ফারুক হোসেন মিলন
ফারুক হোসেন মিলনের জন্ম ও বেড়ে ওঠা গাজীপুরের টঙ্গীতে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি) বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেছেন। এরপর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দেশেই কাজ করেন। এক পর্যায় আমাজনে ইন্টারভিউ দেন এবং সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কানাডা ব্রাঞ্চে কাজ করার সুযোগ পান। তিনি ২০২২ সালের জুন মাসে চাকরিতে যোগ দেন। আমাজনে চাকরি পাওয়ার গল্প, নতুনদের পরামর্শ ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি নিজেই।
ছাত্রজীবনে সফটওয়্যার নিয়ে তেমন মনোযোগ দেওয়া হয়নি। আবশ্যিক কোর্সে পাস করার জন্য যতটুকু দরকার, ততটুকু করেছি। তবে এখন মনে হচ্ছে তখন থেকেই মনোযোগ দেওয়া দরকার ছিল। আর প্রোগ্রামিংয়ে মনোযোগ দেওয়া মূলত ২য় বর্ষের শুরুর দিকে। প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা করতে ভালো লাগত। সেই ভালো লাগা থেকেই শেখা।
চাকরির প্রস্তুতির পেছনে
প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম অনেক দিন আগে থেকেই। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রবলেম সলভিং, সিস্টেম ডিজাইন, ডেটাবেইস ডিজাইন, অপারেটিং সিস্টেম ইত্যাদি জিনিস নিয়ে টুকটাক দেখতাম। আমার কাছে প্রবলেম সলভিং ব্যাপারটা অনেক ভালো লাগত। তাই সময়-সুযোগ পেলেই সমস্যার সমাধান করতাম। লিটকোড, ইন্টারভিউবিটে মোট ১৫০০+ প্রবলেম সমাধান করেছি। তাই এদিক দিয়ে আমার প্রস্তুতি ভালোই ছিল। আর বাকিগুলো বিভিন্ন বই এবং অনলাইন রিসোর্স থেকে আস্তে আস্তে শেখা হয়েছে।
আমাজনে চাকরির সুযোগ
আমাজনে মোটামুটি সব ধরনের লোক আছে। সফটওয়্যারের জন্য যেমন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার, তেমনি রিসার্চের জন্য রিসার্চ ইঞ্জিনিয়ার, হার্ডওয়্যারের জন্য হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার রয়েছে। সব ডিপার্টমেন্টে আলাদা আলাদা নিবেদিতপ্রাণ লোক আছে। আমার কাজ হলো তাদের ওয়েব সার্ভিসের ক্যাশিং পদ্ধতি নিয়ে কাজ করা।
আমাজনে চাকরির আবেদন-প্রক্রিয়া
আবেদনের জন্য আমাজনের নিজস্ব সাইট আছে। সেখানেই আবেদন করতে হয়। তবে সেই সাইটে সরাসরি আবেদন করলে ইন্টারভিউর জন্য কল পাওয়ার চান্স কম। সবচেয়ে ভালো হয় আমাজনে চাকরি করে এমন কারও রেফারাল নিলে। এতে করে মোটামুটি সিভি ভালো থাকলে এবং LinkedIn গোছানো থাকলে কল পাওয়ার চান্স অনেক বেড়ে যায়।
গুগল, আমাজন, মেটা, মাইক্রোসফটের মতো বড় বড় টেকজায়ান্ট প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা সব কম্পিউটার গ্র্যাজুয়েটের স্বপ্ন থাকে। স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি, সেটা চিন্তা করতেই ভালো লাগে।
আমাজনে চাকরির ইন্টারভিউ
সবার মোটামুটি তিনটি ধাপে ইন্টারভিউ হয়। শুরুতে আমাকে একটা অনলাইন অ্যাসাইনমেন্ট দিতে হয়েছে। সেখানে তিনটা প্রবলেম ছিল। অনেক তাড়াতাড়ি সলভ করতে পেরেছিলাম। এ কারণে আমাকে দ্বিতীয় ধাপ ছাড়াই ডিরেক্ট তৃতীয় ধাপে নিয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ধাপে মূলত এক ঘণ্টায় একটা প্রবলেম সলভ এবং কিছু বিহ্যাভিওরাল প্রশ্ন থাকে। আর তৃতীয় ধাপে চার রাউন্ডে ইন্টারভিউ হয়। দুইটা রাউন্ডে প্রবলেম সলভিং, একটা রাউন্ডে রিড্যাবল ও মেইন্ট্যানাবল কোড এবং একটা রাউন্ডে সিস্টেম ডিজাইন হয়েছিল। আর সবগুলোতে বিহ্যাভিওরাল প্রশ্ন কমন ছিল। বিহ্যাভিওরাল প্রশ্ন মূলত ক্যান্ডিডেট আগে যেসব কোম্পানিতে চাকরি করেছি, সেখানের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে। কারণ পুরোনো অভিজ্ঞতাই বলে দেয় মানুষ সামনে কী করবে। আমার সবগুলো ধাপ ১৫ দিনের মধ্যে শেষ করেছিলাম। আর শেষ ইন্টারভিউর ১৩ দিন পর আমাকে কনফার্ম করেছিল এবং চাকরির অফার দিয়েছিল।
বাংলাদেশিদের জন্য সুযোগ
এসব বড় কোম্পানিতে সব দেশের জন্য সমান সুযোগ। কিন্তু সমস্যা হলো ভিসা প্রসেসিং। এ কারণে কোম্পানি চায় আগে লোকাল কাউকে পায় কি না। কারণ আমাকে অফার দেওয়ার প্রায় সাত মাস পর আমি জয়েন করতে পেরেছিলাম। এই সাত মাস আমি ওয়ার্ক পারমিট, ভিসা ইত্যাদি ম্যানেজ করেছি। সে ক্ষেত্রে যদি লোকাল কেউ থাকত, তবে দুই-এক মাসেই জয়েন করতে পারত। তাই অনেক কোম্পানি এই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে চায় না।
তরুণদের জন্য পরামর্শ
নতুন যাঁরা আগ্রহী, তাঁদের বলব, পরিশ্রম করতে হবে। বর্তমানে অনেক বাংলাদেশি এ রকম বড় বড় কোম্পানিতে চাকরি নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। মনে রাখতে হবে, এখানে লোকাল যারা আছে, তাদের থেকে ভালো না করতে পারলে কোম্পানি আপনাকে এত খরচ করে নিয়ে আসবে না। তাই ভালোটা একটু বেশি করতে হবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
আপাতত আমাজনে থেকেই আমার ভিত্তি আরও মজবুত করতে চাই। সেই সঙ্গে ধাপে ধাপে ওপরে উঠতে চাই। পাশাপাশি তরুণদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে চাই। এখানে অর্জিত অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে শেয়ার করে দেশের আইসিটি সেক্টরকে আরও এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন রয়েছে।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
ফারুক হোসেন মিলনের জন্ম ও বেড়ে ওঠা গাজীপুরের টঙ্গীতে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি) বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেছেন। এরপর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দেশেই কাজ করেন। এক পর্যায় আমাজনে ইন্টারভিউ দেন এবং সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কানাডা ব্রাঞ্চে কাজ করার সুযোগ পান। তিনি ২০২২ সালের জুন মাসে চাকরিতে যোগ দেন। আমাজনে চাকরি পাওয়ার গল্প, নতুনদের পরামর্শ ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি নিজেই।
ছাত্রজীবনে সফটওয়্যার নিয়ে তেমন মনোযোগ দেওয়া হয়নি। আবশ্যিক কোর্সে পাস করার জন্য যতটুকু দরকার, ততটুকু করেছি। তবে এখন মনে হচ্ছে তখন থেকেই মনোযোগ দেওয়া দরকার ছিল। আর প্রোগ্রামিংয়ে মনোযোগ দেওয়া মূলত ২য় বর্ষের শুরুর দিকে। প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা করতে ভালো লাগত। সেই ভালো লাগা থেকেই শেখা।
চাকরির প্রস্তুতির পেছনে
প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম অনেক দিন আগে থেকেই। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রবলেম সলভিং, সিস্টেম ডিজাইন, ডেটাবেইস ডিজাইন, অপারেটিং সিস্টেম ইত্যাদি জিনিস নিয়ে টুকটাক দেখতাম। আমার কাছে প্রবলেম সলভিং ব্যাপারটা অনেক ভালো লাগত। তাই সময়-সুযোগ পেলেই সমস্যার সমাধান করতাম। লিটকোড, ইন্টারভিউবিটে মোট ১৫০০+ প্রবলেম সমাধান করেছি। তাই এদিক দিয়ে আমার প্রস্তুতি ভালোই ছিল। আর বাকিগুলো বিভিন্ন বই এবং অনলাইন রিসোর্স থেকে আস্তে আস্তে শেখা হয়েছে।
আমাজনে চাকরির সুযোগ
আমাজনে মোটামুটি সব ধরনের লোক আছে। সফটওয়্যারের জন্য যেমন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার, তেমনি রিসার্চের জন্য রিসার্চ ইঞ্জিনিয়ার, হার্ডওয়্যারের জন্য হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার রয়েছে। সব ডিপার্টমেন্টে আলাদা আলাদা নিবেদিতপ্রাণ লোক আছে। আমার কাজ হলো তাদের ওয়েব সার্ভিসের ক্যাশিং পদ্ধতি নিয়ে কাজ করা।
আমাজনে চাকরির আবেদন-প্রক্রিয়া
আবেদনের জন্য আমাজনের নিজস্ব সাইট আছে। সেখানেই আবেদন করতে হয়। তবে সেই সাইটে সরাসরি আবেদন করলে ইন্টারভিউর জন্য কল পাওয়ার চান্স কম। সবচেয়ে ভালো হয় আমাজনে চাকরি করে এমন কারও রেফারাল নিলে। এতে করে মোটামুটি সিভি ভালো থাকলে এবং LinkedIn গোছানো থাকলে কল পাওয়ার চান্স অনেক বেড়ে যায়।
গুগল, আমাজন, মেটা, মাইক্রোসফটের মতো বড় বড় টেকজায়ান্ট প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা সব কম্পিউটার গ্র্যাজুয়েটের স্বপ্ন থাকে। স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি, সেটা চিন্তা করতেই ভালো লাগে।
আমাজনে চাকরির ইন্টারভিউ
সবার মোটামুটি তিনটি ধাপে ইন্টারভিউ হয়। শুরুতে আমাকে একটা অনলাইন অ্যাসাইনমেন্ট দিতে হয়েছে। সেখানে তিনটা প্রবলেম ছিল। অনেক তাড়াতাড়ি সলভ করতে পেরেছিলাম। এ কারণে আমাকে দ্বিতীয় ধাপ ছাড়াই ডিরেক্ট তৃতীয় ধাপে নিয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ধাপে মূলত এক ঘণ্টায় একটা প্রবলেম সলভ এবং কিছু বিহ্যাভিওরাল প্রশ্ন থাকে। আর তৃতীয় ধাপে চার রাউন্ডে ইন্টারভিউ হয়। দুইটা রাউন্ডে প্রবলেম সলভিং, একটা রাউন্ডে রিড্যাবল ও মেইন্ট্যানাবল কোড এবং একটা রাউন্ডে সিস্টেম ডিজাইন হয়েছিল। আর সবগুলোতে বিহ্যাভিওরাল প্রশ্ন কমন ছিল। বিহ্যাভিওরাল প্রশ্ন মূলত ক্যান্ডিডেট আগে যেসব কোম্পানিতে চাকরি করেছি, সেখানের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে। কারণ পুরোনো অভিজ্ঞতাই বলে দেয় মানুষ সামনে কী করবে। আমার সবগুলো ধাপ ১৫ দিনের মধ্যে শেষ করেছিলাম। আর শেষ ইন্টারভিউর ১৩ দিন পর আমাকে কনফার্ম করেছিল এবং চাকরির অফার দিয়েছিল।
বাংলাদেশিদের জন্য সুযোগ
এসব বড় কোম্পানিতে সব দেশের জন্য সমান সুযোগ। কিন্তু সমস্যা হলো ভিসা প্রসেসিং। এ কারণে কোম্পানি চায় আগে লোকাল কাউকে পায় কি না। কারণ আমাকে অফার দেওয়ার প্রায় সাত মাস পর আমি জয়েন করতে পেরেছিলাম। এই সাত মাস আমি ওয়ার্ক পারমিট, ভিসা ইত্যাদি ম্যানেজ করেছি। সে ক্ষেত্রে যদি লোকাল কেউ থাকত, তবে দুই-এক মাসেই জয়েন করতে পারত। তাই অনেক কোম্পানি এই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে চায় না।
তরুণদের জন্য পরামর্শ
নতুন যাঁরা আগ্রহী, তাঁদের বলব, পরিশ্রম করতে হবে। বর্তমানে অনেক বাংলাদেশি এ রকম বড় বড় কোম্পানিতে চাকরি নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। মনে রাখতে হবে, এখানে লোকাল যারা আছে, তাদের থেকে ভালো না করতে পারলে কোম্পানি আপনাকে এত খরচ করে নিয়ে আসবে না। তাই ভালোটা একটু বেশি করতে হবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
আপাতত আমাজনে থেকেই আমার ভিত্তি আরও মজবুত করতে চাই। সেই সঙ্গে ধাপে ধাপে ওপরে উঠতে চাই। পাশাপাশি তরুণদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে চাই। এখানে অর্জিত অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে শেয়ার করে দেশের আইসিটি সেক্টরকে আরও এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন রয়েছে।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে আট পদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান সরকার হাসান শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংকে ‘সহকারী পরিচালক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. জবদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেজনবল নিয়োগের জন্য পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির দুই ধরনের শূন্য পদে ১২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগেসিনিয়র স্টাফ নার্স (১০ম গ্রেড) পদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫২ জন প্রার্থী। বুধবার পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে