মনি মোহন
মনি মোহনের জন্ম ও বেড়ে ওঠা খুলনার দাকোপ উপজেলায়। তিনি ২০০৭ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান ডিসিপ্লিন থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর জার্মানির হ্যানোভার বিশ্ববিদ্যালয়ে পানিসম্পদ ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিয়ে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সহযোগী হিসেবে যোগ দেন। এরপর আমাজনে চাকরি করার ইচ্ছা থেকেই আবেদন করেন। দুই মাসে চার ধাপ ইন্টারভিউয়ের পর গত ৬ সেপ্টেম্বর তাঁকে অফার লেটার দেওয়া হয়। তাঁর আমাজনে চাকরির গল্প, নতুনদের পরামর্শ ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি নিজেই।
আমাজনে চাকরি পাওয়ার অনুভূতি
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জার্মানির হ্যানোভার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পানিসম্পদ ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাস্টার্স শেষ করার পর আন্তর্জাতিক বৃহৎ কোনো প্রতিষ্ঠান বা জাতিসংঘের কোনো অঙ্গ-প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করার আগ্রহ তৈরি হয়। দেরিতে হলেও সেই ইচ্ছাটা পূরণ করতে পারায় আমি স্বাভাবিক কারণেই খুব খুশি।
চাকরির প্রস্তুতির পেছনে
২০১৬ সালের জুন মাসে জার্মানির হ্যানোভার বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে গবেষণা সহযোগী (রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট) হিসেবে চাকরি শুরু করি। এরপর থেকেই পরিবেশ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আন্তর্জাতিক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের চাকরির বিজ্ঞাপন অনুসরণ করতাম।
পাশাপাশি আবেদনের যোগ্যতা ও অন্যান্য আবশ্যকীয় শর্ত খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়তাম। ২০২২ সালের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির শেষের দিকে বিভিন্ন রকম প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদনের জন্য কয়েক সেট সিভি ও কভার লেটার প্রস্তুত করি। ২০২২ সালের জুনে আমার গবেষণা প্রকল্প এবং হ্যানোভার বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করি।পাশাপাশি আমাজনও ছিল। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে ইন্টারভিউয়ে ডাক পেলেও আমাজন থেকে প্রথম আবেদন বাতিল হয়ে যায়। এরপর সিভি ও কভার লেটার কিছুটা আপগ্রেড করি। ২০২২ সালের জুলাই মাসে আবারও বেশ কিছু বাছাই করা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করি। এর মধ্যে আমাজনেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ পদে আবেদন করি। আবেদনের ২০-২৫ দিন পর আমাজন থেকে ইন্টারভিউয়ে ডাক পাই এবং ৪ ধাপ ইন্টারভিউর শেষে সেপ্টেম্বরে নিয়োগপত্র হাতে পাই।
আমাজনে চাকরির ইন্টারভিউ
আমাকে মোট চারটি ইন্টারভিউ দিতে হয়েছে। প্রথমে একটা টেলিফোন ইন্টারভিউ হয়েছিল। যার মাধ্যমে আমাজন বেসিক স্ক্রিনিং করে থাকে। আমার ক্ষেত্রেও প্রথম ধাপে ওই পদের প্রধান শর্তগুলো যেমন স্টাডির বিষয়, কত বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা, জার্মান ও ইংরেজি ভাষাজ্ঞানের লেভেল যাচাইসহ কর্মস্থল, বেতন গ্রেড, চাকরি শুরুর সম্ভাব্য সময় নিয়ে আমার কোনো প্রতিবন্ধকতা আছে কি না—এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। এরপর দুটি বিষয়ভিত্তিক ইন্টারভিউ হয়েছিল, যেখানে ওই পদের জন্য প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল ধারণা ও দক্ষতা আমার আছে কি না, সেটা যাচাই করেছিল। এই পর্বে কিছু বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছিল এবং একটি করে সমস্যার সমাধান করতে হয়েছিল। আমার ক্ষেত্রে পরিবেশ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সমস্যার সমাধান করতে হয়েছিল।
শেষে একটা লিডারশিপ প্রিন্সিপালভিত্তিক ইন্টারভিউ হয়েছিল। যেখানে আমার ম্যানেজমেন্ট ও লিডারশিপ স্কিল যাচাই করেছিল। এটা আমাজনের সিনিয়র পদগুলোর জন্য বিশেষ ইন্টারভিউ। এই ধাপে কিছু ক্রিটিক্যাল ম্যানেজমেন্ট সিচুয়েশন বা সমস্যার অবতারণা করা হয় এবং অভিজ্ঞতার আলোকে আমি কীভাবে সেই অবস্থা বা সমস্যার সমাধান করেছিলাম, সেটা বলতে হয়েছিল। এই সমস্যার সমাধানগুলো আমাজনের বিশেষ স্টার (STAR) মেথডে দিতে হয় এবং খুব ভালো প্রস্তুতি নেওয়া দরকার।
তরুণদের জন্য পরামর্শ
প্রথমত, কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে (নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম/সফটওয়্যার/টুলস) বিশেষ পারদর্শিতা বা দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করা। এরপর একটু সময় নিয়ে স্ট্যান্ডার্ড মানের একটি সিভি ও কভার লেটার তৈরি করা। যেটি আবার প্রতিটি পদে আবেদন করার আগে ওই পদের প্রয়োজনীয় যোগ্যতার সঙ্গে সামঞ্জস্য করার জন্য কিছু পরিমার্জন ও পরিবর্ধন করা খুবই জরুরি। এ ছাড়া ইন্টারভিউর জন্য নির্বাচিত হলে ওই পদের জন্য উল্লিখিত বিষয়ে পরিষ্কার ধারণার জন্য কিছু পড়াশোনা করলে সুবিধা হয়। প্রতিটি বড় বড় প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ইন্টারভিউ পদ্ধতি রয়েছে, যা সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা না থাকলে প্রয়োজনীয় দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও ইন্টারভিউয়ে ভালো করা সম্ভব হয় না। সবশেষে একবার বা দুইবার ব্যর্থ হলেও ভেঙে না পড়ে পুনরায় চেষ্টা করা। মনে রাখতে হবে বড় বড় প্রতিষ্ঠানে অনেকেই একাধিকবার চেষ্টায় সফল হয়েছিল। সুতরাং আগ্রহী তরুণ শিক্ষার্থীরা বিষয়গুলো মেনটেইন করলে ভালো ফল পাবে বলে বিশ্বাস করি।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
ছয়-সাত বছর যাবৎ বিভিন্ন উৎস থেকে সৃষ্ট সব ধরনের বর্জ্যের কম্পোজিশন বের করা (ল্যাব অ্যানালাইসিস করে) এবং বর্জ্য থেকে শক্তি ও রিসোর্সেস উৎপন্ন করার সবচেয়ে ইফিসিয়েন্ট পদ্ধতি নির্বাচন করার জন্য হ্যানোভার বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করেছি। এখন আমাজনে সেই থিয়রেটিক্যাল ধারণা ও দক্ষতাকে বাস্তবায়নের একটা দারুণ প্ল্যাটফর্ম পেয়েছি। এ ছাড়া আমাজনে আরও অনেক অ্যাডভান্সড ও উচ্চাভিলাষী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এখান থেকে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের কোনো একটি শহর বা সিটি করপোরেশনের জন্য ইফিসিয়েন্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনার (বর্জ্য থেকে শক্তি/রিসোর্স উৎপাদন) একটি মডেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চাই; যা পরে রেপ্লিকেট করা যাবে। এ ক্ষেত্রে হ্যানোভার বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে এখনো যে এফিলিয়েশন আছে, সেটাকে কাজে লাগাতে পারব। এ কাজে প্রথমেই দেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করেন, যৌথভাবে একটি ফিজিবিলিটি স্টাডি করে নিতে চাই (যা কয়েকটি মাস্টার্স থিসিসের আওতায় করা সম্ভব)। ইতিমধ্যে পরিচিত কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি, যা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এ বিষয়ে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছি। পাশাপাশি আগ্রহীদের আমার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অনুরোধ করছি।
মনি মোহন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ, আমাজন
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
মনি মোহনের জন্ম ও বেড়ে ওঠা খুলনার দাকোপ উপজেলায়। তিনি ২০০৭ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান ডিসিপ্লিন থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর জার্মানির হ্যানোভার বিশ্ববিদ্যালয়ে পানিসম্পদ ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিয়ে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সহযোগী হিসেবে যোগ দেন। এরপর আমাজনে চাকরি করার ইচ্ছা থেকেই আবেদন করেন। দুই মাসে চার ধাপ ইন্টারভিউয়ের পর গত ৬ সেপ্টেম্বর তাঁকে অফার লেটার দেওয়া হয়। তাঁর আমাজনে চাকরির গল্প, নতুনদের পরামর্শ ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি নিজেই।
আমাজনে চাকরি পাওয়ার অনুভূতি
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জার্মানির হ্যানোভার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পানিসম্পদ ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাস্টার্স শেষ করার পর আন্তর্জাতিক বৃহৎ কোনো প্রতিষ্ঠান বা জাতিসংঘের কোনো অঙ্গ-প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করার আগ্রহ তৈরি হয়। দেরিতে হলেও সেই ইচ্ছাটা পূরণ করতে পারায় আমি স্বাভাবিক কারণেই খুব খুশি।
চাকরির প্রস্তুতির পেছনে
২০১৬ সালের জুন মাসে জার্মানির হ্যানোভার বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে গবেষণা সহযোগী (রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট) হিসেবে চাকরি শুরু করি। এরপর থেকেই পরিবেশ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আন্তর্জাতিক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের চাকরির বিজ্ঞাপন অনুসরণ করতাম।
পাশাপাশি আবেদনের যোগ্যতা ও অন্যান্য আবশ্যকীয় শর্ত খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়তাম। ২০২২ সালের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির শেষের দিকে বিভিন্ন রকম প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদনের জন্য কয়েক সেট সিভি ও কভার লেটার প্রস্তুত করি। ২০২২ সালের জুনে আমার গবেষণা প্রকল্প এবং হ্যানোভার বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করি।পাশাপাশি আমাজনও ছিল। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে ইন্টারভিউয়ে ডাক পেলেও আমাজন থেকে প্রথম আবেদন বাতিল হয়ে যায়। এরপর সিভি ও কভার লেটার কিছুটা আপগ্রেড করি। ২০২২ সালের জুলাই মাসে আবারও বেশ কিছু বাছাই করা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করি। এর মধ্যে আমাজনেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ পদে আবেদন করি। আবেদনের ২০-২৫ দিন পর আমাজন থেকে ইন্টারভিউয়ে ডাক পাই এবং ৪ ধাপ ইন্টারভিউর শেষে সেপ্টেম্বরে নিয়োগপত্র হাতে পাই।
আমাজনে চাকরির ইন্টারভিউ
আমাকে মোট চারটি ইন্টারভিউ দিতে হয়েছে। প্রথমে একটা টেলিফোন ইন্টারভিউ হয়েছিল। যার মাধ্যমে আমাজন বেসিক স্ক্রিনিং করে থাকে। আমার ক্ষেত্রেও প্রথম ধাপে ওই পদের প্রধান শর্তগুলো যেমন স্টাডির বিষয়, কত বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা, জার্মান ও ইংরেজি ভাষাজ্ঞানের লেভেল যাচাইসহ কর্মস্থল, বেতন গ্রেড, চাকরি শুরুর সম্ভাব্য সময় নিয়ে আমার কোনো প্রতিবন্ধকতা আছে কি না—এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। এরপর দুটি বিষয়ভিত্তিক ইন্টারভিউ হয়েছিল, যেখানে ওই পদের জন্য প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল ধারণা ও দক্ষতা আমার আছে কি না, সেটা যাচাই করেছিল। এই পর্বে কিছু বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছিল এবং একটি করে সমস্যার সমাধান করতে হয়েছিল। আমার ক্ষেত্রে পরিবেশ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সমস্যার সমাধান করতে হয়েছিল।
শেষে একটা লিডারশিপ প্রিন্সিপালভিত্তিক ইন্টারভিউ হয়েছিল। যেখানে আমার ম্যানেজমেন্ট ও লিডারশিপ স্কিল যাচাই করেছিল। এটা আমাজনের সিনিয়র পদগুলোর জন্য বিশেষ ইন্টারভিউ। এই ধাপে কিছু ক্রিটিক্যাল ম্যানেজমেন্ট সিচুয়েশন বা সমস্যার অবতারণা করা হয় এবং অভিজ্ঞতার আলোকে আমি কীভাবে সেই অবস্থা বা সমস্যার সমাধান করেছিলাম, সেটা বলতে হয়েছিল। এই সমস্যার সমাধানগুলো আমাজনের বিশেষ স্টার (STAR) মেথডে দিতে হয় এবং খুব ভালো প্রস্তুতি নেওয়া দরকার।
তরুণদের জন্য পরামর্শ
প্রথমত, কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে (নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম/সফটওয়্যার/টুলস) বিশেষ পারদর্শিতা বা দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করা। এরপর একটু সময় নিয়ে স্ট্যান্ডার্ড মানের একটি সিভি ও কভার লেটার তৈরি করা। যেটি আবার প্রতিটি পদে আবেদন করার আগে ওই পদের প্রয়োজনীয় যোগ্যতার সঙ্গে সামঞ্জস্য করার জন্য কিছু পরিমার্জন ও পরিবর্ধন করা খুবই জরুরি। এ ছাড়া ইন্টারভিউর জন্য নির্বাচিত হলে ওই পদের জন্য উল্লিখিত বিষয়ে পরিষ্কার ধারণার জন্য কিছু পড়াশোনা করলে সুবিধা হয়। প্রতিটি বড় বড় প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ইন্টারভিউ পদ্ধতি রয়েছে, যা সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা না থাকলে প্রয়োজনীয় দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও ইন্টারভিউয়ে ভালো করা সম্ভব হয় না। সবশেষে একবার বা দুইবার ব্যর্থ হলেও ভেঙে না পড়ে পুনরায় চেষ্টা করা। মনে রাখতে হবে বড় বড় প্রতিষ্ঠানে অনেকেই একাধিকবার চেষ্টায় সফল হয়েছিল। সুতরাং আগ্রহী তরুণ শিক্ষার্থীরা বিষয়গুলো মেনটেইন করলে ভালো ফল পাবে বলে বিশ্বাস করি।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
ছয়-সাত বছর যাবৎ বিভিন্ন উৎস থেকে সৃষ্ট সব ধরনের বর্জ্যের কম্পোজিশন বের করা (ল্যাব অ্যানালাইসিস করে) এবং বর্জ্য থেকে শক্তি ও রিসোর্সেস উৎপন্ন করার সবচেয়ে ইফিসিয়েন্ট পদ্ধতি নির্বাচন করার জন্য হ্যানোভার বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করেছি। এখন আমাজনে সেই থিয়রেটিক্যাল ধারণা ও দক্ষতাকে বাস্তবায়নের একটা দারুণ প্ল্যাটফর্ম পেয়েছি। এ ছাড়া আমাজনে আরও অনেক অ্যাডভান্সড ও উচ্চাভিলাষী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এখান থেকে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের কোনো একটি শহর বা সিটি করপোরেশনের জন্য ইফিসিয়েন্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনার (বর্জ্য থেকে শক্তি/রিসোর্স উৎপাদন) একটি মডেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চাই; যা পরে রেপ্লিকেট করা যাবে। এ ক্ষেত্রে হ্যানোভার বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে এখনো যে এফিলিয়েশন আছে, সেটাকে কাজে লাগাতে পারব। এ কাজে প্রথমেই দেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করেন, যৌথভাবে একটি ফিজিবিলিটি স্টাডি করে নিতে চাই (যা কয়েকটি মাস্টার্স থিসিসের আওতায় করা সম্ভব)। ইতিমধ্যে পরিচিত কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি, যা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এ বিষয়ে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছি। পাশাপাশি আগ্রহীদের আমার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অনুরোধ করছি।
মনি মোহন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ, আমাজন
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে আট পদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান সরকার হাসান শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংকে ‘সহকারী পরিচালক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. জবদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেজনবল নিয়োগের জন্য পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির দুই ধরনের শূন্য পদে ১২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগেসিনিয়র স্টাফ নার্স (১০ম গ্রেড) পদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫২ জন প্রার্থী। বুধবার পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে