আনিসুল ইসলাম নাঈম
গ্র্যাজুয়েশনের পরে বিসিএস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই
ছাত্রাবস্থায় বা গ্র্যাজুয়েশনের আগে বিসিএস নিয়ে তেমন চিন্তা করিনি। তখন বিসিএস দেব এ রকম ইচ্ছে জাগত না। গ্র্যাজুয়েশনের পর ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করতে থাকি। তখন ভাবি বর্তমানে অন্যান্য চাকরির চেয়ে বিসিএস সবচেয়ে ভালো। এখানে কাজের পরিবেশ উন্নত এবং সুযোগ-সুবিধাও বেশি। তখন থেকেই বিসিএস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। তখন ভাবি অন্য যা-ই করি না কেন, বিসিএসকে মেইন ফোকাসে রেখে এগিয়ে যাব। পাশাপাশি চেষ্টা করি যাতে প্রথম বিসিএসেই একটা ভালো রেজাল্ট চলে আসে।
প্রশ্ন অ্যানালাইসিস করতে শুরু করি
বিসিএসের সিলেবাসে বিভিন্ন বিষয়ের টপিক থাকায় প্রথমে কাজটা একটু কঠিন মনে হয়েছে। কোন অংশ পড়ব আর কোন অংশ বাদ দেব, এসব নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল। এরপর বিসিএসের সিলেবাস বাদ দিয়ে প্রশ্ন অ্যানালাইসিস করতে শুরু করি। তখন বুঝতে পারি কোন টপিক কম এবং কোন টপিক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি কোন বিষয়ে কতটুকু বেসিক জানতে হবে। বেসিক জানার জন্য বাজারের বইয়ের তুলনায় বোর্ড বইগুলো বেশি ফলো করি। এমসিকিউর জন্য বাজারের বই থেকে প্রচুর অনুশীলন করেছি। প্রিলিতে এমসিকিউ কনফিডেন্টলি দাগানোর চেষ্টা করতাম।
টপিক অনুযায়ী পড়াশোনা এগিয়ে নিতে হবে
পরীক্ষার জন্য প্রথমেই মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। বিসিএসের সিলেবাস সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে। পাশাপাশি টপিক অনুযায়ী পড়াশোনা এগিয়ে নিতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে। কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে কম সময় দেওয়াই শ্রেয়। যেকোনো টপিকের বেসিক সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। বেসিক জানা থাকলে যেকোনোভাবে প্রশ্ন এলে দেওয়া যায়। বেসিকের জানার জন্য বোর্ড বই, ইন্টারনেটে তথ্য খোঁজা ও নিয়মিত পত্রিকা পড়া উচিত। এমনভাবে পড়তে হবে, যাতে যেকোনো টপিক পড়ার পর যাতে অন্যদের সে-সম্পর্কে পড়াতে পাড়েন। পাশাপাশি নিয়মিত এমসিকিউ অনুশীলন করতে হবে। বাজারের বই কিনে সময় ধরে অনুশীলন চালিয়ে যেতে হবে। এতে প্রশ্ন সম্পর্কে ও সময় ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভালো ধারণা হয়।
অল্প জানা থেকে ভালো নম্বর তোলা যায় না
রিটেনের ক্ষেত্রে অনেক ভালো পড়েও লেখা যায় আবার না পড়েও লেখা যাবে। রিটেনের প্রশ্নগুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকে। কিন্তু এই অল্প জানা থেকে ভালো নম্বর তোলা যায় না। রিটেনের প্রিপারেশনের জন্য বাজারের বই বাদে ইন্টারনেটের সহযোগিতা নিয়েছি। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য বিভিন্ন প্রবন্ধ ও কলাম ফলো করেছি। লিখিততে প্রতিটি টপিক একটু আলাদাভাবে খাতায় দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
খাতায় লেখার ক্ষেত্রে কোয়ালিটিফুল লেখা জরুরি
বিসিএস লিখিতের সঙ্গে প্রিলির যথেষ্ট মিল রয়েছে। লিখিতের প্রশ্নগুলো সম্পর্কে সবাই পরিচিত থাকে। কিন্তু খাতায় লেখার ক্ষেত্রে কোয়ালিটিফুল লেখা জরুরি। লিখিতের টপিক দেখে অনেকেই কিছু বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকায় সহজ ভেবে এড়িয়ে যান। কিন্তু এখানে এসএসসি বা এইচএসসির মতো লিখলে ভালো মার্ক পাওয়া যাবে না। লেখার উপস্থাপনা, খাতার স্কিল ও সময় ব্যবস্থাপনা—এ তিনটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। লেখায় ডেটা বা তথ্য প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। লেখায় উপস্থাপনা অন্যদের থেকে একটু আলাদা লেখার চেষ্টা করতে হবে। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিকের জন্য নিজের মতো করে ভালো লিখতে হবে। পত্রিকার প্রবন্ধ ও কলাম পড়ে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি ম্যাথের ওপর গুরুত্ব দিয়ে নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে।
ভাইভাতে গোছানো লুক ও কথা বলার স্টাইল ফলো করা হয়
ভাইভার ক্ষেত্রে সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব হয় না। এখানে পরীক্ষার্থীর গোছানো লুক ও কথা বলার স্টাইল ফলো করা হয়। ভাইভাতে আমি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী থাকার চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি ক্যাডার চয়েস, পঠিত বিষয়, নিজ জেলা, সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়গুলো আগে থেকেই জেনে গেছি। স্যারদের প্রশ্নের উত্তর ভিন্নভাবে গুছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
চাকরি সম্পর্কিত সংবাদ পেতে - এখানে ক্লিক করুন
মক ভাইভা দিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে
বিসিএস ভাইভায় পরীক্ষার্থীর প্রশ্নের উত্তরের চেয়ে নিজের ব্যক্তিত্ব দেখা হয়। প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থী কীভাবে তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন, তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভাইভায় এসব বিষয়ে দক্ষতা জরুরি। এ জন্য আয়নার সামনে অনুশীলন ও মক ভাইভা দিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। ভাইভায় যেকোনো বিষয় থেকেই প্রশ্ন করতে পারে। এ জন্য ১ম ও ২য় ক্যাডার চয়েস, নিজ জেলা ও বিখ্যাত ব্যক্তি, নিজ পঠিত বিষয়, মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধানের বেসিক সম্পর্কে জানতে হবে। সব সময় আত্মবিশ্বাসী থাকার চেষ্টা করতে হবে। ভাইভা নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কারণ সম্পূর্ণ ভাইভা নিজের ব্যক্তিত্বের ওপর নির্ভর করে।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
বিসিএস সম্পর্কিত পড়ুন:
গ্র্যাজুয়েশনের পরে বিসিএস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই
ছাত্রাবস্থায় বা গ্র্যাজুয়েশনের আগে বিসিএস নিয়ে তেমন চিন্তা করিনি। তখন বিসিএস দেব এ রকম ইচ্ছে জাগত না। গ্র্যাজুয়েশনের পর ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করতে থাকি। তখন ভাবি বর্তমানে অন্যান্য চাকরির চেয়ে বিসিএস সবচেয়ে ভালো। এখানে কাজের পরিবেশ উন্নত এবং সুযোগ-সুবিধাও বেশি। তখন থেকেই বিসিএস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। তখন ভাবি অন্য যা-ই করি না কেন, বিসিএসকে মেইন ফোকাসে রেখে এগিয়ে যাব। পাশাপাশি চেষ্টা করি যাতে প্রথম বিসিএসেই একটা ভালো রেজাল্ট চলে আসে।
প্রশ্ন অ্যানালাইসিস করতে শুরু করি
বিসিএসের সিলেবাসে বিভিন্ন বিষয়ের টপিক থাকায় প্রথমে কাজটা একটু কঠিন মনে হয়েছে। কোন অংশ পড়ব আর কোন অংশ বাদ দেব, এসব নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল। এরপর বিসিএসের সিলেবাস বাদ দিয়ে প্রশ্ন অ্যানালাইসিস করতে শুরু করি। তখন বুঝতে পারি কোন টপিক কম এবং কোন টপিক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি কোন বিষয়ে কতটুকু বেসিক জানতে হবে। বেসিক জানার জন্য বাজারের বইয়ের তুলনায় বোর্ড বইগুলো বেশি ফলো করি। এমসিকিউর জন্য বাজারের বই থেকে প্রচুর অনুশীলন করেছি। প্রিলিতে এমসিকিউ কনফিডেন্টলি দাগানোর চেষ্টা করতাম।
টপিক অনুযায়ী পড়াশোনা এগিয়ে নিতে হবে
পরীক্ষার জন্য প্রথমেই মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। বিসিএসের সিলেবাস সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে। পাশাপাশি টপিক অনুযায়ী পড়াশোনা এগিয়ে নিতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে। কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে কম সময় দেওয়াই শ্রেয়। যেকোনো টপিকের বেসিক সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। বেসিক জানা থাকলে যেকোনোভাবে প্রশ্ন এলে দেওয়া যায়। বেসিকের জানার জন্য বোর্ড বই, ইন্টারনেটে তথ্য খোঁজা ও নিয়মিত পত্রিকা পড়া উচিত। এমনভাবে পড়তে হবে, যাতে যেকোনো টপিক পড়ার পর যাতে অন্যদের সে-সম্পর্কে পড়াতে পাড়েন। পাশাপাশি নিয়মিত এমসিকিউ অনুশীলন করতে হবে। বাজারের বই কিনে সময় ধরে অনুশীলন চালিয়ে যেতে হবে। এতে প্রশ্ন সম্পর্কে ও সময় ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভালো ধারণা হয়।
অল্প জানা থেকে ভালো নম্বর তোলা যায় না
রিটেনের ক্ষেত্রে অনেক ভালো পড়েও লেখা যায় আবার না পড়েও লেখা যাবে। রিটেনের প্রশ্নগুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকে। কিন্তু এই অল্প জানা থেকে ভালো নম্বর তোলা যায় না। রিটেনের প্রিপারেশনের জন্য বাজারের বই বাদে ইন্টারনেটের সহযোগিতা নিয়েছি। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য বিভিন্ন প্রবন্ধ ও কলাম ফলো করেছি। লিখিততে প্রতিটি টপিক একটু আলাদাভাবে খাতায় দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
খাতায় লেখার ক্ষেত্রে কোয়ালিটিফুল লেখা জরুরি
বিসিএস লিখিতের সঙ্গে প্রিলির যথেষ্ট মিল রয়েছে। লিখিতের প্রশ্নগুলো সম্পর্কে সবাই পরিচিত থাকে। কিন্তু খাতায় লেখার ক্ষেত্রে কোয়ালিটিফুল লেখা জরুরি। লিখিতের টপিক দেখে অনেকেই কিছু বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকায় সহজ ভেবে এড়িয়ে যান। কিন্তু এখানে এসএসসি বা এইচএসসির মতো লিখলে ভালো মার্ক পাওয়া যাবে না। লেখার উপস্থাপনা, খাতার স্কিল ও সময় ব্যবস্থাপনা—এ তিনটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। লেখায় ডেটা বা তথ্য প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। লেখায় উপস্থাপনা অন্যদের থেকে একটু আলাদা লেখার চেষ্টা করতে হবে। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিকের জন্য নিজের মতো করে ভালো লিখতে হবে। পত্রিকার প্রবন্ধ ও কলাম পড়ে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি ম্যাথের ওপর গুরুত্ব দিয়ে নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে।
ভাইভাতে গোছানো লুক ও কথা বলার স্টাইল ফলো করা হয়
ভাইভার ক্ষেত্রে সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব হয় না। এখানে পরীক্ষার্থীর গোছানো লুক ও কথা বলার স্টাইল ফলো করা হয়। ভাইভাতে আমি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী থাকার চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি ক্যাডার চয়েস, পঠিত বিষয়, নিজ জেলা, সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়গুলো আগে থেকেই জেনে গেছি। স্যারদের প্রশ্নের উত্তর ভিন্নভাবে গুছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
চাকরি সম্পর্কিত সংবাদ পেতে - এখানে ক্লিক করুন
মক ভাইভা দিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে
বিসিএস ভাইভায় পরীক্ষার্থীর প্রশ্নের উত্তরের চেয়ে নিজের ব্যক্তিত্ব দেখা হয়। প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থী কীভাবে তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন, তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভাইভায় এসব বিষয়ে দক্ষতা জরুরি। এ জন্য আয়নার সামনে অনুশীলন ও মক ভাইভা দিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। ভাইভায় যেকোনো বিষয় থেকেই প্রশ্ন করতে পারে। এ জন্য ১ম ও ২য় ক্যাডার চয়েস, নিজ জেলা ও বিখ্যাত ব্যক্তি, নিজ পঠিত বিষয়, মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধানের বেসিক সম্পর্কে জানতে হবে। সব সময় আত্মবিশ্বাসী থাকার চেষ্টা করতে হবে। ভাইভা নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কারণ সম্পূর্ণ ভাইভা নিজের ব্যক্তিত্বের ওপর নির্ভর করে।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
বিসিএস সম্পর্কিত পড়ুন:
চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে আট পদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান সরকার হাসান শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংকে ‘সহকারী পরিচালক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. জবদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেজনবল নিয়োগের জন্য পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির দুই ধরনের শূন্য পদে ১২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগেসিনিয়র স্টাফ নার্স (১০ম গ্রেড) পদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫২ জন প্রার্থী। বুধবার পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে