থায় পড়েছে। তাই টিউশনির টাকা, হাত খরচের টাকা, টিফিনের টাকা থেকে অল্প পরিমাণে হলেও সঞ্চয় করুন। বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে আমাকে কেউ পরামর্শ দেয়নি। কিন্তু আমি এই কাজটা করে বেশ উপকৃত হয়েছি।
পাসপোর্ট করা
দেশে বর্তমানে ই-পাসপোর্ট করা যায়। ১০ বছরমেয়াদি ই-পাসপোর্ট আপনার বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের শুরু থেকেই করুন। বিভিন্ন সময় দেশের বাইরে বিভিন্ন সেমিনার, ওয়ার্কশপসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। সেখানে অনেক সময় বিনা খরচে বা নামমাত্র খরচেও যাওয়ার সুযোগ আসে। কিন্তু পাসপোর্ট করা না থাকলে সেসব সুযোগ নেওয়া সম্ভব হয় না। তা ছাড়া, ছাত্রজীবনে যদি দেশের বাইরে ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ করা যায় নিজেকে সমৃদ্ধ করতে সেটিও কিন্তু কম নয়। কারও যদি দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা নিতে যাওয়ার ইচ্ছা করে সে ক্ষেত্রেও আপনি কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকলেন।
টিউশনিতে প্রস্তুতি ও আয়
আপনার খরচ যদি পরিবার থেকেও বহন করে তবুও টিউশন করুন। প্রয়োজনে টিউশনের টাকা ব্যাংকে জমা রাখুন। বিশেষ করে গণিত ও ইংরেজির টিউশন করুন। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারলে ভালো হয়। স্নাতক সম্পন্ন করার পর যখন প্রচলিত চাকরির প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবেন। তখন এই টিউশনের দক্ষতা আপনাকে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রাখবে। শিক্ষার্থী পড়ানোর দক্ষতা আপনার অন্য মানুষকে কথা দিয়ে বোঝানোর দক্ষতাও আয়ত্তে আসে। তবে অতিরিক্ত টিউশন করাতে যাবেন না। এতে নিজের পড়াশোনায় ঘাটতি হয়ে যাবে।
সহশিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত হওয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন রকম ক্লাব ও অরাজনৈতিক সংগঠন আছে। সেগুলোর যেকোনো একটিতে পছন্দমতো যুক্ত হতে পারেন। আইটি ক্লাব, ডিবেটিং ক্লাব, ক্যারিয়ার ক্লাব, ফটোগ্রাফি ক্লাব অন্যতম। সহশিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত হলে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের দক্ষতা, নেটওয়ার্কিং দক্ষতা বাড়ে। তবে কিছু কিছু শিক্ষার্থীকে দেখা যায়, নিজের একাডেমিক পড়াশোনা বাদ দিয়ে দিনভর সহশিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে পড়ে থাকে। এতে কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে লাভের চেয়ে ক্ষতি হয়। এ জন্য একাডেমিক পড়াশোনার সঙ্গে ভারসাম্য রেখে এসব সহশিক্ষা কার্যক্রম করতে হবে।
নিয়মিত লাইব্রেরিতে যাওয়া
প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে লাইব্রেরি রয়েছে। এ ছাড়া জেলা শহরে পাবলিক লাইব্রেরি রয়েছে। ব্যক্তিমালিকানায়ও বেশ কিছু লাইব্রেরি, পাঠাগার, বুকশপ রয়েছে। সেখানে বসে পড়াশোনা করার মনোরম পরিবেশ আছে। প্রতিদিন লাইব্রেরিতে গিয়ে বিভিন্ন রকম বই, ম্যাগাজিন, জার্নালের সঙ্গে পরিচিত হতে পারলে নিজেকে অনেক বেশি সমৃদ্ধ করা যায়। একটা লাইব্রেরি বা বুকশপে যত বই থাকে সব বই হয়তো আপনার পড়া সম্ভব না। কিন্তু নিয়মিত সেখানে যাওয়ার ফলে দেশি-বিদেশি অনেক বিখ্যাত বইয়ের নাম ও লেখকের নামের সঙ্গে পরিচিত হলে সেগুলো চাকরির পরীক্ষাতেও কাজে লাগবে।
বিভিন্ন কোর্স করা
নিজেকে শতধারায় বিকশিত করতে হলে বিভিন্ন রকম কোর্স করা যেতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটার কোর্স করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেজেন্টেশনের স্লাইড তৈরি থেকে শুরু করে কর্মজীবনের বিভিন্ন কাজে আপনার কম্পিউটার দক্ষতা প্রয়োজন হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেজেন্টেশনের স্লাইড, অ্যাসাইনমেন্ট নিজে নিজে করবেন। এতে আখেরে আপনিই লাভবান হবেন। কম্পিউটারের মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট এক্সেল, মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট, ভিডিও এডিটিং, অ্যানিমেশন, ফটো এডিটিং প্রভৃতি শিখতে পারেন। এগুলোয় নিজের দক্ষতা প্রো লেভেলে নিতে পারলে এসব দিয়ে আপনি হাজার হাজার টাকাও ইনকাম করতে পারবেন। এ ছাড়া উচ্চশিক্ষা সহায়ক কোর্স, যেমন আইইএলটিএস, টোয়েফল, জিআরই, জিম্যাট প্রভৃতির যেকোনো একটি বা দুটি কোর্স করে রাখতে পারেন। তা ছাড়া, বিভিন্ন ভাষার কোর্স, ড্রাইভিং কোর্স করতে পারেন।
নেটওয়ার্কিং করা
বিশ্ববিদ্যালয়জীবন থেকেই বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে হবে। বর্তমান যুগটাই হলো নেটওয়ার্কিংয়ের যুগ। যার নেটওয়ার্ক যত ভালো তার ক্যারিয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিভিন্ন সুযোগ, অফার হাতছানি দিয়ে ডাকে। বিভিন্ন পেশার বড় বড় মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে হবে। তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনেক নিয়োগ হয়, কিন্তু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় না। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের সিইও বা চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার নিয়োগ হয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই। তাহলে এই চাকরিগুলো কারা পায়? যারা নিয়োগ দেবেন তাদের জানাশোনার মধ্যে যোগ্য ব্যক্তিটিকেই এই সুযোগ দেওয়া হয়। নেটওয়ার্কিংয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুক, টুইটার, লিংকডিইনের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কাজে লাগানো যেতে পারে।
চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে আট পদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান সরকার হাসান শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংকে ‘সহকারী পরিচালক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. জবদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেজনবল নিয়োগের জন্য পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির দুই ধরনের শূন্য পদে ১২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগেসিনিয়র স্টাফ নার্স (১০ম গ্রেড) পদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫২ জন প্রার্থী। বুধবার পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে