এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ থেকে বিবিএ, এমবিএ সম্পন্ন করেছি। ৪১তম বিসিএস ছিল আমার প্রথম বিসিএস। ক্যাডার পছন্দক্রম ছিল যথাক্রমে-বিসিএস পররাষ্ট্র, পুলিশ, প্রশাসন, কাস্টমস অ্যান্ড এক্সাইজ, ট্যাক্স, অডিট এবং সাধারণ শিক্ষা। আমার দু-একটি প্রশ্ন ছাড়া পুরো ভাইভা ইংরেজিতে হয়েছে। ভাইভা বোর্ডে ঢোকার পর চেয়ারম্যান স্যার ও সদস্য স্যারদের উদ্দেশে প্রথমে একবার সালাম দিয়ে নিই। চেয়ারম্যান স্যার সালামের উত্তর নেন এবং মাস্ক খুলে বসতে বলেন। তারপর ক্রমান্বয়ে প্রশ্ন করা শুরু করেন।
চেয়ারম্যান: প্রথম বিসিএস। ৪০তম দেননি?
ক্যারিয়ারনা স্যার। তখন বিবিএ শেষ হয়নি।
চেয়ারম্যান: অ্যাকাউন্টিং থেকে পড়েছেন, কোথায় কোথায় চাকরি করেছেন?
আমি: স্যার, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের অন্তর্গত পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) তে জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে এক বছরের বেশি সময় কর্মরত ছিলাম। বর্তমানে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) লিমিটেডে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছি।
চেয়ারম্যান: সবই তো হিসাববিজ্ঞান-সম্পর্কিত পদবি। ফরেন সার্ভিসে কেন ও কীভাবে আবেদন করবেন?
আমি: স্যার, আমি নিজেকে হিসাববিজ্ঞানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। ডেসকোর চাকরি অবশ্যই সম্মানজনক। এটাকে খাটো করছি না, কিন্তু আমি অনেক দূর যেতে চাই।
এক্সটার্নাল-১: বাংলাদেশ কীভাবে ভারত ও চায়নার সঙ্গে সম্পর্ক মানিয়ে চলছে, চ্যালেঞ্জগুলো কী?
আমি: স্যার, ব্যালেন্সিং ডিপ্লোমেসি। চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, আমাদের কিছু প্রকল্পে প্রতিবেশী দেশের নিরাপত্তার কথা মাথায় রাখতে হয়। যেমন: আমরা তিস্তা নদীতে বাঁধ, সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করতে গিয়ে প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায় থেকে সরে এসেছি পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর নিরাপত্তার কথা ভেবে। এ ছাড়া জিও রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশ কিছু ঝুঁকির সম্মুখীন।
এক্সটার্নাল-১: (তখন এলডিসি-৫ সম্মেলন চলছিল) এলডিসি ৫ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি কী?
আমি: বাংলাদেশ একমাত্র দেশ, যারা এখনো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এলডিসি থেকে উত্তরণে স্থির আছে। অনেক দেশ কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এলডিসি থেকে উত্তরণে অপারগতা প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া আমরা কাতারের কাছে দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি চেয়েছি এবং তারা এ ব্যাপারে ইতিবাচক।
এক্সটার্নাল-২: আজকের পত্রিকা পড়ে এসেছেন? যেকোনো একটা টপিক বলেন।
আমি: আর্জেন্টিনায় মুদ্রাস্ফীতি লাগামহীন।
এক্সটার্নাল-২: আমাদের মুদ্রাস্ফীতির হার কত এখন? এগজাক্ট ফিগার বলবেন। কীভাবে কমাবেন?
আমি: ফেব্রুয়ারি মাসের বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মুদ্রাস্ফীতির হার কমাতে হলে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এক ইঞ্চি জমিও খালি রাখা যাবে না। চাষাবাদ বাড়াতে হবে।
চেয়ারম্যান: তার মানে আপনি বলছেন, আমাদের দেশে উৎপাদন কম হয়?
আমি: জি না স্যার। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সর্বশেষ উৎপাদন, আবাদি জমির কথা বলার পর বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে অনেক কিছুই আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না এবং অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে আরও বেশি ফোকাস করতে পারলে মুদ্রাস্ফীতি কমবে।
চেয়ারম্যান: তাহলে বৈশ্বিক ম্যাটেরিয়ালগুলো যেমন: তেল আপনি কীভাবে উৎপাদন করবেন?
[উত্তর দিতে গিয়ে থেমে যাই। এর মধ্যেই এক্সটার্নাল ২ স্যারের আরেকটা প্রশ্ন।]
এক্সটার্নাল-২: একটা পরীক্ষার সেন্টারে ধরো নকল হচ্ছে, আপনি ধরতে পেরেছেন, গোলমাল হচ্ছে, কীভাবে একজন ম্যাজিস্ট্রেট ও এএসপি হিসেবে পরিস্থিতি সামলাবেন?
আমি: স্যার, একজন ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আমি অবশ্যই প্রথমে কর্তৃপক্ষকে জানাব। তারা ব্যবস্থা নিতে অপারগ হলে, আমি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব এবং প্রয়োজনবোধে পরীক্ষায় বসতে আর সুযোগ দেব না।
এক্সটার্নাল-২: আর পুলিশ হিসেবে?
আমি: স্যার, পুলিশের কাজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। তবে কোনো কারণে এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়লে আমি আমার ফোর্সকে তলব করব এবং শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে চেষ্টা করব।
এক্সটার্নাল-১: পুলিশের কিছু আইন আছে, এগুলো সম্পর্কে আপনার ধারণা আছে?
আমি: স্যার পুলিশ আইন, ১৮৬১, পিআরবি ১৯৪৩, সিআরপিসি-১৮৯৮, এবং সম্পর্কিত কিছু আইনের গুরুত্বপূর্ণ ধারা পড়ে এসেছি।
চেয়ারম্যান: ঠিক আছে। এবার আসুন।
আমি: ধন্যবাদ স্যার। আসসালামু আলাইকুম।
রকিবুল হাসান সাকিব, পুলিশ ক্যাডার, ৪১তম বিসিএস
গ্রন্থনা: এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ থেকে বিবিএ, এমবিএ সম্পন্ন করেছি। ৪১তম বিসিএস ছিল আমার প্রথম বিসিএস। ক্যাডার পছন্দক্রম ছিল যথাক্রমে-বিসিএস পররাষ্ট্র, পুলিশ, প্রশাসন, কাস্টমস অ্যান্ড এক্সাইজ, ট্যাক্স, অডিট এবং সাধারণ শিক্ষা। আমার দু-একটি প্রশ্ন ছাড়া পুরো ভাইভা ইংরেজিতে হয়েছে। ভাইভা বোর্ডে ঢোকার পর চেয়ারম্যান স্যার ও সদস্য স্যারদের উদ্দেশে প্রথমে একবার সালাম দিয়ে নিই। চেয়ারম্যান স্যার সালামের উত্তর নেন এবং মাস্ক খুলে বসতে বলেন। তারপর ক্রমান্বয়ে প্রশ্ন করা শুরু করেন।
চেয়ারম্যান: প্রথম বিসিএস। ৪০তম দেননি?
ক্যারিয়ারনা স্যার। তখন বিবিএ শেষ হয়নি।
চেয়ারম্যান: অ্যাকাউন্টিং থেকে পড়েছেন, কোথায় কোথায় চাকরি করেছেন?
আমি: স্যার, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের অন্তর্গত পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) তে জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে এক বছরের বেশি সময় কর্মরত ছিলাম। বর্তমানে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) লিমিটেডে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছি।
চেয়ারম্যান: সবই তো হিসাববিজ্ঞান-সম্পর্কিত পদবি। ফরেন সার্ভিসে কেন ও কীভাবে আবেদন করবেন?
আমি: স্যার, আমি নিজেকে হিসাববিজ্ঞানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। ডেসকোর চাকরি অবশ্যই সম্মানজনক। এটাকে খাটো করছি না, কিন্তু আমি অনেক দূর যেতে চাই।
এক্সটার্নাল-১: বাংলাদেশ কীভাবে ভারত ও চায়নার সঙ্গে সম্পর্ক মানিয়ে চলছে, চ্যালেঞ্জগুলো কী?
আমি: স্যার, ব্যালেন্সিং ডিপ্লোমেসি। চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, আমাদের কিছু প্রকল্পে প্রতিবেশী দেশের নিরাপত্তার কথা মাথায় রাখতে হয়। যেমন: আমরা তিস্তা নদীতে বাঁধ, সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করতে গিয়ে প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায় থেকে সরে এসেছি পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর নিরাপত্তার কথা ভেবে। এ ছাড়া জিও রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশ কিছু ঝুঁকির সম্মুখীন।
এক্সটার্নাল-১: (তখন এলডিসি-৫ সম্মেলন চলছিল) এলডিসি ৫ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি কী?
আমি: বাংলাদেশ একমাত্র দেশ, যারা এখনো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এলডিসি থেকে উত্তরণে স্থির আছে। অনেক দেশ কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এলডিসি থেকে উত্তরণে অপারগতা প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া আমরা কাতারের কাছে দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি চেয়েছি এবং তারা এ ব্যাপারে ইতিবাচক।
এক্সটার্নাল-২: আজকের পত্রিকা পড়ে এসেছেন? যেকোনো একটা টপিক বলেন।
আমি: আর্জেন্টিনায় মুদ্রাস্ফীতি লাগামহীন।
এক্সটার্নাল-২: আমাদের মুদ্রাস্ফীতির হার কত এখন? এগজাক্ট ফিগার বলবেন। কীভাবে কমাবেন?
আমি: ফেব্রুয়ারি মাসের বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মুদ্রাস্ফীতির হার কমাতে হলে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এক ইঞ্চি জমিও খালি রাখা যাবে না। চাষাবাদ বাড়াতে হবে।
চেয়ারম্যান: তার মানে আপনি বলছেন, আমাদের দেশে উৎপাদন কম হয়?
আমি: জি না স্যার। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সর্বশেষ উৎপাদন, আবাদি জমির কথা বলার পর বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে অনেক কিছুই আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না এবং অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে আরও বেশি ফোকাস করতে পারলে মুদ্রাস্ফীতি কমবে।
চেয়ারম্যান: তাহলে বৈশ্বিক ম্যাটেরিয়ালগুলো যেমন: তেল আপনি কীভাবে উৎপাদন করবেন?
[উত্তর দিতে গিয়ে থেমে যাই। এর মধ্যেই এক্সটার্নাল ২ স্যারের আরেকটা প্রশ্ন।]
এক্সটার্নাল-২: একটা পরীক্ষার সেন্টারে ধরো নকল হচ্ছে, আপনি ধরতে পেরেছেন, গোলমাল হচ্ছে, কীভাবে একজন ম্যাজিস্ট্রেট ও এএসপি হিসেবে পরিস্থিতি সামলাবেন?
আমি: স্যার, একজন ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আমি অবশ্যই প্রথমে কর্তৃপক্ষকে জানাব। তারা ব্যবস্থা নিতে অপারগ হলে, আমি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব এবং প্রয়োজনবোধে পরীক্ষায় বসতে আর সুযোগ দেব না।
এক্সটার্নাল-২: আর পুলিশ হিসেবে?
আমি: স্যার, পুলিশের কাজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। তবে কোনো কারণে এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়লে আমি আমার ফোর্সকে তলব করব এবং শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে চেষ্টা করব।
এক্সটার্নাল-১: পুলিশের কিছু আইন আছে, এগুলো সম্পর্কে আপনার ধারণা আছে?
আমি: স্যার পুলিশ আইন, ১৮৬১, পিআরবি ১৯৪৩, সিআরপিসি-১৮৯৮, এবং সম্পর্কিত কিছু আইনের গুরুত্বপূর্ণ ধারা পড়ে এসেছি।
চেয়ারম্যান: ঠিক আছে। এবার আসুন।
আমি: ধন্যবাদ স্যার। আসসালামু আলাইকুম।
রকিবুল হাসান সাকিব, পুলিশ ক্যাডার, ৪১তম বিসিএস
গ্রন্থনা: এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
বাংলাদেশ ব্যাংকে ‘সহকারী পরিচালক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. জবদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেজনবল নিয়োগের জন্য পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির দুই ধরনের শূন্য পদে ১২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগেসিনিয়র স্টাফ নার্স (১০ম গ্রেড) পদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫২ জন প্রার্থী। বুধবার পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগেজনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আজকের পত্রিকা। প্রতিষ্ঠানটিতে অ্যাড অপারেশন পদে জনবল নেবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা ই-মেইলে অথবা সরাসরি প্রতিষ্ঠানের ঠিকানায় সিভি পাঠাতে পারবেন।
২ দিন আগে